Debabrata Das
Debabrata Das
  • 50
  • 3 412

Відео

"দন্ডদানের অন্তরালে"
Переглядів 249 годин тому
"দন্ডদানের অন্তরালে"
এক মহৎ অভ্যুদয়ের ভূমিকা
Переглядів 11014 годин тому
এক মহৎ অভ্যুদয়ের ভূমিকা
বেদ বৈঠক পর্ব -৪// বৈদিক "ক্রিয়া-কর্মে"র আন্তর তাৎপর্য
Переглядів 6119 годин тому
বেদ বৈঠক পর্ব -৪// বৈদিক "ক্রিয়া-কর্মে"র আন্তর তাৎপর্য
বেদ-বৈঠক-৩// "পূর্ণতার অপেক্ষায় - রথ এবং রথী"
Переглядів 70День тому
বেদ-বৈঠক-৩// "পূর্ণতার অপেক্ষায় - রথ এবং রথী"
বেদ-বৈঠকী পর্ব -২ - যজুর্বেদের শুক্লত্ব-কৃষ্ণত্ব
Переглядів 68День тому
বেদ-বৈঠকী পর্ব -২ - যজুর্বেদের শুক্লত্ব-কৃষ্ণত্ব
বেদ-বৈঠকী - বেদের জানা অজানার ঝাঁপি
Переглядів 9514 днів тому
বেদ-বৈঠকী - বেদের জানা অজানার ঝাঁপি
গৌড়াদিত্য নগেন্দ্রগুপ্ত শশাঙ্ক- বাংলার প্রথম সার্বভৌম সম্রাট
Переглядів 8314 днів тому
গৌড়াদিত্য নগেন্দ্রগুপ্ত শশাঙ্ক- বাংলার প্রথম সার্বভৌম সম্রাট
বাংলার ইতিহাস পর্ব -(২) বাংলার ভৌগলিক ইতিবৃত্ত
Переглядів 6614 днів тому
বাংলার ইতিহাস পর্ব -(২) বাংলার ভৌগলিক ইতিবৃত্ত
বাংলার ইতিহাস - পর্ব (১)// "দক্ষিণ হতে পূর্বে"
Переглядів 9021 день тому
বাংলার ইতিহাস - পর্ব (১)// "দক্ষিণ হতে পূর্বে"
" আত্মপ্রকাশের বিরহ সুধায় তোমাতে করিব বাস"
Переглядів 2221 день тому
" আত্মপ্রকাশের বিরহ সুধায় তোমাতে করিব বাস"
আত্মপ্রকাশের "অগ্নি- সোম" ভাবনা
Переглядів 7221 день тому
আত্মপ্রকাশের "অগ্নি- সোম" ভাবনা
ভারতবর্ষের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে শঙ্করাচার্যের প্রভাব - (অন্তিম পর্ব)
Переглядів 4128 днів тому
ভারতবর্ষের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে শঙ্করাচার্যের প্রভাব - (অন্তিম পর্ব)
ভারতবর্ষের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে আচার্য শঙ্করের অবদান - পর্ব -৩
Переглядів 27Місяць тому
ভারতবর্ষের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে আচার্য শঙ্করের অবদান - পর্ব -৩
আচার্য শঙ্কর এবং ভারতবর্ষের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস// -পর্ব-২
Переглядів 51Місяць тому
আচার্য শঙ্কর এবং ভারতবর্ষের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস// -পর্ব-২
আচার্য শঙ্কর এবং ভারতবর্ষের মুক্তি সংগ্রাম -পর্ব-১
Переглядів 31Місяць тому
আচার্য শঙ্কর এবং ভারতবর্ষের মুক্তি সংগ্রাম -পর্ব-১
প্রজ্ঞাপুরুষ অভিনবগুপ্ত
Переглядів 30Місяць тому
প্রজ্ঞাপুরুষ অভিনবগুপ্ত
চরৈবেতি -মর্ত্য হতে অমর্ত্য লোকে -স্মরণে শ্রদ্ধায়। বহমান চলা জীবন মরণের সীমানা ছাড়িয়ে
Переглядів 41Місяць тому
চরৈবেতি -মর্ত্য হতে অমর্ত্য লোকে -স্মরণে শ্রদ্ধায়। বহমান চলা জীবন মরণের সীমানা ছাড়িয়ে
ইতরা পুত্র ঐতরেয় মহীদাস- "ঐতরেয়ালোচনম্" - "ঐতরেয় উপনিষদের পরিচয়"
Переглядів 21Місяць тому
ইতরা পুত্র ঐতরেয় মহীদাস- "ঐতরেয়ালোচনম্" - "ঐতরেয় উপনিষদের পরিচয়"
ব্রাহ্মণ তুমি সত্যকুলজাত
Переглядів 50Місяць тому
ব্রাহ্মণ তুমি সত্যকুলজাত
ভারতীয় সভ্যতায় অবৈদিক প্রভাব - পর্ব ২( দ্রাবিড়ীয় ভক্তি আন্দোলন ও তার প্রভাব)
Переглядів 56Місяць тому
ভারতীয় সভ্যতায় অবৈদিক প্রভাব - পর্ব ২( দ্রাবিড়ীয় ভক্তি আন্দোলন ও তার প্রভাব)
ভারতীয় সভ্যতায় অবৈদিক প্রভাব - পর্ব -১
Переглядів 30Місяць тому
ভারতীয় সভ্যতায় অবৈদিক প্রভাব - পর্ব -১
আত্মনেহকল্পনায় চ- সৃষ্টি দিয়ে সৃষ্টির পারে মাওয়া , কল্পনা দিয়ে কল্পনার অবসান
Переглядів 40Місяць тому
আত্মনেহকল্পনায় চ- সৃষ্টি দিয়ে সৃষ্টির পারে মাওয়া , কল্পনা দিয়ে কল্পনার অবসান
"আরো একবার বুঝিয়ে বলুন"
Переглядів 239Місяць тому
"আরো একবার বুঝিয়ে বলুন"
অবসরের কথা-বাসরে পর্ব -১৯// ভূয় এব বিজ্ঞাপয়তু ইতি- আর একবার বুঝিয়ে বলুন
Переглядів 262Місяць тому
অবসরের কথা-বাসরে পর্ব -১৯// ভূয় এব বিজ্ঞাপয়তু ইতি- আর একবার বুঝিয়ে বলুন
আদেশম্ অপ্রাক্ষ্য: - জিজ্ঞেস করেছো কি?
Переглядів 49Місяць тому
আদেশম্ অপ্রাক্ষ্য: - জিজ্ঞেস করেছো কি?
নাগানন্দ জীমূতবাহন// শ্রীহর্ষ
Переглядів 90Місяць тому
নাগানন্দ জীমূতবাহন// শ্রীহর্ষ
বিশ্ববিদ্যাতীর্থপ্রাঙ্গণ
Переглядів 872 місяці тому
বিশ্ববিদ্যাতীর্থপ্রাঙ্গণ
শিবাবতার আচার্য শঙ্কর
Переглядів 2622 місяці тому
শিবাবতার আচার্য শঙ্কর
সংস্কৃতির মিলনতীর্থে
Переглядів 392 місяці тому
সংস্কৃতির মিলনতীর্থে

КОМЕНТАРІ

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 7 днів тому

    👆 অবসরের কথা-বাসরে পর্ব -৩৯ "বৈদিক ক্রিয়া-কর্মের আন্তর তাৎপর্য" বলা হয়--"মন্ত্রব্রাহ্মণয়োর্বেদনামধেয়ম"- মন্ত্র এবং ব্রাহ্মণ মিলিতভাবে বেদ। ঋষি মননজাত দর্শন মন্ত্র আর তার প্রয়োগ হলো ব্রাহ্মণ। এই ব্রাহ্মণকে অনেক সময় বলা হয় উৎস বা বীজ। দর্শনের, উপনিষদের ,অভিনয় তথা নাট্য ভাবনার, নৃত্যকলার, ইতিহাসের, বীজগণিতের, জ্যামিতির, অনুশাসনের, সমাজ বিদ্যার,নির্বচন অর্থাৎ etymology'র, এবং সেই সঙ্গে principal of Uniformity of Nature এবং Law of Causationও। ব্রাহ্মণে যেমন মন্ত্রের বিনিয়োগ বা প্রায়োগিক কৌশল বলা হয়েছে তেমনি মন্ত্রের সাথে কর্মের সামঞ্জস্যও দেখানো হয়েছে। অর্থহীন কোনো কর্মের কথা এখানে বলা হয়নি। পরবর্তী সময়ে বেদের ব্রাহ্মণ অংশের যুক্তি সহ বিশ্লেষণী ক্ষমতার মানুষ ধীরে ধীরে অবলুপ্ত হওয়ার ফলে যাজ্ঞিক কর্মাদি একটা যান্ত্রিক অনুষ্ঠানে এসে দাঁড়িয়েছে। এই চিত্র তো বর্তমান কালের সকল ধর্মীয় কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানেই লক্ষ্য করা যায়। অবসরের কথা-বাসরের ৩৯-তম বেদ বৈঠকের ৪র্থ পর্বে, প্রায় বিলুপ্ত বৈদিক ক্রিয়া কর্মের কিছু আন্তর তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে 🌷

    • @mitalibhattacharya8469
      @mitalibhattacharya8469 4 дні тому

      All the episodes of Veda Baithak are very thought provoking and innovative, You always point out new explanation s of the subject from various sides and their values to us We become enriched with your excellent lectures

