বাবা, জানার তো শেষ নেই, অনেক কিছুই জানতামনা, কিন্তু তুমি এতো সুন্দর করে clarification দিচ্ছ,, তাতে আমার মতো অন্ধ এর চোখ খুলে যাচ্ছে। এই ভাবে তুমি আমাদের এগিয়ে নিয়ে চলো। ভগবতী তোমাকে সুস্থ ও শান্তিতে রাখুক এই কামনা করি। জয় মা। 🙏🙏🙏🪷🪷🪷
#নিত্য উৎসব দাদা নমস্কার, একটি প্রশ্ন আলোচনা করা জরুরি, দূর্গা পূজার দ্রব্যাদি র মধ্যে একটি প্রচলিত উপাদান হিসেবে পরিচিত " বেশ্যা দ্বার মৃত্তিকা " সেটা কি ঠিক নাকি ওটা " ব্যাস দ্বার" মৃত্তিকা হওয়া উচিত, একটু বিস্তারিত বিবরণ জানাবেন নমস্কার
দাদা আপনাকে আমার সশ্রদ্ধ প্রনাম🙏 আপনার থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছি,,খুব উপকৃত হলাম।। আমার একটি প্রশ্ন ছিল, ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত কি প্রত্যহ সম্পূর্ণ চন্ডী পাঠ করতে হবে, নাকি চারদিনে অধ্যায় ভাগ ভাগ করে পাঠ করা যায়? যদিও আপনি এটা গত ভিডিও তে বলেছেন,,কিন্তু আমি ভালো ভাবে বিষয়টা বুঝতে পারছি না,,যদি কৃপা করে একটু বুঝিয়ে বলেন তাহলে ভালো হতো।। আর সামনে তো মনসা পুজা, তাই নেক্সট যদি মনসা পুজা নিয়ে একটু আলোচনা করতেন তাহলে খুবই উপকৃত হতাম। দাদা,মনসা পুজা নিয়ে একটু কথা বলার জন্য আপনার প্রতি আমার রিকোয়েস্ট থাকলো।। প্লিজ দাদা 🙏 জয় মা,,আপনার উপর মায়ের অকপট কৃপা বর্ষিত হোক❤️
Namaskar sir Mahapuja te pratyak din mahasnan,puja,balidan,homa kora sombhob hote pare na tai mahasnan ar puja saptami theke navami paryanta hoe kintu balidan sandhi te ar navami te diya hoe amader bari te ar homa sudhu navami te hoe tobe ki ake mahapuja bola jabe na sudhu pujo bola hobe. Ar chandipath kora sombhob hote pare na tai kora hoe na se ki thik ache ? Daya kore uttar deben
আমাদের কৃষ্ণনবম্যাদি কল্পারম্ভ এ বোধন হয়।এই বার তো প্রাচীন পঞ্জিকা মতে এ আদ্রা নক্ষত্রে বিকালে বোধন হচ্ছে।কিন্তু নবমী তো তারপর দিনও আছে।সেই ক্ষেত্রে কেনো আগের দিন বোধন হচ্ছে।কেনো তারপর দিন পূর্বাহ্ন মধ্যে করা যাবে না?একটু যদি বুঝিয়ে বলেন উপকৃত হবো।নমস্কার নেবেন।
প্রতিষ্ঠিত দুর্গা দেবী থাকলে যদি বোধনের প্রয়োজন না হয় তবে সেক্ষেত্রে ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় বেলতলায় নবপত্রিকার অধিবাস কেমন করে হবে আর সপ্তমীর সকালে বেল ডাল ছেদন কেমন করে হবে??
Dada onek onek dhonnobad Ma apnar onek mongol koruk ami amai sonkolpo na kore chodi pather jai bidhan ta dilen setai boro upokar holo ar akta kotha dada dada ma ke jokhon surjo uthar 1hr 36min purbe mongol aroti korbo tokhon gondho puspo diye pujo kore ki chondi path kora jabe ai pujo ta kothai hobe kolparomver ghote na ki mool devighote ai bar bodhon ki sostir sondhai kora jabe tobe please tar sonkolpo bakko ta ki hobe. please
Amader barite guptopress follow kore pujo hoto kintu ai baar theke amra bisuddho sidhant panjika te switch korchi tai onek confusion. 12 october toh navomi puja ar hom hobe?
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে ছয়দিন যাবৎ পূজা হবে। ৮ই অক্টোবর সন্ধ্যাকালে দেবীর বোধন ৯ই অক্টোবর সন্ধ্যাকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস ১০ই অক্টোবর সপ্তমীকৃত্য ১১ই অক্টোবর মহাষ্টমীকৃত্য ১২ই অক্টোবর মহানবমীকৃত্য, সকাল ১১টা মধ্যে পূজা বলিদান হোম সম্পন্ন করে দক্ষিণান্ত কর্তব্য। ১৩ই অক্টোবর বিজয়াকৃত্য
দয়া করে উত্তর টি দেবেন যদি অসমর্থে মাকে ভোগ হিসেবে চিড়ে কলা, দই ইত্যাদি দেয়া হয় তাহলে শাস্ত্রগত কোন সমস্যা আছে কি, সেক্ষেত্রে চিড়ে ইত্যাদি কটা ভাগে দিতে হবে থালাতে মানে ভোগে যেমন পাঁচভাগে বা আটভাগে থালায় সাজিয়ে হয় চিড়ের ক্ষেত্রেও কি তাই হবে
আমার নমস্কার নেবেন। আমার প্রশ্ন হলো সন্ধিপূজা সম্পন্ন করে কালবেলানুরোধে সকাল ৮:৩০ টার মধ্যে নবমী পূজা সম্পন্ন করতে হবে। এটা খুবই কম সময়, তাই বেলা ১১:২৪ মিনিট পর পূজা শুরু করে ২:৩০ মধ্যে শেষ করে পুষ্পাঞ্জলি সহ, এরপর শ্রীশ্রী চণ্ডী পাঠ সম্পন্ন করে তার পরে (৪:৩০ টার দিকে) কি হোম করা যাবে? যেহেতু পূর্ণাহুতি হয়ে গেলে মহা পূজা শেষ হয়ে যায়। এ বিষয়ে আলোকপাত করলে ভালো হয়।
অনেক কিছুই জানতে পারলাম যা আগে জানতাম না। প্রশ্ন ছিলো যে মহাস্নান প্রতিমা তে করানো যায় কিন্তু আমার যে দেবী প্রতিমা ওটা খুব বড়ো আর শৃঙ্গার ইত্যাদি হয়ে যাওয়ার পর নিত্য মহা স্নান করানো সম্ভব হয়ে না যদি একটি ছোট্ট দেবীর প্রতিমার ওপর সম্পূর্ণ মহাস্নান করিয়ে মহাপূজা করা যায় এটা শাস্ত্রীয় হবে ??
