আজকের ভারত কথার ১০২৭তম মহাপূজার বিসর্জন বিষয়ের আলোচনাটি সবদিক থেকেই অনন্য। বিসর্জনের মধ্যে যে নব-সৃজনের এক গভীর ব্যাপ্ত ধারণা রয়েছে, সেটি চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন। এ পর্যায়ে রবীন্দ্র দর্শনকে অনুপম ভাবে উপস্থাপনের জন্যও আপনাকে সহস্র কৃতজ্ঞতা জানাই। সত্যিই তো ভালোবাসার ধনকে নতুন করে ভালোবাসার জন্যই অদর্শন। যাঁদের আমরা ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি তাঁদের অদর্শনেও সেই শ্রদ্ধা, সেই ভালোবাসা আরো নিবিড়ভাবে উপলব্ধ হয়। এটি বিসর্জনের মধ্য দিয়ে নতুন করে অর্জন। একটি কথা বলতে ইচ্ছে করছে - যে ছিল আমার স্বপ্নচারিণী তারে চিনিতে পারিনি তারে বুঝিতে পারিনি....। শুভক্ষণে কাছে ডাকিলে, লজ্জা আমার ভাঙিলে....। সেই শুভক্ষণ আজ আপনার বির্সজনের অনন্য আলোচনা। প্রণাম। @ দীপ্তার্ক রাহা @ সুমেলী সেন রাহা
প্রতিদিন আমার বিদগ্ধ শ্রোতৃমন্ডলীর কাছ থেকে নানান মাধ্যমে উৎসাহব্যঞ্জক এবং গঠনমূলক সমালোচনা ও প্রাসঙ্গিক বহু তথ্য নিরন্তর আমাদের সমৃদ্ধ করে চলেছে। তাঁদের প্রশ্ন- জিজ্ঞাসাও আমাদের কাছে ভীষণ মহার্ঘ। বর্তমান পর্বে বহুদূর হতে এমন কয়েকটি আশীর্বাদক বক্তব্য এসেছে যা সবার সাথে আস্বাদন করার একান্ত বাসনা হতে, একান্ত ব্যক্তিগত সামগ্রী সর্বসমক্ষে সসংকোচেই উপস্থাপন করলাম 🙏
ভারত কথার গ্রন্থি মোচন পর্বের "দর্পণে চিন্ময়ী" আলোচনাটির জন্য আপনাকে গভীর শ্রদ্ধা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি। ভারতকথায় মহাপূজা শীর্ষক আলোচনামালার প্রতিটি পর্ব নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যে অত্যুজ্জ্বল। মহাভারতের পাশাপাশি দেবী পূজার তাৎপর্য বহুদিন পর আপনার গভীর মর্মগ্রাহী আলোচনায় নতুন এক প্রেক্ষিতে পরিবেশিত হয়েছে। ভালো থাকবেন। @বিকাশ সিংহ রায় শিকাগো
দর্পণ বিসর্জন এক চিন্ময়ী ভাবনা এই পর্বের আলোচনাটি ভারতকথা শীর্ষক আলোচনামালার অন্যতম সেরা একটি দার্শনিক আলোচনা। নিবিড় গভীর তাৎপর্যবাহী অথচ মরমীয়া দৃষ্টিকোণ থেকে বিসর্জনের মূল ভাবনা আপনার আলোচনায় উঠে এসেছে। বাংলা হতে বহুদূর নিউজার্সির প্রান্তে অবস্থান করে হৃদয় মন সব আপ্লুত হয়ে পড়েছে। আপনাকে আমাদের সবার তরফ হতে আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। @মধুশ্রী সেনগুপ্ত @প্রবুদ্ধ সেনগুপ্ত