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 8 днів тому

    আজ মহাপ্রভু জগন্নাথের রথযাত্রা উৎসব। একই সাথে আজ মহাপ্রভুর অঙ্গরাগ এবং নেত্র উৎসবের পুণ্যযোগ বহু বহু বছর পর। ভক্ত প্রাণের অনুরাগের ছোঁয়ায় প্রভুর অঙ্গরাগ। ভারতীয় অধ্যাত্ম দর্শনে বলা হয় জগন্নাথস্বামী তিনি "সাক্ষী -চেতন-ধ্রুব"। এই নেত্র উৎসবের নিহিতার্থে রয়েছে জড়ত্বের চৈতন্য লাভের আশীর্বাদ। যে দৃষ্টিলাভের মাধ্যমে অর্জুনের বিশ্বরূপ দর্শনের সৌভাগ্য ঘটেছিল। পশ্য মে পার্থ রূপাণি শতশোহথ সহস্রশ:! অপূর্ণতার অনন্য মহাবিগ্রহে পূর্ণতার মহাআভাস; মহৎ উদ্ঘাটন। বৈদিক ধারণা হতে, উপনিষদের কাল পার হয়ে পুরাণ-ইতিহাসে এই অনন্য ভাবনা কিভাবে বিকশিত হয়েছে তার আনুপূর্বিক বিস্তার নিয়ে "অবসরের কথা-বাসরের বিশেষ নিবেদন - "পূর্ণতার অপেক্ষায়"🌷

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 10 днів тому

    👆 অবসরের কথা-বাসরে পর্ব -৩৮ বেদ-বৈঠক পর্ব -৩ "পূর্ণতার অপেক্ষায় - রথ এবং রথী" আমার প্রাণে গভীর গোপন মহা-আপন সে কি/ অন্ধকারে হঠাৎ তারে দেখি.... বৃন্দাবন সারঙ রাগে রবীন্দ্রনাথের এই গানের কথায় অস্ফুট অসম্পূর্ণতার মধ্যে পূর্ণত্বের মহাসম্ভাবনার কথা প্রকাশিত হয়েছে। বস্তুত: অর্ধমাত্রা অর্থাৎ অপেক্ষমানতাই পূর্ণত্বের সবচেয়ে বড় পরিচয়। পূর্ণ মিলনের মাধূর্য আস্বাদনের জন্যই মহাপ্রভুর বিরহাবতার, অনিঃশেষ বিরহগাথা। ভাগবত পুরাণের শ্রেষ্ঠ ভাগ গোপী গীতা। আর তাই তো তিনি 'রাজার রাজা' হয়েও একান্ত প্রেম যাচনায় প্রতিটি জীবের গোপন গহন হৃদিকন্দরে অঙ্গুষ্ঠমাত্র রূপে বিরাজমান। দেহের মালিক এই দেহী যিনি "অচ্যূত চেতন দ্রষ্টা", প্রকৃতি যোগে সচলায়তন দেহরথে আবির্ভূত। সকল আনন্দ আস্বাদনের জন্য তাঁর এই মহা-আকুতি। মহামহিম বিরাট যেন নিজে হতে ধরা দেবেন বলেই রত্নবেদী হতে রাজপথে নেমে আসেন। মনোরথে সেই জনরথবাসীকে নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করার জন্য আমাদের এই চৈতন্যময় মহাপ্রভুর রথযাত্রা উৎসব উদযাপন। রথ ও রথীর এই আন্তর তাৎপর্য নিয়ে অবসরের কথা-বাসরের ৩৮তম পর্বে, বেদ বৈঠকের আলোচ্য বিষয় - "পূর্ণতার অপেক্ষায়" 🌷

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 12 днів тому

    👆 "অবসরের কথা-বাসর" পর্ব -৩৭ বেদ-বৈঠকীর দ্বিতীয় কথামালায় আমরা যজুর্বেদ সংহিতার শুক্লত্ব এবং কৃষ্ণত্ব নিয়ে পুরাণ-ইতিহাসে যে কাহিনী সুপ্রচলিত, তার নিহিতার্থটি খোঁজার চেষ্টা করেছি। এইসাথে বৈদিক যুগে যেসকল প্রচলিত ধ্যান ধারণা বর্তমান, তার পেছনে যে গভীর তাৎপর্যবাহী অর্থ ও পরিকল্পনা রয়েছে তার পরিচয় একে একে "বেদ-বৈঠকী"র বিভিন্ন পর্বে ঝাঁপি খুলে উন্মোচিত করা হবে। এবিষয়ে সুনির্দিষ্ট মতামত এবং জিজ্ঞাসাকে স্বাগত জানাই🌷

  • @abashbiswas609
    @abashbiswas609 13 днів тому

    অপৌরুষেয়, সমস্ত রকম বিষয়ের প্রামাণ্য আকর 🎉 গ্ৰন্থ বেদের উপর এত সহজ সরল আলোচনা নিজেদের শাশ্বত মহান ঐতিহ্যের প্রতি আমাদের সশ্রদ্ধ করে তোলে।

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 14 днів тому

    বেদ-বৈঠকী অর্থাৎ বেদ বিষয়ক আলোচনা। পারস্পরিক বৈঠকী আলাপচারিতায় যে সকল বিষয় উঠে আসে, তারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন থাকে, তেমনি থাকে সাধারণভাবে বলা অনেক গভীর বিষয়, যা হয়তো আমরা প্রথমে অতোটা খেয়াল করে দেখিই নি। একালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বেদবিৎ, ঋষিতুল্য মহামতি অনির্বাণ, শ্রীঅরবিন্দ পাঠ মন্দিরে "বেদ মীমাংসা" নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে বেদের জানা - অজানার ঝাঁপি খোলার কথা মাঝে মাঝেই বলতেন। গূঢ় মরমীয়া বৈদিক ভাষ্যের গভীর তাৎপর্যবাহী আলোচনার অবকাশে তিনি কখনো সখনো জানা-অজানার ঝাঁপি উন্মোচন করতেন, সেই ঝাঁপি হতে যেসব হীরক বৈদূর্যের টুকরো বেরিয়ে আসতো, তা শ্রোতাদের কাছে খুবই মহার্ঘ্য ছিল। তেমনি কিছু বেদ বিষয়ক "জানা অজানা"র কথা আমরা তুলে ধরছি ক্রমান্বয়ে, অবসরের কথা-বাসরের ৩৬তম পর্ব হতে 🌷

  • @mitalibhattacharya8469
    @mitalibhattacharya8469 15 днів тому

    We came to know about many unknown facts of the First Bengali King Sasanka and his importance in the Indian history. The great Indian historians have also accepted it. After his death there was disorder in every sphere of life. My regards to you for bringing iñ light all these unknown facts in front of us. We are eager to listen the next one.

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 17 днів тому

    অবসরের কথা-বাসরে পর্ব -৩৫ "প্রথম সার্বভৌম গৌড়াধিপতি" 👆 একজন দক্ষ শাসকের পরিচয় কেবলমাত্র তাঁর আদিগন্ত সাম্রাজ্য বিস্তারের যশোগাথার ওপর নির্ভর করে না। বরং অনেকাংশেই নির্ভর করে তাঁর সাম্রাজ্যে "দন্ডশক্তি" কতটা নিপুণ ভাবে প্রযুক্ত হয়েছে, তার ওপর। রাষ্ট্রের বিশৃঙ্খলা কিংবা অরাজকতা কেবলমাত্র শাসক থাকা না থাকার ওপরই নির্ভর করে না। নির্ভর করে অধিষ্ঠিত শাসকের একান্ত প্রশাসনিক দক্ষতার ওপর। ‌একজন শাসকের "পালনী শক্তি" তাঁর রাজ্য পরিচালনার, ধর্ম পালন সহ সকল যোগ্যতার একমাত্র সঠিক মাপকাঠি। এই পরিচয় আরো গভীরভাবে বোঝা যায় যখন এক বিশেষ সংকটের বাতাবরণে একজন শাসক রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করেন। শৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠা করেন। বিপরীতক্রমে, সেই শাসকের অবর্তমানে যদি সেই রাষ্ট্র বিপুল পরিমাণে অরাজকতায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে, তাহলেও বিগত শাসকের "দন্ডপ্রাজ্ঞতা"র যথার্থ পরিচয় অনুভূত হয়। বিদগ্ধ ঐতিহাসিকেরা উভয় দিক হতে বাংলার প্রথম স্বাধীন সার্বভৌম গৌড়াধিপ নগেন্দ্রাদিত্যের সামগ্রিক পরিচয় বিশ্লেষণ করে বাঙালির এক অত্যোজ্বল গৌরবময় বিস্মৃত ইতিহাস-গাথা উদ্ঘাটন করেছেন। এ প্রসঙ্গে একটি কথা বলা অত্যন্ত প্রয়োজন।পূর্ব ভারত তথা বাঙালির প্রকৃত ইতিহাস যথাযথ ভাবে উপস্থাপন করা হয়নি এই কথা যথার্থ ভাবে অনেকেই মনে করেন। এটি সত্য। সেই সাথে এও সত্য, প্রাচীন কাল হতে পূর্ব ভারতের প্রতি উত্তর-পশ্চিমের একধরণের অবজ্ঞা মিশ্রিত ঔদাসীন্য যতটা রয়েছে তারচেয়েও বাঙালির আত্মবিস্মৃতি, দায়-হীনতা, নিজের ঐতিহ্য সংস্কৃতির প্রতি অমনোযোগিতা এ ক্ষেত্রে বেশি মাত্রায় দায়ী। যে জাতি নিজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, দায়িত্ববান নয়, অন্যের কাছে তার বিশেষ কিছু আশা না করাই ভালো। শ্রদ্ধেয় রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়, রমেশচন্দ্র মজুমদার, যদুনাথ সরকার হতে আচার্য সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়, সুকুমার সেন প্রমুখ বুধমন্ডলী যে নিরলস প্রয়াসে প্রাচীন বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস উদ্ধার করেছেন, আমরা, পরবর্তী প্রজন্মরা তার প্রতি কতটা যত্নবান, কতখানি দায়িত্বশীল একথা বিশেষ ভাবে পর্যালোচনা করে আত্মসমালোচনারও প্রয়োজন আছে বৈকি। অবসরের কথা-বাসরের ৩৫তম পর্বে এই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে আলোচিত হয়েছে বাংলার প্রথম স্বাধীন সার্বভৌম সম্রাটের পরিচয় 🌷