ধন্যবাদ। তবে কিছু যুক্তি বা সাধারণ বুদ্ধিতে যেগুলো বুঝতে পেরেছি সেটি বলছি। ঠিক ভুল যেটাই হবে সেটা অবশ্যই জানাবেন আপনার পরবর্তী ভিডিও তে। আমাকে ভেঙে ভেঙে কমেন্টস করতে হবে কারণ একবারে সবটা পোস্ট করা যাচ্ছে না। কদলী বৃক্ষে দেবী ব্রহ্মানি। যদিও ব্রহ্মানি ও সরস্বতী তত্ব সম্পূর্ণ এক না কিন্তু এই ক্ষেত্রে যদি দুজনকে জ্ঞান শক্তি ধরে নেওয়া হয়, তবে একটা ব্যাখ্যা এই যে আমাদের যা জ্ঞান আছে তার সবই useful, এমন নয় এই জ্ঞানটা কাজের ওই জ্ঞান টা নয়। ঠিক সেভাবেই কলা গাছের প্রত্যেকটি অংশই কিন্তু আমাদের কাজে লাগে। কোনোটাইই ফেলে দেওয়া যায়না। সেই দৃষ্টিতে দেখতে গেলে বলা যেতেই পারে যে, আমাদের ঋষিদের দৃষ্টিতে কলাগাছের অধিষ্ঠাত্রী হিসাবে দেবী ব্রহ্মাণীকে তাঁরা কল্পনা করেছেন। ধান গাছে দেবী লক্ষী। ধানের সঙ্গে লক্ষীর সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজন নেই। আমরা অবগত। তিনি শস্যের দেবী এবং আমাদের বাংলায় নতুন ধান উঠলেই তাকে লক্ষ্মী রূপে পূজা করা হয় গ্রামবাংলাতে। নবান্ন, ভাদ্রলক্ষ্মী, পৌষলক্ষ্মী, ইত্যাদি।
হরিদ্রা গাছে দুর্গা। ভারতের বহু জায়গায় দেবী দুর্গাকে হলুদ কুমকুম দিয়ে পুজো করা হয়ে। আসলে হলুদ হলো anti-infectant কিংবা এটাও বলা যায় যে হলুদ এক প্রকার ঔষধী। আয়ুর্বেদে এর গুণ পরিসীম। আমরা গত করোনাকালে এমন কেউ হয়ত ছিলাম না যিনি হলুদ খাননি। দেবীকে হলুদ নিবেদন করা হতো এই কারণে যে দেবী যেমন অসুরদের সংহার করেন যেমন হলুদও শরীরে সকল রোগ নিরাময়ে করে। আরেকটু ভালো ভাবে সহজভাবে বললে, বিষয়টা পরিস্কার হবে। হলুদ হলো অ্যান্টিবায়োটিকের মতো। অসুখ সারাতে কাজ করে। আধ্যাত্মিক পথের অসুখ হলো ষড়রিপু রূপী অসুর। সেই অসুর বধ করছেন দুর্গা। এরফলে এই ষড়রিপু অসুর রূপী রোগ থেকে মুক্ত হলে আমরা ঈশ্বরকে বা আধ্যাত্মিক পথে দ্রুত অগ্রসর হতে পারব। তাই হরিদ্রায় দুর্গা। বেল গাছে দেবী শিবা মতান্তরে দেবী মাহেশ্বরী। এই ক্ষেত্রে একটু সিম্পল ভাবে ভাবলে ভালো হয়। বেল গাছ মানেইই শিব। সেই গাছ এর সঙ্গে দেবীর শিব সাদৃশ্য রূপকে যদি জোড়া হয়, সেটা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। শিবার রূপ বর্ণনা আমরা জানি মহাদেবের ন্যায়ই। তিনিও জটাজুটধারিণী, রুদ্রাক্ষের মালা পরিহিতা, ব্যাঘ্রচর্ম পরিহিতা দ্বিভূজা, শিরে অর্ধচন্দ্র। তাই এটা একটা কারণ হতে পারে। অথবা এই ক্ষেত্রে আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে এটা বলা যায় যে বেল গাছের দেবতাকে শিব মেনে নেওয়ায় দেবী শিবাকে তাঁর শক্তি হিসেবে বেল গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা রূপে কল্পনা করা হয়েছে।
কঁচু তে কালী বা মানকচুতে চামুণ্ডার অবস্থান বেশ interesting। কঁচু বৃক্ষে কালী। অনেক জাতি উপজাতিরা ভাবে যে কঁচু বা taro tree হল মানব জাতির চেয়েও প্রাচীন। এবারে এইটা বুঝলেই বোধগম্য হয় কেন কঁচুর সাথে আদিভূতা সনাতনী কালী কে যুক্ত করা হয়েছে! এছাড়াও কচু বা মানকচু অতন্ত্য উপকারী। আপনার শরীরের রোগ প্রথিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরের রক্ষা ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। কেন তাহলে রক্ষাকারিনী কালী এলেন এই ক্ষেত্রে তাহলে বোঝা যায়। আরও বিস্তৃতভাবে যদি একটু গভীর ভাবে দেখা যায় তবে বিষয়টা এইরকম - কচুর বা মানকচুর অনেক উপকারী গুণ থাকলেও গলা চুলকানির ভয়ে অনেকেই কচু জাতকে এড়িয়ে যায়। আর এই গলা বা বাক্ যন্ত্রই হলো কথা বলার জায়গা। মানে বাক শক্তি। দেবী কালীর বর্তমান যে রূপ তার সঙ্গে কালীর ধ্যান মন্ত্রের কোনো মিল নেই। যদি প্রথম লাইনটাই দেখি ধ্যানের সেটা দেখলে