দাড়ি রাখার ফজিলত ও বৈজ্ঞানীক উপকারীতা-Islamic Bangla video 2021-Rakib Ahmaf Fahim-RULES OF ISLAM
Вставка
- Опубліковано 8 лют 2025
- দাড়ি রাখার ফজিলত ও বৈজ্ঞানীক উপকারীতা
Islamic Bangla video 2021
HOST-Rakib Ahmaf Fahim
RULES OF ISLAM
দাড়ির আরবি প্রতিশব্দ হচ্ছে লিহইয়াহ। এই শব্দটি ‘লাহি’ বা চোয়াল থেকে আগত। চোয়াল তথা গালে গজানো চুলকেই মূলত দাড়ি বলা হয়। নিচের ঠোঁটের নিচে, চিবুকে ও চোয়ালের নিচের অংশে উৎপন্ন চুলও এর অন্তর্ভুক্ত।
দাড়ি পুরুষদের মুখমন্ডলের একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ অংশ। গুরুত্ত্বপূর্ণ বলার কারণ হচ্ছে দাড়ি রাখা বা না রাখার ইসলামিক ও বৈজ্ঞানিক উপকারী ও ক্ষতিকর উভয় দিক রয়েছে। যা আজ আমরা আমাদের আলোচনায় তুলে ধরবো।
পুরুষদের মুখমন্ডলে দাড়ি রাখা মুসলিমদের এক গুরুত্বপূর্ণ চিন্হ যা তার মুসলমান হওয়ার পরিচয় বহন করে। দাড়ি রাখা ফরজ, ওয়াজিব নাকি শুধুই সুন্নাত তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) তার জীবনে যা করতেন অর্থাৎ তার কর্মপন্থাই মূলত সুন্নাত হিসেবে পরিগণিত। সেই দিক থেকে দাড়ি রাখা অবশ্যই সুন্নাত এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
পবিত্র কোরআন মাজীদে মহান আল্লাহ পাক বলেছেন যে-
‘বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহও তোমাদেরকে ভালোবাসেন এবং তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৩১)
হাদীস শরীফে হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলে পাক (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘দশটি বিষয় সকল নবী-রাসূলগণের সুন্নাত। তন্মধ্যে গোঁফ ছোট করা এবং দাড়ি লম্বা করা অন্যতম।’ (সহীহ মুসলিম শরীফ: ১/১২৯) এই আয়াত থেকে বোঝা যায় যে নবীর সুন্নাত হিসেবে দাড়ি রাখার গুরুত্ব অনেক।
আবার, দাড়ি রাখা যে ওয়াজিব সেই বিষয়েও অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই, কারণ পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন
‘আল্লাহ ও তার রাসূল কোনো কাজের আদেশ করলে কোনো ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ক্ষমতা নেই, যে আল্লাহ ও তার রাসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়।’ (সূরা আহজাব- আয়াত: ৩৬) এই আয়াতে রাসূলের কথার গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে।
আর দাড়ি রাখার বিষয়ে সহীহ হাদীসসমূহতে নবীজীর অনেকগুলো হাদীস বর্ণিত আছে। যেমন-
عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم « خَالِفُوا الْمُشْرِكِينَ أَحْفُوا الشَّوَارِبَ وَأَوْفُوا اللِّحَى
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর ( রা.) বর্ণনা করেছেন যে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মুশরিকদের বিরোধিতা করো, দাড়ি লম্বা কর, আর গোঁফ ছোট কর।’ (সহীহ বুখারী শরীফ- ২/৮৭৫, সহীহ মুসলিম: হাদীস নং ৬২৫)
সূরা নিসার ১১৫নং আয়াতে বলেন যদি কেউ রাসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে তাহলে তার জায়গা হবে জাহান্নাম।
(৫) দাড়ি মুসলিমদের কাফিরদের থেকে আলাদা হিসেবে চিন্হিত করে। তাই দাড়ি রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক কুফল ও কঠোর শাস্তি রয়েছে দাড়ি না রাখার। তাই অবশ্যই প্রত্যেক মুসলিমের উচিত ইসলামের বিধান অনুযায়ী দাড়ি রাখা।
ইসলাম ধর্মে দাড়ি রাখার অনেক ফজিলত বা উপকারীতা সম্পর্কে বর্ণিত আছে। নিচে সেগুলো তুলে ধরা হলো-
(১) দাড়ি রাখলে মহান আল্লাহ পাক ও তার রাসূল খুশি হন,