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 19 днів тому

    বাঙালি পরিচয়ে "বাঁচতে" চাইলে, "পড়তে" কিংবা "শুনতে'' হবে বই কি!😂🙏

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 19 днів тому

    আমাদের ভারতীয় দর্শনে বলা হয়েছে-- যে পড়ে না, সে বাঁচে না। বাঁচতে হলে প্রতিনিয়ত তাকে পড়তে হবে। "পড়া" শব্দটি এখানে দুটি অর্থ প্রকাশ করছে। একটি স্থানচ্যুত হওয়া, অপরটি স্বাধ্যায়। একটি স্ব-স্থান হতে চ্যুত হবার ইচ্ছে অন্যটি জিজীবীষা বা জানার ইচ্ছে। খুব ভালো করে ভেবে দেখলে বোঝা যায়, দুটোই কিন্তু মূলতঃ একই অর্থ বহন করছে। অপ্রমত্ত "স্ব-অধ্যায়ী" অর্থাৎ অ-চঞ্চল পাঠক (মনোযোগী পড়ুয়া) প্রতি মূহুর্তই কিন্তু স্থানচ্যুত হয়ে চলেছে। অর্থাৎ, বিষয়টি জানার আগে একজন নিবিষ্ট পাঠক যে অবস্থানে ছিলেন, জানার বা পাঠের পর কোনোভাবেই আর সেই স্থানে তিনি থাকেন না। তার স্থানচ্যুতি অবশ্যই ঘটবে। এটাকেই কি ঠাট্টা করে বলে - লেখাপড়া করে যে, গাড়ি চাপা পড়ে সে! তবুও মানুষ পড়ে। কারণ, সে বাঁচতে চায়। আর বাঁচতে হলে যে তাকে "পড়তে" হবেই। বাঁচার ইচ্ছের মধ্যেই রয়েছে জানার ইচ্ছে, শোনার ইচ্ছে। জিজীবীষা হতে শুশ্রূষা। ভালো ভাবে বাঁচতে হলে এদুটো অর্থাৎ বাঁচার অদম্য ইচ্ছে এবং একটু যত্ন, নিজের প্রতি -- অতি প্রয়োজনীয়। আর এ দুয়েরই মধ্যে রয়েছে মৃত্যুর পরের ধাপ অ-মৃত্যুর বা অমৃতের হাতছানি। এই যে বাঁচার গভীরতম আকুতি, কিছুতেই মরব না! তার উপশমের দাওয়াই উপনিষদে চমৎকার ভাবে বলা আছে। সেখানে বলা হয়েছে, যদি তুমি বাঁচতে চাও তবে তুমি সারাটি জীবনে একটি কাজ হতে কখনোই অবসর নেবে না। সেটি কি? "অপ্রমত্ত স্বাধ্যায়"। অপ্রমত্তের কথা আগেই বলেছি, অর্থাৎ অচঞ্চলতা। স্বাধ্যায় অর্থে স্ব-অধ্যায় -- নিজেকে পড়ো, নিজেকে ভাঙ্গো, নিজেকে ব্যবচ্ছেদ করে নিজেকে জানো। আত্মপরিচয় লাভ করো। নিজেকে জানলেই তুমি সব অর্থেই শক্তিমান হবে। অমর হবে। এই আত্ম-পরিচয়ের মধ্যে রয়েছে একটি জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয়, তার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক , সামাজিক সহ সকল পরিচয় এবং অতি গুরুত্বপূর্ণভাবে তার ভৌগলিক পরিচয়। আজ "অবসরের কথা-বাসরে"র ৩৪তম পর্বে বাংলার ইতিহাস পরিচয়ের দ্বিতীয় পর্বে, অতি আবশ্যিক ভাবে আলোচিত হয়েছে প্রাচীন বাংলার ভৌগলিক অবস্থান 🌷

  • @mitalibhattacharya8469
    @mitalibhattacharya8469 21 день тому

    Very informative episode. We are enriched by your excellent thoughts and explanation s in every episode, We admit that there is a close connection between East and South India and you mentioned it inyour previous presentation s, Reference of Tagore's poem makes the episode more meaningful and valuable, We wait for the next one eagerly, My regards to you and your respected Teacher s who are very famous for their wisdom and knowledge.

  • @mitalibhattacharya8469
    @mitalibhattacharya8469 21 день тому

    Very informative episode. We are enriched by your excellent thoughts and explanation s in every episode, We admit that there is a close connection between East and South India and you mentioned it inyour previous presentation s, Reference of Tagore's poem makes the episode more meaningful and valuable, We wait for the next one eagerly, My regards to you and your respected Teacher s who are very famous for their wisdom and knowledge.

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 21 день тому

    অবসরের কথা-বাসরে পর্ব -৩৩👆 প্রত্যেক প্রদেশ ও প্রত্যেক জাতির এক নিজস্ব পরিচয় থাকে। সেটা তার অতীত হতে বর্তমানকে কেন্দ্র করে আত্মপ্রকাশের ইতিহাস। প্রায় সব দেশেই স্থান,কাল এবং পাত্রের বিভিন্ন বিশেষত্ব নিয়ে তার নিজস্ব একটা বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। নতুন, পুরোনো সব যুগেই সেই দেশের সেই বৈশিষ্ট্যটিকে এড়িয়ে যাবার যো নেই। ভারতবর্ষের বৈশিষ্ট্য বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের যোগদৃষ্টি ও যোগসাধনা। ভারতবর্ষের মধ্যে বাংলার আবার একটা নিজস্বতা রয়েছে। এখানে রয়েছে প্রাণের দাবি, মানবতার আবেদন। কোনো জীর্ণ গোঁড়ামি মতান্ধতার কিংবা সংকীর্ণতা এখানের পলিমাটি উর্বরতায় শাখামূল বিস্তার করতে পারে নি। সর্বপ্রকার পুরানতার ভার হতে মুক্ত। মানবপন্থী বাংলাদেশ প্রাচীনকালেও ভারতের শাস্ত্রপন্থী সমাজ-নেতাদের কাছে নিন্দনীয় ছিল। তীর্থযাত্রা ছাড়া এখানে এলে প্রায়শ্চিত্ত করতে হত। বাংলাদেশ চিরকালই সর্বপ্রকার শাস্ত্রগত সংস্কারমুক্ত। এখানে যে ধর্মীয় আন্দোলন হয়েছিল তার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে মানুষ এবং মানবতাবাদ। ফলতঃ তার শিল্পে, সাহিত্যে, সংগীতে রয়েছে এক উদারতার বাতাবরণ। বাংলার মূল ভাবনায় রয়েছে সম্মেলন। ভাবের রসশালা হতে পাকশালায়। কিভাবে এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলা তথা বাঙালির চরিত্র গড়ে উঠলো তার পরিচয় নিয়েই আজকের অবসরের কথাবাসরের ৩৩-তম পর্বে - বাংলার ইতিহাস - প্রথম পর্ব - "দক্ষিণ হতে পূর্বে" 🌷

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 24 дні тому

    👆 অবসরের কথা-বাসরে পর্ব -৩২ "তোমাতে করিব বাস" কবি বলছেন- তোমার আমার এই বিরহের অন্তরালে/ কত আর সেতু বাঁধি...। এখানে "অন্তরাল" কথাটি - 'বিরহের অন্তরাল' - বড়ই তাৎপর্যময়। এই বিরহের স্বেচ্ছান্তরাল সৃষ্টি করেই প্রেমের পরাকাষ্ঠা, রসের চরমতা, আনন্দের পরম রসোল্লাস অনুভব করেন প্রেমের সাধক। আধার বা আশ্রয় অর্থাৎ সাধক, নিজেকে সম্পূর্ণ রিক্ত করে, সত্তাকে মুছে ফেলে তার বিষয়কে অর্থাৎ ধ্যেয়কে নিজের মধ্যে ফুটিয়ে তোলেন। এক শর্তহীন আত্মনিবেদন যে বৈষ্ণবীয় দর্শনের মূল বক্তব্য, সেটিই যোগদর্শনের প্রাথমিক অতি আবশ্যক শর্ত। যোগ দৃষ্টি দিয়েছে আধারের দিকে, আশ্রয়ের দিকে-, কেমন করে ধ্যেয় বস্তুতে পরম তন্ময়তা লাভ করা যায়। সেকারণে বলা হয়, গোপীচিত্ত লাভ না হলে, যোগী হওয়া যায় না। এখানে মিলন নয়, বিরহই মুখ্য। বিষাদের অশ্রুজলে নীরবের মর্মতলে/ গোপনে উঠুক ফলে হৃদয়ের নতুন বাণী। বিরহের বেদনায় "তৎস্থতদঞ্জনতা"। সুতরাং বিশ্বকে প্রাচীনতম বৈদিক দৃষ্টি হতে তন্ত্র, বৈষ্ণব, যৌগিক সব দৃষ্টি বা দর্শনের মূলে রয়েছে সেই "বিরহ বিলাস লীলা", যাকে কোথাও নাম দেওয়া হয়েছে "অগ্নি সোম", কোথাও "বাক্ অর্থ", বা "আশ্রয় বিষয়"। এই অব্যক্তের খোঁজ চলছে সর্বত্র, বিজ্ঞানে, দর্শনে, শিল্পে, বিভিন্ন ভঙ্গিমায় ও বিচিত্র রূপে। আর সব প্রকাশের মধ্যেই রয়েছে এক গভীর বেদনা। নাই সুখ দুঃখ ভয়, আকাঙ্ক্ষা বিলুপ্ত হল সব-/ আকাশে নিস্তব্ধ একা শান্ত অনুভব।/ তোমাতে সমস্ত লীন, তুমি আছ একা।/ আমি-হীন চিত্তমাঝে একান্ত-তোমারে শুধু দেখা। মহীশূরে "আচার্য গোবিন্দগোপাল মুখোপাধ্যায় স্মৃতি সভায়" পঠিত এই বিষয়টি -"বিরহ সুধায় তোমাতে করিব বাস " অবসরের কথা-বাসরের ৩২ তম পর্বে নিবেদিত হলো 🌷

