নিকোবর কবুতরঃ পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর কবুতর সম্পর্কে জেনে নিন

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 27 вер 2024
  • Nicobar Pigeon: Worlds most beautiful Pigeon
    #nicobar_pigeon #nicobar #beautiful_pigeon
    কবুতর এক প্রকারের জনপ্রিয় গৃহপালিত পাখি। এদেরকে কবুতর বা পায়রা অথবা কপোত বা পারাবত যেকোন নামেই ডাকা যায়। আমাদের মাঝে এরকম অনেক মানুষ আছেন যারা ভালোবেসে কবুতর পালন করেন। প্রাচীন কালে চিঠি আদান-প্রদানের মাধ্যম ছিল কবুতর। এছাড়া কবুতর ওড়ানোর প্রতিযোগিতা প্রাচীন কাল থেকে অদ্যাবধি প্রচলিত আছে। পৃথিবীতে প্রায় ৬০০ জাতের মতো কবুতর পাওয়া যায়। আর বাংলাদেশে রয়েছে প্রায় ৩০ প্রকার কবুতরের জাত।
    এসকল জাতের মধ্যে ফেন্সি কবুতরের জাতগুলো অন্যতম। তন্মধ্যে যে জাতটি সবচে বেশি চিত্তাকর্ষক তা হলো নিকোবার কবুতর।
    নিকোবার হলো এক প্রকারের পায়রা যা ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে শুরু করে মালয় দ্বীপপুঞ্জের মধ্য দিয়ে সোলোমোন এবং পালাউ পর্যন্ত ছোট ছোট দ্বীপ এবং উপকূলীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। এটি ক্যালোনাস বংশের একমাত্র জীবিত সদস্য এবং বিলুপ্তপ্রায় ডোডোর নিকটতম জীবিত আত্মীয়।
    এটি আকারে বড়, দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০ সেন্টিমিটার। মাথাটি ধূসর এবং ঘাড়ের উপরের দিকটা গাঢ়ো সবুজ বর্ণের। লেজটি খুব ছোট এবং ধবধবে সাদা। এদের পা খুবই শক্ত ও লাল বর্ণের এবং এদের চোখগুলো অন্ধকার কালো। স্ত্রী কবুতর পুরুষদের তুলনায় কিছুটা ছোট আকারের হয়ে থাকে।
    নিকোবর কবুতরের প্রজনন সীমানা ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, মিয়ানমারের মের্গুই দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ-পশ্চিম থাইল্যান্ডের উপকূলীয় দ্বীপপুঞ্জ, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন এবং সলোমন দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে অনেক ছোট দ্বীপকে ঘিরে বিস্তৃত। এরা সাধারণত ফল ও ফলের বীজ এবং শস্য খেয়ে বাঁচে। এরা অন্যান্য পাখিদের মতো ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে না। এরা সাধারণত ভোর বা সন্ধ্যা বেলা উড়তে পছন্দ করে। এরা একে অপরের সাদা লেজ ফলো করে সরল রেখায় উড়তে থাকে।
    এ পর্যায়ে এদের সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরছিঃ
    নাম্বার একঃ এটি ম্যানগ্রোভ বন, ঝোপঝাড়, নিম্নভূমি এবং পাদদেশীয় বনে বাস করে।
    নাম্বার দুইঃ ভৌগলিক অবস্থানের উপর ভিত্তি করে এদের প্রজনন মৌসুমটি জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বেশ দীর্ঘায়িত হয়।
    নাব্বার তিনঃ এই কবুতরগুলি অত্যন্ত যাযাবর। তারা প্রায়শই এক দ্বীপপুঞ্জ থেকে আরেক দ্বীপপুঞ্জে যাওয়া আসা করে। এরা খাবারের খোঁজে ছোট দ্বীপপুঞ্জ থেকে বড় দ্বীপপুঞ্জে যায়। যে এলাকাগুলোতে শস্য পাওয়া যায় এবং যেখানে মানুষের আবাস্থল নেই, এরা সেই এলাকাতেই অবতরণ করে। আবার ব্রিডিং এর সময় হলে ছোট দ্বীপপুঞ্জে ফিরে আসে। আজব বিষয় হলো ভ্রমণের জন্য এরা ভোর ও সন্ধ্যাবেলা বেছে নেয়। এরা ঝাঁকে ঝাঁকে না উড়ে সরল রেখায় উড়তে থাকে। সবার সামনে যেই পাখিটি থাকে সে সকলকে গাইড করে। পেছনের পাখিগুলো সামনের পাখিদের সাদা লেজ দেখে পথ চিনে নেয়।
    নাম্বার চারঃ খাবার এবং পোষ মানানোর জন্য এরা শীকারীদের দ্বারা শীকার হয়।
    এছাড়া এদের পাকস্থলিতে একপ্রকারের দামী পাথর পাওয়া যায় যা দ্বারা দামী গহনা তৈরি হয়। এজন্যেও এরা শীকারীদের শীকার হয়।
    নাম্বার পাঁচঃ অন্যকে হুমকি দেওয়ার সময় এরা শুকোরের মতো ঘোত ঘোত শব্দ করে।
    নাম্বার ছয়ঃ এদের একটি অনন্য বৈশিষ্ট হলো এরা মানুষের মতো করে চুমুক দিয়ে পানি পান করতে পারে।
    নাম্বার সাতঃ বন্য জীবনে এরা ৮ থেকে ১২ বছর আর পোষ্য জীবনে ১০ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
    Copyright Disclaimer Under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use.

КОМЕНТАРІ • 6