Відео

ওরে টাকায় শক্তি টাকায় ভক্তি,-টাকায় মহাবল। টাকা না থাকিলে পরে-সবই যে অচল। টাকায় মহাবল, ওরে টাকায় মহাবল। টাকা বাড়ায় মর্যাদা মান-মৃতজনে পাই ফিরে প্রাণ। ভজন পূজন বাড়ায় সে যে-জিনে ধরাতল। টাকায় মহাবল। টাকা এমন শক্তি ভাই। বৃষ্টি আনে ফসল ফলায়-মরু সাহারায়। এক নিমেষে বিশ্ব ভ্রমে-জিনে নভোতল। গৃষ্মকালে শীত আনেরে-শীতে আনে গৃষ্ম। এক নিমেষে ভূবন ঘুরে-ঘুরে সারা বিশ্ব। পলকেতে গড়ে প্রাসাদ-রচে বহুতল। টাকায় মহাবল।...

গৌরী এসেছে ঘরে মাগো-গৌরী এসেছে ঘরে। তোরা শঙ্খো বাজা, উড়িয়ে ধজা এবার তোরা উলু দেরে। গৌরী এসেছে ঘরে। মাতলো ভূবন্-মাতলো গগন্ মাতলো বনো তল। বাজলো বেণু ফুলের বনে,- সাজলো নভোতল। বিহ্বলতার অন্ধ মায়ায়,- থাকিস্ না আর দূরে-গৌরী এসেছে ঘরে। গৌরী এসেছে ঘরে মাগো-গৌরী এসেছে ঘরে। তোরা শঙ্খো বাজা, উড়িয়ে ধজা এবার তোরা উলু দেরে। গৌরী এসেছে ঘরে মাগো-গৌরী এসেছে ঘরে। মাতলো ভূবন্ মাতলো গগন, মাতলো বনো তল। বাজলো বেণু ফ...

আমরা এমনই শতোদল। হাসি খেলি মোরা, উদাস বাতাসে, নাশ্ করি ধরা তল্। আমরা অ্যামোনি শতোদল। হাসি খেলি মোরা, উদাস বাতাসে নাশ্ করি ধরা তল্। বন্ধো হয়নি আজো, সোতীদাহ প্রথা- পেয়েছে ভিন্ন রুপ্। মানুষ হ'য়ে মানুষেরে, মারি মোরা, থাকে যে আইন চুপ। বেহুলার ভ্যালা আজো ভেসে যায়- সহস্র তনয়া কাঁদে। নিজেরে লভিতে অপরে ঠকাই- গাঁটে কোড়ি শুধু বাঁধে। হৃদয় মোদের্ এতটাই পাষাণ, পাথর্ জগদ্দল। আমরা অ্যামোনি শতোদল। অনেক্ কলি ফুল...

ঝরো ঝরো-ঝর্ ঝরিছে আসার- মেঘো মালা যায় ভেসে ভেসে। বৃষ্টিস্নাত কুসুম কলি- মেতে উঠে উল্লাসে। মেতে উঠে হরষে। তৃষিতো নয়ন করিছে চয়ন- নবো কুসুমিত শ্যামল বেশ। প্রকৃতি যেনো সাজিলো আবার- মুছে গেলো যতো ঈর্ষাদ্বেষ। মেঘেরা বাঁধিলো চপল্ কেশ। তৃষিত হৃদয় সিক্ত হলো-পেলো যে চাতক জল্। উষর্ মরু উঠলো হেসে-পুলোকিত বনোতল্। ঝরো ঝরো-ঝর্ ঝরিছে আসার্ মেঘো মালা যায় ভেসে ভেসে। বৃষ্টিস্নাত কুসুম কলি- মেতে উঠে উল্লাসে। ছন্দে...

জীবন খাতার এই খানেতে, হলো যে মোর্ ইতি। শেষ পাতাটি হলো না শেষ শেষ হলো না গীতি। জীবন খাতার এই খানেতে...। ভুলে গেছে অচীন পাখী,-গায় না যে আর গান। বন্ ময়ূরী আর নাচে না-দিনের অবসান। হলো দিনের অবসান। ছুটো-ছুটি হলো বৃথা,-জীবন নদের তীরে। হারিয়ে যাওয়া দিন গুলো সব-আসবে না আর ফিরে। আসবে না আর ফিরে। ফোটে না আর ঝুমকো লতা, নয়নতারা ডালে। মৌমাছিরা আর আসে না- দ্যায় না না চুমু গালে। দ্যায় না চুমু ভালে। ভ্রমর্ ফু...

