ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণ। চাকুরি নিয়ে কিছু অপ্রিয় সত্য কথা। Salimullah Khan lecture.

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 14 жов 2024
  • বিশ্ববিদ্যালয় চিন্তার স্বাধীনতা আর বুদ্ধির মুক্তির কেন্দ্র। উল্লেখ্য, চিন্তার স্বাধীনতা আর বুদ্ধির মুক্তি না হলে আলোকিত মানুষ তৈরি হয় না। সব মানুষের মধ্যে আলো আছে; কিন্তু তাদের সে আলোয় আলোকিত করতে হলে প্রয়োজন চর্চা ও প্রশিক্ষণ, আর সে কাজটিই করেন আলোকিত-প্রাণিত শিক্ষক।
    ‪@schoolofhistory‬
    সম্পূর্ণ বক্তব্যঃ • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ...
    বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিষ্ঠার পেছনে সক্রিয় কি না তা প্রশ্নসাপেক্ষ। চিত্ত, প্রেরণা ও স্বভাব নয়; বরং রাজনীতি এবং ব্যবসা (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে) প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী তা বুঝতে রবীন্দ্রনাথের আরো দুটি কথা প্রণিধানযোগ্য: ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যানের আসন চিরপ্রসিদ্ধ’; এবং ‘বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিশেষ সাধনার ক্ষেত্র।’ বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যাচর্চা ও জ্ঞান সৃজন এবং সঞ্চালনের প্রতিষ্ঠান; যার কর্মী শিক্ষককে হতে হবে বিদ্যান ও জ্ঞানী। আহৃত বিদ্যা ও চিন্তা উৎসারিত ভাবনা শিক্ষকের চিত্তে প্রজ্ঞা (knowledge) ও সজ্ঞার (wisdom) সৃজন করবে। ফলে শিক্ষার্থী প্রজ্ঞা ও সজ্ঞার স্পর্শ পাবে। চিন্তাহীন (thoughtless) বিদ্যা শিক্ষার্থী বা সমাজ কারো হিত করে না। এ জন্যই অ্যালবার্ট আইনস্টাইন উচ্চারণ করেছিলেন উপলব্ধ সত্য : ‘Your imagination is more important than knowledge.’ যে প্রতিষ্ঠানে প্রজ্ঞার চর্চা হয়; প্রজ্ঞার সৃজন সঞ্চালন হয় তা-ই বিশ্ববিদ্যালয়।
    জন হেনরি নিউম্যান অবশ্য অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় অনুসরণে স্নাতক পর্যায়ে পঠন-পাঠনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। কিন্তু জার্মান রীতিতে গবেষণা, প্রকাশনা ও প্রশিক্ষণ গুরুত্ব পেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধিতে আছে শিক্ষণ, গবেষণা, প্রকাশনা ও প্রশিক্ষণ এবং যা অবশ্যই বিশ্বমানের হতে হবে।
    গবেষণা একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করে। উপরন্তু গবেষণাহীন উন্নয়ন অকল্পনীয়
    শিক্ষক নিজে আলোকিত-প্রাণিত হবেন, শিক্ষার্থীকে আলোকিত-প্রাণিত করবেন। এ কারণে স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, ‘Education is bringing out the good already in man.’ আর এ কারণেই জন নিউম্যানের ভাষায় শিক্ষকদের থাকতে হবে, ‘Philosophical habit of mind’-দর্শন-অভ্যস্ত মন। অন্যদিকে প্রজ্ঞা ও সজ্ঞার মিথস্ক্রিয়ার তৈরি শিক্ষকের চিত্ত হবে হিমাদ্রিসম উন্নত এবং অ্যাডওয়ার্ড সাঈদের ভাষায় তিনি সদাসাহসী হবেন, কারো রুষ্টতা ও তুষ্টতার তোয়াক্কা না করে তাঁর কাজ হবে ‘speak truth to power’ নোয়াম চমস্কির ভাষ্যও অভিন্ন।
    বিশ্ববিদ্যালয় হবে ভিন্নমতের চারণক্ষেত্র। স্বাধীন চিন্তা বিকাশে ভিন্ন মতের পোষকতার বিকল্প নেই। ভলতেয়ারকে স্মরণ করে বলা উচিত : ‘তুমি যা বলো তা আমি ঘৃণা করি; কিন্তু তোমার তা বলার অধিকার আমি প্রাণ দিয়ে সংরক্ষণ করব।’
