ভারতের ফুরফুরা দরবার শরীফের জানা না জানা কথা |

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 5 лют 2025
  • আমাদের ভিডিও গুলো ভালো লাগলে tv19online চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। সর্বশেষ সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।
    #tv19online #tv19 #news #banglanews #onlinenews
    ভারতের ফুরফুরা দরবার শরীফের জানা না জানা কথা |
    ফুরফুরা দরবার শরিফ বা সিলসিলা-ই-ফুরফুরা শরীফ বা ফুরফুরা মাজার শরীফ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার একটি ইসলাম ধর্মীয় দরবার শরীফ ও আত্ন্যাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সাধারণ শ্রুতি রয়েছে, এটি রাজস্থানের আজমির শরীফের পরেই দেশের দ্বিতীয় সবচেয়ে সন্মানিত ও উল্লেখযোগ্য মাজার।এই মাজারটি হুগলি জেলার শ্রীরামপুর মহকুমার জাঙ্গিপাড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ফুরফুরা গ্রামে অবস্থিত। এই মাজার শরীফটি উপমহাদেশের মুসলিমদের নিকট পবিত্র ও সন্মানিত স্থান। ইসালে সওয়াব মাহফিলের সময়ে এটি প্রচুর সংখ্যক ধার্মিক মানুষদের আকৃষ্ট করে। এখানে কোন প্রকার শিরিক বেদআত হয় না। বিস্তারিত দেখুনশিরকী তরিকা ও ফুরফুরা সিলসিলা
    ১৯৬১ সালে হুগলি জেলার হাত বই (ইংরেজি: Hooghly district hand book) নামক গ্রন্থে ও ১৯৭২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার থেকে প্রকাশিত পশ্চিমবঙ্গ জেলা গ্যাজেটে (ইংরেজি: West Bengal district gazetters; Hooghly) by অমিয় কুমার বাগচী মুসলিমদের তীর্থস্থান নামে অভিহিত করেছ।
    ১৩৭৫ সালে মুকলিশ খানের নির্মিত মসজিদ কেন্দ্র করে এই দরবার শরীফের যাত্রা শুরু হয়। মৌখিক রীতি অনুসারে ১৩৫০ সালের দিকে বাগদি (বার্গা ক্ষত্রিয়) রাজা এখানে রাজত্ব করত। রাজত্বকালে শাহ কবির হালিবি ও করমুদ্দিন নামে দুই মুসলিম সৈন্য এই ক্ষত্রিয় রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে পরাজিত করে, উভয় দলনেতাই যুদ্ধে নিহত হয়েছিল। তাদের সমাধি হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের নিকট খুব পবিত্র বলে বিবেচিত হয়।
    পীর আবু বকর সিদ্দিকী ছিলেন একজন সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কারক, তাকে মোজাদ্দেদ জামান বা যুগের সমাজ সংস্কারক বলা হয়। তিনি দাতব্য প্রতিষ্ঠান, এতিমখানা, চিকিৎসা কেন্দ্র, মাদ্রাসা, বিদ্যালয় ও শিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি নারী শিক্ষায় অবদান রেখেছিলেন। তিনি সিদ্দিকা উচ্চ বিদ্যালয় নামে ফুরফুরা শরীফে মেয়েদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। সিদ্দিকী সামাজিক অপরাধ দূর করার লক্ষ্যে বহু সামাজিক কর্মকান্ডের সা জড়িত সাথে জড়িত ছিলেন, এসব কাজের মধ্যেই সমস্ত জীবন ব্যয় করেছেন।
    আবু বকর সিদ্দিকী একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ছিলেন, ফুরফুরা শরিফের মাদ্রাসা দরিদ্র ছাত্রদের তিনি বিনা মূল্যে বা অতি সামান্য মূল্যে বোর্ডিং সুবিধা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। তিনি অনেক ইসলামি পত্রিকা এবং সংবাদপত্রের পৃষ্ঠপোষকতাও করেছেন, পত্রিকাগুলোর মধ্যে সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা মুসলিম হিতৈষি অন্যতম। তার পরবর্তী পীর সন্তানেরা এসকল কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছিলেন। এছাড়াও আবু বকর একজন দেশপ্রেমিক ছিলেন, তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে বেগবান করতে সক্রিয় ছিলেন। তার ভক্তের পরিধি পশ্চিম বঙ্গ, বিহার আসাম, ও বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) জুড়ে ওঅছিলো, এসব একালায় মুসলিমদের বাইরেও তার ভক্ত ছিলো। তার এবং তার পরবর্তী পীরসমূহের কার্যক্রম বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী ও আলেম কর্তৃক প্রশংসিত হয়ে থাকে।
    পীরের তৈরিকৃত মাদ্রাসা একসময় পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বিদ্যাকেন্দ্রে পরিণত হয়, পূর্ববঙ্গের প্রসিদ্ধ ফরায়েজী আন্দোলনের প্রবর্তক হাজী শরীয়তুল্লাহ ফুরফুরাতে এসে আরবি ও ফার্সী ভাষা শিক্ষাগ্রহণ করেন।
    এই দরবারের সব কার্যক্রমের মধ্যে উরসের মেলা সবচেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণীয় বিষয়। এই মেলায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটে থাকে, মেলাটি ফুরফুরা শরীফের মেলা বা দাদাপীরের উরস উৎসবের মেলা নামে পরিচিত।[১২] তবে আবু বকর সিদ্দিকী এই ধর্মীয় সমাগমের নাম দিয়েছিলো ঈসালে সাওয়াব। প্রতিবছর বাংলা বর্ষপঞ্জির ফালগুন মাসের ২১, ২২ ও ২৩ তারিখে (ইংরেজি মার্চ মাসের ৫, ৬ ও ৭ তারিখ) এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই মেলা মূল পীরের নাতনীরা আয়োজন করে থাকে।
    এই সময় মেলায় মুরিদান গানের শিক্ষা চলে, মেলায় খেলাফত প্রাপ্ত আলেমগণ মুরিদদের দাদাপীরের সিলসিলা মতে ইসলামি জ্ঞানের দীক্ষা দান করেন। ফুরফুরা শরীফের মসজিদ প্রাঙ্গণে সন্ধ্যায় একসাথে কয়েক লক্ষ মানুষের উপস্থিতি হয়। উৎসবের দিনে পীরের মূল মাজার ও মেলার দেড়-মাইল দূর থেকে মানুষজনের ভিড় শুরু হয়। বিভিন্ন ধরনের দোকান, খাদ্যসামগ্রী, মাথার নক্সাদার টুপি, তসবী, চা-পান-মিষ্টির বাজার বসে। এই মেলা গ্রামের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভূমিকা রেখেছে।
    Anti-Piracy Warning:
    This content is copyrighted to tv19online. Any unauthorized reproduction, redistribution, or re-upload is strictly prohibited from this material. Legal action will be taken against those who violate the copyright of the following material presented.

КОМЕНТАРІ • 1