#গুরুচাঁদ
Вставка
- Опубліковано 20 жов 2024
- কালী পূজার দিনে বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে গুরুচাঁদ কি করতে বলেছিলেন?
লেখক- জগদীশচদ্র রায় (মুম্বাই)
প্রায়ই শুন্তে পাই, গুরুচাঁদ ঠাকুর লক্ষ্মীখালীতে কালী পূজা চালু করেছিলেন।তা হলে দেখা যাক, “শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ চরিত” অনুসারে কি বর্ণনা আমরা পাই। সেখানে বাস্তবে কি হয়েছিল এবং বর্তমানে কি হয় তার অনুসন্ধানে ব্রতী হওয়া যাক।
গুরুচাঁদ ঠাকুর লক্ষ্মীখালীতে বিভিন্ন ভক্তদের বাড়িতে যান। তিনি যেদিন গোপাল সাধু ও কাঞ্চন (গোপাল সাধুর জীবন সঙ্গীনী) মাতার বাড়িতে সকাল বেলা উপস্থিত হন; সেদিন ছিল কালীপূজার দিন। তাই, ঠাকুর বলেন-
“মোর মনে এই ইচ্ছা হয়েছে গোপাল।
আয়োজন কর তাই সকাল সকাল।।
আমরাও কালীপূজা করিব আজিকে।
আমাদের পূজা মাতা নিবেন পুলকে।।”
(শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ চরিত পৃঃ ৫২৬)
ঠাকুরের কথা শুনে সকলে খুব আনন্দ পায়। কিন্তু -
কাঞ্চন জননী তা’তে তুলিলেন দ্বন্দ্ব।
মাতা কয় “এই কার্য মনে নাহি লয়।।
মতো’ বাড়ী অন্য পূজা কবে কোথা’ হয়?” (পৃঃ ঐ)
তারপর মাতা কাঞ্চন আরো বলেন-
“কিন্তু কালীপূজা মোরা কিছুতে না করি।
আমরা পুজিব মাত্র গুরুচাঁদ হরি।।”
জননীর কথা শুনে দ্বিগুণ আনন্দ।
কাটিলা জননী তবে ভক্ত-মন-সন্দ।। (ঐ পৃঃ ৫২৭)
একটা বিষয় পাঠকগণ লক্ষ্য করুন, কবির বর্ণনানুসারে আমরা দেখতে পাচ্ছি- গুরুচাঁদ ঠাকুর কালীপূজা করার নির্দেশ দিলে একমাত্র মাতা কাঞ্চন জানাচ্ছেন,- “একথা আমি মেনে নিতে পারছিনা। মতুয়াদের বাড়িতে আবার কোন দিন অন্য পূজা হয়েছে নাকি?” তাই তিনি বলেন, যে,“কালীপূজা আমরা কিছুতেই করব না। আমরা শুধু পূজা করব হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরকে।” আসলে ঠাকুর এখানে ভক্তের মনের দৃঢ়তার পরীক্ষা করলেন। সেটা হচ্ছে- ভক্ত যে ঠাকুরের অনৈতিক কথার প্রতি প্রশ্ন তোলার সাহস দেখাতে পারেন তার পরীক্ষা। কাঞ্চন মাতার এই যুক্তি শুনে সকলে দ্বিগুণ আনন্দ করে। আর ভক্তদের মনের সন্দেহ দূর হয়।
এখানে দুটো বৈপরিত্য ঘটছে। গুরুচাঁদ ঠাকুর বললেন কালীপূজা করতে। আর কাঞ্চন মাতা বললেন- সেটা কিছুতেই করা সম্ভব নয়। এটা মতুয়াদের বাড়িতে হয়না। মতুয়ারা শুধু হরি-গুরুচাঁদের পূজা করে।
তাহলে কি আমরা এটা ধরে নেব যে, গুরুচাঁদ ঠাকুর যে কালীপূজা করতে বলছেন? আসলে সেটা কি কালীপূজাই ছিল? তিনি ভক্তদেরকে পরীক্ষা করছেন মতুয়া ধর্ম দর্শনের প্রতি তাদের আস্থা কতটা গভীর। দ্বিতীয় আর একটি কথাও আমরা ভাবতে পারি সেটা হচ্ছে, আমরা কোনো দেব-দেবীর পূজার সময় যদি বলি- ‘মতুয়াদের এ সব করা ঠিক নয়।’ তখন কেউ কেউ বলেন, ‘তাহলে এর কিছু বিকল্প দরকার। বিকল্প না পেলেতো মানুষ ঐ দেব-দেবী বা বৈদিকবাদী আকর্ষণে আকৃষ্ট হবে।’ তাহলে আমরা ভাবতে পারি না কি, গুরুচাঁদ ঠাকুর কালীপূজার দিনে বিকল্প ব্যবস্থা করলেন?