দীর্ঘ উচ্ছল আনন্দের অবসানে বিসর্জন আমাদের এক গভীর বোধে আচ্ছন্ন করে। ছোটবেলায় প্রতিমা নিরঞ্জনের পর দেখতাম বাড়ির বড়দের চোখে জল। পরিবারের সবচেয়ে ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষটিও কেমন অন্যমনস্ক। আমরা ছোটোরা কাঁদতাম। কি হারানোর এক গভীর বেদনা সব পূজা দালান বেয়ে সবাইকে ভীষণ আচ্ছন্ন করে রাখতো। শান্তিজল নেবার পর দুর্গানাম স্মরণ, লেখা। তারপর প্রণাম কোলাকুলি এবং দীর্ঘ সময় ধরে চলা মিষ্টিমুখের মধ্যে দিয়ে আবার নতুন আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠা।প্রতি বছরই এটা হতো। আজ জীবন সায়াহ্নে এসে নিজের দেশ পাড়াগ্রামের পরিচিত পরিবেশের বাইরে এক বিস্তৃত গভীর নির্জনতায় নিমগ্ন হয়ে প্রতি মুহূর্ত যখন অতীতচারী হয়ে দিন কাটাই, সেই ক্ষণে আপনার দীর্ঘ দেবীপূজার পর্বগুলো আমার মতো এখানে অবস্থানরত সকল অতীতচারীকেই গভীর আপ্লুত করে দেয়। অনন্ত চিরদিন এমনভাবেই নিজেকে প্রকাশ করে চলেছেন। এ তাঁর আনন্দের লীলা। তাঁর যে অন্ত নেই একথা তিনি আমাদের কেমন করে জানান? নেতি নেতি করে নয়, ইতি ইতি করেই জানান। অন্তহীন ইতি। এ ধারণা উপলব্ধ হলেই বুঝতে পারি, সর্বত্রই ইতি, সর্বত্রই সেই এষ:। জীবনেও, জীবনের পরেও। আপনার দর্পণে চিন্ময়ী - আলোচনাটি আমাদের সেই দর্শনকে নতুন করে উপলব্ধি করালো। অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা জানাই। @ প্রমিত সেন ও সহবাসীবৃন্দ
আপনি 'অক্ষর' এবং 'ক্ষর' এই দুটো শব্দের মানে যদি একটু বুঝিয়ে দেন তাহলে খুব ভালো হয়। আর আপনি বলেছেন যে দেবীর দুটি শক্তি কেন্দ্র আছে, একটি ভ্রূ মধ্যে। আমার জানতে ইচ্ছে করছে আরেকটি কোথায়?
খুব ভালো লাগলো শুনতে এই আলোচনা।
আজকের ভারত কথার ১০২৭তম মহাপূজার বিসর্জন বিষয়ের আলোচনাটি সবদিক থেকেই অনন্য। বিসর্জনের মধ্যে যে নব-সৃজনের এক গভীর ব্যাপ্ত ধারণা রয়েছে, সেটি চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন। এ পর্যায়ে রবীন্দ্র দর্শনকে অনুপম ভাবে উপস্থাপনের জন্যও আপনাকে সহস্র কৃতজ্ঞতা জানাই। সত্যিই তো ভালোবাসার ধনকে নতুন করে ভালোবাসার জন্যই অদর্শন। যাঁদের আমরা ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি তাঁদের অদর্শনেও সেই শ্রদ্ধা, সেই ভালোবাসা আরো নিবিড়ভাবে উপলব্ধ হয়। এটি বিসর্জনের মধ্য দিয়ে নতুন করে অর্জন।
একটি কথা বলতে ইচ্ছে করছে - যে ছিল আমার স্বপ্নচারিণী তারে চিনিতে পারিনি তারে বুঝিতে পারিনি....। শুভক্ষণে কাছে ডাকিলে, লজ্জা আমার ভাঙিলে....। সেই শুভক্ষণ আজ আপনার বির্সজনের অনন্য আলোচনা। প্রণাম।
@ দীপ্তার্ক রাহা
@ সুমেলী সেন রাহা
প্রতিদিন আমার বিদগ্ধ শ্রোতৃমন্ডলীর কাছ থেকে নানান মাধ্যমে উৎসাহব্যঞ্জক এবং গঠনমূলক সমালোচনা ও প্রাসঙ্গিক বহু তথ্য নিরন্তর আমাদের সমৃদ্ধ করে চলেছে। তাঁদের প্রশ্ন- জিজ্ঞাসাও আমাদের কাছে ভীষণ মহার্ঘ।
বর্তমান পর্বে বহুদূর হতে এমন কয়েকটি আশীর্বাদক বক্তব্য এসেছে যা সবার সাথে আস্বাদন করার একান্ত বাসনা হতে, একান্ত ব্যক্তিগত সামগ্রী সর্বসমক্ষে সসংকোচেই উপস্থাপন করলাম 🙏
