আত্মনেহকল্পনায় চ- সৃষ্টি দিয়ে সৃষ্টির পারে মাওয়া , কল্পনা দিয়ে কল্পনার অবসান

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 20 сер 2024

КОМЕНТАРІ • 1

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704  3 місяці тому +1

    আরুণি উদ্দালক তাঁর পুত্র শ্বেতকেতুকে পরিবর্তনশীল জগতের মধ্যে যা সূক্ষ্মতম, যা অপরিবর্তনীয় তাঁর পরিচয় প্রসঙ্গে বলেছেন- সেই সার বস্তু, চিরন্তন সত্তাই আমাদের প্রকৃত স্বরূপ-যা শুদ্ধ চৈতন্য। পুত্র তুমিই সেই। যেমন বিভিন্ন ফুলের মধু বিভিন্ন গাছ হতে এসে একসাথে মিশে যায়, যেমন সব নদী সমুদ্রে মিশে- সমুদ্রম্ এবং অপিযন্তি, পৃথক অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে, ঠিক একই ভাবে সকল জীব সৎ হতে আসে -সত: আগম্য; কিন্তু তা তারা জানে না। অত্র এব কিল ইতি - সেই "সৎ" আত্মা রূপে এই দেহেই আছেন, কিন্তু - ন নিভালয়সে- দেখতে পাও না। সবকিছর মধ্যে যা সূক্ষ্মতম, যা সত্য, তিনিই আত্মা। হে শ্বেতকেতু, তুমিই সেই -তৎ সত্যম্, স আত্মা তত্ত্বমসি শ্বেতকেতো ইতি। তাঁকেই শ্বেতকেতু বিশেষ ভাবে জেনেছিলেন- বিজজ্ঞাবিতি বিজজ্ঞৌ ইতি। লক্ষ্য করার, যিনি অনির্দেশ্য, নির্গুণ, সৃষ্টির পারে, কি অপরূপভাবেই না ঋষি আরুণি উদ্দালক শ্রুতির মাধ্যমে তাঁর রহস্য উদঘাটন করছেন। এ যেন সৃষ্টি দিয়ে সৃষ্টির পারে মাওয়া, কল্পনা দিয়ে কল্পনার অবসান ঘটানো। অতি সন্তর্পনে পিতা সগুণরূপকে নির্দেশ করে ধীরে ধীরে পুত্রকে এগিয়ে নিয়ে যান সেই "নির্গুণ অনির্দেশ্য" স্বরূপের দিকে। যখন বলেন, "তুমিই তো সেই-- তত্ত্বমসি! সত্যি চমকে উঠি। কোথায় আমরা স্থূল দেহধারী আর কোথায় তিনি -সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞ ঈশ্বর! আসলে নকল ঔপাধিক দেহমনের পোষাক ছাড়তে পারলেই সঠিকভাবে বোঝা যায় আমাদের আসল বিশুদ্ধ চৈতন্যসত্তাটিকে। শ্রুতি যেন "চকিতমভিধত্তে" দেখিয়ে দিয়ে, চিনিয়ে দিয়ে মিলিয়ে যান - বিদ্যুতো ব্যদ্যুতদ্ আ ন্যমীমিষৎ -বিদ্যুতের ক্ষণিক উদ্ভাসনের মতো। শ্রুতি অবলম্বনে গুরুরূপ পিতা, শিষ্য- পুত্রকে কি ভাবে সমস্ত দেহাদি উপাধি ঘুচিয়ে স্বরূপ পরিচয়ের মাধ্যমে ব্রহ্মোপলব্ধি বা সর্বস্বরূপতা দান করলেন, সেই ব্রাহ্মী উপনিষদের তৃতীয় তথা অন্ত:কথন নিবেদিত হলো 'অবসরের কথা-বাসরের' এই ২০তম পর্বে 🌷