হাতি পোষ মানানোর কৌশল | Prothom Alo

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 29 січ 2025
  • ওদের ঠিকানা হতে পারত বনে-বাদাড়ে। কিন্তু এখন ঠাঁই হয়েছে চিড়িয়াখানা কিংবা সাফারি পার্কে। অচেনা-অজানা এসব জায়গায় প্রথম প্রথম হয়তো বিষণ্নতায় ভার থাকত মন। ওদের শুধু খাবার দিতে আসতেন কয়েকজন মানুষ। এই মানুষদের সঙ্গেই হলো সখ্য। তাঁদের একদিন না দেখতে পেলে মন খারাপ হয়; নাওয়া-খাওয়া সব বন্ধ হয়ে যায় ওদের। অচেনা বা অন্য কেউ খাবার এগিয়ে দিলে চুপ করে বসে থাকে। জোরাজুরি করলে ছাড়ে রণহুংকার। চেনা সেই মানুষের দেখা পেলে আহ্লাদে গা এলিয়ে দেয়। জুড়ে দেয় আবদার। এই প্রাণীদের কোনোটিই গৃহপালিত নয়। এরা বাঘ, সিংহ কিংবা হাতি-জলহস্তী। কোনো কোনো মানুষের সঙ্গে বিশাল ও হিংস্র এই প্রাণীগুলোর সম্পর্ক এতটাই গভীর যে একে অন্যের ভাষা বোঝে। বোঝে মনের কষ্ট-দুঃখ। দুইয়ে মিলে গড়ে উঠেছে ভাব আর ভাষার ভালোবাসা।
    ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানা আর গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে গিয়ে দেখা গেল প্রাণীর সঙ্গে মানুষের ভাব-ভালোবাসার নমুনা আর শোনা হলো প্রাণীদের তত্ত্বাবধায়কদের কাহিনি।
    হাতিশালে অন্য ভাষা
    লাল মাটি। উঁচু-নিচু ঢালু। অনেকটা পাহাড়ের মতো। চারপাশে সারি সারি শালগাছ। মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য কলাগাছের টুকরো, ফেটে যাওয়া হলদে মিষ্টিকুমড়া ও ভুট্টাগাছ। এটিই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের হাতিশাল। ছয় হাতির আবাসস্থল। সারা দিন দর্শনার্থীদের ঘোরানো, খেলা দেখিয়ে হাতিশালেই খাওয়াদাওয়া, ঘুমানো-সব চলে ওদের। হাতিশালে যেতেই হাতিগুলো সাদরে বরণ করে নেয়। মাহুতরা (হাতিদের তত্ত্বাবধানকারী) বললেই শুঁড় উঁচিয়ে অতিথিদের সালাম দেওয়া হাতিদের রীতি হয়ে গেছে। মাহুতদের সঙ্গে হাতিদের একই আলাদা ভাষাও আছে।
    আবু তাহের নামের এক মাহুত বলেন, ‘পোষ মানা সব হাতির সঙ্গেই একটি ভাষায় কথা বলি। “বট” বললে ওরা বসে পড়ে। খাবার দিলেই হাতিরা খায় না। “ধ্যাড়” বললে খাবার খেতে শুরু করে। “ছম” বলার মানে হলো হাতিরা ঘুমানোর প্রস্তুতি নেবে, ঘুমিয়ে পড়বে। “হাগো” বলা হলে ওরা সামনের দিকে হাঁটতে থাকে। আর যদি বলি “পিছো” তখন পেছনের দিকে হাঁটা শুরু করে। এ ধরনের অনেক শব্দ মেলানো একটি ভাষায় আমরা হাতিদের সঙ্গে কথা বলি।’
    সাফারি পার্কের হাতিদের আপনজন সাত মাহুত
    সাফারি পার্কের হাতিশালে সাতজন মাহুত রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জনের বাড়ি রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে। একমাত্র আবু তাহেরের বাড়ি সিলেটের পাহাড়ি এলাকায়। সব মাহুতের জন্ম হাতি-অধ্যুষিত এলাকায়। সাফারি পার্কের ছয়টি হাতিও এসেছে বাঘাইছড়ি থেকে।
    মাহুত পূর্ণসেন চাকমা বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেক এলাকাতেই হাতি পালার কাজ করেছি। সব হাতির সঙ্গে একই ভাষায় কথা বলতে হয়।’
    সাফারি পার্কে ছয় হাতির মধ্যে সবার বড় মুক্তি রানীর বয়স ৪৬ বছর। পূজা রানীর ২০ বছর হয়েছে। অন্যগুলোর মধ্যে আমির বাহাদুরের ১৭, বেলকলির ২৭, কুসুমমালার ৩৪ এবং সেলবাহাদুরের বয়স ৩৫ বছর। এক হাতিকে অন্য হাতির নামে ডাকা হলে সে কথা শোনে না। উল্টো রাগ করে। হাতিদেরই একান্ত আপন মনে করে মাহুত কিরণ বিকাশ চাকমা বলেন, ‘হাতিদের মুখ দেখলে বোঝা যায় মনের অবস্থা। পোষ মেনে গেলে হাতিদের চেয়ে আপন-দরদি কেউ নেই।’
    ---------------------------------------
    হাতি পোষ মানানোর কৌশল | Prothom Alo
    Please make sure to subscribe our this official UA-cam Channel Prothom Alo: bit.ly/2PH55yL and Turn the Notification bell icon 🔔 ON for latest video updates!
    ---------------------------------------
    Our other UA-cam channels:
    Prothom Alo News: bit.ly/2r8EjVP
    ProCric: bit.ly/2JLHyJd
    Prothom Alo Recipes: bit.ly/32bkytF
    Prothom Alo Beauty & Style: bit.ly/34kGuno
    ---------------------------------------
    👉 Don’t forget to Subscribe, Follow, Share, Comment, Like stay with us.
    #ProthomAlo
    #ProthomAloNews
    ---------------------------------------
    Also Find us
    Official site: www.prothomalo...
    Facebook Page: / dailyprothomalo
    Twitter Official: / prothomalo
    Pinterest: / prothomalo
    Instagram : / prothomalo
    ---------------------------------------
    ANTI-PIRACY WARNING
    ---------------------------------------
    This content's Copyright is reserved for Prothom Alo. Any unauthorized reproduction, redistribution or re-upload is strictly prohibited of this material. Legal action will be taken against those who violate the copyright of the material.
    ---------------------------------------

КОМЕНТАРІ •