(২) দাড়ি রাখলে হাশরের ময়দানে শেষ বিচারের দিন নবীজির শাফায়াত লাভ হবে,
(৩) দাড়ি রাখলে সকল নবী-রাসূলগণের সাদৃশ্য গ্রহণ করা হয়,
(৪) দাড়ি রাখলে কবরের আজাব মাফ হয়ে যায়,
(৫) দাড়ি চেহারার সৌন্দর্য্য বাড়ায় ও বীরত্বের পরিচয় বহন করে,
(৬) কিয়ামতের দিন অন্ধকার সময়ে মুমিনের দাড়ি নূরে (আলোয়) পরিণত হবে,
(৭) ঈমান ও আমল ঠিক থাকলে দাড়িওয়ালা ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ এবং হাশর হবে নবী ও ওলীদের সঙ্গে,
(৮) দাড়ি একজন মুসলমানকে অনেক পাপ কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখে,
(৯) দাড়ি ইসলামী সভ্যতার ও মুসলমানের অন্যতম প্রতীক, দাড়ির মাধ্যমে একজন মুসলিমকে সহজে চেনা যায়,
(১০) দাড়ি রাখলে কবরে প্রশ্নকারী ফেরেশতা মুনকার-নাকীরের সওয়াল-জাওয়াব সহজ হয়,
ইসলামে দাড়ি রাখার প্রতি এত জোর দেয়ার কারণগুলো ওপরে কিছুটা বর্ণনা করা হয়েছে তবে এটা মানব মুখমন্ডলের জন্যেও উপকারী আর সেই বিষয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে দাড়ি নিয়ে গবেষণা চালানো হয় যার ফল প্রকাশিত হয় ‘জার্নাল অব হসপিটাল ইনফেকশনে’ নামে এক ম্যাগাজিনে। এই গবেষণায় বলা হয়েছে যে, দাড়িওয়ালাদের চেয়ে দাড়ি কামানো পুরুষদের ত্বকেই মেথিসিলিন-রেসিস্ট্যান্ট স্ট্যাফ অরিয়াস বলে যে জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সেটি ৩গুন বেশি মাত্রায় পাওয়া গেছে।
যার কারণ হিসেবে গবেষকরা বলছেন, দাড়ি কামাতে গিয়ে মুখের চামড়ায় যে ঘষা লাগে, তা ব্যাকটেরিয়ার বাসা বাঁধার জন্য আদর্শ পরিবেশ। অন্যদিকে দাড়ি ব্যাক্টেরিয়ার এই সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে।
লন্ডনের গবেষক ড: অ্যাডাম রবার্ট এক গবেষণায় দেখেছেন, দাড়িতে এমন কিছু ‘মাইক্রোব’ থাকে, যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
এগুলো ছাড়াও দাড়ির আরো কিছু উপকারী দিক রয়েছে সেগুলো হলো-
(১) দাড়ির অস্তিত্ব যৌন শক্তিকে বৃদ্ধি করে,
(২) লম্বা দাড়ি ক্ষতিকর জীবাণু থেকে আমাদের রক্ষা করে,
(৩) পাইরিয়ার মতো মারাত্বক রোগের জীবাণু থেকে মুক্তি পাওয়া যায়,
(৪) দাড়ি রাখলে অনর্থক সময় ও অর্থ অপচয় রোধ করা যায়,
(৫) শারীরিক সৌন্দর্য্য ও আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়,
(৬) দাড়িতে ক্ষুর বা ব্লেড ব্যবহারের কারণে চোখের জ্যোতি কমে যায় এবং মুখমন্ডলের চামড়া শক্ত হয়ে যায়। দাড়ি রেখে দিলে এসব ক্ষতিকর দিক থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
পরিশেষে বলা যায় যে, হাদীসে লূত সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ রয়েছে, যে সম্প্রদায়কে মহান আল্লাহ তায়ালা ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। আর এ ধ্বংসের পেছনে যে ১০টি কারণ ছিলো ‘দাড়ি না রাখা এবং গোফ বড় রাখা’ তাদের অন্যতম একটি কারণ ছিল।
তাই আমাদের উচিত ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এবং নিজের আখিরাতের কথা ভেবে দাড়ি রেখে দেয়া। কারণ ইসলাম ধর্মে দাড়ির রাখার গুরুত্ত্ব অনেক
Mashaallah subanahlla alhamdulliah ❤❤❤❤❤❤❤❤❤
Alhamdulilah ❤
মাশা-আল্লাহ।
অাল্লাহ সকলকে পালন করার তাওফিক দান করুক।
আমিন
جزاك الله خيرا
ধন্যবাদ হুজুর দাড়ি নিয়ে এত সুন্দর আলোচনা করার জন্য।
আলহামদুলিল্লাহ্
হুজুর আমি আগে দাড়ি ছোট করে কাটতাম, আমি এখন দাড়ি বড় করছি, তাই আমাকে অনেকেই জিজ্ঞেস করেন তুমি দাড়ি রাখছো কেন,, হুজুর একটা আমল শিখিয়ে দেন,, আমি জেন বলতে পারি, আমি আমার নবীর সুন্নত কেন রাখলাম।
বলবেন: যেন আমার নবীজীর সামনে উনার সুন্নতি চেহারা নিয়ে যেতে পারি!
