হানি ব্যাজারঃ বিশ্বের সবচেয়ে সাহসী প্রাণীটি সম্পর্কে জেনে নিন (Honey Badger)

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 4 лип 2020
  • #honey_badger #badger #honey_badger_documentary
    🐭 এটি উইজেল পরিবারের একটি সদস্য এবং এটি র‍্যাটেল নামেও পরিচিত। কিন্তু এর প্রিয় খাবার মধু হওয়ার কারণে এটি হানি ব্যাজার নামে অধিক পরিচিত। আসলে এটি মূলত মৌমাছির লার্ভা খেতেই মৌচাকে আক্রমন চালিয়ে থাকে যা হলো এর মধুর প্রতি আকর্ষণের আসল রহস্য।
    এদের উৎপত্তিস্থল হলো আফ্রিকা এবং এশিয়া মহাদেশ। তবে দক্ষিণ মরক্কো থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়ার ক্যাস্পিয়ান সাগর, তুর্কিমেনিস্থান, নেপাল এবং ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে এদেরকে পাওয়া যায়। এরা মূলত শুষ্ক অঞ্চলে বাস করে কিন্তু বন ও তৃণভূমিতেও এদের পাওয়া যায়। সমতল দেহ এবং ছোট-ছোট শক্ত পা বিশিষ্ট এই ছোট্ট প্রানীটির খনন এবং প্রতিরক্ষার জন্য সামনের পায়ে লম্বা-লম্বা নখ রয়েছে। হানি ব্যাজারের পশমগুলো ঘন এবং মোটা। দেহের নিম্নাঞ্চলের পশমগুলো বেশিরভাগই কালো। আর মাথার শীর্ষ থেকে লেজের গোছা পর্যন্ত পশমগুলো ধূসর-সাদা রঙের হয়ে থাকে।
    এ পর্যায়ে, এ প্রাণী সম্পর্কে কিছু অবাক করা তথ্য জেনে নেয়া যাক -
    নাম্বার একঃ হানি ব্যাজারের ত্বকটি এতই পুরু যে, এটি মৌমাছির হুল, সজারুর দেহের কাঁটা, এমনকি কুকুড়ের কামড়ও সহ্য করতে পারে!
    নাম্বার দুইঃ বাসস্থান তৈরী অথবা শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবার জন্য এরা গর্ত তৈরী করে থাকে। এরা দ্রুত গর্ত তৈরী করতে বেশ পটু। হানি ব্যাজার নয় ফুট গভীর পর্যন্ত গর্ত তৈরী করতে পারে! মজার বিষয় হলো ভয় পেলে তারা শিকারীদের বাধা দেওয়ার জন্য "দুর্গন্ধযুক্ত বায়ু" ত্যাগ করে।
    নাম্বার তিনঃ এদের ত্বকের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো, এদের ত্বক সাপের বিষ প্রতিরোধক। অনেক বিষধর সাপের কামড়েও এদের জ্ঞান হারানো ছাড়া তেমন কিছুই হয় না। এদের খাবারের এক চতুর্থাংশ পূরণ হয় সাপ খেয়ে।
    নাম্বার চারঃ নাম হানি ব্যাজার হলেও এদের চেয়ে ঝগড়াটে ও একগুয়ে স্বভাবের প্রাণী খুঁজে পাওয়া
    মুশকিল হবে। শত্রুর সাথে একবার এদের ঝগড়া লেগে গেলে এটি শত্রুর শেষ দেখা পর্যন্ত লড়ে যায়। আর এজন্য কেউ এদের সাথে লড়াই করতে চায় না।
    নাম্বার পাঁচঃ এটি একটি নিশাচর প্রাণী, আর এজন্য এটি বেশিরভাগ দিনের বেলায় ঘুমায়। তারা তাদের মুখ এবং পেট রক্ষার জন্য বলের মতো করে কুঁকড়ে থাকে।
    নাম্বার ছয়ঃ যদি এদের নিজেদের বাসস্থান তৈরী করার ইচ্ছে না থাকে তবে এরা অন্যের বাসস্থান দখল করতে সামান্যতম কার্পণ্যবোধ করে না। এরা সাধারণত শেয়াল, বেঁজি বা স্প্রিংহারের গর্ত দখল করে নিজেদের করে নেয়।
    নাম্বার সাতঃ আপনি জেনে অবাক হবেন যে, "বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভীক প্রাণী" শিরোনামে এদের গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড রয়েছে। এরা খুব আক্রমণাত্মক স্বভাবের এবং লড়াই করতে খুব আগ্রহী। এরা সিংহ, চিতাবাঘ, অজগর এমনকি সজারুর সাথেও দক্ষতার সাথে লড়াই করে। তবে এর অর্থ এই নয় যে এরা অজেয়। এরা অনেক সময় সিংহ ও চিতাবাঘের খাবারে পরিণত হয়।
    নাম্বার আটঃ এরা আফ্রিকার অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণী। এরা আকারে ছোট হলেও এদের বুদ্ধি অত্যন্ত প্রখর। এরা মানুষের তৈরী বিভিন্ন ফাঁদ থেকে পলায়ন করতে সক্ষম। এমনকি পালানোর জন্য এরা নিজেরাই বিভিন্ন উপায় বের করে থাকে।
    নাম্বার নয়ঃ এই চতুর প্রাণীদের সাথে হানি বার্ডের একটি মধুর সম্পর্ক রয়েছে। হানি ব্যাজারদের একার পক্ষে মৌচাক খুঁজে বের করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এজন্য এরা হানি বার্ডের সাহায্য নিয়ে থাকে। মৌচাকের অবস্থান সনাক্ত করতে পারলে হানি বার্ড ডাকতে থাকে আর সেই ডাক অনুসরণ করে এটি মৌচাকে আক্রমণ করে এবং নিজের প্রয়োজন মতো মৌমাছির লার্ভা ও মধু খেয়ে নেয় এবং কিছু হানি বার্ডের জন্য অবশিষ্ট রেখে দেয়।
    নাম্বার দশঃ এরা সর্বভূক প্রাণী। হায়েনাদের মতো এরা খাবারের বিষয়ে খুঁতখুঁতে নয় বিশেষ করে যখন মৌচাকের অভাব দেখা দেয়। এই ছোট্ট শিকারী প্রাণীরা ইঁদুর, পাখি, পচা মাংস, ফুল, ফল এবং সাপ ইত্যাদি খেয়ে থাকে।
    দৈর্ঘে এরা ত্রিশ থেকে আটত্রিশ ইঞ্চি, উচ্চতায় নয় থেকে বার ইঞ্চি এবং ওজনে ছয় থেকে চৌদ্দ কেজি পর্যন্ত হয়। এরা ২৫ থেকে ২৬ বছর পর্যন্ত বাঁচে।
    ✔ বেটা মাছঃ সবচেয়ে আকর্ষণীয় মাছ: bit.ly/3ieHBgq
    ✔ নিকোবর কবুতরঃ পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর কবুতর সম্পর্কে জেনে নিন: bit.ly/2AfIZhA
    ✔ ম্যাগনিফিসেন্ট ফ্রিগেট: সবচেয়ে অদ্ভুত সুন্দর পাখি: bit.ly/3dKXbwt
    Copyright Disclaimer Under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use.

КОМЕНТАРІ • 4