যতদিন কুরআন নিজে বুঝে পড়ি নি, ততদিন ধর্মীয় স্কলারদের খুব অন্ধ ভক্ত ছিলাম। কিন্তু যখন নিজে কুরআন নিজ ভাষায় বুঝতে শুরু করলাম, তখন কুরআনই আমার চোখ খুলে দিল। কুরআনে যেসব নবীর কাহিনি বর্ণিত হয়েছে, তাদের জীবনীতে কুরআনের আলোচনা থেকেই দেখা যায়, প্রত্যেক নবীর শত্রু ছিল তখনকার নেতৃস্থানীয় ধর্মীয় পণ্ডিত তথা আলেম-ওলামারা। আর নবীদের পক্ষে ছিল কিছু যুবক শ্রেণী এবং সাধারণ মানুষ। নবীদের সাথে তখনকার আলেম-ওলামাদের মূল দ্বন্দ্ব ছিল, নবীরা শুধু যে ওহী নাযিল হতো, তাই মানতো। অন্যদিকে, আলেম-ওলামাদের দাবি ছিল, আল্লাহর ওহী মানার পাশাপাশি পূর্বের বুযুর্গ ব্যক্তিদের কথাও মানতে হবে। যুগে যুগে প্রত্যেক জাতির কাছেই এই পরীক্ষাটাই এসেছিল। কিন্তু পূর্বের মতো বর্তমানেও দেখা যায়, আমাদের হুজুররা যদি একটা কথা কুরআন থেকে বলে, ১০ টা কথা শোনায় আল্লাহর বহির্ভূত কথা তথা প্রচলিত হাদিস থেকে। যারা হাদিস হাদিস করে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হাদিসকে মান্য করা কি ঈমানের কোনো বিষয়? আল্লাহ কি আমাদেরকে বাধ্য করেছেন, নবীজী মৃত্যুর ৩০০ বছর পরে লিখিত হাদিসের গ্রন্থগুলোকে অবশ্যই মানতে হবে? একটু জ্ঞানচক্ষু খুলে দেখুন তো? হাদিস মানা যদি শিরক না হয়, তবে শিরক আসলে কোনটা? হাদিস যেভাবে লিখিত হয়েছে, তা একটু জ্ঞানবান মানুষ চিন্তা করলেই বুঝবে, তখনকার প্রেক্ষাপটে এভাবে নবীজীর নির্ভুল তথ্য বের করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আপনি নিজে একটু ভাবুন তো, গত ৫ বছর আগের নিজের কোনো স্মরণীয় ঘটনা হুবহু শব্দ/বাক্য মনে করতে পারেন কি না? নিজের বিয়েতে কি কি খাবার খেয়েছিলেন? কোন রঙের পোশাক পরেছিলেন? বিয়ের দিনে আপনার স্ত্রীর সাথে কি কি কথা বলেছিলেন? আপনার স্ত্রী কোন ডিজাইনের শাড়ি পরেছিল? এসব কি হুবহু বলতে পারবেন? আমি হলফ করে বলতে পারি, প্রতি হাজারে ৯৯৯ জন মানুষই বলতে পারবে না। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় যেখানে মানুষ মনে রাখতে পারে না, সেখানে অন্য মানুষের জীবনী কিভাবে হুবহু শব্দে শব্দে তুলে আনা যায়? আর ১০ বছর সংসার করেও যেখানে নিজের স্ত্রী শতভাগ সত্য কথা বলে কি না তার গ্যারান্টি দেওয়া যায় না, সেখানে হাদিসের হাজার হাজার রাবীর চারিত্রিক সনদ কিভাবে একজন মানুষ বের করতে পারে? আচ্ছা হাদিস বিশ্বাস করার আগে, আপনি নিজে একটু পরীক্ষা করে দেখুন তো। যেভাবে হাদিস লিখিত হয়েছে, সেই অনুযায়ী, ১০০ বছর আগে মারা যাওয়া কোনো বিখ্যাত ব্যক্তির খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, কিংবা কয়টা করে খেজুর খেত, কিংবা কয় পিস মাংস খেত এসব তথ্য বের করে আনতে পারেন কি না? যেখানে ১০০ বছর আগে মারা যাওয়া নিজের পূর্ব-পুরুষদের নাম-পরিচয়ই কোনো মানুষ ঠিকমতো বের করতে পারে না, সেখানে ভিন্ন ভাষার ভিন্ন দেশের একজন মানুষ আরবে গিয়ে কিভাবে ৩০০ বছর আগে মারা যাওয়া নবীজী (স) এর খাওয়া-গোসল থেকে শুরু করে ঘরের খবর পর্যন্ত বের করে নিয়ে আসতে পারে? এসব হাদিস আসলে লিখেছে নবীর শত্রুরা। একটা উদাহরণ দিচ্ছি, আজ যদি জিয়াউর রহমানের জীবনী সরকারিভাবে লিপিবদ্ধ করে কোনো বই বের করে, তবে কি জিয়াউর রহমানের প্রকৃত জীবণী সেখানে পাওয়া যাবে? যদি ৩০০ বছর পরে কোনো ছাত্র সেই জিয়াউর রহমানের জীবণী পড়ে, তাহলে সেই ছাত্রটি জিয়াউর রহমানের সত্য তথ্য পাবে নাকি মিথ্যা তথ্য পাবে? আসলে আমরা হাদিসের ধোঁকায় পড়ে গেছি। আর আল্লাহর পরিবর্তে বড় বড় স্কলারদেরকেই নিজেদের অজান্তে মাবুদ/অভিভাবক হিসেবে মেনে নিয়েছি। তাই হুজুররা যা বলছে, তা যাচাই না করে তাদের অন্ধ অনুকরণ-অনুসরণ করছি। পৃথিবীতে একটাই সিলেবাস সেটা হলো কুরআন। আর এই সিলেবাসের মাধ্যমেই সেদিন বিচার করা হবে, যার পরীক্ষক থাকবেন স্বয়ং আল্লাহ।
One of the best Islamic scholar is this Kasemi Huzur
❤❤❤❤❤🎉🎉❤❤❤🎉🎉🎉❤
Masha Allah
মাশাআল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহুআকবার খুব সুন্দর ওয়াজ
❤❤❤❤❤ বারকাল্লাহু ফি হায়াতি
Nice speech
Mashallah best lekcher
আহ কত সুন্দর আলোচনা
আল্লামা আনেয়ার শাহ কাশ্মির( র:) কে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মাকান দান করুন।
Aameen Summa Aameen..
আল্লাহ পাক তুমি আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করো আমিন
গুরুত্বপূর্ণ, অনেক সুন্দর আলোচনা।
MashaAllah, super discussion
Allahu akbar
খুব সুন্দর আলোচনা
❤❤❤❤❤❤
আমাদের ইতিহাস জানা দরকার এবং জ্ঞান অর্জন করা দরকার। নির ভেজাল ওয়াজ।খুব সচ্ছ।
Mashaallah Allhamdulilla allahuakbar
30:00 গুরুত্বপূর্ন আলোচনা
আল্লাহু আকবর
❤❤❤❤
ভাল
207 নাম্বার কমেন্ট আমার।
Masaallah
বাকি আলোচনাটুকু কোথায়? সম্পূর্ণ আলোচনাটুকু শুনতে চাই। কাশ্মীরি হুজুরের পরবর্তী কাহিনী
Abdulla ❤❤❤❤❤
🥰🥰🥰🥰🥰
Abdulla 😊😊😊😊😊
যতদিন কুরআন নিজে বুঝে পড়ি নি, ততদিন ধর্মীয় স্কলারদের খুব অন্ধ ভক্ত ছিলাম। কিন্তু যখন নিজে কুরআন নিজ ভাষায় বুঝতে শুরু করলাম, তখন কুরআনই আমার চোখ খুলে দিল। কুরআনে যেসব নবীর কাহিনি বর্ণিত হয়েছে, তাদের জীবনীতে কুরআনের আলোচনা থেকেই দেখা যায়, প্রত্যেক নবীর শত্রু ছিল তখনকার নেতৃস্থানীয় ধর্মীয় পণ্ডিত তথা আলেম-ওলামারা।
আর নবীদের পক্ষে ছিল কিছু যুবক শ্রেণী এবং সাধারণ মানুষ। নবীদের সাথে তখনকার আলেম-ওলামাদের মূল দ্বন্দ্ব ছিল, নবীরা শুধু যে ওহী নাযিল হতো, তাই মানতো। অন্যদিকে, আলেম-ওলামাদের দাবি ছিল, আল্লাহর ওহী মানার পাশাপাশি পূর্বের বুযুর্গ ব্যক্তিদের কথাও মানতে হবে। যুগে যুগে প্রত্যেক জাতির কাছেই এই পরীক্ষাটাই এসেছিল। কিন্তু পূর্বের মতো বর্তমানেও দেখা যায়, আমাদের হুজুররা যদি একটা কথা কুরআন থেকে বলে, ১০ টা কথা শোনায় আল্লাহর বহির্ভূত কথা তথা প্রচলিত হাদিস থেকে। যারা হাদিস হাদিস করে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হাদিসকে মান্য করা কি ঈমানের কোনো বিষয়?
আল্লাহ কি আমাদেরকে বাধ্য করেছেন, নবীজী মৃত্যুর ৩০০ বছর পরে লিখিত হাদিসের গ্রন্থগুলোকে অবশ্যই মানতে হবে? একটু জ্ঞানচক্ষু খুলে দেখুন তো? হাদিস মানা যদি শিরক না হয়, তবে শিরক আসলে কোনটা? হাদিস যেভাবে লিখিত হয়েছে, তা একটু জ্ঞানবান মানুষ চিন্তা করলেই বুঝবে, তখনকার প্রেক্ষাপটে এভাবে নবীজীর নির্ভুল তথ্য বের করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আপনি নিজে একটু ভাবুন তো, গত ৫ বছর আগের নিজের কোনো স্মরণীয় ঘটনা হুবহু শব্দ/বাক্য মনে করতে পারেন কি না?