    আচার্য মানে প্রভূত জ্ঞানের অধিকারী; উপাচার্য তাঁর কাছাকাছি। উপাচার্য জ্ঞানী হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে না। প্রশ্নবিদ্ধ প্রজ্ঞা-সজ্ঞার মানুষের দ্বারাই অবিমৃশ্যকারিতা সম্ভব।
    বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক শুধু প্রজ্ঞা-সজ্ঞার ফেরিওয়ালা নন, তিনি মনুষ্যত্বের বাতিঘর। তাঁর প্রণোদনায় শিক্ষার্থী শুধু বিদ্যান হবেন না, আলোকিত মানুষও হবেন। আবার স্মরণ করছি রবীন্দ্রনাথকে। তিনি ১৬ বছর বয়সে ১৮৭৭ সালে লিখেছিলেন, ‘আমাদের দেশে সৃষ্টিছাড়া এক শিক্ষাপ্রণালি প্রচলিত রহিয়াছে যাহাতে শিক্ষার্থীর রুচির পরিবর্তন হয় না, তাহারা স্বাধীনভাবে চিন্তাও করিতে পারে না।’ (শিক্ষার হেরফের) আজ এত দিন পরে আমাদের বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মধ্যে এ দুটি বৈশিষ্ট্য কি পাওয়া যায়? নির্দ্বিধ উত্তর : না। আর তার জন্য ব্যর্থতার দায়ভার নিতে হবে শিক্ষক ও শিক্ষা-প্রশাসকদের। সর্বোপরি, শিক্ষকের (সব পর্যায়ের) কর্তব্য হলো, শিক্ষার্থীকে আচরণ, বচন, বসন ও বিচরণে মানুষ করে তোলা।
    বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার পর রবীন্দ্রনাথকে একজন প্রশ্ন করেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী? রবীন্দ্রনাথ সোজাসাপটা উত্তর দিয়েছিলেন, যেখানে বিদ্যা উৎপন্ন হয়। অর্থাৎ উৎপাদিত বিদ্যা বিতরণই বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র কাজ নয়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক বিদ্যা বিতরণ ও উৎপাদন করবেন। আর সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে হতে হবে মুক্তবুদ্ধির প্রতিষ্ঠান। এ কথাটি মনে রেখে ১৯২৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু নবীন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মিলে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মুসলিম সাহিত্য সমাজ; তাঁদের পত্রিকা ‘শিখা’র শীর্ষে বাণী ছিল, ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হলো, মুক্তির প্রণোদনা সৃষ্টি করা।
    Facebook Page: / salimullahkhanofficial...
    Disclaimer: This channel may use some copyrighted materials without specific authorization of the owner but contents used here falls under the “fair use” Copyright disclaimer under section 107 of the copyright Act 1976, allowance is made for “fair use” for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use.
    ★★★
    Regarding any issues,please reach us oitihasikhistorical@gmail.com.
    #ঢাকা_বিশ্ববিদ্যালয়ের_১০০_বছর_পূর্তি
    #সলিমুল্লাহ_খানের_জীবনী
    #সলিমুল্লাহ_খানের_বিশ্ববিদ্যালয়_জীবন
    #ঢাকা_বিশ্ববিদ্যালয়_নিয়ে_স্মৃতিচারণ_করলেন_সলিমুল্লাহ_খান
    #ঢাকা_বিশ্ববিদ্যালয়_এখন_আর_কোন_বিশ্ববিদ্যালয়_নয়
    #ঢাকা_বিশ্ববিদ্যালয়_শিক্ষা_গবেষণায়_অবদান
    #Salimullah_khan
    #সলিমুল্লাহ_খান
    #জাতি_গঠনে_বিশ্ববিদ্যালয়
    #অবদান_কি
    #স্বাধীনতায়_ঢাকা_বিশ্ববিদ্যালয়ের_অবদান
    #বিশ্ববিদ্যালয়ের_কাজ_কি
    #বিশ্ববিদ্যালয়ের_অবদান_কি
    #বাংলাদেশে_ঢাকা_বিশ্ববিদ্যালয়ের_অবদান_কি
    #ভাষা_আন্দোলনে_ঢাকা_বিশ্ববিদ্যালয়ের_অবদান
    #ঢাকা_বিশ্ববিদ্যালয়_নিয়ে_সলিমুল্লাহ_খান

КОМЕНТАРІ • 127