  • @romachatterjee8033
    @romachatterjee8033 25 днів тому

    আহা,..মন ভরে গেল Notes নিয়ে রাখব, বিশেষ কিছু কথার। ধন্যবাদ, প্রণাম।

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 26 днів тому

    👆 ভারতীয় দার্শনিক দৃষ্টিতে জগতের স্বরূপকে নানা ভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সুদূর কাল হতেই ধীমান ঋষিকুল লক্ষ্য করেছেন, সকল সৃষ্টির মূলেই রয়েছে আত্মপ্রকাশের এক অবিরাম দুর্বার আবেগ। এক অন্তহীন অভিসার। নিজেকে প্রকাশ করার বিপুল প্রয়াস। এই ছুটে চলার পাগলপারা দুর্বার গতি কেবল যে প্রাণের মধ্যে পরিলক্ষিত হয় তাতো নয়, স্তব্ধ মহামৌনতার হৃদয়েও সেই অবিরাম ছুটে চলার ছন্দও পরিস্ফুট। তার চলা নবীন পাতায়, ফুলের ধারায় কিংবা কল্লোলিনী নির্ঝরনীর চরম পুলকে। তার চলা যায় না বলা। আকাশ বোঝে আনন্দ তার, বোঝে নিশার নীরব তারা। আত্মবিসর্জন দিয়ে, আপন সত্তার বিলুপ্তির মধ্য দিয়ে আপন রসময় আত্মপ্রকাশ। আপনাকে আপনি আস্বাদন। একটি রূপান্তর বা মৃত্যুর মধ্য দিয়ে অমৃত সুধা পান। বৈদিক দৃষ্টি বা দর্শন একেই বলছে "অগ্নি-সোমাত্মক দৃষ্টি। তন্ত্র দর্শন তাকেই বলছে বাগ্-বিভূতি বা শব্দপ্রভব বাক্ এবং অর্থের মিথুনীকৃত লীলা। তন্ত্র দর্শনের অর্ধনারীশ্বর মূর্তি। কুমার সম্ভবের মূল কারণ। অবসরের কথা-বাসরের ৩১তম পর্বে ভারতীয় দর্শনের সৃষ্টিতত্ত্বে বৈদিক ও তান্ত্রিক দৃষ্টির পরিচয় তুলে ধরা হলো, অপর তিনটি, যথাক্রমে বৈষ্ণব মহাজনদের, যোগের ঋষিদের এবং বৈদান্তিক ঋষিদের দৃষ্টি পরিচয় আগামী পর্বে তুলে ধরা হবে 🙏

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 28 днів тому

    👆 ভারতবর্ষের মুক্তি সংগ্রাম এবং শঙ্করাচার্য -৪র্থ তথা অন্তিম পর্ব কিছুদিন ধরে দক্ষিণভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানকালীন সময়ে বৈদিক এবং দ্রাবিড়ীয় সভ্যতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার, আলোচনা করার এক বিশেষ সুযোগ এসেছে। "অবসরের কথা-বাসরে", নয়-নয় করে আজ পর্যন্ত তিরিশটি বিভিন্ন পর্বে সেসকল বিভিন্ন বিষয়ের কিছু নিদর্শন তুলে ধরার একটা চেষ্টা আমরা করেছি। আগামী আরো কয়েকটি পর্বে আরো কিছু নতুন বিষয় নিয়ে যে আলোচনা করার সুযোগ এসেছে, সম্ভব হলে তার পরিচয়ও কথা-বাসরের বিভিন্ন পর্বে প্রকাশ করার ইচ্ছে আমাদের আছে। আচার্য শঙ্করের জীবন নিয়ে কথা-বাসরের ১৫তম- পর্বে আলোচনা করতে গিয়ে আমাদের মনে হয়েছে, এই বিরাট অনন্তকর্মা বিস্ময় পুরুষ, তাঁর মাত্র বত্রিশ বছরের আয়ুষ্কালে, কেবল সমগ্র ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক চেতনায় যে এক গভীর প্রভাব বিস্তার করেছেন তা মাত্র নয়, নানান ধর্ম, ভাষা, আচার, বিশ্বাস,বর্ণ, জাতি, উপজাতি নির্বিশেষে সকল মত ও পথের গৃহী, সন্ন্যাসী, গোস্বামী, বানপ্রস্থী, ব্রাত্য, উচ্চ-নীচ, ধনী-নির্ধন সমন্বিত বৃহৎ ভারতবর্ষের জন-সমাজকে এক অনন্য "ধর্ম" সূত্রে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। কেবল তাই নয়, ভারতবর্ষের চতুষ্কোণে চারটি মঠ প্রতিষ্ঠা যেন চারটি শক্তিশালী দুর্গ নির্মাণ। এই চারটি মঠের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বৃহত্তর ভারতবর্ষের জনজীবন। তার সুরক্ষা, ভরসা, বল,শিক্ষা, কৃষ্টি, স্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ,শাসন, ব্যবসা , বাণিজ্য,আচার, অনুষ্ঠান, বিচারব্যবস্থা সহ ইহলৌকিক এবং পারলৌকিক সর্বপ্রকার বিষয় নিয়ন্ত্রিত ও সুরক্ষিত রাখার বৃহৎ কর্মকান্ডের আয়োজনও চলেছে এই মঠ-আখরার মাধ্যমে। এই সুগভীর বিস্তৃত ভাবনার পরিসরকে আমরা যদি বিশেষ ভাবে নিরীক্ষণ করি, তাহলে আচার্য শঙ্করের কালজয়ী সীমাহীন দূরদর্শিতাকে উপলব্ধি করতে পারবো। কেবলমাত্র আধ্যাত্মিক মুক্তির কথা তিনি বলেন নি; তিনি ভারতবর্ষের স্বাধীন সুসংহত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র ভাবনারও পথিকৃৎ। কিভাবে তাঁর কর্ম এবং চিন্তার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস রচিত হয়েছে এবং আজো হয়ে চলেছে তার একটি পরিচয় অবসরের কথা-বাসরের ২৭ হতে ৩০ এই চারটি পর্বে আলোচিত হয়েছে 🌷

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 Місяць тому

    👆 ভারতবর্ষের মুক্তি সংগ্রাম এবং শঙ্করাচার্য -পর্ব‌‌‌ -(৩) গত পর্বে আমরা "আখড়া"র গুরুত্ব এবং তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেছি। এই আখড়া একটি সংঘবদ্ধ শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। যেখান হতে দশনামী অস্ত্রধারী সন্ন্যাসীদের বীরত্ব ও সাহসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যায়,তাঁরা ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, কতখানি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছিলেন, সর্বোপরি তাঁদের কার্যকারী ভূমিকা এবং তাঁদের প্রতি নির্ভরতা যে কোনও শাসকের কাছে কতটা আবশ্যিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল । এই দশনামী অস্ত্রধারী নগ্ন সন্ন্যাসীদের বীরত্ব ব্যঞ্জক ইতিকথা আমাদের যেমন আশ্চর্য করে, একই সাথে আচার্য শঙ্করের বৌদ্ধিক ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতাও আমরা গভীর ভাবে উপলব্ধি করতে পারি।কথাবাসরের ২৯তম পর্বে, আমরা এমনই এক দুঃসাহসী বীর্যবান নাগাসন্ন্যাসীর বীরত্বব্যঞ্জক জীবনেতিহাস তুলে ধরার প্রয়াস করেছি; এটি বর্তমান আলোচনার তৃতীয় পর্ব 🌷

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 Місяць тому

    👆 ভারতবর্ষের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস এবং আচার্য শঙ্কর//পর্ব -(২) শ্রী দেবব্রত দাশ এক গভীর দূরদৃষ্টি ও প্রখর রাজনৈতিক সচেতনতা এবং সার্বিক কল্যাণ ভাবনা হতে আচার্য শঙ্কর যে ভাবে আসমুদ্র হিমাচলকে এক উদার অনন্য ধর্মীয় পরিবেষ্টনে আবদ্ধ করেছেন, সেখানে তাঁর এই গভীর তাৎপর্যবাহী কর্মধারাকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ হতে বিশ্লেষণ করলে এর নিহিত তাৎপর্য বোঝা সম্ভব। দশনামী সম্প্রদায়, ভারতের চার কোণে চারটি মঠ, আখড়া, তার সংবিধান ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর, গৃহস্থ গোঁসাই বর্গ এবং শাস্ত্রধারী ও অস্ত্রধারী সন্ন্যাসী - প্রতিটি বিভাগের অবস্থান বহুমাত্রিকতায় এবং বহমুখীনতায় নির্দিষ্ট। আমরা অবসরের কথা-বাসরের কয়েকটি পর্বে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে আচার্য শঙ্করের মঠ প্রতিষ্ঠা তথা এই সকল মঠের কার্যক্রমের ইতিহাস সহ দশনামী অস্ত্রধারী সন্ন্যাসীদের ইতিহাস বিশ্লেষণ করে ভারতবর্ষের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে আচার্য শঙ্করের প্রভাব বর্তমান সময়েও কতোটা গভীর, তার একটা পরিচয় তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আজ তার দ্বিতীয় পর্ব 🌷

