👆 ভারতবর্ষের মুক্তি সংগ্রাম এবং শঙ্করাচার্য -৪র্থ তথা অন্তিম পর্ব কিছুদিন ধরে দক্ষিণভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানকালীন সময়ে বৈদিক এবং দ্রাবিড়ীয় সভ্যতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার, আলোচনা করার এক বিশেষ সুযোগ এসেছে। "অবসরের কথা-বাসরে", নয়-নয় করে আজ পর্যন্ত তিরিশটি বিভিন্ন পর্বে সেসকল বিভিন্ন বিষয়ের কিছু নিদর্শন তুলে ধরার একটা চেষ্টা আমরা করেছি। আগামী আরো কয়েকটি পর্বে আরো কিছু নতুন বিষয় নিয়ে যে আলোচনা করার সুযোগ এসেছে, সম্ভব হলে তার পরিচয়ও কথা-বাসরের বিভিন্ন পর্বে প্রকাশ করার ইচ্ছে আমাদের আছে। আচার্য শঙ্করের জীবন নিয়ে কথা-বাসরের ১৫তম- পর্বে আলোচনা করতে গিয়ে আমাদের মনে হয়েছে, এই বিরাট অনন্তকর্মা বিস্ময় পুরুষ, তাঁর মাত্র বত্রিশ বছরের আয়ুষ্কালে, কেবল সমগ্র ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক চেতনায় যে এক গভীর প্রভাব বিস্তার করেছেন তা মাত্র নয়, নানান ধর্ম, ভাষা, আচার, বিশ্বাস,বর্ণ, জাতি, উপজাতি নির্বিশেষে সকল মত ও পথের গৃহী, সন্ন্যাসী, গোস্বামী, বানপ্রস্থী, ব্রাত্য, উচ্চ-নীচ, ধনী-নির্ধন সমন্বিত বৃহৎ ভারতবর্ষের জন-সমাজকে এক অনন্য "ধর্ম" সূত্রে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। কেবল তাই নয়, ভারতবর্ষের চতুষ্কোণে চারটি মঠ প্রতিষ্ঠা যেন চারটি শক্তিশালী দুর্গ নির্মাণ। এই চারটি মঠের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বৃহত্তর ভারতবর্ষের জনজীবন। তার সুরক্ষা, ভরসা, বল,শিক্ষা, কৃষ্টি, স্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ,শাসন, ব্যবসা , বাণিজ্য,আচার, অনুষ্ঠান, বিচারব্যবস্থা সহ ইহলৌকিক এবং পারলৌকিক সর্বপ্রকার বিষয় নিয়ন্ত্রিত ও সুরক্ষিত রাখার বৃহৎ কর্মকান্ডের আয়োজনও চলেছে এই মঠ-আখরার মাধ্যমে। এই সুগভীর বিস্তৃত ভাবনার পরিসরকে আমরা যদি বিশেষ ভাবে নিরীক্ষণ করি, তাহলে আচার্য শঙ্করের কালজয়ী সীমাহীন দূরদর্শিতাকে উপলব্ধি করতে পারবো। কেবলমাত্র আধ্যাত্মিক মুক্তির কথা তিনি বলেন নি; তিনি ভারতবর্ষের স্বাধীন সুসংহত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র ভাবনারও পথিকৃৎ। কিভাবে তাঁর কর্ম এবং চিন্তার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস রচিত হয়েছে এবং আজো হয়ে চলেছে তার একটি পরিচয় অবসরের কথা-বাসরের ২৭ হতে ৩০ এই চারটি পর্বে আলোচিত হয়েছে 🌷
👆
ভারতবর্ষের মুক্তি সংগ্রাম এবং শঙ্করাচার্য -৪র্থ তথা অন্তিম পর্ব
কিছুদিন ধরে দক্ষিণভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানকালীন সময়ে বৈদিক এবং দ্রাবিড়ীয় সভ্যতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার, আলোচনা করার এক বিশেষ সুযোগ এসেছে। "অবসরের কথা-বাসরে", নয়-নয় করে আজ পর্যন্ত তিরিশটি বিভিন্ন পর্বে সেসকল বিভিন্ন বিষয়ের কিছু নিদর্শন তুলে ধরার একটা চেষ্টা আমরা করেছি। আগামী আরো কয়েকটি পর্বে আরো কিছু নতুন বিষয় নিয়ে যে আলোচনা করার সুযোগ এসেছে, সম্ভব হলে তার পরিচয়ও কথা-বাসরের বিভিন্ন পর্বে প্রকাশ করার ইচ্ছে আমাদের আছে।
আচার্য শঙ্করের জীবন নিয়ে কথা-বাসরের ১৫তম- পর্বে আলোচনা করতে গিয়ে আমাদের মনে হয়েছে, এই বিরাট অনন্তকর্মা বিস্ময় পুরুষ, তাঁর মাত্র বত্রিশ বছরের আয়ুষ্কালে, কেবল সমগ্র ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক চেতনায় যে এক গভীর প্রভাব বিস্তার করেছেন তা মাত্র নয়, নানান ধর্ম, ভাষা, আচার, বিশ্বাস,বর্ণ, জাতি, উপজাতি নির্বিশেষে সকল মত ও পথের গৃহী, সন্ন্যাসী, গোস্বামী, বানপ্রস্থী, ব্রাত্য, উচ্চ-নীচ, ধনী-নির্ধন সমন্বিত বৃহৎ ভারতবর্ষের জন-সমাজকে এক অনন্য "ধর্ম" সূত্রে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। কেবল তাই নয়, ভারতবর্ষের চতুষ্কোণে চারটি মঠ প্রতিষ্ঠা যেন চারটি শক্তিশালী দুর্গ নির্মাণ। এই চারটি মঠের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বৃহত্তর ভারতবর্ষের জনজীবন। তার সুরক্ষা, ভরসা, বল,শিক্ষা, কৃষ্টি, স্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ,শাসন, ব্যবসা , বাণিজ্য,আচার, অনুষ্ঠান, বিচারব্যবস্থা সহ ইহলৌকিক এবং পারলৌকিক সর্বপ্রকার বিষয় নিয়ন্ত্রিত ও সুরক্ষিত রাখার বৃহৎ কর্মকান্ডের আয়োজনও চলেছে এই মঠ-আখরার মাধ্যমে। এই সুগভীর বিস্তৃত ভাবনার পরিসরকে আমরা যদি বিশেষ ভাবে নিরীক্ষণ করি, তাহলে আচার্য শঙ্করের কালজয়ী সীমাহীন দূরদর্শিতাকে উপলব্ধি করতে পারবো। কেবলমাত্র আধ্যাত্মিক মুক্তির কথা তিনি বলেন নি; তিনি ভারতবর্ষের স্বাধীন সুসংহত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র ভাবনারও পথিকৃৎ। কিভাবে তাঁর কর্ম এবং চিন্তার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস রচিত হয়েছে এবং আজো হয়ে চলেছে তার একটি পরিচয় অবসরের কথা-বাসরের ২৭ হতে ৩০ এই চারটি পর্বে আলোচিত হয়েছে 🌷