বুঝতে পারব যে, তিনি কতটা ভয়াল ভয়ঙ্কর। এবং একই সাথে তিনি বরাভয় দায়িনীও বটে। আবার এই কালীর গলাতেই বর্ণ রূপী ৫০টি মুণ্ডের মালা আছে। অর্থাৎ যারা ভয় ভয় কচুকে এড়িয়ে চলে তারা আসলে অজ্ঞানী। কিন্তু যদি কেউ সঠিক পদ্ধতিতে যত্ন সহকারে একে রান্না করেন তবে স্বাদের তুলনা নেই সে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ঠিক তেমনি যারা ভালোবেসে ভগবতী কালীকে আপন করে নেন তারা শত মূর্খ্য হয়ে অক্ষর জ্ঞান না থাকলেও ব্রহ্মবিদ মহাপুরুষ। ভয়াল রূপকে দেখে ভয় পেলে হবে না, মা বলে কাছে যেতেই হবে। তিনি পরীক্ষা নেবেন। অনেকটা ওই কচু কেটে যখন জল দিয়ে ধূতে যাই তখন হাত চুলকায়। যদি একটু নুন দিয়ে দি তখন আর সেই ভয় থাকে না। ঠিক তেমনি ভগবতী আদ্যাশক্তি কালীকা প্রথমে একটু পরীক্ষা নেন, পরে পাস করলেই সব মুশকিল আসান। অমৃতের স্বাদ। অশোক বৃক্ষে শোকরোহিতা। একটু confusing. দেবী শোকরোহিতা কে আমরা প্রায় দেবী বিপদতারিনীর সঙ্গে একাকীকরণ করি। ধরে নিলাম ইনারা এক মূর্তি। এই ক্ষেত্রে অশোক গাছের মানে বোঝা প্রয়োজন। অশোক অর্থাৎ শোকহীন। অশোক গাছকে কাম দেবের গাছ ও বলা হয়ে। সকল কামনা বাসনার প্রতীক। দেবী শোকরোহিতার নামের সাথেই আমরা দেবীর পরিচয় পাই। তিনি সকল শোক দূর করেন। কামনা পূর্ণ করেন। বিপদ থেকে রক্ষা করেন। এমনকি অশোক গাছের ফুল স্ত্রীদের অনিয়মিত ঋতু চক্রের ওষুধ হিসাবেও আয়ুর্বেদে আছে। এই সকল শোক থেকে মুক্তি দিতেই দেবী শোকরোহিতার অধিষ্ঠান।
ডালিম বৃক্ষে রক্তদন্তিকা। দেবীকে এখানে তাঁর ধ্যান মন্ত্রেই বলা হচ্ছে ডালিম্ব ন্যায় তাঁর দন্ত রক্তবর্ণ। এটা সব থেকে সহজ ব্যাখ্যা। তবে ফল এর মধ্যে ডালিম এর গুণ বিশাল। ডালিম রক্ত বৃদ্ধি করে। দেবী আমাদের শরীরের সকল অশুদ্ধ রক্ত শোধিত করে শুদ্ধ রক্ত প্রদান করছেন। এই অশুদ্ধ রক্ত হলো অসুর। চণ্ডীতেই পাই তিনি রক্তবীজের অশুদ্ধ রক্ত পান করে রক্ত শূণ্য করে নিধন করেছিলেন।এই ডালিম ফলও রক্তের বৃদ্ধি কারক। এই সকল কারণে রক্তদন্তিকা ও ডালিম কে এক রূপে কল্পনা করা হয়েছে। শেষে বলি জয়ন্তী গাছ। এর রস থেকে কীটনাশক উপাদান পাওয়া যায়। বীজ এবং শিকড় থেকে যে উপাদান তৈরী হয়ে তা দিয়ে বিষক্ষয় হয়। এই পাতা বেটে যে রস যে পাওয়া যায় সেই দিয়ে cyst goitre বিছের কামড় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এবং যদি নামটা লক্ষ্য করি, জয়ন্ত, স্ত্রী লিঙ্গে জয়ন্তী। অর্থাৎ জয় + অন্ত। ব্যাখ্যা করলে দাঁড়ায় অন্তে জয় যার তিনিই জয়ন্ত বা জয়ন্তী। এর অধিষ্ঠাত্রী হলে দেবী কার্তিকী, অর্থাৎ দেবসেনাপতি কার্তিকের শক্তি। দেবতার সেনাপ্রধান বা সেনাপতি, যিনি অশুভ বা অসুরদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ যুদ্ধ করার পরে শেষে বা অন্তে জয়যুক্ত তিনিই হবেন। তাই জয়ন্তী অধিষ্ঠাত্রী দেবী কার্তিকী।
আচ্ছা একটু এই ভাবে ভাবা যায় যদি, প্রকৃতি রূপী মা নবপত্রিকাকে যদি আমাদের দেহের নবদ্বার রূপে কল্পনা করা হয়! আমরা যখন আচমন করি, তখন আমরা এই নবদ্বারকেই গঙ্গাজল স্পর্শে শুদ্ধ করি। কারণ এই নবদ্বারেই যত আমাদের জাগতিক আয় ব্যয়ের হিসাব হয়। মুখ, দুই নাসা, দুই চোখ, দুই কান, লিঙ্গ এবং পায়ুদ্বার। এই হলো নবদ্বার। এর মাধ্যমেই আমাদের চাওয়া পাওয়া, বাসনা, কামনা, লোভ, রাগ, দুঃখ সব কিছুর প্রকাশ পায়। এই নবদ্বারের প্রতীকি হিসাবে নয়টি পত্রিকা এবং তার নয়জন অধিষ্ঠাত্রী দেবতা। এনারা আমাদের এই নবদ্বারকে শুদ্ধ, সংস্কৃত, এবং সংযমের কার্য করে থাকেন। তাই এই নবপত্রিকা বাসিনী দুর্গার অর্চনা করা মানে আমাদের জাগতিক চাওয়া পাওয়া গুলো ফেলে রেখে ভগবৎ সাধনায় উন্নিত হওয়ার প্রক্রিয়া। এই পত্রিকা হলো মাতৃ স্বরূপা। নয়দ্বার উহারও আছে। এছাড়াও একজন স্ত্রীলোকের লিঙ্গাত্মক যে অঙ্গ তাও এতে কল্পিত হয়েছে ঋষিদের দৃষ্টিতে। জোড়া বেলফলকে কল্পনা করা হচ্ছে দেবীর পয়োকুম্ভ স্বরূপ স্তনদ্বয়। এখন এত ফল থাকতে বেলফলকেই কেন কল্পনা করা হলো? প্রশ্ন হতেই পারে।
