এটাকে আমরা উত্তরবঙ্গে শুরিমারা নামে চিনি। এর ফুল রান্না করে খাওয়া যায়। হাল্কা তেতো, অনেকটা মাশরুমের মতন খেতে লাগে। আমার খুব প্রিয়। সকালবেলা গাছের গোড়ায় ছড়িয়ে থাকা ফুলগুলো কুড়িয়ে হাতে স্পর্শ করবার বা কুড়িয়ে বাড়ি আনার মজাই আলাদা। এই গাছের ছাল হালকা গরম পানিতে ফুটিয়ে অনেকেই গা ধোয়, নিম পাতা যেভাবে আমরা ব্যবহার করি গা ধুতে, ওইরকম। বিরাট লম্বা ফলগুলো কাঁচা অবস্থায় বিক্রিও হতে দেখেছি দু'একবার ছোটোবেলায়। আর ফলগুলো শুকিয়ে গেলে ছোটোবেলায় ভারি আনন্দ হত। কেননা এর ভেতরের বীজগুলো ভীষণই সুন্দর দেখতে, খেলতে খুব মজা হত এগুলি দিয়ে। আমার বাড়িতে দু'একটা হচ্ছে (যথারীতি আপনা থেকেই), কাটতে মন চায় না একেবারেই যদিও এর কোনো অর্থকরী লাভ নেই বললেই চলে। 'কানাইডিঙা' নামটা হয়তো এসেছে মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত এক চরিত্র কানাই বা কালা বা কৃষ্ণ-র সূত্রে৷ যেহেতু 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যে বা বিভিন্ন বৈষ্ণব পদাবলীতে বা বাউল গানে কখনও রাধাকে পার করবার জন্য কানাই-এর নৌকা বাইবার উল্লেখ পাওয়া যায়, কখনও আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকে ভক্তকে উদ্ধার করবার/পার করবার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় সেই প্রভাব থেকেই এমনটা হতে পারে।
স্যার, আমার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর 24 পরগনা জেলার বসিরহাট অঞ্চলে। আমাদের এখানে এই গাছকে চটকা ফুলের গাছ বলে। ছোট বেলায় আমাদের বাড়ির সামনে বিরাট বড় একটা গাছ ছিল। বাড়ির আশেপাশে খুবই কম প্রতিবেশী ছিল, তাই চোর ডাকাতের ভয় ছিল। কিন্তু লোকে এই গাছে ভূতের ভয় পেত বলে রাতের দিকে আমাদের বাড়ির এদিকে তেমন কেউ আসতো না। গাছটি খুবই বড় ছিল, সারা রাত ওই গাছে বাদুড়, ভোঁদড়, সোরেল মারপিট চেঁচামেচি করত। বর্ষাকালে পা খেয়ে হাঁজা হয়ে গেলে দিদিমা এই গাছের পাতা বেটে গরম করে পায়ে লাগিয়ে দিল। এর পাতার সাথে কাঁচা হলুদ নিম ও ভাটি গাছের পাতা বেটে শীতকালে গায়ে লাগিয়ে স্নান করাত।😢 খুব কেঁদেছিলাম যখন জমিওয়ালা গাছ কেটে জমির প্লট করে বিক্রি করে দিলে। আমার সময়ের ৯৯%ছেলেরা এই গাছ সম্পর্কে জানেই না। আমাদের গ্রামে এখন মোট দুটি ছোট ছোট গাছ আছে। একটা গ্রামের হাসপাতালের বাগানে, আর একটা বাড়ির কাছেই মাঠের মধ্যে। তবে এর ফল যে খাওয়া যায় এটা জানতাম না। 💚💚💚
আমাদের গ্রামে একটা এই গাছ ছিল..................!!!!! তখন প্রতিদিন কোন না কোন বাড়িতে ঝগড়া লেগেই থাকতো............!!!!!! এখন গাছটিও নেই.........!!!! ঝগড়াঝাটি ও নেই...........!!!!
