char kukri mukri চর কুকরী মুকরি

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 14 жов 2024
  • প্রকৃতি, গ্রাম, সবুজের সমারোহ, বিস্তৃত মাঠ,নানান প্রজাতির পশু পাখিদের অভয়ারণ্যে পরিবেস্টিত মেঘনা নদী আর বংগপসাগরের মিলবন্ধনের সমস্টি বাংলাদেশের দ্বীপ জেলা ভোলা,আজকের ভিডিওতে আপনাদের সামনে ভোলা জেলার দ্বীপ কন্যা চর কুকরী মুকরি ভ্রমণে আকর্ষণীয় স্থান, কিভাবে যাবেন,কোথায় থাকবেন,সম্ভাব্য খরচ,কখন যাবেন ইত্যাদি সম্পর্কে ক্ষুদ্র ধারণা দেবার চেস্টা করবো আমি মেরাজ। আসসালামু আলাইকুম প্রকৃতি প্রেমি যে কোন পর্যটকের কাছে ম্যনগ্রোভ বন, সাগর এবং বন্য প্রাণী নি:সন্দেহে উপভোগ্য। ধারনা করা হয় এই দ্বীপ টির উতপত্তি কয়েক শ বছর পুর্বে।ভোলা জেলার ভ্রমন গল্প শুরু এখান থেকেই,ভোলা যেতে সবচেয়ে সহজ যাতায়াত মাধ্যম নদী পথ, কেননা যাতায়াত খরচ ও শারীরিক কস্ট অনেকটা কম, তাই ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ভোলার বেতুয়া গামি উল্লেখযোগ্য এম ভি তাসরিফ, টিপু, কর্নফুলি, ফারহান, রাসেল ইত্যাদি এদের যে কোন একটি লঞ্চে উঠে পরুন। এইলঞ্চগুলা সাধারণত সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ৮ টার মধ্যে ঢাকা থেকে বেতুয়ার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।পোছায় সকাল ৬ টার মধ্যে।লঞ্চে যাতায়াতের জন্য ডেক থেকে শুরু করে ভি আইপি, সিংগেল,ডাবল কেবিন এর ব্যবস্থা আছে।জনপ্রতি ডেক ভাড়া ২০০-৪০০/-, সিংেল কেবিন ৮০০-১০০০/- ডাবল ১২০০-১৫০০ /- আর ভি আইপি কেবিন ৩-৫০০০ টাকা। রাতের খাবার লঞ্চের ভিতর পেয়ে যাবেন আর এ জন্য আপনাকে লঞ্চে উঠার পর অর্ডার করতে হবে।দাম জিজ্ঞেস করে নেওয়া ভালো। আমরা উঠেছিলাম কর্নফুলি ১১ তে কেবিন আর খাবার মান আলহামদুলিল্লাহ ভালই পেয়েছি।শুভ সকাল এখন ৫.৩০ মিনিট ভোরের আলো ফোটার মধ্যেই পৌছে গেছি বেতুয়া ঘাট। গত রাতে গল্প, আড্ডা আর ঘুম ভালই হয়েছে, এখন আমরা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় একটি অটো এখানকার ভাষায়,,,,বোরাক,, রিজার্ভ করেছি ৬০০/- অর্থাৎ জনপ্রতি ১০০/-চর কচ্ছপিয়ার উদ্দেশ্য। এছাড়াও আপ্নারা চাইলে একটু ভেংে যেতে পারেন প্রথমে চরফ্যাশন ১৫/- অটোতে তারপর সেখান থেকে বাসে করে ৫০/- টাকায় ১-১.৩০ ঘন্টার যার্নি শেষে পোছাবেন দক্ষিন আইচা তারপর অটো তে ১৫/২০ টাকায় যাবেন চর কচ্ছপিয়া, আমরা অটো সরাসরি রিজার্ভ করেছি চরকচ্ছপিয়া ঘাট, পথি মধ্যে আমরা সকলের নাস্তা করে নিব,এই হোটেল টির খাবার মান ভালই ছিল।পথে যেতে যেতে গ্রামীন সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করতে যাবেন।চর কচ্ছপিয়া ঘাটে ট্রলার আর স্পিড ভোট ভারা পাওয়া যায় যেতে হবে কুকরি,ট্রলার ছাড়ে প্রতি দিন ৯ টায় ও ১২ টায় জনপ্রতি ভাড়া ৭০ টাকা আর স্পিড ভোট যে কোন সময় ভাড়া ও কিছুটা বেশি।