গাজওয়ায়ে হিন্দ কি???
Вставка
- Опубліковано 9 січ 2025
- ভিডিওটির সংক্ষিপ্ত বাংলা অনুবাদ উপস্থাপন করা হলো :-
"একটি প্রশ্ন এখানে বিস্তারিত ভাবে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন যে, গাজওয়ায়ে হিন্দ কি???এতে কোন সন্দেহ নেই যে, এ সম্বন্ধে হাদীস শরীফে বিভিন্ন বর্ণনাকারীদের দ্বারা বর্ণনা পাওয়া যায়। সুনান নাসাই তে হযরত সাওবান থেকে বর্ণিত হয়েছে যে,মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্দুর রহীম (রহঃ) ... রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গোলাম ছাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মতের দুটি দল আল্লাহ্ তা'আলা তাদেরকে আগুন হতে পরিত্রাণ দান করবেন, একদল যারা হিন্দুস্থানের জিহাদ করবে, আর একদল যারা ঈসা ইবন মারিয়াম (আঃ) এর সঙ্গে থাকবে। অতএব আপনি যদি এটিকে রাজা-বাদশাহর যুদ্ধের দিকে নিয়ে যান তাহলে এটি সঠিক হবে না। এখানে রাসূল করীম সাঃ বলেছেন যে, তারা আগুন থেকে সুরক্ষিত থাকবে। মনে রাখতে হবে যে, এখানে আগুন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। জাহান্নাম শব্দ ব্যবহার করা হয়নি বা কুরআনে বর্ণিত "জাহিম" শব্দও বলা হয়নি বরং আগুন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এবং আগুন শব্দ কোরআন শরীফে যুদ্ধের জন্যও ব্যবহার করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ সূরা মায়েদা ৬৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তালা বলেছেন যে, أَوْقَدُوا نَارًا لِلْحَرْبِঅর্থাৎ তারা যখনই যুদ্ধের আগুন জ্বালায়। অতএব এখানে যুদ্ধকে আগুন বলা হয়েছে যা জ্বালানো হয়ে থাকে। অতএব এখানে এটি স্পষ্ট হলো যে, এখানে যে উম্মতের হিন্দুস্তানে যুদ্ধ করার কথা বলা হচ্ছে তারা আগুন থেকে সুরক্ষিত থাকবে অর্থাৎ তারা যুদ্ধ-বিগ্রহ করবে না বরং এগুলো ছাড়াই তারা হিন্দুস্তানে প্রবেশ করবে। সুতরাং এই দল কোনটি সেটা দেখার বিষয়। এটি হলো সেই সমস্ত মুজাদ্দিদ ও আউলিয়ার দল অর্থাৎ খাজা মইনুদ্দিন চিশতি রহ: , নিজামুদ্দিন আউলিয়া রহ:, বাবা ফরীদ রহ: মোজাদ্দেদ আলফেসানী রহ: ইত্যাদি যারা হিন্দুস্তানে যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু তারা কি যুদ্ধ করেছিলেন?? সেই জিহাদ যা আমাদের প্রিয় নবী সাঃ মক্কাতে করেছিলেন। وَجَاهِدْهُمْ بِهِ جِهَادًا كَبِيرًا অর্থাৎ তুমি তাদের সঙ্গে জিহাদে কবীর করো। সেখানে তো আপনি কোন পাথর বা তলোয়ার দ্বারা যুদ্ধ করেননি বরং জিহাদে কবীর করেছেন। জিহাদে কবীর অর্থাৎ কোরআনের জিহাদ এবং তবলিগের জিহাদ। এই সমস্ত উলামায়ে উম্মত যারা হিন্দুস্তানে বহির্বিশ্ব থেকে এসেছিলেন তারা এখানে এসে জিহাদ করেছেন অর্থাৎ ইসলামের তাবলীগ করেছেন। এই হল সেই যুদ্ধ যা নবী করিম সাঃ বলেছিলেন যে, এই উম্মত যুদ্ধ-বিগ্রহ দ্বারা কাজ নেবে না বরং নিজেদের পবিত্র নমুনা দ্বারা, উত্তম আচরণ দ্বারা ইসলামের প্রচার করবেন। আজকে এই উপমহাদেশে কোটি কোটি মুসলমান তাদের এই পবিত্র জিহাদের ফসল। যদি তারা তরবারির কারণে মুসলমান হতো তাহলে তো তরবারির যুগ মোগল সাম্রাজ্যের সঙ্গে ও বাহাদুর শাহ জাফরের সঙ্গে শেষ হয়ে গিয়েছিল তাহলে এই সমস্ত মুসলমানদেরকেও শেষ হওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু তা নয় বরং তাদের উপরে সেই জিহাদ হয়েছে যা হযরত বিলাল রা: এর উপরে হয়েছিল এবং তাদের উপরে সেই ভালবাসার তরবারি চালানো হয়েছিল যা হযরত বিলাল রা: এর উপরে চালানো হয়েছিল। আউলিয়ায়ে উম্মত দ্বারা তারা ইসলামকে গ্রহণ করে এবং আজ পর্যন্ত তারা এ সমস্ত আউলিয়াদের কে এতটাই ভালোবাসে যে, তাদের কবরের মাটি পর্যন্ত কেও তারা ছাড়ে না যদিও এগুলি শিরকের অন্তর্ভুক্ত।হিন্দুরাও যাচ্ছে এবং মুসলমানরাও যাচ্ছে। এই ছিল সেই জিহাদে কবীর বা গাজওয়া যার কথা নবী করিম সাঃ বলেছিলেন যে, একটি দল তো এই সমস্ত আউলিয়া বা মুজাদ্দিদ গণের যারা হিন্দুস্থানে গাজওয়া করবে এবং একটি দল ইমাম মাহাদি ও মসীহ মাওউদ এর সঙ্গে থাকবে যার সম্বন্ধ জামাতে আহমদীয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত। অতএব এই জামাত দ্বারা যে জিহাদ ছিল অর্থাৎ যাকে আরবি ভাষায় কিতাল বলা হয়ে থাকে এবং যেটি একটি বিশেষ সময়ের জন্য ছিল জামাতে আহমদীয়ার পবিত্র প্রতিষ্ঠাতা ইমাম মাহদী ও মসীহ মাওউদ আঃ বলেন যে, নবী করীম সাঃ বলেছেন যে,যখন মসীহ মাওউদ আঃ আসবেন তখন তিনি তরবারির যুদ্ধকে রোহিত করবেন। সে তো কোন গাজওয়া করবে না । অতএব তার নামের সঙ্গে গাজওয়া জুড়ে দেওয়া সম্পূর্ণ হাদিসের পরিপন্থি বলে গণ্য হবে। অতএব তিনি জিহাদে কবীর করেছেন এবং আউলিয়ায়ে উম্মতরা করেছেন এবং আজকে ইমাম মাহাদীর মান্য কারীরা এবং তার জামাতের মুরুব্বীরা জিহাদে কবীর করছেন এবং ভালোবাসার দ্বারা মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান জানাচ্ছেন এবং মানুষ গ্ৰহনও করছেন। "
অনুবাদক: হাফেজ আবু সোহান মন্ডল।
#ahmadiyya #ahmadiyyakhilafat #india #bangladesh #pakistan
মাশাআল্লাহ, আসাধারণ জ্ঞানগর্ভ যৌক্তিক বিশ্লেষণ। অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।