একটি বেলফলের বাইরের এবং ভিতরের গঠনটা। বাইরের গঠনে বৃন্ত, একটি আকার, এবং বৃন্তের অপর দিকে একটি মুখ রয়েছে। এই মুখটিই এখানে স্তনবৃন্ত বা স্তনছিদ্র। যা থেকে পয়োধারা নিসৃত হয়। এখানে আরও একটি বিষয়, বেলফলের আকারের কিন্তু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। এবার ভিতরের গঠনটি লক্ষ্য করুন, অসংখ্য জালিকা সহ কিছু শাঁসাল বা মাংসালো অংশ। ঠিক তেমনি স্তনাভ্যন্তরেও কিন্তু কোনো হাড় নেই। অসংখ্য জালিকা সহ মাংস পিণ্ড। এইভাবে যদি বোঝা যায় তবে ঋষিদের দূরদৃষ্টির সত্যিই প্রসংশা করতে হয়। তাঁরা যে কত গভীর চিন্তা করতে পারতেন এবং প্রকৃতির এক একটি উপাদানকে আমাদের সঙ্গে যোগ করতে পারতেন তা স্পষ্টতই স্পষ্ট। এছাড়াও আরও একটি মত হলো, বেলফলকে শ্রীফল বলা হয়, কারণ দেবী লক্ষ্মীর স্তনযুগলের সহিত উহা তুলনীয়। এই গল্প আমরা কম বেশি সকলেই জানি। সেই গল্পে গেলাম না। কিন্তু বিষয়টি হলো ঋষিদের দূরদৃষ্টি, সেটা কোনো কাহিনী হোক বা প্রাকৃতিক উপাদানেই হোক, যুক্তিসঙ্গত উপস্থাপনা এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। এছাড়াও রইল যোনী। উঠাও কল্পিত। বেলপাতাকেই যোনী রূপ কল্পনা করা হয়ে থাকে। আর নবপত্রিকার একটি পত্রিকা বেলশাখা রয়েছে। এছাড়াও শ্বেত অপরাজিতা লতা এবং লালসূত্র দিয়ে সম্পূর্ণ পত্রিকাকে বাঁধা হয়। আমার ভাবনায় বা ব্যাখ্যায় বলে উহা আমাদের শরীরের রক্ত প্রবাহের নার্ভ সিস্টেম। এবং শ্বেত ও রক্ত কণিকার সিম্বলিজম বললেও ভুল হবে না আশা করি। এবং সমস্ত পত্রিকাকে কলাগাছের বাকল বা পেটো দ্বারা বাঁধা হয়, ওটি বলতেই পারি শরীরের ত্বক। এবং এই হলো সম্পূর্ণ স্ত্রী শরীর। এরপর এটি এইরূপে কল্পনা করে পূজক বা সাধক তৈরি করবেন এবং মাতৃরূপে আরাধনা করবেন। তাহলে দাঁড়ালো এই যে, আমি আমার নবদ্বারকে সংযত করে সাধনার পথে উন্নিত করার প্রয়াস এবং আমাদের কুণ্ডলিনীকে জাগ্রত করার প্রয়াসই হলো পত্রিকা আরাধনার মূখ্য উদ্দেশ্য। ঠিক ভুল বিচার আমাদের উপর ছেড়ে দিয়ে আজকের আলোচনা শেষ করলাম।
Namaskar sir Mahapuja te pratyak din mahasnan,puja,balidan,homa kora sombhob hote pare na tai mahasnan ar puja saptami theke navami paryanta hoe kintu balidan sandhi te ar navami te diya hoe amader bari te ar homa sudhu navami te hoe tobe ki ake mahapuja bola jabe na sudhu pujo bola hobe. Ar chandipath kora sombhob hote pare na tai kora hoe na se ki thik ache ? Daya kore uttar deben
বাবা, জানার তো শেষ নেই, অনেক কিছুই জানতামনা, কিন্তু তুমি এতো সুন্দর করে clarification দিচ্ছ,, তাতে আমার মতো অন্ধ এর চোখ খুলে যাচ্ছে। এই ভাবে তুমি আমাদের এগিয়ে নিয়ে চলো। ভগবতী তোমাকে সুস্থ ও শান্তিতে রাখুক এই কামনা করি। জয় মা। 🙏🙏🙏🪷🪷🪷
আপনাকে আবার জানাই ভক্তিপূর্ণ প্রণাম 🙏 আপনার দেওয়া উত্তর লাভে অধিক পরিমাণে সমৃদ্ধ হলাম।সব অনুষ্ঠান দেখি। জগৎ জননী আপনার মঙ্গল করুন 🙏
#নিত্য উৎসব দাদা নমস্কার, একটি প্রশ্ন আলোচনা করা জরুরি,
দূর্গা পূজার দ্রব্যাদি র মধ্যে একটি প্রচলিত উপাদান হিসেবে পরিচিত " বেশ্যা দ্বার মৃত্তিকা " সেটা কি ঠিক নাকি ওটা " ব্যাস দ্বার" মৃত্তিকা হওয়া উচিত,
একটু বিস্তারিত বিবরণ জানাবেন
নমস্কার
Apnar uttor gulo onek practical. Onek pujjo pandit ra ge bidhan dichhen tate Puja kara asombhov.
