পান চাষ একমাত্র ভরসা খাসিয়া জনগোষ্ঠীর | খাসিয়াপুঞ্জি ডবলছড়া মৌলভীবাজার | Khasia Punji Dubble Chora
Вставка
- Опубліковано 15 вер 2024
- খাসিয়া (বা খাসি) বাংলাদেশে বসবাসরত একটি মাতৃতান্ত্রিক নৃগোষ্ঠি। এরা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত। এদের গাত্রবর্ণ হরিদ্রাভ, নাক-মুখ চেপ্টা, চোয়াল উঁচু, চোখ কালো ও ছোট টানা এবং খর্বকায়। খাসিয়ারা প্রায় পাঁচ শতাধিক বছর আগে আসাম থেকে বাংলাদেশে আসে। তারা আসামে এসেছিল সম্ভবত তিববত থেকে। এক কালে এ উপজাতিরা ছিল যাযাবর। তাদের সে স্বভাব সাম্প্রতিক কালেও লক্ষণীয়। তাদের প্রধান আবাসস্থল উত্তর-পূর্ব ভারত। তবে পার্বত্য খাসিয়াদের বাসভূমি পশ্চিমে গারো পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত। খাসিয়া-জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে এরা নেমে এসেছিল চেরাপুঞ্জি ও শিলং খাসিয়া অঞ্চলে। পাহাড়-টিলা, ঝোপজঙ্গল এদের পছন্দনীয় পরিবেশ। কাঠ বা বাঁশের মঞ্চের উপর বারান্দাসহ এরা কুঁড়েঘর বানায়। বারান্দাই বৈঠক ঘর হিসেবে ব্যবহূত হয়। অধুনা বাঙালিদের মতো গৃহও নির্মাণ করে। বসত ঘরের সঙ্গেই রন্ধনশালা এবং সন্নিকটে থাকে পালিত শূকরের খোয়াড়। খাসিয়ারা গ্রামকে পুঞ্জি বলে। অন্যান্য সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন, স্বীয় সীমানায় ও সাংস্কৃতিক বলয়ে গ্রামগুলি পুঞ্জীভূত। জীবিকার তাগিদে দলেবলে স্থান ত্যাগ করে এরা নতুন পুঞ্জি রচনা করে।
খাসিয়া প্রবাদ মতে, নারী থেকেই সভ্যতার সূচনা। মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার দরুন মেয়েরা অন্য গোত্রের পছন্দসই কোনো যুবককে বিয়ে করে ঘরজামাই করে রাখে। স্বগোত্রে বিবাহ নিষেধ। স্বগোত্রে কোনো ছেলে-মেয়ে বিয়ে করলে তারা সম্পত্তির অধিকার হারায়, গ্রাম থেকে বহিষ্কৃত হয় এবং মৃত্যুর পর এদের কবর দেওয়া হয় না। অধিকাংশ বিবাহই হয় মেয়েদের অগ্রভূমিকায় পূর্বানুরাগের ভিত্তিতে। মেয়েটি ভালবাসার পাত্রকে স্বগৃহে দাওয়াত করে। কখনও কখনও ২/৪ দিন একসঙ্গে বসবাস করে। উভয়ের মধ্যে অনুকূল মত বিনিময়ের পর অভিভাবককে জানানো হয়। উভয়পক্ষের বৈঠকে বিবাহ দিবস স্থির হয়। পুরুষ বরযাত্রীরা বরকে সাদা ধুতি, চাদর, পাগড়ি পরিয়ে কনের বাড়িতে রওনা হয়। যাওয়ার সময় মাতৃস্থানীয় নারীরা ছেলেকে আশীর্বাদ করে। কনে পক্ষ, অগ্রগামী হয়ে এদের অভ্যর্থনা করে নিয়ে যায়। খাসিয়া ধর্মগুরুর মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হয় এবং নবদম্পতিকে ‘ধনে-জনে অদৈন্য’ প্রার্থনা করে, তারপর সুস্বাদু আহার পর্ব অনুষ্ঠিত হয় এবং বরকে রেখে মধ্যরাতে বরযাত্রী বিদায় নেয়। এ সময় দেবতাকেও মদ ও শুঁটকি মাছ দিয়ে ‘ভোগ’ দেওয়া হয়। কনের ভাইবোনরা বরের আপন ভাইবোনের মতো বিবেচিত। পূর্বানুরাগ ছাড়াও, অভিভাবকদের আলোচনায় বিয়ে হয়ে থাকে। বিয়ের পর কন্যার মাতৃগৃহের পাশেই নবদম্পতির জন্য নতুন কুঁড়েঘর তৈরি করে দেওয়া হয়। তা সম্ভবপর না হলে মাতৃগৃহের পাশেই তারা বাস করে। কোনো কোনো পুঞ্জিতে তা বাধ্যতামূলক। কনিষ্ঠ কন্যার জন্য আলাদা ঘর নির্মাণ করা হয় না। কারণ সে মাতৃগৃহ ও সম্পত্তির উত্তরাধিকারিণী। সংসারে টাকা পয়সার লেনদেন হয় স্ত্রীর হাত দিয়ে।
#ডবলছড়া_খাসিয়াপুঞ্জি_মৌলভীবাজার
For More Visit:
Website: infohunterbd.b...
Facebook: / bdinfohunter
ভালো
ভাই একজন ভালো খায়াইয়া কবিরাজ খুব দরকার
আমাদের পুন্জি এটা
Vai oneke baje behaviour kore😔😔😔😔
রাতজাপন করা জাবে?
আপনি ভিডিও বানান কিন্তু কোন জায়গার নাম তো আপনি বলেন না
থাম্বনেইলে এতো বড় করে নাম লিখা থাকার পরও যদি বলেন নাম বলি না তারপর আমি কি বলবো বলেন?
ami okane gese ba
আমরা মুসলিমদের সম্মানে জন্য সালাম দি।
তাহলে খাসিয়াদের কিভাবে সম্মানটা দিব
Khub Blei boloon