মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁ এবং রাজা মান সিংহের যুদ্ধ
Вставка
- Опубліковано 7 лют 2025
- ইতিহাসবিদ গন একেকজন একেক ভাবে এই ঘটনাটিকে বর্ণনা করেছেন। তবে অধিকাংশ ইতিহাসবিদগন এভাবেই বর্ণনা করেছে ঈশা খাঁ এবং মানসিংহের এই যুদ্ধটিকে, যেভাবে এই ভিডিওতে দেখানো হয়েছে।
মোঘল সুবেদার রাজা মানসিংহ কয়েকটি যুদ্ধে জিতলেও বাংলায় মোঘল আধিপত্য বিস্তারে ব্যর্থ হন। মোঘলদের বাংলার পশ্চিমে রাজমহল, পূর্বে বগুড়া, শেরপুর, উত্তরে ঘোড়াঘাট, দক্ষিণে সাতগাঁও ও বর্ধমান পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
ভাটিতে মোঘলদের কোনো কর্তৃত্ব ছিল না। পূর্বে ও দক্ষিণে অন্যান্য ভূঁইয়া ও জমিদাররা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিত। আর্থাৎ বেকায়দায় পড়লে মোঘল বশ্যতা স্বীকার করত। নতুবা তারা স্বাধীনভাবে রাজ্য শাসন করত।
এদের মধ্যে যারা মোঘলদের বিরদ্ধে যুদ্ধ করেন, তারাই বার ভূঁইয়া নামে পরিচিত। বার ভূঁঁইয়াদের উৎপত্তি হয় বাংলায় আফগান শাসনামলে। দিল্লীর সালনাতের আফগান বীর শের শাহের মৃত্যুর পর তার ছেলে ইসলাম শাহের রাজত্বকালে সোলায়মান খান বিদ্রোহ করেন।
এতে ইসলাম শাহের মৃত্যু হয়।ইসলাম শাহের মৃত্যুর পর দিল্লিতে তখন বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় যার রেস বাংলাতেও এসে পরে। এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে বাংলায় উদ্ভব হয় ভুঁইয়াদের রাজত্ব কাল।
সম্রাট আকবরের রাজত্ব কালে প্রতাপশালী বার ভুঁইয়ারা হলেন- মসনদ-ই-আলী ঈশা খাঁ, ইবরাহীম নারাল, করিমদাদ, মুসাজাই, মজলিশ দিলাওয়ার, মজলিশ প্রতাপ, টিলাগাজী, বাহাদুর গাজী, সুলতান গাজী, সেলিম গাজী, কাসিম গাজী ও কেদার রায়।
মোঘল আমলে বাংলার বারো ভূঁইয়াদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ছিলেন ঈশা খাঁর। যার বীরত্ব গত ৪০০ বছর ধরেই বাঙ্গালীদের মুখে মুখে ফিরছে। মোঘল সেনাপতি রাজা মানসিংহকে লড়াইয়ে হারিয়ে তিনি অক্ষুণ রেখেছিলেন বাংলার স্বাধীনতা।
এই লড়াই যেখানে হয়েছিল সেটি ছিল ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের টাঙ্গাব গ্রামে।
স্থানটি শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। নদীর পূর্ব তীরে ছিল রাজা মানসিংয়ের রাজধানী টোক নগরী। মানসিংহ ১৫৯৫ সালে রাজস্থান থেকে তার রাজধানী টোক নগরীতে স্থানান্তর করে নিয়ে আসেন।
ব্রহ্মপুত্র ও শীতলক্ষ্যার সঙ্গমস্থলে ব্রহ্মপুত্রের দক্ষিণ তীরে ছিল টাঙ্গাব গ্রাম ও টোক নগর। ব্রহ্মপুত্র নদের অপর পাড়ে ছিল ঈসা খাঁর বিখ্যাত দুর্গ এগারসিন্দুর। এটি পড়েছে বর্তমান কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায়।
