(চার অংশের ১ম অংশ): এটি একটি খোলাখুলি আলোচনা। হজরত ইলিয়াস (রহঃ) সাধারণতঃ আলোচনা করতেন রেখে ঢেকে। তবে তিনি বলেছিলেন যে, “অনেক কথা বলতে ইচ্ছা করে, কিন্তু এই ভয়ে বলতে পারি না যে, সময়ের আগে হয়ে যাবে”। এখন খোলাখুলি আলোচনা করাটা সময়োপযোগী মনে হচ্ছে, কারণ কঁচি চারা থেকে এক সময় যখন বিশাল গাছ হয়ে যায়, তখন জীবজন্তু চেষ্টা করলেও সেটাকে মিটাতে পারে না। আর মেহনত এগিয়ে, একশো বছরে, নতুন পর্যায়ে পৌঁছনোর ইঙ্গিত, হাদীসে রয়েছে। কালেমা - “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ” এর দ্বিতীয় অংশ থেকে দিলের একীন হওয়া চাই যে, রসূল (সঃ) এর তরীকা বা পদ্ধতি ব্যতীত দ্বীন হতে পারে না। রসূল (সঃ) শুধু শিক্ষা নিয়ে আসেন নাই, বরং শিক্ষা পদ্ধতিও নিয়ে এসেছেন এবং সাহাবা (রাঃ) সেই সুন্নাত পদ্ধতিতেই এলেমের মেহনত করতেন। ফলে, কোনো সাহাবা (রাঃ) একটা মাদ্রাসাও বানান নাই। নামাজ, তালিম এবং দাওয়াত ছিল মসজিদভিত্তিক। মসজিদ থেকে দুনিয়ার সুবিধা নেওয়া যায় না। চারশত হিজরীতে মাদ্রাসার উৎপত্তি হয়। সুন্নাত বা সাহাবাদের (রাঃ) পদ্ধতির পরিবর্তে মাদ্রাসার পদ্ধতিকে দ্বীন মনে করাটা চরম ভুল। মাদ্রাসা - “ইয়ে দ্বীন কি তালিম হ্যায়, লেকিন ইয়ে দ্বীন নেহি”। হ্যাঁ, অসুস্থ অবস্থায়, রোগী স্বাভাবিক খাবার খেতে পারে না - স্যালাইন নেয় অথবা তরল খাবার খায়। তেমনি, নাজুক পরিস্থিতিতে মাদ্রাসা চালু হয়েছে এবং চলেছে; কিন্তু একটা আশা এবং একটা চেষ্টা থাকা চাই - যাতে আবার স্বাভাবিক খাবারে রোগী ফিরে আসে (অর্থাৎ আবার সাহাবাদের পদ্ধতি ফিরে আসে )। হজরত ইলিয়াস (রহঃ) হঠাৎ করে (মদিনা থেকে ফেরার পরে), তাবলীগের মেহনত শুরু করেছিলেন। এই মেহনত হলো - সুন্নাত বা সাহাবাদের (রাঃ) দ্বীনের মেহনতের পদ্ধতিকে দ্বিতীয়বার জিন্দা করার চেষ্টা (উদ্দেশ্যটা মুন্তাখাব হাদিস, দাওয়াত ও তাবলীগ অংশের শুরুতে লিখা আছে)। অথবা এভাবে বলা যায়, কোনো সাহাবা (রাঃ) যদি এই জামানায় আসতেন, তিনি যে পদ্ধতিতে মেহনতের জন্য মানুষকে জুড়াতেন - এটা হলো সেই পদ্ধতি। এই জন্য ইলিয়াস (রহঃ) বলতেন “ইয়ে করনে আউয়াল কি হীরে হ্যায়” অর্থাৎ এটা প্রথম জামানার বা সাহাবাদের (রাঃ) পদ্ধতি, যা হীরার মতো দামী (দামী হওয়ার কারণ হলো, এই পদ্ধতি তৈরি করেছেন স্বয়ং আল্লাহতায়ালা এবং রসুল (সঃ) শিখিয়েছেন সাহাবাদের)। একদিকে মাদ্রাসা, খানকাহ সহ শত শত মেহনত চালু রয়েছে - যেগুলোর পদ্ধতি, পরবর্তী জামানায়, তৈরি করেছে মানুষ (এই জন্য ‘মাদ্রাসা’ এবং ‘খানকাহ’ - এই শব্দদুটো অথবা একই অর্থবোধক শব্দ - কোরআনের কোনো আয়াতে অথবা কোনো হাদিসে অথবা সাহাবাদের কোনো ক্বওলের মধ্যে নাই )।
আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর বয়ান।
জাযাকাল্লাহ খাইর,বারাকাললাহু ফি হায়াতিহি।
জাজাকাল্লাহু হায়াকাল্লাহ্
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর বক্তব্যের জন্য যা সাধারণ জনগণের উপকারে আসবে।
ইনশাআল্লাহ, আপনাকেও ধন্যবাদ ওয়াজ শুনার জন্য
মাসা আল্লাহ
মাশাল্লাহ হজরত শায়েখ
Alhamdulillah. Hujur ke nek hayat dan korun.