❤❤
MashaAllah
আমিন
Assalamu Alaikum
2nd je ayat ti bollen tar reference dewya jabe ki?.
আমীন
আল্লাহ তায়ালা সবাইকে কবুল করুক
Dari rakha wajib.. Ei kotha ta poriskar vabe bola uchit chilo
Vaiya hadista banglai uccharon ekhane ektu likhe dinto jate amio sobar kache eta bolte pari.
Excellent,,
jazakAllah
আদান* একমাতাললা12*সুর40 আযাত
হুজুর আমি দেশের বাইরে থাকি ইউরোপে, এইখানে বর দাড়ি রাখলে কাজ পাওয়া যায় না, এই ক্ষেত্রে করনিও কি?
Europe County tek korun
Bai afnar Kota sotikna ami Italy ta taki Amar dari asa insallaha ☝️
আমার পরিস্থিতি অনেম হারাপ আমি কাজ করতে পারি না আমার কমড়ে অনেক সম্যসা আমি বিদেশে একটা কাজ পাইছি কিন্তু বিশয় হল আমাকে বলেছে আমার দাড়ি পালায়া দিতে হবে এখন আমার করনিয় কি দয়া করে আমাকে একটা পরামশ দিবেন আমি কি করতে পারি।
অগণিত হাদিস, নবী রাসূলদের অভ্যাস-আর্দশ এবং সাহাবাদের আমল দ্বারা এটা স্পষ্ট যে, দাড়ি রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ওয়াজিব এবং দাড়ি রাখতে হবে এক মুষ্টি পরিমাণ। এর চেয়ে কম হলে সেটা হবে মাকরুহে তাহরীমী। সুতরাং ভালো চাকরির করার জন্য কিংবা ভালো বেতনের জন্য দাড়ি কামানো জায়েজ হবে না। [ফাতওয়ায়ে রহীমিয়া ৬-২৪৭]
অধিকাংশ আলেমের মতে দাড়ি রাখা ওয়াজিব বা ফরজ। সুন্নাহ না।
ভাইজান
দাঁড়ি রাখা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাত, তবে আদায় করা ওয়াজিব
@@rakibahmadfahim2269 ভাই, রাসূল (সাঃ) এর সব কাজই সুন্নাহ। ওই দৃষ্টিতে দাড়ি রাখা সুন্নাহ। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয় দাড়ি রাখা সুন্নাহ কিনা? তখন উত্তর হবে ওয়াজিব।
দাড়ি রাখা ওয়াজিব এই কথাটাতোরএক বারও বলেন নি
ভাই দাড়ি রাখা সুন্নত না ওয়াজিব
ভাইজান
দাঁড়ি রাখা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাত, তবে আদায় করা ওয়াজিব
এককথা বার বার বলে ভিডিও বিরক্তিকর করে তুলেছেন। ভিডিও কিভাবে লম্বা করা যায় সেটা ভালোই জানেন।
১নং ভনডামী ঢাইকা রাখা যায় হুজুরগোমত !
Ek kotha bar bar bolen keno....
দাড়ি টুপি যে এক টা ব্যাবসা , এই মো্ল্লা কিন্তু ভালোই জানে?
ভাইজান
সুন্নাহ কখনো ব্যবসা নয়।
আল্লাহ তায়ালা সকলকে ইসলামের সঠিক জ্ঞান দান করুন।
Think e bolechen,
Islam e kono posak nei. Salin babe ja porben Tai Allah r kache ghohonjoggo. Hindi, shikh, yadodi Ära sobay e to dari rakhe. Tarao ki Muslim.
Don't write this kind of comments.....All are not equal
Fazilat bolen....bar bar baler ek kotha bolen....
আমিন
আলহামদুলিল্লাহ্
Alhamdulillah