ঐইতিহাসিকদের মতে গফরগাঁওয়ের টাঙ্গাব গ্রামে ঈশা খাঁ-মানসিংয়ের যুদ্ধ হয়েছে । ঈশা খাঁর অনুপস্থিতিতে তার ঈশা খাঁর এগারসিন্ধুর দুর্গ আক্রমণ করেন মানসিংহ। সংবাদ পেয়ে ঈশা খাঁ দুর্গ রক্ষায় দ্রুত ছুটে আসেন।
তবে যুদ্ধ ক্লান্ত সৈনিকদের কথা বিবেচনা করে ঈশা খাঁ রাজা মানসিংহকে একক যুদ্ধের আহ্বান জানান। মানসিংহ ঈশা খাঁ’র এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলে শুরু হয় লড়াই।
লড়াই-এর পূর্বে ঈশা খাঁ এবং মানসিংহ উভয়েই এই মতে সম্মত হন যে, যিনি যুদ্ধে জয়ী হবেন তিনিই বাংলার কর্তৃত্ব লাভ করবেন। প্রথম দিনের লড়াইয়ে মানসিংহ কিছুটা প্রতারণার আশ্রয় নেন, নিজে না এসে অজ্ঞাতনামা এক যুবককে পাঠান একক যুদ্ধে।
তিনি এটা করেছিলেন ঈশা খা’র শক্তিকে দুর্বল বিবেচনা করে। সে যুবক ছিল মানসিংহের জামাতা। যুদ্ধে তার মৃত্যু হয়। ঈশা খাঁ পরে অবশ্য তাকে চিনতে পারেন; তাই মানসিংহকে ধিক্কার জানান।
এতে মানসিংহ নিজে যুদ্ধক্ষেত্রে আসেন এবং ঈশা খাঁর সঙ্গে মল্ল যুদ্ধে লিপ্ত হন। দুই বীরের প্রচণ্ড যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের একপর্যায়ে মানসিংয়ের তরবারি ভেঙে যায়।
নিরস্র মানসিংহ যখন মৃত্যুর আশংকা করছিলেন তখন ঈশা খাঁ তাকে আঘাত না করে নিজের তরবারি মানসিংকে দেন পুনরায় যুদ্ধ করার জন্য। এতে মানসিংহ বুঝতে পারেন ঈশা খাঁ শুধু একজন বীর যুদ্ধাই নহে, একজন মহান হৃদয়ের মানুষ।
তাই তিনি তরবারি না নিয়ে ঘোড়া থেকে নেমে আসেন।
এবং ঈশা খাঁকে আলিঙ্গন করেন। তার সাহস ও মহানুভবতায় মুগ্ধ হয়ে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন।এদিকে রাজা মানসিংহের রানী ভয় পাচ্ছিলেন, মোঘল সম্রাট আকবর এই ঘটনায় মানসিংহকে হত্যা করবেন এবং তিনি বিধবা হয়ে যাবেন।
মানসিংহ শিবিরে ফিরে গেলে রানি তার আশংকার কথা জানান। এতে রাজা ভীষণ চিন্তিত হয়ে পরেন। একথা ঈশা খাঁ কানে গিয়ে পৌছলে, তিনি এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন। তিনি মানসিংয়ের সঙ্গে সম্রাট আকবরের দরবারে যেতে রাজি হন। দিল্লীতে মোঘল সম্রাট আকবরের দরবারে গেলে ঈশা খাঁকে বন্দি করেন সম্রাট।
পরে অবশ্য মানসিংয়ের নিকট তার বীরত্বের ও মহানুভবতার কথা শুনে ঈশা খাঁকে মুক্ত করে দেন এবং ২২ পরগনায় আধিপত্য প্রদান করেন এবং মসনদ-ই আলা উপাধিতে ভূষিত করে স্বদেশে ফেরত পাঠান।
#ঈশা_খাঁ#মানসিংহ#war_history_bangla
অনেক দিন পরে ভিডিও পেলাম
অনেক ধন্যবাদ অপেক্ষায় থাকার জন্য। ❤🌹
ঈশা খাঁ বাংলার আর এক মীরজাফর,
যতই কষ্ট কল্পনার গল্পের সাহায্য নেওয়া হোকনা কেন আপনার বলা কাহিনী তেই সেটা বেড়িয়ে আসে
কেমনে?
ও তো বাংলার জন্য লড়েচে।
মুঘল-রাজপুতদের বিরুদ্ধে
মানসিংহের ভাঙ্গা তরবারি কী ইতিহাস থেকে হারিয়ে গেলো? পারলে দেখাবেন প্লিজ।
NO
ঈসাখাঁ ও মানসিং এর সম্মুখ যুদ্ধ ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া গ্রামে হয়েছিল।