দাদা আপনাকে আমার সশ্রদ্ধ প্রনাম🙏
আপনার থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছি,,খুব উপকৃত হলাম।।
আমার একটি প্রশ্ন ছিল, ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত কি প্রত্যহ সম্পূর্ণ চন্ডী পাঠ করতে হবে, নাকি চারদিনে অধ্যায় ভাগ ভাগ করে পাঠ করা যায়? যদিও আপনি এটা গত ভিডিও তে বলেছেন,,কিন্তু আমি ভালো ভাবে বিষয়টা বুঝতে পারছি না,,যদি কৃপা করে একটু বুঝিয়ে বলেন তাহলে ভালো হতো।।
আর সামনে তো মনসা পুজা, তাই নেক্সট যদি মনসা পুজা নিয়ে একটু আলোচনা করতেন তাহলে খুবই উপকৃত হতাম।
দাদা,মনসা পুজা নিয়ে একটু কথা বলার জন্য আপনার প্রতি আমার রিকোয়েস্ট থাকলো।। প্লিজ দাদা 🙏
জয় মা,,আপনার উপর মায়ের অকপট কৃপা বর্ষিত হোক❤️
সপতমীর-বলিটা-কখন-হবে-একটু-বলবেন।
দূর্গাপুজার মঙ্গল আরতির বিধান কি কখন করবো
Namaskar sir Mahapuja te pratyak din mahasnan,puja,balidan,homa kora sombhob hote pare na tai mahasnan ar puja saptami theke navami paryanta hoe kintu balidan sandhi te ar navami te diya hoe amader bari te ar homa sudhu navami te hoe tobe ki ake mahapuja bola jabe na sudhu pujo bola hobe. Ar chandipath kora sombhob hote pare na tai kora hoe na se ki thik ache ? Daya kore uttar deben
আমাদের কৃষ্ণনবম্যাদি কল্পারম্ভ এ বোধন হয়।এই বার তো প্রাচীন পঞ্জিকা মতে এ আদ্রা নক্ষত্রে বিকালে বোধন হচ্ছে।কিন্তু নবমী তো তারপর দিনও আছে।সেই ক্ষেত্রে কেনো আগের দিন বোধন হচ্ছে।কেনো তারপর দিন পূর্বাহ্ন মধ্যে করা যাবে না?একটু যদি বুঝিয়ে বলেন উপকৃত হবো।নমস্কার নেবেন।
আমাদের ও আপনার মত কৃষ্ণানবমীতে বোধন শুরু। আপনার মতো আমার ও একই প্রশ্ন। উত্তর পেলেন? উত্তর পেলে একটু জানাবেন
সূর্য উদয় কালে বারবেলা থাকলে তখন দেবী আবাহন কি ভাবে হবে?
প্রতিষ্ঠিত দুর্গা দেবী থাকলে যদি বোধনের প্রয়োজন না হয় তবে সেক্ষেত্রে ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় বেলতলায় নবপত্রিকার অধিবাস কেমন করে হবে আর সপ্তমীর সকালে বেল ডাল ছেদন কেমন করে হবে??
পরবর্তি পর্বে সপ্রমাণ আপনার প্রশ্নের উত্তর দেবো।
@@NityaUtsava ধন্যবাদ🙏
Biswakarma Puja alochana karle jante pare
Dada onek onek dhonnobad Ma apnar onek mongol koruk ami amai sonkolpo na kore chodi pather jai bidhan ta dilen setai boro upokar holo ar akta kotha dada dada ma ke jokhon surjo uthar 1hr 36min purbe mongol aroti korbo tokhon gondho puspo diye pujo kore ki chondi path kora jabe ai pujo ta kothai hobe kolparomver ghote na ki mool devighote ai bar bodhon ki sostir sondhai kora jabe tobe please tar sonkolpo bakko ta ki hobe. please
Ei bochor Panchamir sandhyay bodhan hobe. Shashtir din sandhyay shashti tithi na thakay tokhon Bodhon hobena.
@@NityaUtsava dada chondi pather bisoi ta eaktu bolun ar bodhon jodi ponchomir sondhai hoi tobe pordin sokale kolparomvo hobe ar sondhai amontron ar odhibas
আমি শুনেছি দুর্গা পুজো বছরে চারবার হয় এটার কি কোন শাস্ত্র সম্মত প্রমাণ আছে
Aai bar amar arear sob pujo e BISUDDHA SIDDHANTA follow korche sunlm
Amader barite guptopress follow kore pujo hoto kintu ai baar theke amra bisuddho sidhant panjika te switch korchi tai onek confusion. 12 october toh navomi puja ar hom hobe?
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে ছয়দিন যাবৎ পূজা হবে।
৮ই অক্টোবর সন্ধ্যাকালে দেবীর বোধন
৯ই অক্টোবর সন্ধ্যাকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস
১০ই অক্টোবর সপ্তমীকৃত্য
১১ই অক্টোবর মহাষ্টমীকৃত্য
১২ই অক্টোবর মহানবমীকৃত্য, সকাল ১১টা মধ্যে পূজা বলিদান হোম সম্পন্ন করে দক্ষিণান্ত কর্তব্য।
১৩ই অক্টোবর বিজয়াকৃত্য
আবরণ দেবতা কাদের বলি ? দেবতা বিশেষে এনারা আলাদা আলাদা হন কি ? কিভাবে ? দেবী দুর্গা এবং সরস্বতীর আবরণ দেবতা কারা কারা?
Dada tithi sesh hoar agye pujo hoye gele ... pore belar dike vog arati ki kora jabe..??
Hain Jabe.