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 Місяць тому

    👆ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম কোনটি এই প্রশ্নের জবাবে প্রায় সবাই সিপাহী বিদ্রোহের ঘটনাকেই উল্লেখ করেন। এই তথ্য সঠিক নয়। এই ঘটনার বহুপূর্বে ভারতবর্ষের মুক্তি সংগ্রামের বিশাল পটভূমিকা সূচিত হয়েছিল। এবং তার পেছনে রয়েছে আচার্য শঙ্করের গভীর প্রভাব। আচার্য শঙ্করের বিস্তৃত গভীর তাৎপর্যবাহী কর্মধারাকে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ তথা বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, কি গভীর দূরদৃষ্টি দিয়ে তিনি ভারতবর্ষের ধর্মীয় তথা বিশাল জাতীয় পরিসরকে একসূত্রে গ্রথিত করেছেন।কেবল বৌদ্ধ কিংবা মীমাংসকদের বিরুদ্ধে তাঁর ধর্মযুদ্ধ নয়; আগামী ভবিষ্যতেও সনাতন ধর্ম এবং এই দেশের মানুষ যাতে বহি:শত্রুর মোকাবেলা করে সর্বতোভাবে নিজেকে , তার ঐতিহ্য সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে পারে তারই অনন্য পরিকল্পনা অপূর্বভাবে তাঁর কর্মে, চিন্তায় পরিলক্ষিত হয়। সেই ইতিহাস আজো ভারতবর্ষের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চায় অনুপস্থিত। এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে হলে প্রথমেই আমাদের নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে, আচার্য শঙ্করের সমগ্র ভারতবর্ষ পরিব্রাজন এবং মঠ স্থাপনের কার্যধারা। এর পেছনে আচার্যের যে সুগভীর পরিকল্পনা ও দূরদৃষ্টি রয়েছে সেটি সঠিকভাবে বুঝতে হবে। তাহলে ধীরে ধীরে বুঝতে পারবো কেবল আধ্যাত্মিক মুক্তির পথপ্রদর্শক নন্, রাষ্ট্রীয় মুক্তি তথা ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অসামান্য প্রভাব কোন মাত্রায় আজো রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বর্তমান। কথা বাসরের ২৭ তম পর্ব, "'ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে আচার্য শঙ্করের প্রভাব'' এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত বা ভূমিকা ।আগামী কয়েকটি পর্বে ক্রমান্বয়ে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে 🌷

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 Місяць тому

    আচার্য অভিনব গুপ্তের কয়েকটি বিখ্যাত রচনা - বোধপঞ্চদশিকা - কাব্য গ্রন্থ মালিনীবিজয়বার্তিক- ভাষ্য গ্রন্থ পরাত্রীশিকা- অদ্বৈতবাদী তন্ত্রের ভাষ্য গ্রন্থ তন্ত্রালোক- বৃহত্তম এবং শ্রেষ্ঠ অদ্বৈতবাদী আগম দর্শন ধ্বন্যালোকলোচন- আনন্দবর্ধনের ধ্বন্যালোকের ওপর বিখ্যাত ভাষ্য-টীকা গ্রন্থ অভিনবভারতী- ভরতমুনির নাট্যশাস্ত্রের ওপর অত্যুৎকৃষ্ট ভাষ্য ভগবদ্গীতার্থসংগ্রহ ঈশ্বরপ্রত্যভিজ্ঞাবিবৃতিবিমর্শিনী এবং ঈশ্বরপ্রত্যাভিজ্ঞাবিমর্শিনী- দুটোই শৈব দর্শন প্রত্যাভিজ্ঞা-কারিকার ভাষ্য গ্রন্থ পর্যন্তপঞ্চাশিকা- ত্রিক বা আগমশাস্ত্রের মূল তত্ত্বের সারসংগ্রহ ঘটকর্পরকুলকবিবৃতি- মহাকবি কালিদাসের রচনার ওপর বিখ্যাত ভাষ্য-টীকা, যা কাব্যশাস্ত্রের এক মহাগ্রন্থ। এছাড়াও তিনি বহু গ্রন্থ, ভাষ্য, টীকা রচনা করেছেন। সর্বমোট প্রাপ্তব্য সংখ্যা প্রায় দুশোর মতো। শৈবাগম বা শৈব দর্শনের বিখ্যাত গ্রন্থ রচয়িতা ছাড়াও তাঁর অনন্য মৌলিক পরিচয় রস ও ধ্বনিতত্ত্বের শ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যাকর্তা হিসেবে। দর্শন, তন্ত্র, সাহিত্য, সংগীত এবং অলংকার-শাস্ত্রের ক্ষেত্রে তাঁর মনীষার দ্বারা সমকালীন ও পরবর্তী সমাজ ও গ্রন্থকারদের আজো অভিভূত ও প্রভাবিত করে চলেছেন। -- দেবব্রত দাশ।

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 Місяць тому

    একটি সংশোধনী: অভিনবগুপ্ত ৯৬০ থেকে ১০২০ খৃষ্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে বর্তমান ছিলেন। আলোচনয় ভুলবশতঃ ১৯৬০ বলা হয়েছে।

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 Місяць тому

    👆 "সত্য" এই দু' অক্ষরের ছোট্ট শব্দটি কি অপরিসীম গভীরতা এবং গুরুত্ব মানুষের জীবনে বহন করে চলে, ভারতীয় প্রতিটি আধ্যাত্মিক দর্শন আলোচনায় ছত্রে ছত্রে তা পরিস্ফুট। এই "সত্য"কে প্রতিটি উপনিষদে, প্রতিটি শাস্ত্রে, প্রতিটি ক্রিয়াকর্মে, যাপনে , শিল্প-সাহিত্যে, ব্যাকরণে নানান ভাবে উপলব্ধি করার আন্তরিক এক গভীর প্রচেষ্টা বর্তমান। সুদীর্ঘ কঠোর কঠিন তপস্যা, গভীর আলোচনা, তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের উজ্জ্বল গাম্ভীর্যময়তার বাতাবরণে এই পরম সত্যকে আধ্যাত্মিক জিজ্ঞাসু, সত্যসন্ধানী মানুষ সমগ্র জীবন দিয়ে প্রবল ভাবে অন্বেষণ করে চলেছেন। এমনই এক অনিসন্ধিৎসু ভাবগম্ভীর পরিবেশের মধ্যে একজন অতি সাধারণ নারী সেই 'সত্য'কে কত সহজেই ধারণ করে আপন গর্ভজাত সন্তানের মধ্যে তা যথার্থভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হলেন। আর সন্তানও সেই 'পরমসত্য'কে সহজে বরণ করে প্রকৃত ব্রাহ্মণত্বের পরিচয়ে ব্রহ্মজ্ঞান লাভের যথার্থ অধিকারী হয়ে উঠলেন। ছান্দোগ্য উপনিষদের "জাবাল- সত্যকাম" কাহিনীটিতে "সত্য" শব্দটি প্রাকৃতিক পরিবেশে লালিত সাধারণ মানুষের জীবনে কতো সহজভাবেই না ধরা দিয়েছে। তারই এক অনুপম পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে অবসরের কথা-বাসরের ২৩তম পর্বে 🌷

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 Місяць тому

    👆 ভারতীয় শাস্ত্রে বলা হয়, ইহলোক নিয়ে যে সাধনা, তার নাম সংস্কৃতি, আর অনন্তলোক নিয়ে যে সাধনা তার নাম ধর্ম। এই "ধর্ম" শব্দটি কিন্তু খুবই ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। ভারতবর্ষের সংস্কৃতি ও ধর্ম এই দুই প্রবাহমান ধারায় যুগে যুগে বহু মানুষের নানা দান এসে উভয় ধারাকেই পরিপুষ্ট করেছে। সংস্কৃতি হতেও ধর্মেই প্রবর্তকদের পরিচয় সহজে পাওয়া যায়, তাতেও দেখা যায় ভারতবর্ষের সনাতন ধর্ম কোনো বিশেষ যুগে কোনো বিশেষ মহাপুরুষদের দ্বারা প্রবর্তিত হয় নি। এইজন্য সনাতন ধর্মকে এক হিসাবে অপৌরুষেয় ধর্ম বলা হয়েছে। ভারতবর্ষে যত সংস্কৃতি, যত মতবাদ, যত ধরনের আচার বিচার এসেছে, সবার দান একত্র মিলিত হয়েছে এই সনাতন ধর্মে, আর তা কিন্তু কোনো ব্যক্তিবিশেষের নামে পরিচিত না হয়ে ভারতবর্ষের ভৌগলিক পরিচয়েই সনাতন ধর্মের অঙ্গীভূত হয়েছে। ভারতের পূর্ব হতে পশ্চিম, উত্তর হতে দক্ষিণ; আর্য, দ্রাবিড়, শক, হুন, পাঠান, মোগল সব এক দেহে, হল লীন। ধর্মসাধনায় এটিকেই ভারতবর্ষের তপস্যা বলা হয়। এপথের সব মহাজনই ভারত পথিক। প্রাচীনকাল থেকে সকল বৈদিক, অবৈদিক চিন্তাশীল মুনি, ঋষি, সন্ত হতে পরবর্তী সময়ে বুদ্ধদেব, শ্রীচৈতন্য, রামানন্দ, কবীর, তুকারাম , নামদেব, রামমোহন রায়, শ্রীরামকৃষ্ণ, রবীন্দ্রনাথ প্রভৃতি মহাপুরুষেরা এই ভারতপন্থের সেবায় জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। ভারতের সাধনার ও সংস্কৃতির উৎকর্ষতাকে যেসকল সভ্যতা আদিকাল হতে গতিময় করে গেছে তার একটি সংক্ষিপ্ত পরিচয় অবসরের কথা-বাসরের পরপর দুটি পর্বে তুলে ধরা হয়েছে। আজ ২১তম পর্বে নিবেদিত হলো অবৈদিক দ্রাবিড় সভ্যতার অবদানের কথা 🌷

