PCOS হলে কি আর বাচ্চা হয় না?

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 5 січ 2024
  • পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম
    পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) হল মহিলাদের মধ্যে অ্যান্ড্রোজেন (পুরুষ হরমোন) এর মাত্রা বেড়ে যাবার জন্য কিছু উপসর্গের সমাহার।[৪][১৪] পিসিওএস আসলে একটি হরমোনজনিত ব্যাধি। সাধারণত সুস্থ মহিলাদের ডিম্বাশয় প্রত্যেক মাসে একটি করে ডিম্বানু ছেড়ে থাকে। এটি গর্ভদশা চলাকালীন পরিণত হয় নতুবা নির্মূল হয়ে একটি সাধারণ মাসিক চক্রের রূপ নেয়। কিন্তু যখন মেয়েদের শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেড়ে যায় তখন অ্যান্ড্রোজেন হরমোন আধ্যিকের কারনে ডিম্বাশয়ের আশপাশে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয়। ফলে ডিম্বাশয় থেকে যে ডিম্বাণু বড় হয়ে ডিম বের হওয়ার কথা, তাতে বাধা সৃষ্টি হয় এবং এভাবে একসময় ডিম বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পিসিওএসে আক্রান্ত মহিলাদের ডিম্বানুগুলি সঠিক ভাবে বেড়ে ওঠে না অথবা নিয়মিত ডিম্বস্ফোটন চক্রের সময় ডিম্বানু ছাড়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হয়। এর ফলে নিয়মিত ঋতুচক্র বাধাগ্রস্থ হয়।
    পিসিওএস-এ আক্রান্ত বেশিরভাগ মহিলাদের মধ্যে উচ্চ মাপের আন্ড্রোজেন অথবা পুরুষ হরমোনগুলির উপস্থিতি থাকে। এই রোগের বেশিরভাগ বাইরের ও ভেতরের সমস্যাগুলি আন্ড্রোজেন বৃদ্ধিজনিত সমস্যার সঙ্গে জড়িত৷ জিনগত এবং পরিবেশগত কারণের মিলিত প্রভাবে পিসিওএস হতে দেখা যায়।[৬][৭][১৫]
    পলি কথার অর্থ অনেক সুতরাং পলিসিস্টিক মানে হল অনেকগুলো সিস্ট। পিসিওএসের প্রধান বৈশিষ্ট্যই হল জরায়ু থেকে ডিম নির্গত না হওয়া। তার পরিবর্তে যা ঘটে তা হল ডিমের চারপাশে তরল জমে সেগুলো সিস্টে পরিণত হয়। যদিও এই বৈশিষ্ট্যের কারনে একে পলিসিস্টিক ডিসওর্ডার বলা হয় তবুও অনেকক্ষেত্রেই সব মেয়েদেরই ডিম্বাশয়ে একাধিক সিস্ট নাও থাকতে পারে না। যেহেতু একাধিক কারনে পিসিওএস হয়ে থাকে তাই এর একক কোন চিকিৎসা নেই।[৫]
    ১৮ থেকে ৪৪ বছরের মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ এন্ডোক্রিন গ্রন্থির রোগ হল পিসিওএস। [১৬] এই বয়সের প্রায় ২% থেকে ২০% মহিলা এই অসুখে আক্রান্ত।[৮][১৩] এই রোগের একটি প্রধান কারণ হল হরমোনের অসামঞ্জস্যতার জন্য মহিলাদের শারীরিক উর্বরতা কমে যাওয়া।[৪]
    বর্তমানে যাকে পিসিওএস বলা হয় সেই রোগের প্রাচীনতম বর্ণনা পাওয়া যায় ১৭২১ সালে ইটালিতে।[১৭]
    এই রোগের লক্ষণ এবং উপসর্গগুলো ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। কারো কারো একটি দুটি উপসর্গ থাকতে পারে আবার কারো অনেকগুলো উপসর্গ থাকতে পারে। এমনকি একজন মেয়ের মধ্যেই ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণ বেড়ে যেতে বা কমে যেতে দেখা যায়। পিসিওএস এর সাধারণ লক্ষণ ও উপসর্গগুলো নিম্নরূপঃ
    ঋতুস্রাবের ব্যাধি: অধিকাংশ সময়ে পিসিওএস এর জন্য দেখা যায় অলিগোমেনোরিয়া (এক বছরে নয়ের কম ঋতুচক্র) বা অ্যামেনোরিয়া (পর পর তিন বা তার বেশি মাস ধরে কোন ঋতুস্রাব না হওয়া), কিন্তু অন্য কিছু কিছু ঋতুস্রাবের ব্যাধিও দেখা দিতে পারে।[১৬]
