অতি ঘন পদ্ধতি বা আল্ট্রা হাইডেনসিটি পদ্ধতিতে আম বাগান সৃজন ও আন্তঃ ফসল চুই চাষ/গাছের বাণিজ্যিক আকার
Вставка
- Опубліковано 9 лют 2025
- অতি ঘন পদ্ধতির আম বাগানে ফলন বৃদ্ধি
সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশ। নদী মাতৃক এই দেশ আয়তনে ক্ষুদ্র হলেও জনসংখ্যায় ভরপুর। এ ছাড়াও প্রতিদিন যোগ হচ্ছে নতুন নতুন মুখ। বাড়তি জনসংখ্যার এই দেশে মানুষের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার পূরণে হিমশিম খাচ্ছেন দেশের নীতিনির্ধারকরা। এর সাথে যোগ হয়েছে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ১০-১২ লাখ কর্মহীন রোহিঙ্গা। ফলে এসব জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে, বাড়তি খাদ্যশস্য ও ফলমূল। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, কলকারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত নির্মাণে প্রতি বছর চাষাবাদযোগ্য জমি ১% হারে কমছে এমনটিই শোনা যায়। আম্পান, আইলারমতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ পিছু ছাড়েনি এ দেশের। তারপরও কৃষিবান্ধব সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ, দিকনির্দেশনা, কৃষি ক্ষেত্রে যন্ত্রের ব্যবহার এবং কৃষি বিজ্ঞানীদের লাগসই উদ্ভাবন কৃষি উৎপাদনকে সুসংহত করেছে। আজ আমরা দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পর্ণ। তবে ফল ও সবজি উৎপাদনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সবাই ব্যস্ত। ফলের বাণিজ্যিক উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক গুণ বেড়েছে। দেশীয় ফলের সাথে সাথে বিদেশী ফলসমূহ দেশের চাহিদা পূরণে ভ‚মিকা রাখছে। এদেশের মানুষের সবচেয়ে পছন্দনীয় ফল হলো আম। সারা বছর চাহিদানুযায়ী ফল খেতে না পেলেও আমের মৌসুমে সাধ্যমতো পুষিয়ে নেন ভোক্তারা। ফলে বিগত কয়েক বছর ধারাবাহিকভাবে আমের উৎপাদন বাড়ছে। এই চাহিদা পূরণে ২৩টি জেলায় আমের বাণিজ্যিক চাষাবাদ সম্প্রসারণ হয়েছে। তবে অন্য জেলাগুলোতেও আমের উৎপাদন বাড়ছে। তারপরও নতুন বাগান স্থাপনে থেমে নেই জমির মালিক ও আম চাষিরা। বিগত কয়েক বছরে সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় আম চাষ সম্প্রসারিত হলেও নওগাঁ জেলায় সবচেয়ে বেশি আম বাগানের সম্প্রসারণ হয়েছে। ধানের চেয়ে তুলনামূলক লাভজনক হওয়ায় প্রথমে ধানের জমিতে আমগাছ লাগানো শুরু করেছেন। এরপর তা শুধু আম বাগানে রূপান্তরিত হচ্ছে। ছবিতে ধানের জমিতে আমগাছ লাগানো হয়েছে। এই জেলার সবচেয়ে বেশি আম বাগান সম্প্রসারিত হয়েছে পোরশা ও সাপাহার উপজেলায়। এই জেলায় সবচেয়ে বেশি চাষ হয় বারি আম-৩ তথা আ¤্রপালি জাতের এবং এর পরের স্থান বারি আম-৪। অন্য জাতগুলোও কম পরিমাণে চাষ করতে দেখা যায়। সকল মানুষের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে, বারি আম-৩ জাত বা আ¤্রপালি সম্পর্কে। অনেকের ধারণা গাছটি আকারে বড় হয় না এবং বেশি বছর বাঁচে না। এই ধারণাটি পুরোপুরি ঠিক নয়। আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত¡ গবেষণা কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৫ বছর বয়সের গাছ রয়েছে এবং এই গাছগুলোর বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ফলধারণক্ষমতায় বাড়ছে। এই জাতের গাছ বেশি বড় হয় না বিধায় চাষিরা অতি ঘন পদ্ধতিতে আম বাগান স্থাপন শুরু করেছেন।
অতি ঘন পদ্ধতি