আমিন
আলহামদুলিল্লাহ
Allahu akbar
সার্থক ওয়াজ ইলম ও আমল উভয় টি অর্জন করা যায় ।
Allah apnake hayate taiyeba dan koruk amin amin amin.
আমিন
বক্তা থাকলে আমার দৃস্টিতে আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী হাফিজাহুল্লাহয় আছে।
Rth
Nice boyan amin
ধন্যবাদ
ياشيخ جزاك الله حياك الله
(চার অংশের ১ম অংশ):
এটি একটি খোলাখুলি আলোচনা। হজরত ইলিয়াস (রহঃ) সাধারণতঃ আলোচনা করতেন রেখে ঢেকে। তবে তিনি বলেছিলেন যে, “অনেক কথা বলতে ইচ্ছা করে, কিন্তু এই ভয়ে বলতে পারি না যে, সময়ের আগে হয়ে যাবে”। এখন খোলাখুলি আলোচনা করাটা সময়োপযোগী মনে হচ্ছে, কারণ কঁচি চারা থেকে এক সময় যখন বিশাল গাছ হয়ে যায়, তখন জীবজন্তু চেষ্টা করলেও সেটাকে মিটাতে পারে না। আর মেহনত এগিয়ে, একশো বছরে, নতুন পর্যায়ে পৌঁছনোর ইঙ্গিত, হাদীসে রয়েছে।
কালেমা - “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ” এর দ্বিতীয় অংশ থেকে দিলের একীন হওয়া চাই যে, রসূল (সঃ) এর তরীকা বা পদ্ধতি ব্যতীত দ্বীন হতে পারে না। রসূল (সঃ) শুধু শিক্ষা নিয়ে আসেন নাই, বরং শিক্ষা পদ্ধতিও নিয়ে এসেছেন এবং সাহাবা (রাঃ) সেই সুন্নাত পদ্ধতিতেই এলেমের মেহনত করতেন। ফলে, কোনো সাহাবা (রাঃ) একটা মাদ্রাসাও বানান নাই। নামাজ, তালিম এবং দাওয়াত ছিল মসজিদভিত্তিক। মসজিদ থেকে দুনিয়ার সুবিধা নেওয়া যায় না। চারশত হিজরীতে মাদ্রাসার উৎপত্তি হয়। সুন্নাত বা সাহাবাদের (রাঃ) পদ্ধতির পরিবর্তে মাদ্রাসার পদ্ধতিকে দ্বীন মনে করাটা চরম ভুল। মাদ্রাসা - “ইয়ে দ্বীন কি তালিম হ্যায়, লেকিন ইয়ে দ্বীন নেহি”। হ্যাঁ, অসুস্থ অবস্থায়, রোগী স্বাভাবিক খাবার খেতে পারে না - স্যালাইন নেয় অথবা তরল খাবার খায়। তেমনি, নাজুক পরিস্থিতিতে মাদ্রাসা চালু হয়েছে এবং চলেছে; কিন্তু একটা আশা এবং একটা চেষ্টা থাকা চাই - যাতে আবার স্বাভাবিক খাবারে রোগী ফিরে আসে (অর্থাৎ আবার সাহাবাদের পদ্ধতি ফিরে আসে )।
হজরত ইলিয়াস (রহঃ) হঠাৎ করে (মদিনা থেকে ফেরার পরে), তাবলীগের মেহনত শুরু করেছিলেন। এই মেহনত হলো - সুন্নাত বা সাহাবাদের (রাঃ) দ্বীনের মেহনতের পদ্ধতিকে দ্বিতীয়বার জিন্দা করার চেষ্টা (উদ্দেশ্যটা মুন্তাখাব হাদিস, দাওয়াত ও তাবলীগ অংশের শুরুতে লিখা আছে)। অথবা এভাবে বলা যায়, কোনো সাহাবা (রাঃ) যদি এই জামানায় আসতেন, তিনি যে পদ্ধতিতে মেহনতের জন্য মানুষকে জুড়াতেন - এটা হলো সেই পদ্ধতি। এই জন্য ইলিয়াস (রহঃ) বলতেন “ইয়ে করনে আউয়াল কি হীরে হ্যায়” অর্থাৎ এটা প্রথম জামানার বা সাহাবাদের (রাঃ) পদ্ধতি, যা হীরার মতো দামী (দামী হওয়ার কারণ হলো, এই পদ্ধতি তৈরি করেছেন স্বয়ং আল্লাহতায়ালা এবং রসুল (সঃ) শিখিয়েছেন সাহাবাদের)। একদিকে মাদ্রাসা, খানকাহ সহ শত শত মেহনত চালু রয়েছে - যেগুলোর পদ্ধতি, পরবর্তী জামানায়, তৈরি করেছে মানুষ (এই জন্য ‘মাদ্রাসা’ এবং ‘খানকাহ’ - এই শব্দদুটো অথবা একই অর্থবোধক শব্দ - কোরআনের কোনো আয়াতে অথবা কোনো হাদিসে অথবা সাহাবাদের কোনো ক্বওলের মধ্যে নাই )।
এর বাকি অংশ দিলে খুশি হতাম