এমপি আনার হত্যা: সামনে আসছে ৪ এমপির নাম! | উপ- নির্বাচন | ঝিনাইদহ | আনোয়ারুল আজিম আনার | bnanews24
Вставка
- Опубліковано 5 жов 2024
- শুরুতে ঝিনাইদহের-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার পর অনেকটা ধোঁয়াশার মধ্যে ছিল ঢাকা মহানগর ডিবি। তবে তদন্ত কর্মকর্তার পরিবর্তন এবং গ্যাস বাবু গ্রেপ্তার হওয়ার পর এই মামলার রহস্যের জট খুলতে শুরু করেছে। চোরাচালানের সঙ্গে স্থানীয় রাজনীতির আধিপত্য বিস্তারের যোগসূত্র পায় ডিবি।
সীমান্তে স্বর্ণ চোরাচালান, হুন্ডি ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আনার খুন হয়েছে। প্রত্যক্ষভাবে আখতারুজ্জান শাহীন ও শিমুল ভূঁইয়া জড়িত থাকলেও পরোক্ষভাবে জড়িত ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার রাজনৈতিক বেনিফিশিয়ার হিসাবে মিন্টুকে এবং চোরাচালান বেনিফিশিয়ার হিসাবে শাহীনকে সামনে রেখে আনার হত্যার গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
তাছাড়া সীমান্ত জেলার আরও ৪ সংসদ সদস্যের আনার হত্যার সঙ্গে যোগসাজস থাকতে পারে। আনার হত্যায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল আহম্মেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু তার জবানবন্দিতে সীমান্ত চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত যে ৪ জন সংসদ সদস্যের নাম বলেছেন, তাদের মধ্যে পিরোজপুর জেলার একজন, ঠাকুরগাঁও জেলার একজন, দিনাজপুর জেলার একজন এবং নওগাঁ জেলার একজন রয়েছেন। তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। স্ব স্ব এলাকায় সীমান্তে বড় ধরনের চক্র গড়ে তুলেছেন এই সব সংসদ সদস্য। স্বর্ণ চোরাকারবারি করে এই ৪ সংসদ সদস্য বিপুল পরিমাণের অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন। এরা মাফিয়া জগতে হোয়াইট গোল্ড ক্রিমিনাল নামে পরিচিত।
খবরের কাগজ পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ঝিনাইদহ ৪ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ছাড়াও সীমান্ত এলাকার ৪ সংসংসদ সদস্য স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। সীমান্ত এলাকায় তারা স্বর্ণ চোরাচালানের বড় একটি চক্র গড়ে তুলেছেন। অনেকটা কাট-আউট পদ্ধতিতে তারা এই চোরাকারবারে লিপ্ত আছেন। এই সব সংসদ সদস্য উন্নয়ন কর্মকান্ড ও দলীয় কর্মসূচির নামে সীমান্ত এলাকায় যান। পরবর্তীতে নিজস্ব লোকজন মারফত সোনা সীমান্তের ওপারে পাঠান।
এই চক্রটি শুধু স্বর্ণ চোরাচালানই নয়, হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। এতে সীমান্তের ওপারে বড় চক্র গড়ে উঠেছে। এই কারণে এই ৪ জনপ্রতিনিধির ভারতে ঘন ঘন যাতায়াত আছে। কেউ মাসে দুইবারও ভারতে গেছেন। এই কারবারে প্রত্যেক মাসে তারা কোটি কোটি টাকা আয় করেন।
সূত্র জানায়, সীমান্তে স্বর্ণ পাচারের যে সব রুট রয়েছে, তার মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলা রয়েছে। এগুলোর সীমান্ত এলাকায় লোকজনের যাতায়াত বেশি হওয়ার কারণে স্বর্ণ পাচার বেশি হয়ে থাকে। সেই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন এই ৪ জনপ্রতিনিধি।
সংসদ সদস্য আনার হত্যাকান্ডের সমন্বয়কারি ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ প্রকাশ গ্যাসবাবু বলেছেন, আনার ছাড়াও সীমান্তে স্বর্ণ চোরাচালানে আরও ৪ সংসদ সদস্যের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে চোরাই স্বর্ণ দেশে এনে তা সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা ভারতে পাচার করে থাকেন। কেউ কেউ মায়ানমার সীমান্ত এলাকা দিয়েও পাচার করেন। মায়ানমার হয়ে স্বর্ণ যায় লাওস ও থাইল্যান্ডে। এই চার সংসদ সদস্যের সঙ্গে আনারের ঘনিষ্ঠতা ছিল। চোরাচালানে কোনো সমস্যা হলে তারা আনারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন।