নাচে ভুবন-নাচে তপন-নাচে মম মন। দোলে সতো দল্ দিঘির জলে, নাচে তরু বন্। নাচে ভুবন। হৃদয় কুঞ্জে ভ্রমর গুন্ যে- গায় মধুকর গান । মনেরও মাধুরী মাধবী লতায়- করিছে রবি স্নান। নাচে ভুবন-নাচে তপন-নাচে মম মন। ডুবিছে ঊষা নামিছে নিশা, মেঘ বালিকা যায় ভেসে। রূপেরও লাবনী ছড়িয়ে পড়ে,-মেঘ বালিকার শুভরো কেশে। ভোর হয় যেথা পাখীর কূজনে- নামে যে রজনী বলাকার সনে । শান্ত স্নিগ্ধ মধুর আবেশে- মন্ হয় উচাটন। রূপালী প্রলেপ ঘাস...

মা-মা বলে কাঁদিস্ ক্যানো-ওরে বাছা ধন। তোর মা যে গেছে পাতালপুরে- ফিরবে না এখন।ফিরবে নারে মন। ফিরবে নারে মন। মা-মা বলে কাঁদিস্ ক্যানো। স্নেহের দুলাল ছিলি রে তুই-এই ধরনীর বুকে। কতই আদর পেতিস রে তুই- থাকৃক্তি মহাসুখে। ছিলিরে তুই মায়ের কাছে-সবার সেরা ধন, ছিলিই বড় ধন। ফিরবে নারে মন,-ফিরবে নারে মনু, ঘুমে অচেতন। আসতো ছুটে মা-মণি তোর, তোরই করুন ডাকে। দিতো সুধা প্রাণ ভরিয়ে-খেতিস্ মহাসুখে। জড়িয়ে নিতো বুকে...

ছন্দে ভরা জীবন খানি দন্দে ক্যানো ভরো। ও ভ্রমোরা গন্ধ-সুধা নিয়েই তুমি- ক্যানোই ঘুরে মরো। ছন্দে ভরা জীবন খানি। যে মরুতে ফোটে না ফুল-পাই না সোহাগ কভু। ক্যানোই তারে আঘাত করো, বারে বারেই তবু। চোখের জলে জীবনটা যার,-কাঁপেই থরো থরো। ও ভ্রমোরা ক্যানোই ঘুরে মরো। যে সাহারায় ফোটে না ফুল- ধরে না তো ফল্। হাসির ঊষা নেই মুখেতে- আঁখি ছলো ছল্। ব্যথিতো যার জীবনখানি,-ক্যানোই আঘাত্ করো। ক্যানোই ঘুরে মরো। ছন্দে ভরা ...

সময় যে মোর সাংগো হোলো। ওরে মন-যে যার এবার পস্রা তোলো। ছাড়তে হবে সাধের ভূবন্- যাও ভুলে যাও সকল আলো। সময় যে মোর সাংগো হোলো। যে পথ গেছে দূর-সুদূরে-সে পথ এবার চলো। এবার সেই পথেতে চলো। যে পথেতে নাহি ঝরে, কভূ চোখের জল্। যে পথেতে হার জিতেরই-নেই তো কোলাহল্ যে পথেতে নেই তো নিশি-নেই তো দিবস্ নেই তো ভোরের আলো। সে পথ এবার চলো। ওরে মাঝি টানরে আজি-থামিস্ না তুই আর্ দিতে হবে এবার পাড়ি-সাগোর কুলে পার্ যেথা নেই...