তারপর-
সন্ধ্যাকালে হ’ল মহা নাম সংকীর্ত্তন।
আনন্দে মতুয়া সব করিল নর্ত্তন।। (ঐ পৃঃ ৫২৭)
সন্ধ্যার সময় পূজা শুরু হ’ল। কিন্তু কিভাবে? মহা নাম সংকীর্ত্তন করে। যে নাম সংকীর্ত্তনে প্রায় পাচঁ হাজার ভক্তের সমাগম হয়। এবং এইভাবে নাম সংকীর্ত্তন করে সকলে খুব আনন্দ উপভোগ করে। তারপর-
এদিকে দয়াল প্রভু মন্দিরে বসিল।
আলোকে ঝলকে যে যামিনী হাসিল।। (ঐ পৃঃ ৫২৭)
তাহলে আমরা কি দেখতে পাচ্ছি? মাটির কালী প্রতিমা কিন্তু মন্দিরে স্থাপন করা হয়নি। সেখানে গুরুচাঁদ ঠাকুর নিজেই মন্দিরে গিয়ে বসেন।
কবির কথা অনুসারে আমরা দেখতে পাই, ঠাকুর পুরাণ কথা ভক্তগণকে বলছেন। কিন্তু সেই পুরাণ কথা কি হ’তে পারে? এখানে কিন্তু বিদগ্ধ পাঠকগণকে ভাবতে হবে। এখানে কবির দেওয়া বৈদিক বর্ণনাকে মেনে নেবেন? না কি গুরুচাঁদ ঠাকুরের জীবনাদর্শ ও কর্ম থেকে আমরা যেটা যুক্তিতে পাই সেটা? আমরা যেটা যুক্তিতে পাই সেটা হচ্ছে যে, তিনি ভক্তগণকে পৌরাণিক কাহিনি শুনিয়েছেন এমনভাবে যে ভক্তগণ বুঝবেন ঐসব কাহিনি ব্রাহ্মণ্যবাদীদের সুবিধার জন্যই তৈরী করেছে। তাই ভক্তগনকে ভক্তির মধ্যে মুক্তি খুঁজলে চলবেনা। তাদের সন্তানদেরকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে পারলেই মুক্তি আসবে। আমার যুক্তির সামঞ্জস্য পাই পরদিন ‘জাগরণী উৎসব’-এর বর্ণনার মধ্যে দিয়ে। সেটা পরে আসছি। যাইহোক, মন্দিরে বসে গুরুচাঁদ ঠাকুর ভক্তগণের উদ্দেশে সুদীর্ঘ আলোচনা করার পর-
প্রভু যবে করিলেন বাক্য সমাপন।
কাঞ্চন জননী পূজা করিল তখন।।
চরণ বরণ করি দুর্ব্বাদল দিল।
ধান্য-দুর্ব্বা এক সঙ্গে শিরেতে রাখিল।।
নয়নের জলে দেবী বয়ান ভাসায়।
‘বাবা’ ‘বাবা’ বলে আর কিছু নাহি কয়।। (ঐ পৃঃ ৫২৮)
ঠাকুর উৎসবের প্রচলনঃ-
মাতা কাঞ্চনের পূজা সমাপ্ত হলে গুরুচাঁদ ঠাকুর গোপাল সাধুকে ডেকে বলেন-
“এই পূজা ক’রো তুমি প্রত্যেক বছরে।”
তদবধি লক্ষ্মীখালী কালীপূজা দিনে।
“ঠাকুর উৎসব” করে মিলি ভক্তগণে।। (ঐ পৃঃ ৫২৮)
আমরা কি দেখতে পাচ্ছি? কালীপূজার দিনে এইভাবে এক মহাজাগরণী উৎসব হয়। যে উসবের নাম “ঠাকুর উৎসব”। যেটা করতে গুরুচাঁদ ঠাকুর নিজে নির্দেশ দিয়েছেন। আর সেই থেকে কালীপূজার দিনে এই “ঠাকুর উৎসব” হয়ে আসছে।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কালীপূজা কোথায় হোল? কালীপূজার দিনে একটা বিকল্প মতুয়া উৎসব হোল। যার নাম ‘ঠাকুর উৎসব’। কিন্তু তবুও আমরা শুনতে পাই গুরুচাঁদ ঠাকুর নিজেই লক্ষ্মীখালীতে কালীপূজা করিয়েছিলেন।
আশাকরি, এই লেখা থেকে পাঠকগণ বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণার রসদ পেলেন, গুরুচাঁদ ঠাকুর কালীপূজার রাত্রে ‘ঠাকুর উৎসব’ অর্থাৎ নাম সংকীর্ত্তন ও আলোচনা বা জাগরণী উৎসব করতে নির্দেশ দিয়েছেন সকল মতুয়া অনুরাগীদের।
জয় হরি গুরু চাঁদ ভরসা🙏🙏 🙏🙏🙏🙏🙏
জয় গোপাল চাঁদ সহায় 🍂🍁🍁🍁🍁🍁