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 Місяць тому

    আরুণি উদ্দালক তাঁর পুত্র শ্বেতকেতুকে পরিবর্তনশীল জগতের মধ্যে যা সূক্ষ্মতম, যা অপরিবর্তনীয় তাঁর পরিচয় প্রসঙ্গে বলেছেন- সেই সার বস্তু, চিরন্তন সত্তাই আমাদের প্রকৃত স্বরূপ-যা শুদ্ধ চৈতন্য। পুত্র তুমিই সেই। যেমন বিভিন্ন ফুলের মধু বিভিন্ন গাছ হতে এসে একসাথে মিশে যায়, যেমন সব নদী সমুদ্রে মিশে- সমুদ্রম্ এবং অপিযন্তি, পৃথক অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে, ঠিক একই ভাবে সকল জীব সৎ হতে আসে -সত: আগম্য; কিন্তু তা তারা জানে না। অত্র এব কিল ইতি - সেই "সৎ" আত্মা রূপে এই দেহেই আছেন, কিন্তু - ন নিভালয়সে- দেখতে পাও না। সবকিছর মধ্যে যা সূক্ষ্মতম, যা সত্য, তিনিই আত্মা। হে শ্বেতকেতু, তুমিই সেই -তৎ সত্যম্, স আত্মা তত্ত্বমসি শ্বেতকেতো ইতি। তাঁকেই শ্বেতকেতু বিশেষ ভাবে জেনেছিলেন- বিজজ্ঞাবিতি বিজজ্ঞৌ ইতি। লক্ষ্য করার, যিনি অনির্দেশ্য, নির্গুণ, সৃষ্টির পারে, কি অপরূপভাবেই না ঋষি আরুণি উদ্দালক শ্রুতির মাধ্যমে তাঁর রহস্য উদঘাটন করছেন। এ যেন সৃষ্টি দিয়ে সৃষ্টির পারে মাওয়া, কল্পনা দিয়ে কল্পনার অবসান ঘটানো। অতি সন্তর্পনে পিতা সগুণরূপকে নির্দেশ করে ধীরে ধীরে পুত্রকে এগিয়ে নিয়ে যান সেই "নির্গুণ অনির্দেশ্য" স্বরূপের দিকে। যখন বলেন, "তুমিই তো সেই-- তত্ত্বমসি! সত্যি চমকে উঠি। কোথায় আমরা স্থূল দেহধারী আর কোথায় তিনি -সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞ ঈশ্বর! আসলে নকল ঔপাধিক দেহমনের পোষাক ছাড়তে পারলেই সঠিকভাবে বোঝা যায় আমাদের আসল বিশুদ্ধ চৈতন্যসত্তাটিকে। শ্রুতি যেন "চকিতমভিধত্তে" দেখিয়ে দিয়ে, চিনিয়ে দিয়ে মিলিয়ে যান - বিদ্যুতো ব্যদ্যুতদ্ আ ন্যমীমিষৎ -বিদ্যুতের ক্ষণিক উদ্ভাসনের মতো। শ্রুতি অবলম্বনে গুরুরূপ পিতা, শিষ্য- পুত্রকে কি ভাবে সমস্ত দেহাদি উপাধি ঘুচিয়ে স্বরূপ পরিচয়ের মাধ্যমে ব্রহ্মোপলব্ধি বা সর্বস্বরূপতা দান করলেন, সেই ব্রাহ্মী উপনিষদের তৃতীয় তথা অন্ত:কথন নিবেদিত হলো 'অবসরের কথা-বাসরের' এই ২০তম পর্বে 🌷

  • @mousumisarkar7903
    @mousumisarkar7903 Місяць тому

    Asadharan luglo🙏

  • @abashbiswas609
    @abashbiswas609 Місяць тому

    আখ্যানটি খুব চিত্তাকর্ষক ও রসোত্তীর্ণ !

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 2 місяці тому

    👆 আজ হতে বহু বহু বছর আগে যে শান্তিনিকেতনের পরিচয় আমাদের কাছে ছিল, সেই সময়ের একটি কথা-চিত্ররূপ বর্তমান অবসরের কথা-বাসরের পর্বে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। এই ছবি আজ প্রৌড়ত্বে প্রতিষ্ঠিত আশ্রমিক, বিশ্বভারতীর প্রাক্তনীদের স্মৃতির মণিকোঠায় সযত্নে ধরা আছে। অনেকের কাছে হয়তো বা ধূসর। কোন উদ্দেশ্য নিয়ে এই আশ্রম বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়, কেমন ছিল তার আত্মিক বন্ধন; সেই বিশাল বিস্তৃত ইতিহাসের এক অসম্পূর্ণ খন্ড মরমী-কথার ছিন্ন মালিকা ছড়িয়ে দেওয়া হলো সকল রবি অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে, দক্ষিণ বিন্ধ্যগিরিশৃঙ্গ হতে আসমুদ্র হিমালয়ের পথে-প্রান্তরে🪷

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 2 місяці тому

    আমাদের শান্তিনিকেতন আমাদের সব হতে আপন। তার আকাশ ভরা কোলে মোদের দোলে হৃদয় দোলে, মোরা বারে বারে দেখি তারে নিত্যই নতুন।। ................................. .............................. মোদের প্রাণের সঙ্গে প্রাণে সে যে মিলিয়েছে একতানে, মোদের ভাইয়ের সঙ্গে ভাইকে সে যে করেছে এক-মন।। আমাদের শান্তিনিকেতন....

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 2 місяці тому

    আচার্য শঙ্কর ভারতবর্ষের চারপ্রান্তে যে চারটি মঠ প্রতিষ্ঠা করেছেন সেখানে দক্ষিণে সুব্র্যমণিয়ম্ মুরুগেশ বা কার্তিকের, পশ্চিমে গণপতির, পূর্বে শক্তিস্বরূপিণী মহাদেবীর এবং উত্তরে অনন্তশ্রী বিষ্ণুর মূল আরাধনার প্রচলন করেন।

    • @romachatterjee8033
      @romachatterjee8033 2 місяці тому

      এই তিন তত্ত্ব, ভারতের এই বিশেষ স্থান এর সাথে , তত্ত্ব গত ভাবে কিরুপ সম্বন্ধ রাখে বলবেন । যেমন...কার্তিক, গণেশ, মহাদেবী..

    • @romachatterjee8033
      @romachatterjee8033 2 місяці тому

      উক্ত চার তত্ব, ভারতের বিশেষ চার স্থানের সাথে তত্ত্ব গত ভাবে কি অর্থে বুঝতে হবে আলোচনা করলে ভাল হয়।

    • @debabratadas9704
      @debabratadas9704 2 місяці тому

      আপনার প্রশ্ন এবং অনুরোধের জন্য ধন্যবাদ। অন্য এমনই কোনো একটি পর্বে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

  • @romachatterjee8033
    @romachatterjee8033 2 місяці тому

    A request to discuss the essence of ..Adhyatma Ramayana...may I place before you ? Of course if it is convenient to you now. Pranam Roma, Banglore

    • @debabratadas9704
      @debabratadas9704 2 місяці тому

      আপনার এই অনুরোধ আগেও পেয়েছি। দক্ষিণের কর্ম সমাপনান্তে পূর্বে ফিরে অবশ্যই রামায়ণী ফল্গুধারায়, অধ্যাত্ম রামায়ণ নিয়ে আলোচনার ইচ্ছে আছে। সবই অনন্তের ইচ্ছা ।

    • @romachatterjee8033
      @romachatterjee8033 2 місяці тому

      @@debabratadas9704 ধন্যবাদ। ঠাকুর অনেক বার উল্লেখ করেছেন এই রামায়ণ এর কথা।

  • @romachatterjee8033
    @romachatterjee8033 2 місяці тому

    Acharya Sankara is a great topc of discussion. Thanks प्रणाम.

  • @romachatterjee8033
    @romachatterjee8033 2 місяці тому

    রবীন্দ্র ভাবনার গভীরতা, ব্যাপকতা , অসীম। যে বোঝার, সেই বোঝে।

  • @romachatterjee8033
    @romachatterjee8033 2 місяці тому

    Very informative,and important talks on Rabindtanath you are rendering in these talks. Thankyou. Pranam.