কাশেরা পাল্ তুলিলো-এলো যেই শরৎ দ্বারে। মনো বীণা উঠলো বেজে-নবো সুরে ঝংকারে। কাশেরা পাল্ তুলিলো-এলো যেই শরৎ দ্বারে। কি অপরূপ রূপের মাঝে-মেঘ হেঁটে যায় অম্বরে। পেলো যে শুভ্র ডানা- কোন্ মায়াবীর কোন্ পরশে। কোন্ ষোড়শীর, কোন্ আবেশে। দোদুল বায়ে দোলায় মাথা-উঠলো খুসীর ঢেউ। মনে যে হয় শালবনেতে শুকায় বেণী কেউ। ছায়া তরু দ্যাখে চেয়ে-হৃদয়ের বালুচরে। মনো বীণা উঠলো বেজে-নবো সুরে ঝংকারে। কাশেরা পাল্ তুলিলো-এলো যেই...

এ-যে কোন্ হরিনী- সাজিল গরবে আজ শ্যাম বনানী। এ-যে কোন্ হরিনী- শিফন বসন শীর্ণ কায়া- অংগে শোভিছে রুপেরও ছায়া, বাজিছে নূপুর পায়ে রিনি-ঝিনি। এ-যে কোন্ হরিনী- কবরী শোভিছে হলুদ ফুলে- শুক্লা তিথির চাঁদ্ কর্ণে দুলে- পরনে নীলাম্বরী-মরি-মরি, মনে হয় তারে যেন-দূরন্ত তরনী- এ-যে কোন্ হরিনী-সাজিলো গরবে আজ শ্যাম্ বনানী। এ-যে কোন্ হরিনী- চোখের কোনে কাজল রেখা- অংগে শোভিছে-যুঁই-যুথিকা- কেগো তুমি কোন্ মানিনী? বন ও ...

মেঘে মেঘে কাটলো গো দিন-ফুরিয়ে এলো বেলা, ও মাঝি হলো সময় বাড়ী ফেরার- ভেড়াও ঘাটে ভেলা। ফুরিয়ে এলো বেলা, সাংগো হলো বেচা কেনা- সাংগো হলো খেলা, মাঝ সাগরে ডুবলো ভানু-ফুরিয়ে এলো বেলা। ও মাঝি হলো সময় বাড়ী ফেরার- ভেড়াও ঘাটে ভেলা। ফুরিয়ে এলো বেলা, পোষচিমেতে ওই দেখা যায়-রকতো-রবি আলো- নিঠুর ধরা হেথায় যে আর বাসে না যে ভালো। পেলাম কতো ব্যথা হেথায়-পেলাম গণজোনা- পেলাম শুধু কাঁটার মালা-পেলাম বন্‌চোনা। আঁখি জলে ভ...

আবার হেরি যে গোমোতীর তীরে-কাশেদের মহামেলা। রয়েছো প্রিয় কেনো বসে হায়! ঘাটে বেঁধে রেখে ভেলা। গড়িয়া পড়িছে উপল খন্ড-জেলেরা ধরিছে মীন। মুখে হাসি নেই কেনো গো তোমার- কায়া কেনো এতো ক্ষীন। দোলা দিয়ে যায় বাউল বাতাস-করিছে বিহগ খেলা। আবার হেরি যে গোমোতীর তীরে-কাশেদের মহামেলা, রয়েছো প্রিয় কেনো বসে হায়! ঘাটে বেঁধে রেখে ভেলা। পল্লী-বধূ নামে যে জলে-কাঁখেতে কলস নিয়ে। শিয়রে তোমার ঝুমকো লতা-আবেশে আছে যে চেয়ে। তুফ...

তোর তিলোত্তমা মা যে কাঁদে- জল্ মুছাবি কে রে। আয় দিদি বোন, আয় রে ছুটে- কে কে আছিস ওরে। তোর তিলোত্তমা মা যে কাঁদে- জল্ মুছাবি কেরে। আদিম যুগের হিংস্রতা-বিরাজ করে যথা-তথা। রক্তো তিলক্ ভালে। কে ভাঁসালো আঁখি যে তোর কালের কপোল্ তলে। কে রোচিল করুন তিথি-বরবো রতার অন্ধকারে। জল্ মুছাবি কেরে? তোর তিলোত্তমা মা যে কাঁদে- জল্ মুছাবি কে রে। আদিম যুগের বর্ বরোতা- হয়নি আজো শেষ। এ করুন নির্মতায়-কাঁদে সারা দেশ। ক...