আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত♥ আল্লাহ তাঁর জ্ঞান, দয়া, দৃষ্টি দ্বারা সৃষ্টির কাছাকাছি♥

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 6 жов 2024
  • আল্লাহ আছেন আসমানে আরশের ঊর্ধ্বে
    মহান আল্লাহ্‌ কোথায় আছেন?
    মহান আল্লাহ্‌ আছেন সাত আসমানের উর্ধে আরশে। তিনি বলেন "পরম দয়াময় আরশে সমুন্নত" (সুরা ত-হাঃ ৫)। তিনি স্রষ্টা, সৃষ্টি থেকে উর্ধে থাকেন। তবুও তিনি বান্দার নিকটবর্তী। তাঁর জ্ঞান ও দৃষ্টি সর্বত্র আছে। মুমিনের হৃদয়ে তাঁর যিকর বা স্মরণ থাকে।
    আল্লাহ্‌ তায়ালা আছেন আসমানে
    মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
    সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
    কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্‌র মতো।
    সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্‌র
    সকল ক্ষমতা ও সকল রাজত্ব,
    সুন্দর নাম, পূর্ণ গুণ একমাত্র আল্লাহ্‌র
    বিশুদ্ধ ও অবিভাজ্য তাঁরই একত্ব।
    আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’।
    আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী। পবিত্র কুরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। আল্লাহকে জানা সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
    আল্লাহ আছেন আসমানে আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত।
    কোরআন ও সহীহ হাদিস অনুযায়ী মহান আল্লাহ আছেন আরশে। কোরআন ও সহীহ হাদিসে আল্লাহর সিফাত বা গুনাবলীর যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তাতে ঈমান আনা ওয়াজিব। যেমন, আমরা জানি, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সবকিছু শোনেন ও দেখেন, তার মানে এই না যে, তাঁর শোনার যন্ত্র অর্থ্যাৎ কান ও দেখার যন্ত্র অর্থ্যাৎ চোখ আমাদেরই মতো। আল্লাহর সিফাত বা গুনাবলীর কান, চোখ, হাত যেভাবে কোরআন ও সহীহ হাদিসে আছে সেভাবেই স্বীকার ও বিশ্বাস করতে হবে। “আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান” আক্বিদা দুইটি জাতির মধ্যে বিদ্যমান, জাহমিয়া(ইসলামের একটি ভ্রান্ত দল) সম্প্রদায় ও হিন্দু সম্প্রদায়l দুনিয়াতে আল্লাহ নাই। তবে আল্লাহর ক্ষমতা, দয়া, জ্ঞান সর্বত্র বিরাজমান। গাছের একটি পাতায় ঝরে পড়ে না যা তাঁর জ্ঞানে নাই। তিনি সবকিছু দেখেন, শুনেন এবং জানেন। তবে তা আরশ থেকে যা সপ্ত আসমানের উপর অবস্থিত।
    মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্‌ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্বে-কর্তৃত্বে ও উপাস্যের অধিকারে এক, একমাত্র, অদ্বিতীয় ও অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ্‌ তায়ালা আসমানে আরশের ঊর্ধ্বে (সকল সৃষ্টি্র ঊর্ধ্বে) সমুন্নত আছেন। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এক, একমাত্র, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ , অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানুন কোরআন ও সহীহ হাদিসে বর্ণিত তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। আল্লাহ এক, তিনি সৃষ্টির উপরে গৌরবান্বিত। আল্লাহ তাঁর সাত আসমানের উপরে, তাঁর আরশের উপরে এবং তাঁর সৃষ্টিকুল থেকে বিচ্ছিন্ন এবং তাঁর সৃষ্টিকুল তাঁর থেকে বিচ্ছিন্ন। আল্লাহ তাঁর ‘আরশ (পরাক্রমশালী সিংহাসনের) ঊরধে সুউচ্চ। "আল্লাহ কোনো কিছুর সমতুল্য নন; আল্লাহ সকল সৃষ্টির উর্ধ্বে। আল্লাহর আরশ সাত আসমানের উপরে। তিনি সাত আসমান ও যমীন এবং এর মধ্যে যা কিছু আছে তা সৃষ্টি করেছেন। মহান আল্লাহ তাঁর মহান আরশের উরধে সমুন্নত। আল্লাহ্‌ বলেন, "আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামের পবিত্রতা বর্ণনা করুন আল-কুরআন 87:1
    আল্লাহ আছেন আসমানে মহান আরশের ঊর্ধ্বে
    কোরআনের অসংখ্য আয়াত উপরোক্ত কথাকেই সমর্থন করে।
    আল্লাহ বলেন,
    নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন। (সূরা আরাফ-৭:৫৪)
    ৭ম দলিলঃ
    সূরা বাকারা-২: ১৪৪ নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছšদ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর।
    এখানে নবীজি সাঃ মূলত বায়তুল্লাহ বা কাবাকেই কেবলা হিসেবে পাওয়ার আকাংখা করেছিলেন এবং সেই জন্যই তিনি বার বার আকাশের দিকে তাকাচ্ছিলেন যেন কাবাকে আল্লাহ কেবলা হিসেবে নির্ধারণ করে ওহী নাজিল করেন। আল্লাহ যদি সর্বত্র বিরাজমান হতেনই তবে নবীজি সাঃ কেন আসমানের দিকে তাকালেন? তিনি তো ডানে বায়েও তাকাতে পারতেন।
    ৮ম দলিলঃ
    ফেরেশতাগণ এবং রুহ আল্লাহ তায়ালার দিকে ঊর্ধ্বগামী হয়। (সূরা মায়ারিজ-৪)
    ৯ম দলিলঃ
    আল্লাহর দিকেই আরোহন করে উত্তম কথা এবং সৎকর্ম তাকে তুলে নেয়। (সূরা ফাতির-১০)
    ১০ দলিলঃ
    আল্লাহই ঊর্ধ্বদেশে আকাশমন্ডলী স্থাপন করেছেন স্তম্ভ ব্যতীত- তোমরা এটা দেখেছ। অতঃপর তিনি আরশে সমাসীন হলেন (অর্থ্যাৎ সপ্ত আসমানের উপরে আরশে সমাসীন হয়েছেন)। (সূরা রা’দ-১৩:২)
    ১১তম দলিলঃ
    স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বললেন, হে ঈসা! আমি তোমার কাল পূর্ণ করছি এবং আমার নিকট তোমাকে তুলে নিচ্ছি। (আল ইমরান-৩:৫৫)
    ১২তম দলিলঃ
    ফেরাউন নিজেকে আল্লাহ দাবী করেছিল। কাফের হওয়া সত্ত্বে সে মূসা আঃ এর কথা বিশ্বাস করে হামানকে বলেছিল,
    ফেরাউন বলল, হে হামান! তুমি আমার জন্য এক সুউচ্চ প্রাসাদ তৈরী কর, যাতে আমি অবলম্বন পাই আসমানে আরোহনের এবং আমি দেখতে পাই মূসা (আঃ) এর রব আল্লাহকে। (সূরা মুমিন-৪০:৩৭-৩৮)
    এতেই বুঝা যায় মুসা আঃ আল্লাহর ঠিকানা দিয়েছেন আরশের। আল্লাহ যদি সর্বত্র হতেন তবে ফেরআউন কোন কারণে হামান কে সুউচ্চ প্রাসাদ বানানোর নির্দেশ দিবে?
    আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিথ, তিনি বলেন রাসূল (সাঃ) বলেছেন প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে মহান আল্লাহর দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আছ যে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দিব। কে আছ যে আমার কাছে কিছু চাইবে? আমি তাকে তা দান করব। কে আছ যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। (বুখারী হা/১১৪৫, হা/৬৯৮৬ (ইফা) মুসলিম হা/৭৫৮, আবু দাউদ হা/১৩১৫, ইবনে মাজাহ হা/১৩৬৬, মিশকাত হা/১২২৩, সালাত অধ্যায়, তাহাজ্জুদের প্রতি উৎসাহিতকরণ অনুচ্ছেদ)।
    কোরআন আল্লাহর বাণী। মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এবং এর প্রচার ও প্রসার করা

КОМЕНТАРІ •