নিজের বিয়েতে কি কি খাবার খেয়েছিলেন? কোন রঙের পোশাক পরেছিলেন? বিয়ের দিনে আপনার স্ত্রীর সাথে কি কি কথা বলেছিলেন? আপনার স্ত্রী কোন ডিজাইনের শাড়ি পরেছিল? এসব কি হুবহু বলতে পারবেন? আমি হলফ করে বলতে পারি, প্রতি হাজারে ৯৯৯ জন মানুষই বলতে পারবে না। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় যেখানে মানুষ মনে রাখতে পারে না, সেখানে অন্য মানুষের জীবনী কিভাবে হুবহু শব্দে শব্দে তুলে আনা যায়? আর ১০ বছর সংসার করেও যেখানে নিজের স্ত্রী শতভাগ সত্য কথা বলে কি না তার গ্যারান্টি দেওয়া যায় না, সেখানে হাদিসের হাজার হাজার রাবীর চারিত্রিক সনদ কিভাবে একজন মানুষ বের করতে পারে? আচ্ছা হাদিস বিশ্বাস করার আগে, আপনি নিজে একটু পরীক্ষা করে দেখুন তো।
যেভাবে হাদিস লিখিত হয়েছে, সেই অনুযায়ী, ১০০ বছর আগে মারা যাওয়া কোনো বিখ্যাত ব্যক্তির খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, কিংবা কয়টা করে খেজুর খেত, কিংবা কয় পিস মাংস খেত এসব তথ্য বের করে আনতে পারেন কি না? যেখানে ১০০ বছর আগে মারা যাওয়া নিজের পূর্ব-পুরুষদের নাম-পরিচয়ই কোনো মানুষ ঠিকমতো বের করতে পারে না, সেখানে ভিন্ন ভাষার ভিন্ন দেশের একজন মানুষ আরবে গিয়ে কিভাবে ৩০০ বছর আগে মারা যাওয়া নবীজী (স) এর খাওয়া-গোসল থেকে শুরু করে ঘরের খবর পর্যন্ত বের করে নিয়ে আসতে পারে? এসব হাদিস আসলে লিখেছে নবীর শত্রুরা। একটা উদাহরণ দিচ্ছি, আজ যদি জিয়াউর রহমানের জীবনী সরকারিভাবে লিপিবদ্ধ করে কোনো বই বের করে, তবে কি জিয়াউর রহমানের প্রকৃত জীবণী সেখানে পাওয়া যাবে?
যদি ৩০০ বছর পরে কোনো ছাত্র সেই জিয়াউর রহমানের জীবণী পড়ে, তাহলে সেই ছাত্রটি জিয়াউর রহমানের সত্য তথ্য পাবে নাকি মিথ্যা তথ্য পাবে? আসলে আমরা হাদিসের ধোঁকায় পড়ে গেছি। আর আল্লাহর পরিবর্তে বড় বড় স্কলারদেরকেই নিজেদের অজান্তে মাবুদ/অভিভাবক হিসেবে মেনে নিয়েছি। তাই হুজুররা যা বলছে, তা যাচাই না করে তাদের অন্ধ অনুকরণ-অনুসরণ করছি। পৃথিবীতে একটাই সিলেবাস সেটা হলো কুরআন। আর এই সিলেবাসের মাধ্যমেই সেদিন বিচার করা হবে, যার পরীক্ষক থাকবেন স্বয়ং আল্লাহ।
পুরো আলোচনা কোথায়??
Abdulla
❤
12:00 what an expression 🤭🤭
মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর
তবে আমাদের করার কি সেই পথে পথ দেখানো কথা বলেন সব কথা এই ভবে বলা উচিত না ধন্যবাদ
বাহাসের কি হলো?
যে গল্প দিয়ে শুরু হইলো সেটা কই
আপনার কাছে গল্প ছারা কোরআন ও হাদিস নাই
গল্প শুনে ভাল লাগলো,,,, হাদিস+কোর আন নাই
মাঝে-মাঝে ভাল গল্পও শুনা লাগে। যারা কুরআন ও হাদিস শুনতে চায় তারা মুফতি আরিফ বিন হাবিব ও মুফতি নজরুল ইসলাম কাসেমি সাহেবের বয়ান শুনতে পারেন।
এটা কোন হাদীসে আছে বা কোরআনের আয়াতে আছে
যাকে বাবা ডাকতেছ সে যে তোমার বাবা এটা কোন কোরানে বা কোন হাদিস আছে
মিশর,জর্দান,সৌদি আরব কী করছে ?
নিজেদের মধ্যে মারামারি করবেন তাহলে পার্বত্য চট্রগ্রাম রক্ষা হবে।