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 2 місяці тому

    রবীন্দ্রনাথ এক বিরাট প্রতিভা। যার তল খুঁজে পাওয়া ভার। তাঁর সৃষ্টির ব্যাপকতা যেমন বিশাল, তাঁর প্রভাব দেশে বিদেশেও কম নয়। আপন প্রতিভার সৃজনীশক্তিতে তিনি যেমন প্রাচ্য পাশ্চাত্যের মধ্যে সাংস্কৃতিক মিলন স্থাপন করেছেন তেমনি দেশের লোকায়ত সংস্কৃতিকে, কাব্য সংগীত নৃত্য যা শিক্ষিত সমাজে অপাঙক্তেয় ছিল সেই সকল বাউল, কীর্ত্তন সহ লোকসংগীত, দেবদাসী দ্বারা পরিবেশিত শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যকলা সমূহকে তাঁর অনন্য সৃষ্টিপ্রভায় সমাজের শিক্ষিত সমাজে বিশিষ্ট স্থান দান করেন। তাঁর শান্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্য আশ্রমে নিত্যঅনুশীলনের বিষয় হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও বিদেশের নানারকম নৃত্য সংগীত কলার সাথে দেশীয় লোক ও মার্গ নৃত্য সংগীতের সাথে যুক্ত করে এক নতুন শিল্পকলার ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। আজকের অবসরের কথাবাসরে এই বিষয় নিয়েই কিছু কথকতা ❤

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 2 місяці тому

    👆 আমরা কি রবীন্দ্রনাথের দ্বারা সম্মোহিত? নাকি আর পাঁচটা হুজুগের মতো পঁচিশে বৈশাখও আমাদের কাছে একটা সস্তার হুজুগ? এদিন সরকারি ছুটিতে, সরকারি উদ্যোগে রবীন্দ্র মেলা! নইলে রবীন্দ্রনাথের সস্তা উদ্ধৃতি , কিছু বহুল প্রচলিত গান, ঘুম ঘুম চোখে রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে আলোচনা, এটাই কি স্বাভাবিক আচরণ! কোনো রবীন্দ্র দর্শন, রবীন্দ্র যাপন কিংবা তাঁকে অনুসরণ বা চর্চা লেশমাত্রও কি আমাদের জীবনে কোথাও অবশিষ্ট আছে? রবীন্দ্রনাথ মানেই কি জোব্বাধারী এক সন্ত পুরুষ! রবীন্দ্রনাথ মানেই কি কেবল কিছু গান, কয়েকটি কবিতা আর শান্তিনিকেতন! শান্তিনিকেতন নাকি একবেলার টুরিস্ট স্পট যেটা কেবলমাত্র সোনাঝুরির হাট কেন্দ্রিক? রবীন্দ্রনাথ যে বিশ্বাসের কথা বলেছিলেন, যে ধর্মের কথা বলেছিলেন, যে যাপনের কথা বলেছিলেন, যে সমস্ত মানুষের কথা বলেছিলেন, তার কিছুমাত্র আমরা বর্তমানে শুনতে চাই কি? সেই বিষয় নিয়ে কখনো সিরিয়াস ভাবে চিন্তা করি কি? অনুসরণ তো অনেক দূরের বিষয়। কাব্যলক্ষীর আরাধনায় ও বরলাভে সমর্থ হবার পর রবীন্দ্রনাথের অন্তরের মানুষটি, "চিত্রাঙ্গদা"-র অর্জুনের মতো, আরো পূর্ণতর জীবনের, বিস্তৃত কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজন অনুভব করে নিজেকে যে ভাবে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিলেন; দেশে দেশে দিশে দিশে অজস্রবিধ কর্মধারার চরিতার্থতায় মেলে ধরলেন, তার কেন্দ্রভূমি মানুষ; সাধারণ মানুষ।যারা কাজ করে। মানুষকে বিলুপ্ত করে আত্মমুক্তির কথা তিনি ভাবতেও পারেননি। যুক্তিহীন ধর্মান্ধতাকে সমগ্র হৃদয় দিয়ে ঘৃণা করেছেন। সর্বপ্রকার প্রাদেশিকতাকে বর্জন করেছেন। তাঁর মন পড়েছিল দেশের সাধারণ ও পীড়িত মানুষের কাছে। আইনস্টাইন রবীন্দ্রনাথকে প্রশ্ন করেছিলেন- -"Truth then, or Beauty, is not independent of Man"?( তা হলে কি সত্য ও সুন্দর মানুষের ঊর্দ্ধে নয়?) রবীন্দ্রনাথের দ্বিধাহীন উত্তরে বলেছিলেন, "না"। এই রবীন্দ্র দর্শন নিয়ে আজকের অবসরের কথা-বাসরের ত্রয়োদশতম পর্ব।🌷

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 2 місяці тому

    ইংরেজি ১৯২৮, বাংলা ১৩৩৫ সালে বেঙ্গালুরুতে অবস্থানকালীন মিশ্র কেদারা রাগে একটি গান রচনা করেন," পূর্ণ প্রাণে চাবার যাহা রিক্ত হাতে চাস নে তারে, সিক্ত চোখে যাস নে দ্বারে।......পাতবি কি তোর দেবীর আসন শূন্য ধূলার পথের ধারে"।। এটি প্রেম পর্যায়ের গান। কতখানি শক্তিমান হলে মৃত্যুর অভিসারে এই গান গাইতে গাইতে একজন এগিয়ে চলতে পারে। কতখানি সত্য পরিচয় লাভ করলে একজন বলতে পারেন -হে তুমি জীবনের শেষ পূর্ণতা। মৃত্যু আমার মৃত্যু। এটাতো ঠিক দুর্বল মানুষ যেমন ভক্ত হতে পারে না, একজন ভীরু, কাপুরুষ প্রেমিকও হতে পারে না।নিজের সত্য পরিচয় মানুষ তখনই লাভ করে,যখন তার অহংকারের হাত হতে নিষ্কৃতি পায়। অন্য আর কিছুতেই নয় একমাত্র মৃত্যুই জীবনকে এই পরম শিক্ষাটি দান করে। আসক্তি অহংকার গায়ের চামড়ার মতো আঁকড়ে ধরে। মৃত্যু যখন প্রত্যক্ষ হল তখন সেই জগৎটা দূরে চলে গেল, আর সে অত্যন্ত সংলগ্ন হয়ে রইল না। এখানেই মানুষ নিজের স্বরূপ উপলব্ধি করতে পারে। এটা বুঝতে পারে সে জগতের সাথে অচ্ছেদ্যভাবে জড়িত নয়, তার একটা স্বকীয় প্রতিষ্ঠা আছে। এটিই মৃত্যুর সবচেয়ে বড় শিক্ষা। তখনই সেই মানুষ যথার্থ উপলব্ধি করে - সংসারের ক্ষতি যতো ক্ষতি, মিছে হতে মিছে। কারণ ভালো করে ভেবে দেখলে, মৃত্যু মানুষের জমাট বাঁধা অহংকারকে মেরে তাকে অমৃতের আস্বাদ দান করে। একজন গভীর জীবনবোধ সম্পন্ন বীর্যবান প্রেমিক মানুষই উপলব্ধি করতে পারে মৃত্যু কখনোই শূন্যতার সীমাশূন্য ভারে, মানুষের সমস্ত ভুবন মরুসম রুক্ষ করে দেয় না। সে দ্বিধাহীনভাবে বলতে পারে- "তুমি খুঁজে পাবে প্রিয়ে, দূরে গিয়ে/ মর্মের নিকটতম দ্বার -/ আমার ভুবনে তবে/ পূর্ণ হবে/তোমার চরম অধিকার"। আর এই বোধ, এই শক্তি একজন মানুষ প্রকৃত অর্থে লাভ করে,যখন সে নিখাদ অন্তরে পরিপূর্ণ হৃদয়ে নিজেকে সমর্পণ করতে পারে। সেখানে সামান্যতম দৈনতার, রিক্ততার আভাসটুকুও থাকে না। দৈন্যতার শুষ্ক ফুলে কখনো কি বরণডালা সাজানো যায়? "অতিথিরে ডাকবি যবে ডাকিস যেন সগৌরবে"। ভয়হীন, সংশয়হীন, লক্ষশিখার দীপ্ত প্রদীপে আজ 'অবসরের কথা-বাসরে'র দ্বাদশ অধিবেশনে মরণসাথীর গভীর স্মরণ বাসর 🪷

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 2 місяці тому

    বাংলা ছায়াছবির "উত্তম-কালে" একটি জনপ্রিয় সিনেমা, শ্যামল মিত্রের "দেয়া-নেয়া" সুরের মূর্ছনায় দীর্ঘদিন ধরে বাঙালির "হৃদয়হরণ" করে রেখেছে। আজকের "অবসরের কথা-বাসরে" যে বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলতে চলেছি, তা সুদূর অতীত হতে ভারতবর্ষের হৃদয়সম্পদের উৎকর্ষতার শ্রীবৃদ্ধি করে চলেছে। পারস্পরিক বিনিময়ের (দেওয়া -নেওয়া) মধ্যে দিয়ে কেবলমাত্র যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই ঘটে, তা'তো নয়, সাংস্কৃতিক ও আত্মিক শ্রীবৃদ্ধিও সাধিত হয়। উত্তরের আর্যধারার সাথে দক্ষিণের অনার্য (নয়-আর্য এই অর্থে), ধারার সর্বাত্মক গভীর তাৎপর্যবাহী যে সম্মেলনটি ঘটেছিল, তাতে সর্বার্থে পুষ্প-ফলে পরিপুষ্ট হয়েছে 'ভারতাত্মা'। সমৃদ্ধ হয়েছে ভারতবর্ষের সংস্কৃতি, শিল্প, সাহিত্য, দর্শন, ধর্ম, ঐতিহ্য....! দ্রাবিড় সভ্যতা তো কমদিনের নয়, আর্য সভ্যতা থেকেও পুরোনো। ঋগ্বেদের সময়ে বৈদিক সভ্যতার সাথে দ্রাবিড় সভ্যতার প্রগাঢ় পরিচয় ঘটেছে। ভারতবর্ষ চিরদিনই তার বিস্তৃত মুক্তবেণীর ধারায় সবাইকে আত্মকৃত করে আত্মীয়-স্বজন করে তুলেছে। ভারতীয় মহামানবের সাগরতীরে - আর্য, অনার্য, দ্রাবিড়, চীন,শক, হুন,পাঠান,মোগল সবাই "এক দেহে হল লীন"। পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণের বিচিত্র বৈচিত্রের "দেওয়া-নেওয়া"র বিভেদহীন মহামিলনের তপস্যাময় যজ্ঞশালায় আনতশিরে যে আহুতি যুগ যুগান্ত ধরে সমর্পিত হয়েছে, তারই নাম - 'নাগার্জুন'। এই শক্তিই ভারতবর্ষের আন্তর শক্তি। বিবিধের মাঝে মিলন মহান। যা অনাদিকাল ভারতবর্ষকে যুক্ত করে রেখেছে। একে অস্বীকার করার অর্থ আমাদের জীবনীশক্তিকেই অস্বীকার করা। বর্তমান কথা-বাসরের কথকতা এই 'উত্তর দক্ষিণে'র 'দেওয়া- নেওয়া'র "নাগার্জুন" -কে নিয়েই 🌷

