যাক অফ মিল্টন ভাইকে আমি একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে ইউরোপি আমার প্রবাস জীবন প্রায় ২০ বছর আমার 14 টি দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছি কিন্তু ইউরোপের একটি ছোট্ট দেশ পর্তুগালের রাজধানী জীবনে আমি দেখেছি রাজনীতিবিদদের জন্য পলিটিক্যাল ইনস্টিটিউট রয়েছে সেখানেও তাদের প্রশিক্ষণ নিতে হয় সৌভাগ্যক্রমে আমি নিজেও একদিন ক্লাসে উপস্থিত ছিলাম ওরা আমাকে সম্মানের সাথে বসতে দিয়েছি আমি পুরা বিষয়টি লোকসহকারে শুনেছিলাম কাছে তাই মনে হয় ইউরোপের রাজনীতিবিদের সচিবদের চাইতে অনেক অভিজ্ঞ।
ছত্রিশে জুলাই বিপ্লব বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি এবং ভারতীয় আধিপত্য নিয়ে কিছু ভাবনা ************************************************************************************** যখন একটি দেশের অধিকাংশ রাজনীতিবিদ কেবল ক্ষমতায় গিয়ে ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জনের জন্য রাজনীতি করেন এবং জনগণের কল্যাণ বা দেশের স্বার্থ নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ থাকে না, তখন সে দেশে বেশী কিছু আশা করা যায় না। একসময় হতাশা ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না। কারণ, জনগণ যা চায় এবং যে কোনো গণজাগরণ ঘটিয়ে যে লক্ষ্য অর্জন করতে চায়, তা এই দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদদের কারণে সম্ভব হয় না। আমি গভীর দুঃখ অনুভব করি যখন দেখি ২০২৪শের জুলাই-অগাস্টের ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশে প্রায় দুই হাজার মানুষের জীবন বিসর্জন ও অসংখ্য আহত হওয়ার মহান আত্মত্যাগ অবশেষে বৃথা হতে যাচ্ছে। যদি আমার পর্যবেক্ষণ ভুল না হয়, তবে যা দেখা যাচ্ছে তা হলো- বৈষম্য বিরোধী গণআন্দোনে ভারতীয় আধিপত্যমুক্ত বাংলাদেশি রাজনীতি দেখতে যে স্বপ্ন মানুষ লালন করেছিল তা বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে না। এর কারণগুলো স্পষ্ট: ১. ভারত ইতোমধ্যে তাদের পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেছে, যেখানে তারা তাদের ‘বি-টিম’ ব্যবহার করে আধিপত্য বজায় রাখবে। ২. বহুল আলোচিত **RESET** বাটন কার্যকর হচ্ছে না। এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক সুযোগ, যেখানে সুশাসন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং ন্যূনতম দুর্নীতির সম্ভাবনা তৈরি হতো। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতার লালসা এবং প্রতিযোগিতার মানসিকতা সে সুযোগ থেকে দেশের মানুষকে বঞ্চিত করছে। ভবিষ্যতের সম্ভাব্য পরিস্থিতি ************************* ১. ড. ইউনুসের সংস্কার উদ্যোগ শুধুমাত্র আলোচনা পর্যায়েই সীমাবদ্ধ থাকবে, বাস্তবায়নের পথে অগ্রগতি হবে না। ২.বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, আর "সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া" বলে প্রথাগত চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, দলীয় কন্দল, সহিংসতা, মারামারি, এবং প্রতিপক্ষকে হত্যা-এসব আগের মতোই চলবে। এমনকি এসব কার্যকলাপ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। ৩. গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের আমলে অর্জিত অবৈধ অর্থের শক্তিতে তাদের সমর্থকরা বিএনপি ও ছাত্রদলে অনুপ্রবেশ করবে এবং দুই-এক বছরের মধ্যেই দেশে অস্থিরতা ফিরে আসবে। বিএনপির পতন ঘটবে। 4. আওয়ামী লীগের বয়ান (narrative) পুনরায় সামনে আসবে এবং তারা ক্ষমতায় ফিরে আসবে। 5. বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা বিভক্ত হয়ে পড়বে এবং তাদেরকে বিএনপির আমলেই রাজনীতির মঞ্চ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। 6. জামাত ও ইসলামী দলগুলো আবার কোণঠাসা হয়ে পড়বে। 7. দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদরা সুখে থাকবে, আর ভারত তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে সক্ষম হবে। দিনের শেষে “যেই লাউ সেই কদু”। এই পরিস্থিতি দেখে মনে হয় যেন বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হতে চলেছে। সমস্যা হচ্ছে রাজনীতিবিদরা যখন বিদেশি আধিপত্যের ক্লায়েন্ট হতে ব্যস্ত, তখন সত্যিকারের পরিবর্তনের আশা করা কতটা বাস্তবসম্মত? সমস্যার মূল: একজন সফল নেতার পক্ষে একটি দেশকে শক্তিশালী এবং সুখী করতে দুটি বিষয় অপরিহার্য: ১. দেশের জন্য সত্যিকার কিছু করার আন্তরিকতা, দূরদৃষ্টি এবং প্রো-একটিভ হওয়া, সঠিক পরিকল্পনা করা। ২. সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক কৌশল ও সাহস। ড. ইউনুসের মাঝে এই দুইয়ের অভাব রয়েছে কি না, তা সচেতন নাগরিকদের কাছে ইতোমধ্যেই স্পষ্ট। তবে একটি দক্ষ ও চৌকস টিম থাকলে এই অভাব পূরণ করা সম্ভব। দুর্ভাগ্যবশত, ড. ইউনুসের কাছে সে ধরনের টিমও নেই। যদিও রাজনৈতিক দলগুলো শুরুতে বলেছিল এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবেনা। কিন্তু এরাই এখন দ্রুত নির্বাচন ছাড়া কিছুই বুঝে না। একটি নির্বাচন হলেই কি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? সেখানে অসৎ ও অযোগ্য প্রার্থীকে কিভাবে ফিলটার করা যায় সে কথা কিন্তু কেউ বলছে না। তবে এই দুরাবস্থা থেকে উদ্ধার পাওয়ার পরিকল্পনা বা উদ্যোগ কেউ গ্রহণ করছে বলে মনে হয় না। অথচ এটাই ছিল বাংলাদেশকে নতুন মাত্রায় উন্নীত করার সুবর্ণ সুযোগ।
আসসালামুয়ালাইকুম ভাই আমি আপনার ভিডিও দেখি এবং আপনার ভিডিও সাপোর্ট করি জামাত ইসলাম কখনো রাষ্ট্রপরিচালনা করেনি তাহলে তাদের ক্ষেত্রে কথাটা মানায় না তাদের দুজন মন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাজেটের অবশিষ্ট টাকা ফেরত দিচ্ছেন এর রেকর্ড আছে
অনেক ভালো হচ্ছে । এবং টপিকটাও সময়োপযোগী ...।
যাক অফ মিল্টন ভাইকে আমি একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে ইউরোপি আমার প্রবাস জীবন প্রায় ২০ বছর আমার 14 টি দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছি কিন্তু ইউরোপের একটি ছোট্ট দেশ পর্তুগালের রাজধানী জীবনে আমি দেখেছি রাজনীতিবিদদের জন্য পলিটিক্যাল ইনস্টিটিউট রয়েছে সেখানেও তাদের প্রশিক্ষণ নিতে হয় সৌভাগ্যক্রমে আমি নিজেও একদিন ক্লাসে উপস্থিত ছিলাম ওরা আমাকে সম্মানের সাথে বসতে দিয়েছি আমি পুরা বিষয়টি লোকসহকারে শুনেছিলাম কাছে তাই মনে হয় ইউরোপের রাজনীতিবিদের সচিবদের চাইতে অনেক অভিজ্ঞ।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ঘুষ এবং দুর্নীতি এই দুই ধরনের ক্রাইমকে বন্ধ করতে পারলেই দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।
স্যার আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আসলেই আপনি সত্যি দেশপ্রেমিক। আপনার আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমি নিয়মিত আপনার আলোচনা দেখি। চট্টগ্রাম থেকে
রাইট স্যার ধন্যবাদ।
Walaikumuschhalam warahmatullahi wabarakatuhu.Allahpak Aponake shudhirgho nek jeebonAyu Dan koruna.Amyn.
❤❤❤❤❤
গাবুুর, হুপড়ি দারুন সব নাম, হাফিজুর রহমান বলদাগিরি । সেই হইছে 😂😂😂
ছত্রিশে জুলাই বিপ্লব বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি এবং ভারতীয় আধিপত্য নিয়ে কিছু ভাবনা
**************************************************************************************
যখন একটি দেশের অধিকাংশ রাজনীতিবিদ কেবল ক্ষমতায় গিয়ে ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জনের জন্য রাজনীতি করেন এবং জনগণের কল্যাণ বা দেশের স্বার্থ নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ থাকে না, তখন সে দেশে বেশী কিছু আশা করা যায় না। একসময় হতাশা ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না। কারণ, জনগণ যা চায় এবং যে কোনো গণজাগরণ ঘটিয়ে যে লক্ষ্য অর্জন করতে চায়, তা এই দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদদের কারণে সম্ভব হয় না।
আমি গভীর দুঃখ অনুভব করি যখন দেখি ২০২৪শের জুলাই-অগাস্টের ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশে প্রায় দুই হাজার মানুষের জীবন বিসর্জন ও অসংখ্য আহত হওয়ার মহান আত্মত্যাগ অবশেষে বৃথা হতে যাচ্ছে।
যদি আমার পর্যবেক্ষণ ভুল না হয়, তবে যা দেখা যাচ্ছে তা হলো- বৈষম্য বিরোধী গণআন্দোনে ভারতীয় আধিপত্যমুক্ত বাংলাদেশি রাজনীতি দেখতে যে স্বপ্ন মানুষ লালন করেছিল তা বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে না। এর কারণগুলো স্পষ্ট:
১. ভারত ইতোমধ্যে তাদের পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেছে, যেখানে তারা তাদের ‘বি-টিম’ ব্যবহার করে আধিপত্য বজায় রাখবে।
২. বহুল আলোচিত **RESET** বাটন কার্যকর হচ্ছে না। এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক সুযোগ, যেখানে সুশাসন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং ন্যূনতম দুর্নীতির সম্ভাবনা তৈরি হতো। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতার লালসা এবং প্রতিযোগিতার মানসিকতা সে সুযোগ থেকে দেশের মানুষকে বঞ্চিত করছে।
ভবিষ্যতের সম্ভাব্য পরিস্থিতি
*************************
১. ড. ইউনুসের সংস্কার উদ্যোগ শুধুমাত্র আলোচনা পর্যায়েই সীমাবদ্ধ থাকবে, বাস্তবায়নের পথে অগ্রগতি হবে না।
২.বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, আর "সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া" বলে প্রথাগত চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, দলীয় কন্দল, সহিংসতা, মারামারি, এবং প্রতিপক্ষকে হত্যা-এসব আগের মতোই চলবে। এমনকি এসব কার্যকলাপ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
৩. গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের আমলে অর্জিত অবৈধ অর্থের শক্তিতে তাদের সমর্থকরা বিএনপি ও ছাত্রদলে অনুপ্রবেশ করবে এবং দুই-এক বছরের মধ্যেই দেশে অস্থিরতা ফিরে আসবে। বিএনপির পতন ঘটবে।
4. আওয়ামী লীগের বয়ান (narrative) পুনরায় সামনে আসবে এবং তারা ক্ষমতায় ফিরে আসবে।
5. বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা বিভক্ত হয়ে পড়বে এবং তাদেরকে বিএনপির আমলেই রাজনীতির মঞ্চ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
6. জামাত ও ইসলামী দলগুলো আবার কোণঠাসা হয়ে পড়বে।
7. দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদরা সুখে থাকবে, আর ভারত তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে সক্ষম হবে।
দিনের শেষে “যেই লাউ সেই কদু”।
এই পরিস্থিতি দেখে মনে হয় যেন বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হতে চলেছে। সমস্যা হচ্ছে রাজনীতিবিদরা যখন বিদেশি আধিপত্যের ক্লায়েন্ট হতে ব্যস্ত, তখন সত্যিকারের পরিবর্তনের আশা করা কতটা বাস্তবসম্মত?
সমস্যার মূল:
একজন সফল নেতার পক্ষে একটি দেশকে শক্তিশালী এবং সুখী করতে দুটি বিষয় অপরিহার্য:
১. দেশের জন্য সত্যিকার কিছু করার আন্তরিকতা, দূরদৃষ্টি এবং প্রো-একটিভ হওয়া, সঠিক পরিকল্পনা করা।
২. সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক কৌশল ও সাহস।
ড. ইউনুসের মাঝে এই দুইয়ের অভাব রয়েছে কি না, তা সচেতন নাগরিকদের কাছে ইতোমধ্যেই স্পষ্ট। তবে একটি দক্ষ ও চৌকস টিম থাকলে এই অভাব পূরণ করা সম্ভব। দুর্ভাগ্যবশত, ড. ইউনুসের কাছে সে ধরনের টিমও নেই।
যদিও রাজনৈতিক দলগুলো শুরুতে বলেছিল এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবেনা। কিন্তু এরাই এখন দ্রুত নির্বাচন ছাড়া কিছুই বুঝে না। একটি নির্বাচন হলেই কি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? সেখানে অসৎ ও অযোগ্য প্রার্থীকে কিভাবে ফিলটার করা যায় সে কথা কিন্তু কেউ বলছে না।
তবে এই দুরাবস্থা থেকে উদ্ধার পাওয়ার পরিকল্পনা বা উদ্যোগ কেউ গ্রহণ করছে বলে মনে হয় না। অথচ এটাই ছিল বাংলাদেশকে নতুন মাত্রায় উন্নীত করার সুবর্ণ সুযোগ।
আসসালামুয়ালাইকুম ভাই আমি আপনার ভিডিও দেখি এবং আপনার ভিডিও সাপোর্ট করি জামাত ইসলাম কখনো রাষ্ট্রপরিচালনা করেনি তাহলে তাদের ক্ষেত্রে কথাটা মানায় না তাদের দুজন মন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাজেটের অবশিষ্ট টাকা ফেরত দিচ্ছেন এর রেকর্ড আছে
আমি কেয়ামত
Pls mind yr language & avoid abusive language.... TKS
ইসলাম ধর্ম নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করছে তাদরে থামাতে হবে।
তবে, যারা শুদ্ধতা ঠিক রেখে ইসলামের প্রচার করে ও পালন করে চলে তাদের দলে আছি; আপনারাও থাকেন/আসেন।
After watching few episodes of this program, I feel like Mr. Advocate Quazi remain me Barrister Sumon.
❤❤❤❤❤
❤❤❤❤