সমাজ সংস্কারক হিসাবে মোহাম্মদ (সাঃ)। মোহাম্মদ শরীফ হোসাইন মিয়াজী। ‍Sorif Hossain Miazi নতুন ওয়াজ

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 8 жов 2024
  • মোহাম্মদ (সাঃ) ইসলামের নবী ও সমাজ সংস্কারক হিসাবে এক অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর সমাজ সংস্কারের কাজ মূলত ধর্ম, নৈতিকতা, এবং সামাজিক বিচার প্রতিষ্ঠার উপর ভিত্তি করে ছিল। তিনি এমন একটি সমাজে জন্মগ্রহণ করেন, যেখানে অসাম্য, জাতিভেদ, নারী-অধিকারহীনতা, এবং অশিক্ষা প্রচলিত ছিল। এই প্রেক্ষাপটে তিনি নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ সমাজ সংস্কারমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন:
    ১. সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা:
    মোহাম্মদ (সাঃ) সাম্যের উপর বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে, সকল মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি এবং সবাই এক। ধনী-গরিব, আরব-অনারব, শ্বেতাঙ্গ-অশ্বেতাঙ্গ সকলেই একে অপরের সমান। হজ্বের সময় তিনি ঘোষণা করেন, “কোনো আরব অনারবের ওপর শ্রেষ্ঠ নয়, কোনো অনারব আরবের ওপর শ্রেষ্ঠ নয়। কেবল তাকওয়া বা ধর্মীয় সততা ও আল্লাহভীতি মানুষের মর্যাদার মানদণ্ড।”
    ২. নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রদান:
    তৎকালীন আরব সমাজে নারীরা সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল এবং তাদের অধিকার সীমিত ছিল। মোহাম্মদ (সাঃ) নারীকে সম্পত্তির অধিকার, উত্তরাধিকার, বিবাহ-বিচ্ছেদের অধিকার প্রদান করেন। তিনি নারীদের শিক্ষা গ্রহণের গুরুত্বও তুলে ধরেন। নবী (সাঃ) এর মাধ্যমে নারীর মর্যাদা এবং তাদের সামাজিক ভূমিকা বৃদ্ধি পায়।
    ৩. দাসপ্রথার সংস্কার:
    মোহাম্মদ (সাঃ) ধীরে ধীরে দাসপ্রথা বিলুপ্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি দাসদের মুক্তি দিতে উৎসাহিত করতেন এবং দাসদের সাথে মানবিক ও সম্মানজনক আচরণের নির্দেশ দেন। তাঁর সময়ে ধীরে ধীরে দাসপ্রথার পরিবর্তন ঘটে।
    ৪. ন্যায়বিচার ও আইন প্রতিষ্ঠা:
    তাঁর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ইসলামী সমাজব্যবস্থায় আইনের শাসন, ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকার সংরক্ষণে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছিল। তিনি মদ, জুয়া, সুদ ইত্যাদি সমাজকে ধ্বংস করে এমন অনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেন। সমাজে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা করেন।
    ৫. শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব:
    মোহাম্মদ (সাঃ) শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন এবং তিনি মুসলমানদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, "জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য বাধ্যতামূলক।" তাঁর উৎসাহে শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চার প্রতি মুসলিম সমাজে গভীর মনোযোগ সৃষ্টি হয়।
    ৬. অসহিষ্ণুতা ও অসহযোগিতার বিরুদ্ধে অবস্থান:
    মোহাম্মদ (সাঃ) সহিষ্ণুতা, ক্ষমাশীলতা এবং পারস্পরিক সহযোগিতার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বিভিন্ন ধর্মের লোকদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সহযোগিতার পথ দেখান।
    মোহাম্মদ (সাঃ) এর সমাজ সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে একটি অত্যন্ত নৈতিক, সমৃদ্ধ এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠন সম্ভব হয়, যা ইসলামি সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করে।

КОМЕНТАРІ •