এই গাছ গুলো আগে আমাদের এলাকায় প্রচুর ছিলো এখন কিন্তূ নেই তবে আমরা এইটার সাল ভিজিয়ে রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি খেতাম জন্ডিস এর উপকার হতো আমাদের এলাকায় এটাকে বলে ঠনা গাছ ফুল ফল খাওয়া যায় কিনা এটা আমরা জানিনা আজকেই জানতে পারলাম তা ও আপনার মাধ্যমে ধন্যবাদ আপনাকে।
Ai gach ta Amar barite onek boro ekta gach achhe onek Jon ai gacher sal niye jai raate naki jole bijiye rakhe sakale Khali Pete khele naki Peter onek samasha vlo hoy thik ki na bolte pari na
সঠিক, এই গাছের পাতা, বাকল, ঐ ফল যখন থাকে সবগুলো সিদ্ব করে এক কে জি পানি সিদ্ধ করে অর্ধেক হলে নামিয়ে ,, ঠান্ডা হলে দিনে দুই তিন বার খাওয়া,, কেউ বলে মাঝে মাঝে এর এসিডিটি বাড়ায়,,
এটাকে আমরা উত্তরবঙ্গে শুরিমারা নামে চিনি। এর ফুল রান্না করে খাওয়া যায়। হাল্কা তেতো, অনেকটা মাশরুমের মতন খেতে লাগে। আমার খুব প্রিয়। সকালবেলা গাছের গোড়ায় ছড়িয়ে থাকা ফুলগুলো কুড়িয়ে হাতে স্পর্শ করবার বা কুড়িয়ে বাড়ি আনার মজাই আলাদা। এই গাছের ছাল হালকা গরম পানিতে ফুটিয়ে অনেকেই গা ধোয়, নিম পাতা যেভাবে আমরা ব্যবহার করি গা ধুতে, ওইরকম। বিরাট লম্বা ফলগুলো কাঁচা অবস্থায় বিক্রিও হতে দেখেছি দু'একবার ছোটোবেলায়। আর ফলগুলো শুকিয়ে গেলে ছোটোবেলায় ভারি আনন্দ হত। কেননা এর ভেতরের বীজগুলো ভীষণই সুন্দর দেখতে, খেলতে খুব মজা হত এগুলি দিয়ে। আমার বাড়িতে দু'একটা হচ্ছে (যথারীতি আপনা থেকেই), কাটতে মন চায় না একেবারেই যদিও এর কোনো অর্থকরী লাভ নেই বললেই চলে।
'কানাইডিঙা' নামটা হয়তো এসেছে মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত এক চরিত্র কানাই বা কালা বা কৃষ্ণ-র সূত্রে৷ যেহেতু 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যে বা বিভিন্ন বৈষ্ণব পদাবলীতে বা বাউল গানে কখনও রাধাকে পার করবার জন্য কানাই-এর নৌকা বাইবার উল্লেখ পাওয়া যায়, কখনও আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকে ভক্তকে উদ্ধার করবার/পার করবার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় সেই প্রভাব থেকেই এমনটা হতে পারে।
সুন্দর তথ্য দিয়েছেন।
@haque-anis ধন্যবাদ 😊
Thik bolsen👍
আপনার ভিডিও গুলো আমার সব সময় ভালো লাগে, গাছ সম্পর্কে সবসময় নতুন নতুন তথ্য পাই।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে খুব ভালো ভিডিও
You are a TEACHER for creating Scientific Temperament among the Masses !
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ..... খুবই ভাল লাগে আপনার ভিডিওগুলো
স্যার, আমার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর 24 পরগনা জেলার বসিরহাট অঞ্চলে। আমাদের এখানে এই গাছকে চটকা ফুলের গাছ বলে। ছোট বেলায় আমাদের বাড়ির সামনে বিরাট বড় একটা গাছ ছিল। বাড়ির আশেপাশে খুবই কম প্রতিবেশী ছিল, তাই চোর ডাকাতের ভয় ছিল। কিন্তু লোকে এই গাছে ভূতের ভয় পেত বলে রাতের দিকে আমাদের বাড়ির এদিকে তেমন কেউ আসতো না। গাছটি খুবই বড় ছিল, সারা রাত ওই গাছে বাদুড়, ভোঁদড়, সোরেল মারপিট চেঁচামেচি করত। বর্ষাকালে পা খেয়ে হাঁজা হয়ে গেলে দিদিমা এই গাছের পাতা বেটে গরম করে পায়ে লাগিয়ে দিল। এর পাতার সাথে কাঁচা হলুদ নিম ও ভাটি গাছের পাতা বেটে শীতকালে গায়ে লাগিয়ে স্নান করাত।😢 খুব কেঁদেছিলাম যখন জমিওয়ালা গাছ কেটে জমির প্লট করে বিক্রি করে দিলে। আমার সময়ের ৯৯%ছেলেরা এই গাছ সম্পর্কে জানেই না। আমাদের গ্রামে এখন মোট দুটি ছোট ছোট গাছ আছে। একটা গ্রামের হাসপাতালের বাগানে, আর একটা বাড়ির কাছেই মাঠের মধ্যে। তবে এর ফল যে খাওয়া যায় এটা জানতাম না। 💚💚💚
best peaceful video to watch
আপনার জ্ঞাণ অসাধারণ
Very much popular vegetable in Thailand
কি আজব 😊🧐🧐🧐🧐
চট্টগ্রামের মানুষরা রান্না করে খায়। অনেক মজা
অসাধারণ 😂😂😂❤❤❤
এটি খুবই জনপ্রিয় চট্টগ্রামে মানুষের আমি খুব রান্না করেছি আমার শশুর বাড়ী তে
Nice presentation 🎉
আপনার প্রশংসা আমার জন্য অনুপ্রেরণা।
কাইজ্জা শনি" বাড়িতে থাকলে ঝগড়া হয় এমনটাই বিশ্বাস ছিল গ্রাম বাংলাতে।
এখন আর দেখা যায় না
আমাদের গ্রামে একটা এই গাছ ছিল..................!!!!!