সকল হরি ভক্তের শ্রীচরনে অধমের সতকটি প্রনাম জানাই🙏🙏🙏 ভক্তের মুখে সুনেছি শ্রীধাম ওরা কান্ধী কালি পুজা হয় আমি জানি
বুল হলে খমাকর বেন জয় হরি বল ধন্যবাদ🙏💕🙏💕🙏💕🙏💕🙏💕🙏💕🙏💕🙏💕🙏💕
আমার নাম বাবু দাস আমার বাবা ছিলেন সংস্কৃতি পন্ডিত
আমার বাবা বলেছেন সমস্ত শাস্ত্র-গ্রন্থ যে রেফারেন্স আছে তার হিসাবে হরিচাঁদ ঠাকুর অনন্ত যুগের হরি তাই হরিবোলা সবার জরুরী
এবং আমাদের মতুয়া মতে
জয় হরিবল আপনার আলোচনা গঠনমুলক নয়া
আপনার মূল্যবান বক্তব্যের জন্য এবং এদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। জয় হরিবোল।
Hori bol
খুব সুন্দর দাদা জয় হরি বোল
JayHaribal JayHaribal JayHaribal, 👌ok, 👌ok, 👌ok, thank❤🌹🙏 you❤🌹 so much for your✨😍 actually true speech. Take my deep regards and namaskar. Jay Matua👥👥👥👥👥👥 Gonsai, Jay Matua👥👥👥👥👥👥 community, JayHari GuruChand Thakur.
হরিবোল
মতুয়া ভাইদের, উপাস্য, কে? দয়া করে জানাবেন।
হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুর
@@matuamulnivasimediaআপনারা কি ইশ্বর এ বিশ্বাসী?
ওরা উপাস্য এখনও খুঁজে পায়নি ।
@@Arpan1412না মতুয়ারা ঈশ্বরে বিশ্বাসী নয়
@@somasaha196মতুয়া দের উপাস্য হলো শিক্ষা,বিদ্যা,সাম্য প্রেম।
ঠিক এইভাবে আলোচনা র মাধ্যমে মতূয়া দের অন্য দেব দেবী র পূজা হতে বিরত করতে হবে। যা অনেক মতূয়া র আমরা জানিনা। খুব সুন্দর। জয় হরিবল।
Keno vai? Harililamrita hochche main scripture, okhane to Durgapuja, harinam, Puran, Mahabharat sobkicur nidarshan ache. Ekhon apnara ta baad diye Hindu der theke sore jabar chesta korchen? Hindu society ke aar koto divide korben? Ete karor laav hobe na, na sadharan Hinduder na Matuader. Matuara sara jibon Hinduder sathe mile Islami agrasan thekiyeche. Ekhon eisob notun leftist netara bishesoto Indiate Matuader Hinduder biruddhe uske disse notun notun bhave Mangora Matua boi ber kore, jeta Harililamritar baire.
অবতারবাদের রহস্য ও মহাত্মা হরিচাঁদ ঠাকুরের পূর্ণ ব্রহ্ম তত্ত্বের ত্রুটি জানতে আলোচনা টা দেখুন
ua-cam.com/video/Jct4Mtke7V8/v-deo.html
Haribol
Matua banam durga kali puja brahman shanyantra
Hari Chand guru Chand thakur Kar upasona korten bolben daya Kore .
বৌদ্ধের
Hari Chand Thakur Guru Chand Thakur Karo pujo korten na,Tara hocche Asol Bhogoban tader pujo sob Bhogoban korche
Je nijeh paree purnya se karur uposana kare na joy horibol joymatuya joyBharot
⁶
মতুয়ারা কি পৈতাধারি বামুন দিয়ে তাদের মাঙ্গলিক কাজ করবে নাকি মতুয়াদের আলাদা কোন নিয়ম কানুন আছে ? জানালে খুশি হব
Vhalo neta darkar..amader neta nei.r amader s.c s.t ader aro mil darkar
ধন্যবাদ
Matuya o hinduder Amil ki ki ase