আলীকদম-থানচি সড়ক,

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 16 вер 2024
  • সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় আড়াই হাজার ফুট উচ্চতায় নির্মিত আলীকদম-থানচি সড়ক। ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড় ভেদ করে ১২ ফুট চওড়া ও ৩৫ কিলোমিটার সড়কটি এঁকেবেঁকে চলে গেছে থানচি উপজেলা থেকে আলীকদম উপজেলায়।
    সড়কটি নির্মিত হওয়ার পর বদলাতে শুরু করেছে দেশের সবচেয়ে দুর্গম ও পিছিয়ে পড়া এ দুই উপজেলার মানুষের জীবনচিত্র।
    দুই উপজেলার প্রায় ৬০ হাজার পাহাড়ি-বাঙালির সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে স্থানীয় উৎপাদিত কৃষিপণ্যের পরিবহন সুবিধাসহ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। দরিদ্র জনগোষ্ঠী দেখছে নতুন স্বপ্ন। স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা পাচ্ছে পড়ালেখা করার সহজ সুযোগ।
    থানচির দুর্গম এক পাহাড়ি এলাকা তিন পাহাড়ের মুখ গ্রামের বাসিন্দা ক্রাচিং ম্রো পেশায় একজন কৃষক। তার সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর থানচিবাসীর ভাগ্য বদলাতে শুরু করেছে। এতোদিন এখানকার উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহনের অভাবে নষ্ট হতো। ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হতেন এখানকার দরিদ্র কৃষকরা। এখন আর সে সমস্যা নেই। জুমে উৎপাদিত পণ্য অল্প সময়ে জেলা সদরে নেওয়া যায়।
    একই উপজেলার ১০ মাইল এলাকার জুমচাষি ভাগ্যধন ত্রিপুরা, বিকাশ চাকমা, চিং হ্লা চাকমা জানান, সড়কটি চালু হওয়ায় জুমে উৎপাদিত ধান, জব, গম, তুলা, তিল, ভুট্টা, চিনা বাদাম, সরিষা, আলু, মসুর ডাল, পাহাড়ি মরিচসহ নানা জাতের কৃষিপণ্য পরিবহনে সুবিধা হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা আর্থিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছেন। পরিবর্তিত হচ্ছে স্থানীয়দের জীবনযাত্রা।
    সড়কটি চালু হওয়ায় স্থানীয় শিশু-কিশোরদের শিক্ষার সুযোগ তৈরি হওয়ায় দারুণ খুশি অভিভাবকরা। ভবিষ্যতে সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হলে এলাকার ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখার সুযোগ পাবে। বর্তমানে প্রায় ১৫-২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শিশু-কিশোররা স্কুলে যাতায়াত করে। যা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল। এ সড়ক নির্মাণের ফলে এলাকার শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা ধরনের নাগরিক সুবিধা পাওয়া সহজ হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

КОМЕНТАРІ •