তখন প্রতিদিন কোন না কোন বাড়িতে ঝগড়া লেগেই থাকতো............!!!!!!
এখন গাছটিও নেই.........!!!!
ঝগড়াঝাটি ও নেই...........!!!!
নতুন কিছু জানলাম
এটাকে আমরা "কানাইর নাও " নামে চিনি।
ধন্যবাদ,, আপনার এলাকাটা কোন জায়গায়
Netrakona.
Very nice❤❤😂😂
সীমের মতো দেখতে, সিদ্ধ করে ভর্তা করে খায়, চট্টগ্রামে আমরা এটাকে খনা বলি।
কানাই শ্রী কৃষ্ণের নাম । তিনি ও নৌকায় গোপিনী দের নদী পার করে দিতেন ।
যেখানে, সেখানে অপ্রয়োজনীয় বাক্য প্রয়োগ করা, মূল বাক্যের মান থাকে না , অর্থাৎ কিসের মধ্যে কি ,,, পান্তা রাতে ঘি,,
@@DebanRaj-n8fউনি ভুল কিছু লিখেছেন কি?
❤❤❤
এই গাছ গুলো আগে আমাদের এলাকায় প্রচুর ছিলো এখন কিন্তূ নেই তবে আমরা এইটার সাল ভিজিয়ে রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি খেতাম জন্ডিস এর উপকার হতো আমাদের এলাকায় এটাকে বলে ঠনা গাছ ফুল ফল খাওয়া যায় কিনা এটা আমরা জানিনা আজকেই জানতে পারলাম তা ও আপনার মাধ্যমে ধন্যবাদ আপনাকে।
❤❤❤❤❤
আমি বাড়িতে লাগিয়ে ছিলাম, ছিল অনেক দিন
Good evening Sir,
Would you tell me name of Bengladeshi scientist & his books who have written books on wood in British India.
কানাই হল কৃষ্ণ
বৃহত্তর ফরিদপুর জেলায় দেখা যেত।আমি দেখেছি
🙏🙏🙏🙏
কানাই ঘোড়ার ফল।
❤
এটা ঝঞ্ঝক ।মণিপুরী দের খাবার, শুটকি দিয়ে খায়। একটার দাম ৫/-,
সাঁওতালি ভাষায় এটা কে বানাহাটা বলে।
ঝনডিস ভাল হয়
আমাদের এলাকায় এটাকে ঝগড়া ঝগড়ির গাছ বলে।
আমরা কৃষ্ণ ডিঙ্গা বলি
Etake paharira honafol bole.
কাজাহুনি গাছের ফুল
কানাই ডিঙ্গা
Halim gach
এত ঝাঁঝ
চট্টগ্রামের রাউজানে এটাকে ফনা গাছ বলে
Mymenshing theke dekchi amra kaijjakhuni gach boltam ,barir pashe 4_5 ta gach chilo
কানাই কৃষ্ণর আর এক নাম। কৃষ্ণের সাথে মিলিয়েই সম্ভবত এর নাম করন করা হয়েছে।
কানাই মানে কৃষ্ণ
কানাই হল krishana thakur tai
আমার ঘরের কোণায় এই গাছটি আছে ।দুবার ফল ধরতে দেখেছি ,কিন্তু গত দুইবছর ধরে বাঁদুর এসে এর ফুলের পুরোটাই খেয়ে ফেলে তাই ফল ধরছে না
Phool ki colour ?
I eat this this is jondis medicine
কানাই কৃষ্ণের অন্য একটি নাম। দেখতে কালো ডিঙ্গির মতো দেখতে তাই কৃষ্ণের নামে কানাই ডিঙ্গা হতে পারে!
kusongskar
Ai gach ta Amar barite onek boro ekta gach achhe onek Jon ai gacher sal niye jai raate naki jole bijiye rakhe sakale Khali Pete khele naki Peter onek samasha vlo hoy thik ki na bolte pari na
আমাদের বাড়ির পাশেও এই গাছ আছে
কৃষ্ণের অপর নাম কানাই..এই জন্য কানাই ডিঙ্গা..
Amra etar chatting khai.taytul dita hoe.kanai holo Sri Krishna r namm
এটা কুসংস্কার কথাবার্তা ঝগড়া সৃষ্টি হবে কেন
নামটা না জানলে বললেন কেন সঠিক নাম আপনি জানেননা
পুরো কাহিনী না শুনে বোকার মত প্রশ্ন করেন কেন, এতে এপিসোড তৈরি ব্যক্তি মনঃক্ষুণ্ণ হয়, পুরোটা শুনে বুঝবেন নাম বলে দিয়েছেন,,,,,,
I eat this this is jondis medicine
সঠিক, এই গাছের পাতা, বাকল, ঐ ফল যখন থাকে সবগুলো সিদ্ব করে এক কে জি পানি সিদ্ধ করে অর্ধেক হলে নামিয়ে ,, ঠান্ডা হলে দিনে দুই তিন বার খাওয়া,, কেউ বলে মাঝে মাঝে এর এসিডিটি বাড়ায়,,