আমাদের যাত্রা স্পিডবোট করে ভাড়া পরেছে জনপ্রতি ২০০ টাকা করে আর ঘাট ভাড়া ১০ টাকা,আমরা এখন স্পিড ভোটে করে রওনা করব, কুক্রির উদ্দেশ্য, নদীতে চর আর দুই পাশের ম্যন গ্রোভ বন পাশ কাটিয়ে যখন আপনি ছুটে চলবেন তখন অনুভব করবেন স্বর্গীয় সুখ। সত্যিই ধারুন। ট্রলারে ১ ঘন্টা সময় লাগলে ও স্পিড বোটে এই যাত্রা মাত্র ১৫ মিনিটের। কিছুক্ষনের মধ্যেই আমরা পোছে যাই কুক্রি। ঘাটে নেমে পুর্ব থেকে রিজার্ভ করা হোটেলের উদ্দেশ্য রওনা হই।অটো তে করে ভাড়া জনপ্রতি ১০ টাকা। আপ্নারা চাইলে এখানে বহু হোম স্টে সার্ভিস আছে থাকতে পারেন ভাড়া পরবে ২০০-৫০০ টাকা । আমরা যে হোটেল বুকিং করেছিলাম আমাদের জনপ্রতি ভাড়া পরেছে ৫০০ /- পরিবেশ ও বেশ চমৎকার ছিল,এখানেই একটা ধারুন খাবার হোটেল রয়েছে আমাদের খাবার অর্ডার করতে হবে।এখন একটু ফ্রেশ হয়ে বের হব এখানকার সাইটসিং এ, নারিকেল বাগান,চর কুক্রি মুক্রির নিরব কোলাহল মুক্ত পরিবেশ দেখতে,পরিষ্কার পরিছন্ন বীচ। সারদিনের সাইট সিং এর জন্য একটা অটো ভাড়া করে নিয়েছিলাম ৬০০/- জনপ্রতি ১০০/-.এখানে অটো অর্থাৎ বোরাক ড্রাইভার রাই আপনার গাইড হিসেবে কাজ করবে। এছাড়াও ছোট শিশু কিশোর পাবেন যাদের ১০/২০ টাকা দিলে আপনাকে গাইডের সহায়তা করবে।এবার বলি এখানে আসার প্রকৃত সময় শীতকাল কেননা বর্ষায় চরের বেশি অংশ ডুবন্ত থাকে।জানুয়ারি থেকে মার্চ কুক্রি ভ্রমণের প্রকৃত সময়। তাই এই সময় টাকে চর কুকরী মুকরি আসার জন্য প্লান সেট করে নিতে পারেন।কুক্রির পিছনে রয়েছে বিস্তার বন আর সামনে আকুল দড়িয়া এখানে তাবু ক্যম্পিং এর ও সু ব্যবস্থা আছে।যাদের হাটার অভ্যাস নেই তারা এই ভ্রমনে না আসাই ভালো। ।কারন আপনাকে গভীর বিস্তৃত বনের ভিতর প্রায় ঘন্টা খানেক হাটতে হবে, কেননা অটো রাস্তা না থাকায় সম্পুর্ন বনের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে না।আমাদের তেমন ক্লান্ত লাগে নি কারন পাখির কিচির মিচির, গাছের ছায়া, গভীর বনের মধ্যে বন্য প্রাণী দের খোজ করতে করতে আমরা হাটছিলাম,ম্যনগ্রোভ বন পেরিয়ে কিছুক্ষন পর দেখা মেলবে ছোট একটা খেয়া ঘাট, পার হতে লাগে সময় লাগে ১ মিনিট কিন্তু ভাড়া জনপ্রতি ১০/-।তারপর অল্প হাটতেই দেখা মিলবে নারকেল বাগান ক্যম্পিং সাইট, অনন্য সুন্দর কুক্রি মুক্রির বিশাল চর।এখানে গোসল করতে পারবেন,খেলার জন্য ফুটবল আরামের জন্য দোলনা ভাড়া পাওয়া যায়। এখানকার মানুষের প্রধান পেশা মাছ ধরা আর কৃষিকাজ। চরের মধ্যে কিছুটা ঘুরাঘুরি শেষে আমরা আবার হোটেলে ফিরব।লাঞ্চ এর অর্ডার আমাদের হোটেলেই দিয়েছি এখানে খাবারের তেমন ভাল কিছু নাই।তাই দুপুরের খাবার হোটেলে সেরে বিকালে আবার বারকানিয়া ঝিকঝাক ওয়াকওয়ে,জিপ ট্রাকিং, স্পাইডার ট্র‍্যকিং ও ঝুলন্ত ব্রিজ ঘুরব, সন্ধ্যায় এখানে স্থানীয় বাজার আছে ঘুরে দেখতে পারেন।

КОМЕНТАРІ • 1