দয়া করে উত্তর টি দেবেন যদি অসমর্থে মাকে ভোগ হিসেবে চিড়ে কলা, দই ইত্যাদি দেয়া হয় তাহলে শাস্ত্রগত কোন সমস্যা আছে কি, সেক্ষেত্রে চিড়ে ইত্যাদি কটা ভাগে দিতে হবে থালাতে মানে ভোগে যেমন পাঁচভাগে বা আটভাগে থালায় সাজিয়ে হয় চিড়ের ক্ষেত্রেও কি তাই হবে
আমার নমস্কার নেবেন।
আমার প্রশ্ন হলো সন্ধিপূজা সম্পন্ন করে কালবেলানুরোধে সকাল ৮:৩০ টার মধ্যে নবমী পূজা সম্পন্ন করতে হবে। এটা খুবই কম সময়, তাই বেলা ১১:২৪ মিনিট পর পূজা শুরু করে ২:৩০ মধ্যে শেষ করে পুষ্পাঞ্জলি সহ, এরপর শ্রীশ্রী চণ্ডী পাঠ সম্পন্ন করে তার পরে (৪:৩০ টার দিকে) কি হোম করা যাবে? যেহেতু পূর্ণাহুতি হয়ে গেলে মহা পূজা শেষ হয়ে যায়। এ বিষয়ে আলোকপাত করলে ভালো হয়।
নমস্কার, আজকের পর্বেই এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।
Sankalpo Pran protistha na hole mrinmoyee pratimar maha snan ki kore hobe, saptamir din nabapatrikar maha snan hole aar mahasnan er ki darkar aache?
ua-cam.com/video/1zxZE9TuUR4/v-deo.htmlsi=B7_UxuBriYlRs-J0
অনেক কিছুই জানতে পারলাম যা আগে জানতাম না। প্রশ্ন ছিলো যে মহাস্নান প্রতিমা তে করানো যায় কিন্তু আমার যে দেবী প্রতিমা ওটা খুব বড়ো আর শৃঙ্গার ইত্যাদি হয়ে যাওয়ার পর নিত্য মহা স্নান করানো সম্ভব হয়ে না যদি একটি ছোট্ট দেবীর প্রতিমার ওপর সম্পূর্ণ মহাস্নান করিয়ে মহাপূজা করা যায় এটা শাস্ত্রীয় হবে ??
না।
Nomoskar
BISUDDHA SIDDHANTA mote bolche 7:2 modhe navami pujo korte barbela r jonno oita ki na manle o cholbe ?
ধন্যবাদ। তবে কিছু যুক্তি বা সাধারণ বুদ্ধিতে যেগুলো বুঝতে পেরেছি সেটি বলছি। ঠিক ভুল যেটাই হবে সেটা অবশ্যই জানাবেন আপনার পরবর্তী ভিডিও তে। আমাকে ভেঙে ভেঙে কমেন্টস করতে হবে কারণ একবারে সবটা পোস্ট করা যাচ্ছে না।
কদলী বৃক্ষে দেবী ব্রহ্মানি। যদিও ব্রহ্মানি ও সরস্বতী তত্ব সম্পূর্ণ এক না কিন্তু এই ক্ষেত্রে যদি দুজনকে জ্ঞান শক্তি ধরে নেওয়া হয়, তবে একটা ব্যাখ্যা এই যে আমাদের যা জ্ঞান আছে তার সবই useful, এমন নয় এই জ্ঞানটা কাজের ওই জ্ঞান টা নয়। ঠিক সেভাবেই কলা গাছের প্রত্যেকটি অংশই কিন্তু আমাদের কাজে লাগে। কোনোটাইই ফেলে দেওয়া যায়না।
সেই দৃষ্টিতে দেখতে গেলে বলা যেতেই পারে যে, আমাদের ঋষিদের দৃষ্টিতে কলাগাছের অধিষ্ঠাত্রী হিসাবে দেবী ব্রহ্মাণীকে তাঁরা কল্পনা করেছেন।
ধান গাছে দেবী লক্ষী। ধানের সঙ্গে লক্ষীর সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজন নেই। আমরা অবগত। তিনি শস্যের দেবী এবং আমাদের বাংলায় নতুন ধান উঠলেই তাকে লক্ষ্মী রূপে পূজা করা হয় গ্রামবাংলাতে। নবান্ন, ভাদ্রলক্ষ্মী, পৌষলক্ষ্মী, ইত্যাদি।
হরিদ্রা গাছে দুর্গা। ভারতের বহু জায়গায় দেবী দুর্গাকে হলুদ কুমকুম দিয়ে পুজো করা হয়ে। আসলে হলুদ হলো anti-infectant কিংবা এটাও বলা যায় যে হলুদ এক প্রকার ঔষধী। আয়ুর্বেদে এর গুণ পরিসীম। আমরা গত করোনাকালে এমন কেউ হয়ত ছিলাম না যিনি হলুদ খাননি।
দেবীকে হলুদ নিবেদন করা হতো এই কারণে যে দেবী যেমন অসুরদের সংহার করেন যেমন হলুদও শরীরে সকল রোগ নিরাময়ে করে। আরেকটু ভালো ভাবে সহজভাবে বললে, বিষয়টা পরিস্কার হবে। হলুদ হলো অ্যান্টিবায়োটিকের মতো। অসুখ সারাতে কাজ করে।
আধ্যাত্মিক পথের অসুখ হলো ষড়রিপু রূপী অসুর। সেই অসুর বধ করছেন দুর্গা। এরফলে এই ষড়রিপু অসুর রূপী রোগ থেকে মুক্ত হলে আমরা ঈশ্বরকে বা আধ্যাত্মিক পথে দ্রুত অগ্রসর হতে পারব। তাই হরিদ্রায় দুর্গা।
বেল গাছে দেবী শিবা মতান্তরে দেবী মাহেশ্বরী। এই ক্ষেত্রে একটু সিম্পল ভাবে ভাবলে ভালো হয়। বেল গাছ মানেইই শিব। সেই গাছ এর সঙ্গে দেবীর শিব সাদৃশ্য রূপকে যদি জোড়া হয়, সেটা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। শিবার রূপ বর্ণনা আমরা জানি মহাদেবের ন্যায়ই। তিনিও জটাজুটধারিণী, রুদ্রাক্ষের মালা পরিহিতা, ব্যাঘ্রচর্ম পরিহিতা দ্বিভূজা, শিরে অর্ধচন্দ্র। তাই এটা একটা কারণ হতে পারে। অথবা এই ক্ষেত্রে আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে এটা বলা যায় যে বেল গাছের দেবতাকে শিব মেনে নেওয়ায় দেবী শিবাকে তাঁর শক্তি হিসেবে বেল গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা রূপে কল্পনা করা হয়েছে।
কঁচু তে কালী বা মানকচুতে চামুণ্ডার অবস্থান বেশ interesting।
কঁচু বৃক্ষে কালী। অনেক জাতি উপজাতিরা ভাবে যে কঁচু বা taro tree হল মানব জাতির চেয়েও প্রাচীন। এবারে এইটা বুঝলেই বোধগম্য হয় কেন কঁচুর সাথে আদিভূতা সনাতনী কালী কে যুক্ত করা হয়েছে!