তবে ৪ জেলার ৪ সংসদ সদস্য কীভাবে আনার হত্যায় পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে তা জানা যাবে মাস্টার মাইন্ড যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যাওয়া আখতারুজ্জামান শাহীনের স্বীকারোক্তির পর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে থেকে ৪ সংসদ সদস্যের সঙ্গে আনারের আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ বাধে। এতে তারা ৪ জন আনারের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন। সেটিই কাজে লাগিয়েছে ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু। সংসদ সদস্য হওয়ার উচ্চবিলাসী স্বপ্ন থেকে মিষ্টার ঝিনাইদহ খ্যাত মিন্টু যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারি ঠিকাদার আখতারুজ্জামান শাহীনের মাধ্যমে কাট আউট পদ্ধতিতে নীল নকশা করে আনারকে হত্যা করে। যদিও সাইদুল করিম মিন্টু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সাইদুল করিম মিন্টু ফেঁসে গেলে তার সঙ্গে অনেক জনপ্রতিনিধির নাম প্রকাশ হতে পারে। এই আশঙ্কা থেকে যে কোন উপায়ে মিন্টুকে এই মামলা থেকে রক্ষা করার জন্য চোরাচালান সংশ্লিষ্ট ৪ সংসদ সদস্য জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ঝিনাইদহ জেলা সদরে প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে সাইদুল করিম মিন্টুর মুক্তির দাবিতে মিছিল, সমাবেশ মানববন্ধন করছে। ধারাবাহিক ওই সমাবেশ থেকে সাইদুল করিম মিন্টুর রাজনৈতিক ইতিহাস তুলে ধরে বলা হচ্ছে জামায়াত- বিএনপিকে প্রতিরোধ করার মতো শক্তি মিন্টু ছাড়া অন্য কারও নেই।
ঝিনাইদহে এই রাজনৈতিক জুজুর ভয় দেখিয়ে সাইদুল করিম মিন্টুকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা এবং ঝিনাইদহ ৪ কালীগঞ্জ সংসদীয় আসন থেকে উপ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে পাঠাতে তৎপর রয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় ঝিনাইদহ জেলা ও কালীগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের মিন্টু গ্রুপ ভিতরে ভিতরে উপ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারাগার থেকে সাইদুল করিম মিন্টু সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। ঝিনাইদহ ৪ সংসদীয় আসন শুন্য ঘোষণা হওয়ার পরপরই মিন্টু উপ নির্বাচনে নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করবেন এবং দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। দলীয় মনোনয়ন না পেলে, নির্বাচনের আগে তিনি মুক্ত হতে না পারলে কারাগার থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নিবেন বলে মিন্টুর ঘনিষ্ঠ অনুসারিরা জানায়।
শামীমা চৌধুরী শাম্মী
বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর
ওহে সাংঘাতিক আপনার কাছে ওহি নাজিল হল কখন
সঠিক সঠিক খবর বলেছেন
খবর পড়ার ধরণটা বেশ ভালো। সাম্প্রতিক ওই ঘটনার বিশ্লেষণও যথার্থ বলে মনে হয়।
আমি অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে বলছি।
সঠিক সঠিক মিন্টু ছাড়া বিএনপির সামনে ঝিনাইদহ কে দাড়াবে
কতো নাটকীয় কথা আর শুনবো
❤❤❤Truly Fact and have to prohibit ❤❤❤❤
কালি গঞ্জের লোক ভোট দেবে তো
ফোন তিনটি হাওয়া হয়ে গেলো কোথায় ?
খোঁজ নিয়ে দেখেন
Good news
কালীগঞ্জের জনগণ মিন্টুর গোয়ার ভিতরে ভোট দিবে।
এটা কিন্তু সত্যি কথা,, ঝিনাইদহে মিন্টুর মতো আর অন্য কোনো আওয়ামিলীগ নেই,,
এই ওহি কবে নাযিল হলো?
Jhenaidah নাম টাই নোংরা করে দিয়েছে
Bncc দের কাছে এখনো শিশু ই
@@warrior...c....w... Ki comment a ki bolchen vai
@@ochenaojana9565 আপনার মাথায় মালটা বেশি ত তাই
@@ochenaojana9565 কিন্তু সত্য কথা বলেছি। প্রতিদিন অন্তত ডজন খানেক BNCC এর ন্যাক্কারজনক এবং ভয়ংকর নিউজ হয়ে থাকে
@@warrior...c....w... bncc mna bujhlam na vai
তবে সাইদুল করিম মিন্টু যে প্রতিহিংসার শিকার বাকি নেই জনগণের
😂😂😂😂😂😂
আর ও তথ্য বের করুন
Amon suarar bacchader o MP howar Shok !!
এই জন্য ই তো আনার কে খতম করে দিলো মিন্টু দাসে