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 2 місяці тому

    অবসরের কথা-বাসরের দশম অধিবেশনে -- প্রাণের কথা- তৃতীয় এবং শেষ পর্বের আলোচনায় ছান্দোগ্য উপনিষদের ঋষি ক্রমান্বয়ে ছোটো ছোটো নানান কাহিনী সোপানের মধ্যে দিয়ে "প্রাণ" স্বরূপ ব্রহ্মোপলব্ধি ঘটিয়ে চলেছেন। এই পর্বের গোড়ায় ছান্দোগ্য উপনিষদের মর্মকথা শুনেছি। তারপর শুনলাম সেই বিরাটপুরুষকে যিনি জানেন, সেই জ্ঞানের উপলব্ধি যার হয়, তিনি সংসারের কোনো আসক্তি বন্ধনে আবদ্ধ থাকেন না।সেই ব্রহ্মজ্ঞান বা আত্মজ্ঞান লাভ হলে সমস্ত জাগতিক ঐশ্বর্য তাঁর কাছে তুচ্ছ বোধ হয়। লক্ষনীয় সেই সংসার নির্বিন্ন পুরুষ কিন্তু শুষ্ক, কঠোর হন না। বিরাটের ছোঁয়ায় মানুষ হয়ে ওঠে প্রেমিক, সুভদ্র। তাঁর সকল খেলা পরমাত্মায়, সকল আনন্দ পরমাত্মায় এবং তাঁরা ক্রিয়াবান। আত্মক্রীড় আত্মরতি: ক্রিয়াবান্ এষ ব্রহ্মবিদ:! একজন ব্রহ্মবিদ কেবল ব্রহ্মকে জানেন না, তিনি তাঁকে প্রকাশও করেন। প্রকাশ করেন আপনার কর্মে, আপন যাপনে। সেতার যেমন সংগীতকে প্রকাশ করে তার সমস্ত গতির মাধ্যমে, স্পন্দনের মাধ্যমে,ক্রিয়ার মাধ্যমে। যিনি নিখিল চরাচরে প্রাণরূপে অবস্থান করছেন, তিনি একই সঙ্গে, একই কালে আনন্দ ও কর্মরূপে প্রকাশমান। ঠিক সেকারণে একজন প্রকৃত আত্মজ্ঞানী এই সংসারে নবনব কর্মযজ্ঞে নিজেকে সানন্দে উজাড় করে দেন। ছান্দোগ্যের ঋষি জগতে আনন্দযজ্ঞে নিজেকে নি:শেষে আহুতি দিয়ে বলে ওঠেন - যত দিতে চাও কাজ দিয়ো, যদি তোমারে না দাও ভুলিতে - .................................. ভুলায়ে রাখিও সংসারতলে তোমারে দিয়ো না ভুলিতে 🪷

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 2 місяці тому

    This is the same video of"ছান্দোগ্য - প্রাণের কথা -১

  • @romachatterjee8033
    @romachatterjee8033 2 місяці тому

    খুব ভাল লাগলো, শুনেছিলাম কৈকেয়ী সবার চাইতে বেশী ভালবাসতেন রামকে। মনে এই নিয়ে প্রশ্ন ছিল। আজ এই মহাকবি ভাসের প্রতিমা নাটকে ওই কথার সূত্র পেলাম। অপূর্ব এই আবিষ্কার, আমার কাছে। কবির কল্পনার সত্যতা, কাব্যের অন্তরে। কবির কল্পনা স্বাধীন, কালের মাত্রার উর্ধে। সত্যিই। ধন্যবাদ। রমা, Banglore

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 2 місяці тому

    মুনি শব্দের অর্থ যোগী। ঈশ্বরম্ বা ঈশ্বর - যিনি যোগীশ্রেষ্ঠ অর্থাৎ মহেশ্বর শিব বা মহাদেব। দক্ষিণ ভারতের প্রাচীন জনজীবনের কথকতায় শিবের এক বর্ণময় সুগভীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। শিবকেন্দ্রিক এই সমাজের এক পরম করুণাময় আশ্রয়ও তিনি। সেই বিভূতিভূষণ যোগীশ্বরকে নিয়ে বর্তমান কথা-বাসরের কথকতা - মুন্নীশ্বরম্। আপনাদের এই আলোচনা কেমন লাগছে অবশ্যই আমরা জানতে আগ্রহী। ভালো থাকবেন।

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 3 місяці тому

    নমস্কার। আপনি এতদিন ছিলেন শাশ্বতী কথামালার নিত্যসহচর। এখন হতে আমরা সহবাসী এবং "অবসরের কথাবাসরে"র সহ- কথা- বাসরী। "সহ" শব্দটি এমন তাৎপর্যময় ও গভীরতর অর্থবহ যে, নিত্য যাপনের সুখ দুঃখ আনন্দের যথার্থ সহমর্মিতায় পরিপুষ্ট করে তোলে। সহ - শব্দের মধ্যে সহ্য করার বিষয়টিও যে গভীরভাবে বর্তমান। কিছু মাস আপনাদের শহরের আতিথ্য স্বীকার করেছি। সেই আতিথ্যের রাগানুরাগের 'নিম-মধু' এই অবসরের কথকতায় প্রতি উপহারে রেখে যেতে চাই। সেখানে সবাই স্বাগত। কবির ভাষায় - জানি নে কোন গান কাহারে করেছিনু দান..."! গান গাইতে পারি নে, তাই কথামালার এই নিবেদন, আমার ধ্যানের ধন, -আপনাদের প্রত্যেককে। জানিনে কে কোথায় আছেন, দেখা হোক বা নাই হোক.... আর একটি কথা, আমার সব video প্রাণারাম চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়। নিয়মানুসারে দু'জায়গায় একই video থাকার কথা নয়। অতএব এখানের পুরোনো video গুলো delete করতে হচ্ছে। আগ্রহী শ্রোতামাত্রেই Utube এ pranaram debabrata type করে সমস্ত video গুলো দেখতে শুনতে পারবেন। ভালো থাকবেন। নমস্কার।

    • @romachatterjee8033
      @romachatterjee8033 3 місяці тому

      সহ শব্দ টি অতি সুন্দর। সহ থেকেই তো 'সাহিত্য '। কত ব্যাপক তার অর্থ।

  • @romachatterjee8033
    @romachatterjee8033 3 місяці тому

    নমস্কার 38:56 এখন আপনি এই শহরে আছেন জানলাম। আমি আপনার উভয় মহাকাব্যের কথামালার, শ্রোতা, প্রথম থেকে। অনেক প্রশ্নের উত্তর আপনি দেন। আজকের কথার অর্থ গভীর, " ভূবন বলে তোমার তরে আছে বরণ মালা গগন বলে তোমার তরে .......... প্রেম বলে যে যুগে যুগে তোমার লাগি আছি জেগে...." নুতন ও সনাতনের যোগ বিয়োগের খেলায়, জীবন বিমূঢ়.. রমা, Bangalore

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704 3 місяці тому

    ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

  • @romachatterjee8033
    @romachatterjee8033 4 місяці тому

    অপূর্ব, মন ভরে গেল। প্রণাম।

  • @shastramayanandaswami267
    @shastramayanandaswami267 6 місяців тому

    আপনার কথিত 'আত্মপ্রকাশে অভয়দানের তাৎপর্য' শুনছি। একপ্রকার স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ছে মনের মধ্যে ধীরে ধীরে। ক্লান্তি-অপনোদনক্ষম আপনার শব্দচয়ন, বাক্যবিন্যাস, নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রসন্নগম্ভীর আলোকপাত। আজ বিশেষ দিনে আপনাকে সশ্রদ্ধ নমস্কার জানাই। "আমার চেতনা চৈতন্য করে দে মা চৈতন্যময়ী"-এই প্রার্থনাই রইল এই বিশেষ দিনে। জয় ঠাকুর।।

  • @romachatterjee8033
    @romachatterjee8033 6 місяців тому

    শ্রী শ্রী ঠাকুরের কথা যতো শুনি, তত বুঝি । আপনার কথা, আমাদের প্রতি তার শিক্ষার মূল স্পর্শ করেছে। আপনার কথা এমনই হয়। মন ভরে গেল।