এছাড়াও কচু বা মানকচু অতন্ত্য উপকারী। আপনার শরীরের রোগ প্রথিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরের রক্ষা ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। কেন তাহলে রক্ষাকারিনী কালী এলেন এই ক্ষেত্রে তাহলে বোঝা যায়।
আরও বিস্তৃতভাবে যদি একটু গভীর ভাবে দেখা যায় তবে বিষয়টা এইরকম -
কচুর বা মানকচুর অনেক উপকারী গুণ থাকলেও গলা চুলকানির ভয়ে অনেকেই কচু জাতকে এড়িয়ে যায়। আর এই গলা বা বাক্ যন্ত্রই হলো কথা বলার জায়গা। মানে বাক শক্তি।
দেবী কালীর বর্তমান যে রূপ তার সঙ্গে কালীর ধ্যান মন্ত্রের কোনো মিল নেই। যদি প্রথম লাইনটাই দেখি ধ্যানের সেটা দেখলে বুঝতে পারব যে, তিনি কতটা ভয়াল ভয়ঙ্কর। এবং একই সাথে তিনি বরাভয় দায়িনীও বটে।
আবার এই কালীর গলাতেই বর্ণ রূপী ৫০টি মুণ্ডের মালা আছে। অর্থাৎ যারা ভয় ভয় কচুকে এড়িয়ে চলে তারা আসলে অজ্ঞানী। কিন্তু যদি কেউ সঠিক পদ্ধতিতে যত্ন সহকারে একে রান্না করেন তবে স্বাদের তুলনা নেই সে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ঠিক তেমনি যারা ভালোবেসে ভগবতী কালীকে আপন করে নেন তারা শত মূর্খ্য হয়ে অক্ষর জ্ঞান না থাকলেও ব্রহ্মবিদ মহাপুরুষ। ভয়াল রূপকে দেখে ভয় পেলে হবে না, মা বলে কাছে যেতেই হবে। তিনি পরীক্ষা নেবেন। অনেকটা ওই কচু কেটে যখন জল দিয়ে ধূতে যাই তখন হাত চুলকায়। যদি একটু নুন দিয়ে দি তখন আর সেই ভয় থাকে না। ঠিক তেমনি ভগবতী আদ্যাশক্তি কালীকা প্রথমে একটু পরীক্ষা নেন, পরে পাস করলেই সব মুশকিল আসান। অমৃতের স্বাদ।
অশোক বৃক্ষে শোকরোহিতা। একটু confusing. দেবী শোকরোহিতা কে আমরা প্রায় দেবী বিপদতারিনীর সঙ্গে একাকীকরণ করি। ধরে নিলাম ইনারা এক মূর্তি। এই ক্ষেত্রে অশোক গাছের মানে বোঝা প্রয়োজন। অশোক অর্থাৎ শোকহীন। অশোক গাছকে কাম দেবের গাছ ও বলা হয়ে। সকল কামনা বাসনার প্রতীক। দেবী শোকরোহিতার নামের সাথেই আমরা দেবীর পরিচয় পাই। তিনি সকল শোক দূর করেন। কামনা পূর্ণ করেন। বিপদ থেকে রক্ষা করেন। এমনকি অশোক গাছের ফুল স্ত্রীদের অনিয়মিত ঋতু চক্রের ওষুধ হিসাবেও আয়ুর্বেদে আছে। এই সকল শোক থেকে মুক্তি দিতেই দেবী শোকরোহিতার অধিষ্ঠান।
ডালিম বৃক্ষে রক্তদন্তিকা। দেবীকে এখানে তাঁর ধ্যান মন্ত্রেই বলা হচ্ছে ডালিম্ব ন্যায় তাঁর দন্ত রক্তবর্ণ। এটা সব থেকে সহজ ব্যাখ্যা। তবে ফল এর মধ্যে ডালিম এর গুণ বিশাল। ডালিম রক্ত বৃদ্ধি করে।
দেবী আমাদের শরীরের সকল অশুদ্ধ রক্ত শোধিত করে শুদ্ধ রক্ত প্রদান করছেন। এই অশুদ্ধ রক্ত হলো অসুর। চণ্ডীতেই পাই তিনি রক্তবীজের অশুদ্ধ রক্ত পান করে রক্ত শূণ্য করে নিধন করেছিলেন।এই ডালিম ফলও রক্তের বৃদ্ধি কারক। এই সকল কারণে রক্তদন্তিকা ও ডালিম কে এক রূপে কল্পনা করা হয়েছে।
শেষে বলি জয়ন্তী গাছ। এর রস থেকে কীটনাশক উপাদান পাওয়া যায়। বীজ এবং শিকড় থেকে যে উপাদান তৈরী হয়ে তা দিয়ে বিষক্ষয় হয়। এই পাতা বেটে যে রস যে পাওয়া যায় সেই দিয়ে cyst goitre বিছের কামড় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এবং যদি নামটা লক্ষ্য করি, জয়ন্ত, স্ত্রী লিঙ্গে জয়ন্তী। অর্থাৎ জয় + অন্ত। ব্যাখ্যা করলে দাঁড়ায় অন্তে জয় যার তিনিই জয়ন্ত বা জয়ন্তী। এর অধিষ্ঠাত্রী হলে দেবী কার্তিকী, অর্থাৎ দেবসেনাপতি কার্তিকের শক্তি।
দেবতার সেনাপ্রধান বা সেনাপতি, যিনি অশুভ বা অসুরদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ যুদ্ধ করার পরে শেষে বা অন্তে জয়যুক্ত তিনিই হবেন। তাই জয়ন্তী অধিষ্ঠাত্রী দেবী কার্তিকী।