ভারত কথার গ্রন্থি মোচন পর্বের "দর্পণে চিন্ময়ী" আলোচনাটির জন্য আপনাকে গভীর শ্রদ্ধা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি। ভারতকথায় মহাপূজা শীর্ষক আলোচনামালার প্রতিটি পর্ব নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যে অত্যুজ্জ্বল।
মহাভারতের পাশাপাশি দেবী পূজার তাৎপর্য বহুদিন পর আপনার গভীর মর্মগ্রাহী আলোচনায় নতুন এক প্রেক্ষিতে পরিবেশিত হয়েছে। ভালো থাকবেন।
@বিকাশ সিংহ রায়
শিকাগো
দর্পণ বিসর্জন এক চিন্ময়ী ভাবনা এই পর্বের আলোচনাটি ভারতকথা শীর্ষক আলোচনামালার অন্যতম সেরা একটি দার্শনিক আলোচনা। নিবিড় গভীর তাৎপর্যবাহী অথচ মরমীয়া দৃষ্টিকোণ থেকে বিসর্জনের মূল ভাবনা আপনার আলোচনায় উঠে এসেছে। বাংলা হতে বহুদূর নিউজার্সির প্রান্তে অবস্থান করে হৃদয় মন সব আপ্লুত হয়ে পড়েছে। আপনাকে আমাদের সবার তরফ হতে আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
@মধুশ্রী সেনগুপ্ত
@প্রবুদ্ধ সেনগুপ্ত
দীর্ঘ উচ্ছল আনন্দের অবসানে বিসর্জন আমাদের এক গভীর বোধে আচ্ছন্ন করে। ছোটবেলায় প্রতিমা নিরঞ্জনের পর দেখতাম বাড়ির বড়দের চোখে জল। পরিবারের সবচেয়ে ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষটিও কেমন অন্যমনস্ক। আমরা ছোটোরা কাঁদতাম। কি হারানোর এক গভীর বেদনা সব পূজা দালান বেয়ে সবাইকে ভীষণ আচ্ছন্ন করে রাখতো। শান্তিজল নেবার পর দুর্গানাম স্মরণ, লেখা। তারপর প্রণাম কোলাকুলি এবং দীর্ঘ সময় ধরে চলা মিষ্টিমুখের মধ্যে দিয়ে আবার নতুন আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠা।প্রতি বছরই এটা হতো। আজ জীবন সায়াহ্নে এসে নিজের দেশ পাড়াগ্রামের পরিচিত পরিবেশের বাইরে এক বিস্তৃত গভীর নির্জনতায় নিমগ্ন হয়ে প্রতি মুহূর্ত যখন অতীতচারী হয়ে দিন কাটাই, সেই ক্ষণে আপনার দীর্ঘ দেবীপূজার পর্বগুলো আমার মতো এখানে অবস্থানরত সকল অতীতচারীকেই গভীর আপ্লুত করে দেয়। অনন্ত চিরদিন এমনভাবেই নিজেকে প্রকাশ করে চলেছেন। এ তাঁর আনন্দের লীলা। তাঁর যে অন্ত নেই একথা তিনি আমাদের কেমন করে জানান? নেতি নেতি করে নয়, ইতি ইতি করেই জানান। অন্তহীন ইতি। এ ধারণা উপলব্ধ হলেই বুঝতে পারি, সর্বত্রই ইতি, সর্বত্রই সেই এষ:। জীবনেও, জীবনের পরেও। আপনার দর্পণে চিন্ময়ী - আলোচনাটি আমাদের সেই দর্শনকে নতুন করে উপলব্ধি করালো। অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা জানাই।
@ প্রমিত সেন ও সহবাসীবৃন্দ
আপনি 'অক্ষর' এবং 'ক্ষর' এই দুটো শব্দের মানে যদি একটু বুঝিয়ে দেন তাহলে খুব ভালো হয়। আর আপনি বলেছেন যে দেবীর দুটি শক্তি কেন্দ্র আছে, একটি ভ্রূ মধ্যে। আমার জানতে ইচ্ছে করছে আরেকটি কোথায়?