    উচ্চ মাত্রায় পুরুষ হরমোন: এটিকে ইংরেজিতে বলা হয় হাইপারঅ্যান্ড্রোজেনিজম। নারীর শরীরে উচ্চ মাত্রায় পুরুষালী হরমোন নিসৃত হওয়ার ফলে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায় যেমন:
    ব্রণ - ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে বা পূর্বে তুলনায় বেড়ে যেতে পারে বা নতুন করে দেখা দিতে পারে।
    হিরসুটিজম - শরীরে পুরুষের মত লোম, যেমন গালে এবং বুকে লোম ওঠা। তবে অন্য জাতির থেকে পিসিওএস আক্রান্ত এশিয়ানদের হিরসুটিজম হবার সম্ভাবনা কম।[১৮]
    হাইপারমেনোরিয়া - অতিরিক্ত এবং বেশিদিন চলা রক্তস্রাব,
    অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়া - চুল পাতলা হয়ে যাওয়া বা বিক্ষিপ্তভাবে চুল উঠে যাওয়া
    উপর্যুক্ত লক্ষণগুলো ছাড়াও আরো অন্য কিছু লক্ষণ ও আসতে পারে।[১৬][১৯] আন্দাজমত পিসিওএস আক্রান্ত (এনআইএইচ/এনআইসিএইচডি ১৯৯০ এর রোগনির্ণয়ের মানদণ্ড দ্বারা) তিন চতুর্থাংশ মহিলার হাইপারঅ্যান্ড্রোজেনিমিয়া পাওয়া গেছে।[২০]
    বিপাকীয় লক্ষণ: পিসিওএসে আক্রান্তদের মধ্যে দেখা গেছে সেন্ট্রাল ওবেসিটি বা শরীরের মধ্যাঞ্চলে মেদ জমার প্রতি প্রবণতা এবং ইনসুলিন রেজিট্যান্স তৈরী হওয়ার মত কিছু লক্ষণ।[১৬] পিসিওএস আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে সিরাম ইনসুলিন, ইনসুলিন রেজিট্যান্স, এবং হোমোসিস্টাইন এর মাত্রা বেশি থাকে।[২১]
    অ্যাকান্থোসিস নাইগ্রিকান্স - ঘাড়ের পেছনে, হাতের নিচে কালো ছোপ, বগলের ত্বক গাঢ় হওয়া ও পুরু হয়ে যাওয়া। [৩]
    স্বর - গলার স্বর পুরুষালী হওয়া বা মোটা (অনেক কম দেখা যায়)
    ডিম্বাশয়ে একাধিক সিস্ট, বড় ডিম্বাশয় এবং তলপেটে ব্যাথা [৩]
    গর্ভধারণে ব্যর্থতা: এটি সরাসরি দীর্ঘস্থায়ী অ্যান ওভ্যুলেশন (ডিম্বপাত না হওয়া) থেকে আসে।[১৬]
    পিসিওএস সঠিকভাবে চিকিৎসা না করলে এবং রোগী যদি মোটা হতে থাকেন, তাহলে দীর্ঘকালীন জটিলতা দেখা দিতে পারে। পিসিওএসের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য যে লক্ষনগুলো জটিলতর অবস্থায় দেখা যায় সেগুলো হলঃ
    টাইপ-২ বহুমূত্র রোগ - ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন প্রতিরোধ্যতা, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস
    অতিস্থূলতা
    অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া
    হৃদরোগ মেটাবলিক সিনড্রোম - স্থুলতা, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস
    মেজাজ পরিবর্তন - যেমন ডিপ্রেশন, এঙ্গজাইটি অতবা খাদ্য গ্রহণে ব্যতয় ইত্যাদি
    জরায়ুর ক্যান্সার।[৪]
    গর্ভপাত হবার সম্ভবনা দেখা দেয়।
    প্রি-একলাম্পশিয়া
    উচ্চ রক্তচাপ

КОМЕНТАРІ • 2

  • @isfakmahmod
    @isfakmahmod 7 місяців тому

    ম্যাম আসসালামু আলাইকুম আমার জরায়ু অপসারণ হয়ছে আজ৬ দিন অপারেশন হবার পর থেকে দেখি আমার একটু মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্ত বের হচেছ আজকে দেখি হঠাৎ অকটু বেশি বের হচেছ। ম্যাম এটা কি কিছু ভয়ের

    • @MediTalkDigital
      @MediTalkDigital  7 місяців тому

      হালকা রক্ত যেতে পারে কিন্ত বেশি গেলে আপনার উচিত আপনার গাইনী ডাক্তারকে দেখানো