"প্রথমা শক্তি মহামায়া" - দেবব্রত দাশ

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 26 лис 2024

КОМЕНТАРІ • 2

  • @debasisbhattacharya3179
    @debasisbhattacharya3179 Місяць тому +1

    Osadharon

  • @debabratadas9704
    @debabratadas9704  Місяць тому +1

    👆 ভারত কথার গ্রন্থি মোচন পর্ব -১০২৫- 🪷 "মহামায়া" 🪷
    সমস্ত শাস্ত্রে পুরাণে মহাদেবী আদ্যাশক্তিকে "মহামায়া" বলে স্তুতি-নতি করা হয়েছে। আবার এও বলা হয়েছে - "সংসারদীর্ঘরৌগস্য সুবিচারমহৌষদম্"। সংসারবন্ধন রূপ দীর্ঘ রোগের মহৌষধ। অর্থাৎ কিনা ভয়ংকর সংসার আসক্তি হতে মুক্ত যিনি করতে একমাত্র সক্ষম, তিনিই আবার মহামায়া!! মানুষ, জীবসকল, সহ দেবতারা কোন ছার, স্বয়ং মহান তিন প্রধান -ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর তাঁর কটাক্ষমাত্রেই মোহিত। এই মহাদেবী একদিকে সকল দৈবশক্তি হতে জাত আবার সকল দৈবশক্তির মূল ক্রিয়াত্মিকা শক্তি। অর্থাৎ তিনি আছেন বলেই সব বর্তমান তাঁর অনস্তিত্বে সবই নিষ্ক্রিয়, শবরূপী জড়মাত্র। এই অর্থে তিনি পরমা চৈতন্যময়ী, ব্রহ্মশক্তি। এই পরম তত্ত্ব অনুধাবন করে বলা হয়েছে - "জ্ঞানিনামপি চিত্তম্ চেৎ কেবলাত্মসুখোদিতম্/ সত্ত্বা: সংসারদু:খার্তা: কম্ যান্তি শরণং তদা"? সবজ্ঞানীরা যদি আত্মানন্দলাভেই দেবীর সাধনায় মগ্ন হয়ে থাকে তবে সন্তপ্ত মানুষের কি গতি হবে, কার শরণ নেবে? এখানেই আদিশক্তির সকল রহস্য। তিনি যেমন জ্ঞানী, বিচারপরায়ণ মুমুক্ষুর পরম গতি, তেমনি সাধারণ বদ্ধ জীবের পরমাশ্রয়া। বিশেষ করে লক্ষ্য করার, অতি গুরুত্বপূর্ণ যে মহতী কর্ম, তিন প্রধান শক্তিমানের পক্ষে কিংবা তাঁদের শক্তি -ব্রহ্মাণী, বৈষ্ণবী, শিবানীর পক্ষেও অসাধ্য, সেই কর্ম সম্পাদনে আদ্যাশক্তি মহামায়ার আবির্ভাব। শুধু তাই নয়, তাঁর উপস্থিতি সকল প্রধান পুরুষ শক্তিকেই নিষ্প্রভ করে তোলে। নর, ঋষি, দেব, অসুর সকলেরই একমাত্র গতি তিনি। এই যে এক অনন্য নারীশক্তির মহাজাগরণ তাঁকে নিয়েই বর্তমান ভারতকথার ১০২৫তম পর্ব 🙏