"ইসলামের মূল ভিত্তি" নিয়ে ভুল ব্যাখ্যার পক্ষে আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাকের গোঁড়ামি নীতি

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 29 жов 2024
  • আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাকের বিভ্রান্তি পর্ব-২
    "ইসলামের মূল ভিত্তি" নিয়ে ভুল ব্যাখ্যার পক্ষে আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাকের গোঁড়ামিতা
    🎙 আল আমিন বিন আশরাফ
    সিনিয়র শিক্ষক, সালাফীয়া হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা
    ▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
    পর্ব-১:
    "ইসলামের মূল ভিত্তি" নিয়ে আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাকের বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের জবাব:
    • ইসলামের মূল ভিত্তি নিয়...
    ▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
    📌 আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাকের রদ করা প্রসঙ্গে আব্দুর রাকিব বুখারী আল মাদানীর আজকের লেখনী:
    ▬▬▬▬▬▬▬▬▬
    খন্ডন করা ও না করার উপকার-অপকার এবং কোন ধরণের ভুলের খণ্ডন করা উচিৎ❓
    খন্ডন না 🚫 করার অপকার:
    ১-আহলুস সুন্নাহর উপর বিদআতী ও প্রবৃত্তিপূজারীদের অভুত্থান।
    ২-আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সৎ কাজের আদেশ করা ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা। খন্ডন পরিহার করলে এই আদর্শ প্রত্যাখ্যান করা হয়।
    ৩-আক্বিদা ও ঈমান বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি পাওয়া যার পরিণাম ভয়াবহ। ইতিপূর্বে আল্লহর নাম ও গুণের ক্ষেত্রে যুক্তিবাদী ও সংশয়বাদীরা যা করেছে, তেমন আপত্তিকর বিষয় অন্য ক্ষেত্রেও প্রকাশ পাওয়ার আশংকা থাকে।
    ৪-সত্য ও সঠিক আক্বীদা সমূহ যা বর্তমানে নিজ স্থানে অক্ষত রয়েছে, পুনরায় তার মধ্যে অস্থীরতা সৃষ্টির আশংকা অনস্বীকার্য।
    ৫-ভাল-মন্দ, সুন্নাত ও বিদআতের মধ্যে পার্থক্য প্রকাশ না পাওয়া।
    ৬-দ্বীন সংরক্ষণে অবহেলা করা এবং সাধ্য থাকার পরেও তা পরিহার করে পাপীদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া।
    ♦️ ৭-জ্ঞানীরা নিরব থাকলে অজ্ঞরা তাদের অজ্ঞতাকে এবং সংশয় সৃষ্টিকারীরা তাদের সংশয়কে এ বলে দলীল হিসাবে পেশ করার সুযোগ পায় যে, যদি আমাদের সংশয় ও যুক্তি সঠিক না হয়, তাহলে কেউ খন্ডন করছে না কেন❓
    সর্বোপরি, খন্ডনের নিয়ম না থাকলে আসল ও নকল, ভাল ও মন্দ, হক্ব ও বাতিল, সুন্নাত ও বিদআত, শির্ক ও কুফরী ইত্যাদির মধ্যে পাথর্ক্য থাকবে না এবং তা নির্ণয় করাও অসম্ভব হয়ে পড়বে।
    ✅ খন্ডনের উপকার:
    ক-নিরব থাকার কুপ্রভাব হতে পরিত্রাণ।
    খ-সুন্নাতের প্রচার প্রসার এমনকি মৃত সুন্নাতকে পুনর্জীবিত করার সুফল।
    গ-বিপথগামীদের এবং তার সাথে সাথে সকল মুলিমকে উপদেশ প্রদান।
    ঘ-সংশয়বাদীদের সংশয় থেকে অন্য মুসলিম ভাইদের সতর্ক করণ।
    ঙ-ফরযে কিফায়ার এই দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সকল মুসলিমকে পাপের বোঝা হতে মুক্ত করণ।
    চ-শরীয়ার সংরক্ষণে এই দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে সম্মানিত হওয়া। ইত্যাদি।
    কোন প্রকারের ভুল-ভ্রান্তির খন্ডন করা উচিৎ:
    প্রত্যেক ভুল-ত্রুটির খন্ডন হওয়া উচিৎ, না এর বিশেষ প্রকার রয়েছে। আসলে শরিয়ার দৃষ্টিতে যেটা মন্দ হিসাবে প্রমাণিত এবং যা শরিয়া বিরোধী, তার খন্ডন করা উচিৎ। শরিয়া বিরোধী বলতে যা কিতাব, সুন্নাহ এবং সালাফে স্বলিহীনদের নীতির বিপরীত বলে প্রমাণিত তাকে শরিয়া বিরোধী ধরা হবে।
    শাইখ ইবনু বায রহ. বলেছেন: ভুল তাকে বলা হয়, যা শারঈ দলীলের বিপরীত। আর শারঈ দলীল হচ্ছে, যা আল্লহ বলেছেন এবং তাঁর রাসূল বলেছেন। তাই কারো ভুল ধরা ততক্ষণে উচিৎ না যতক্ষণে সে দলীলের বিপরীত কিছু না করে।
    সুতরাং প্রত্যেক কথা কিংবা কাজ যদি তা কুরআনী দলীলের বিপরীত হয় কিংবা সুন্নাতের বিপরীত হয় কিংবা উম্মতের ইজমার (ঐক্যমতের) বিপরীত হয় কিংবা সালাফগণের আমলের বিপরীত হয়, তাহলে তা শারঈ বিরোধিতা হিসাবে গণ্য হবে এবং তা মন্দ হিসাবে প্রমাণিত হবে, যার খন্ডন করা জরুরি; যদিও সে কোনো আলিম বা দ্বীনের পন্ডিত হোন না কেন। কারণ এখানে বিবেচ্য হচ্ছে, দলীল, ইজমা ও সালাফদের নীতির বিরোধিতা অবলম্বন করা, বিরোধীতাকারীর ব্যক্তিত্ব ও সম্মান বিবেচ্য নয়।
    মহান আল্লহ বলেছেন: (তোমরাই সর্ব্বোত্তম উম্মাত, মানবমন্ডলীর জন্য তোমাদের আবির্ভাব হয়েছ, তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ প্রদান করবে, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করবে এবং আল্লহতে বিশ্বাস করবে।) [সূরো আল ইমরান: ১১০]
    নবী ﷺ বলেছেন: “তোমোদের কেউ যদি কোনো মন্দ কিছু দেখে, তাহলে সে যেন তা হাত দ্বারা প্রতিহত করে। যদি হাত দ্বারা সম্ভব না হয়, তাহলে কথা দ্বারা প্রতিহত করে, যদি তা দ্বারাও সম্ভব না হয়, তাহলে যেন অন্তর দ্বারা ঘৃণা করে”। [সহিহ মুসলিম, ঈমান অধ্যায়]
    🖋 আব্দুর রাকিব বুখারী আল মাদানী

КОМЕНТАРІ • 1