সকলের জানার সুবিধার জন্য আম বাগান স্থাপনের অতি ঘন পদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষেপে ধারণা দেয়া হলো। এদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে যে আম বাগানগুলো দেখা যায়, সেগুলো কমপক্ষে ৩০ দ্ধ ৩০ ফুট দূরত্বে অর্থাৎ প্রতি হেক্টরে ১০০টি কলম লাগানো হতো তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ৪০ দ্ধ ৪০ ফুট দূরত্বের বাগানও দেখতে পাওয়া যায়। অনেক বড় আম বাগানে এক বিঘা জমিতে একটি বা দুইটি আমগাছ দেখা যায়। ১৯৮৫ সালে আম গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পর বড় জাতগুলোর জন্য ৩০ দ্ধ ৩০ ফুট (প্রতি হেক্টরে ১০০টি গাছ) এবং ছোটজাতগুলোর জন্য ১২ থেকে ১৮ ফুট (৬২৫টি হতে ৫৫৫টি গাছ প্রতি হেক্টরে) দূরত্বে রোপণের জন্য পরামর্শ দেয়া হতো। ফলে ১০-১২ বছর অনায়াসে আম বাগানে অন্য ফসল চাষ ও আমের ফলন পেতে তেমনটি অসুবিধা হতো না। এরপর চালু হলো দুইটি বড় জাতের গাছের মধ্যে একটি ছোট জাতের গাছ লাগানো এবং ১০-১২ বছর পরে বড় গাছের সাথে প্রতিযোগিতা শুরু হলে মাঝের গাছটি কেটে ফেলার পরামর্শ দেয়া হতো। তবে অনেকে মাঝের ছোট গাছটি কাটতে চাইতেন না। ফলে উভয় গাছের ফলন বাধাগ্রস্ত হতো এবং রোগ ও পোকার আক্রমণের কারণে ভালো আম উৎপাদন করা সম্ভব হতো না। আর অতি ঘন পদ্ধতিতে লাইন হতে লাইন ৩ মিটার এবং গাছে থেকে গাছ ২ মিটার দেয়া হয়। ফলে এক হেক্টর জমিতে ১৬৬৭টি গাছ লাগানো হয়ে থাকে। এই বিশাল চাহিদাপূরণে অত্র এলাকায় গড়ে উঠেছে শত শত নার্সারি যেখানে গুণগত মানসম্পন্ন কলম উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। তবে কেউ কেউ ৩ মি.দ্ধ ৩ মি. অথবা ৪ মি. দ্ধ ৩মি. দূরত্বে আম বাগান করছেন। প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা গেছে নার্সারি মালিকগণ জমির মালিককে বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে, যত গাছ তত আম। অপরপক্ষে আম গবেষকগণ এবং আম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এখন অতি ঘন পদ্ধতিতে আম বাগান স্থাপনে পরামর্শ প্রদান করেন না কারণ আমাদের দেশে সবাই জানেন একবার আমগাছ লাগালে ৩০-৪০ বছর অনায়াসে আম উৎপাদন ও বিক্রয় করা যাবে।
এমনও অনেক চাষি আছে, যারা শুধুমাত্র আমের মৌসুমে বাগানে গমন করেন এবং বছরের অন্যান্য সময় আম বাগানে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। তবে বেশির ভাগ চাষি আম বাগানে শুধুমাত্র সার প্রয়োগ ও বালাইনাশক ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু অতি ঘন পদ্ধতির আম বাগানে ১২ মাস বাগান পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। যেমন সময়মতো সার প্রয়োগ, সেচপ্রয়োগ, প্রæনিং, ট্রেনিং, মরা ডালপালা অপসারণ ইত্যাদি। যদি কোন চাষি গাছ লাগানোর পর তিন বছর প্রুনিং না করে থাকেন তাহলে পরের বছরে আমের ফলন বাড়ার পরিবর্তে কমার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে সঠিক জাত নির্বাচন করে অতি ঘন এবং ঘন পদ্ধতিতে আম বাগান স্থাপন করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
পোরশা, সাপাহার, নাচোল, গোমস্তাপুর উপজেলার অনেক আম বাগান সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, নতুন বাগানগুলো আমগাছ রোপণের সাধারণ দূরত্ব অনুসরণ না করে ঘন ও অতি ঘন পদ্ধতি অনুসরণ করছেন। সেক্ষেত্রে প্রতি হেক্টর জমিতে ১২০০ থেকে ১৭০০ পর্যন্ত আমের কলম রোপণ করছেন।
হানিফ আমেরিকা হতে অসাধারণ খুব ভাল লাগলো
নতুন কিছু শিখতে পারলাম, ধন্যবাদ ❤
Very nice
নতুন কিছু শিখলাম, ধন্যবাদ স্যার।
খুব ভাল লাগলো।
ভালো লাগলো
দারুণ
পেষ্ট কিদিয়ে তৈরী
ভাই আমের গাছের লাইন করার পদ্ধতি দেখান
যেটুকু কাটলাম এইটুকু দিয়া কি নুতন গ্রাফটিং করা যাবে? কোন মাসে কাটলে ভালো হয়?
একটা গাছ থেকে আরেকটা গাছ দুরত্ব কত ফিট। লাইনে শাড়ি কত ফিট জানালে উপকৃত হব
10×10 fit
আমি বারি৪ গাছ লাগাইছি,,,,এখন ১৫ দিন কাঠ তে হবে😊
গাছ কিনে এনে লাগানোর কত দিন পর কাটবো
Notun gas ropon korar kto din por pruning korah jbe???
Bolle upokkeretoh hoytam
কতো দিন পরে গাছ প্রতি কেমন ফলন আসবে?
বর্ষার পানি গাছের গোড়ায় আসলে কি গাছ মরে যাবে ?
Am gach laganor koto din pore punning kora jai...???
4fit/10fit gach bosate hoy
3bigha te 1000 gach lagano jai..Ata vhul podhoti
কোন সময় কাটতে হবে?
কোন মাসে কেটে ফেলতে হবে?
এই ছত্রাকনাশক বাজারে কি নামে বিক্রয় হয়? অনেক দোকানদার বোর্দো মিক্সার চিনেনা
Look in