আচ্ছা একটু এই ভাবে ভাবা যায় যদি, প্রকৃতি রূপী মা নবপত্রিকাকে যদি আমাদের দেহের নবদ্বার রূপে কল্পনা করা হয়! আমরা যখন আচমন করি, তখন আমরা এই নবদ্বারকেই গঙ্গাজল স্পর্শে শুদ্ধ করি। কারণ এই নবদ্বারেই যত আমাদের জাগতিক আয় ব্যয়ের হিসাব হয়। মুখ, দুই নাসা, দুই চোখ, দুই কান, লিঙ্গ এবং পায়ুদ্বার। এই হলো নবদ্বার। এর মাধ্যমেই আমাদের চাওয়া পাওয়া, বাসনা, কামনা, লোভ, রাগ, দুঃখ সব কিছুর প্রকাশ পায়। এই নবদ্বারের প্রতীকি হিসাবে নয়টি পত্রিকা এবং তার নয়জন অধিষ্ঠাত্রী দেবতা। এনারা আমাদের এই নবদ্বারকে শুদ্ধ, সংস্কৃত, এবং সংযমের কার্য করে থাকেন। তাই এই নবপত্রিকা বাসিনী দুর্গার অর্চনা করা মানে আমাদের জাগতিক চাওয়া পাওয়া গুলো ফেলে রেখে ভগবৎ সাধনায় উন্নিত হওয়ার প্রক্রিয়া।
এই পত্রিকা হলো মাতৃ স্বরূপা। নয়দ্বার উহারও আছে। এছাড়াও একজন স্ত্রীলোকের লিঙ্গাত্মক যে অঙ্গ তাও এতে কল্পিত হয়েছে ঋষিদের দৃষ্টিতে। জোড়া বেলফলকে কল্পনা করা হচ্ছে দেবীর পয়োকুম্ভ স্বরূপ স্তনদ্বয়।
এখন এত ফল থাকতে বেলফলকেই কেন কল্পনা করা হলো? প্রশ্ন হতেই পারে।
একটি বেলফলের বাইরের এবং ভিতরের গঠনটা। বাইরের গঠনে বৃন্ত, একটি আকার, এবং বৃন্তের অপর দিকে একটি মুখ রয়েছে। এই মুখটিই এখানে স্তনবৃন্ত বা স্তনছিদ্র। যা থেকে পয়োধারা নিসৃত হয়। এখানে আরও একটি বিষয়, বেলফলের আকারের কিন্তু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।
এবার ভিতরের গঠনটি লক্ষ্য করুন, অসংখ্য জালিকা সহ কিছু শাঁসাল বা মাংসালো অংশ। ঠিক তেমনি স্তনাভ্যন্তরেও কিন্তু কোনো হাড় নেই। অসংখ্য জালিকা সহ মাংস পিণ্ড। এইভাবে যদি বোঝা যায় তবে ঋষিদের দূরদৃষ্টির সত্যিই প্রসংশা করতে হয়। তাঁরা যে কত গভীর চিন্তা করতে পারতেন এবং প্রকৃতির এক একটি উপাদানকে আমাদের সঙ্গে যোগ করতে পারতেন তা স্পষ্টতই স্পষ্ট।
এছাড়াও আরও একটি মত হলো, বেলফলকে শ্রীফল বলা হয়, কারণ দেবী লক্ষ্মীর স্তনযুগলের সহিত উহা তুলনীয়। এই গল্প আমরা কম বেশি সকলেই জানি। সেই গল্পে গেলাম না। কিন্তু বিষয়টি হলো ঋষিদের দূরদৃষ্টি, সেটা কোনো কাহিনী হোক বা প্রাকৃতিক উপাদানেই হোক, যুক্তিসঙ্গত উপস্থাপনা এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।
এছাড়াও রইল যোনী। উঠাও কল্পিত। বেলপাতাকেই যোনী রূপ কল্পনা করা হয়ে থাকে। আর নবপত্রিকার একটি পত্রিকা বেলশাখা রয়েছে। এছাড়াও শ্বেত অপরাজিতা লতা এবং লালসূত্র দিয়ে সম্পূর্ণ পত্রিকাকে বাঁধা হয়। আমার ভাবনায় বা ব্যাখ্যায় বলে উহা আমাদের শরীরের রক্ত প্রবাহের নার্ভ সিস্টেম। এবং শ্বেত ও রক্ত কণিকার সিম্বলিজম বললেও ভুল হবে না আশা করি।
এবং সমস্ত পত্রিকাকে কলাগাছের বাকল বা পেটো দ্বারা বাঁধা হয়, ওটি বলতেই পারি শরীরের ত্বক।
এবং এই হলো সম্পূর্ণ স্ত্রী শরীর। এরপর এটি এইরূপে কল্পনা করে পূজক বা সাধক তৈরি করবেন এবং মাতৃরূপে আরাধনা করবেন।
তাহলে দাঁড়ালো এই যে, আমি আমার নবদ্বারকে সংযত করে সাধনার পথে উন্নিত করার প্রয়াস এবং আমাদের কুণ্ডলিনীকে জাগ্রত করার প্রয়াসই হলো পত্রিকা আরাধনার মূখ্য উদ্দেশ্য।
ঠিক ভুল বিচার আমাদের উপর ছেড়ে দিয়ে আজকের আলোচনা শেষ করলাম।
Namaskar sir Mahapuja te pratyak din mahasnan,puja,balidan,homa kora sombhob hote pare na tai mahasnan ar puja saptami theke navami paryanta hoe kintu balidan sandhi te ar navami te diya hoe amader bari te ar homa sudhu navami te hoe tobe ki ake mahapuja bola jabe na sudhu pujo bola hobe. Ar chandipath kora sombhob hote pare na tai kora hoe na se ki thik ache ? Daya kore uttar deben