আমার জীবনে আমি এত সুন্দর ও জ্ঞানী বক্তব্য শুনিনি। আল্লাহ সুবাহানাতালা আমার আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক ভাই কে যেন দীর্ঘজীবী করে ও নেক হায়াত দান করুক। আমিন।
শেষের কথাগুলো একেবারে অন্তরে লাগলো।দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প দেশের ইন্জিনিয়ারদের করার দক্ষতা নেই বাহির থেকে ইন্জিনিয়ারদের ভাড়া করে অানতে হয়। এটাই বাস্তব
বর্তমানে ৯৯% মানুষ" দাইয়ুস" আমার মোনে হয়।ধন্যবাদ আব্দুল্লা বিন আব্দুর রাজ্জাক ভাই এই শ্রেণির লোকদের নিয়ে আলোচনা করার জন্য।মহান আল্লাহ আমাদের হেদায়েত করুণ।আমিন
আসমা বিনতে উমাইস( রাঃ) এর স্বামী জাফর( রাঃ) অষ্টম হিজরী সনে মুতার যুদ্ধে শহীদ হন (মুসনাদ, 6 খন্ড, 270 পৃষ্ঠা)। আসমা বিলাপ করে ক্রন্দন করলে রসূল( সঃ) মুখে মাটি পুরে দেয়ার নির্দেশ দেন (বোখারী, 2 খন্ড) এর প্রায় ছয় মাস পর অষ্টম হিজরীতে হুনাইনের যুদ্ধের সময়ে মহানবী( সঃ) হযরত আবু বকর( রাঃ) এর সঙ্গে আসমা বিনতে উমাইস এর বিয়ে পড়িয়ে দেন( ইসাবা, ৮ম খন্ড, ৯ পৃষ্ঠা)। (১) হাদিসঃ আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস থেকে বর্ণিত। বনি হাশেমের একদল লোক আসমা বিনতে উমাইসের কাছে গেল। তারপর আবুবকর( রাঃ) সেখানে গেলেন । সে সময় আসমা ছিলেন আবুবকরের স্ত্রী। আবুবকর( রাঃ) তাদেরকে দেখলেন এবং তা অপছন্দ করলেন। তিনি রসূলের( সঃ) কাছে সে কথা উল্লেখ করে বললেন, অবশ্য আমি ভালো ছাড়া আর কিছু দেখিনি। একথায় রসূল( সঃ) বললেন, আল্লাহ তাকে মন্দ থেকে মুক্ত করেছেন। তারপর রসূল( সঃ) মেম্বারে উঠে বললেনঃ "আজকের পর থেকে স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোন ব্যক্তির সঙ্গে অন্য এক ব্যক্তি বা দুজনকে না নিয়ে তার স্ত্রীর সাথে দেখা করতে পারবে না "(সহিঃ মুসলিম, সালাম অধ্যায়, গায়রে মাহরামের কাছে নিরিবিলিতে যাওয়া ও সাক্ষাৎ করা হারাম)। (২) হাদিসঃ মুয়াবিয়া( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতার সাথে আবু বকরের( রাঃ) নিকট গেলাম । তখন আসমা বিনতে উমাইসকে দেখলাম তার মাথার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি ছিলেন উজ্জ্বল ফর্সা এবং আবু বকরকে( রাঃ) আরো বেশি উজ্জ্বল হালকা-পাতলা দেখলাম। অতঃপর আবুবকর( রাঃ) আমাকে ও আমার পিতাকে দুটি ঘোড়ায় চড়িয়ে দিলেন। ( মাজমুআ আয-যওয়ায়েদ, মানাবিক অধ্যায়ে, অনুচ্ছেদঃ আবু বকরের মর্যাদা সম্পর্কে, 9 খন্ড। হাফেজ হাইছামী বলেন, তাবারানি হাদিস বর্ণনা করেন এবং তার বর্ণনা সহি)। (৩) হাদিসঃ তাবারানী কায়েস ইবনে আবু হাযেম থেকে একটি বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, আমরা আবু বকরের( রাঃ) কাছে গেলাম । তখন তিনি রোগ সয্যায় ছিলেন। আমি তার কাছে একজন ফর্সা মহিলাকে দেখলাম। তিনি মেহেদি দিয়ে দুহাত নকশা করেছিলেন এবং আবু বকরের শরীর থেকে মাছি তাড়াচ্ছিলেন। তিনি ছিলেন আসমা বিনতে উমাইস (ফাতহুল বারী, 12 খন্ড। মাজমাউয যাওয়ায়েদ, 5 খন্ড। তাবারি সহীহ সনদ সহকারে এটি উদ্ধৃত করেছেন)। হযরত আবু বকরের( রাঃ) মৃত্যুর পর হযরত আলী( রাঃ) আসমা বিনতে উমাইসকে বিয়ে করেন। (৩) হাদিসঃ আমর ইবনুল আস এর ক্রীতদাস থেকে বর্ণিত। আমর ইবনুল আস তাকে আলী( রাঃ) কাছে আসমা বিনতে উমাইস এর নিকট যাওয়ার জন্য অনুমতি চাইতে পাঠালেন । আলী( রাঃ) তাকে অনুমতি দিলেন। ক্রীতদাস কাজ সেরে এর রহস্য জানতে চাইলেন। আমর ইবনুল আস( রাঃ) বললেন, রসূল( সঃ) আমাদেরকে কোন মহিলার কাছে যেতে নিষেধ করেছেন তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া (তিরমিজী, দ্বিতীয় খন্ড)। হিজাবের আয়াত নাযিল হয় পঞ্চম হিজরী সনে। উপরে বর্ণিত হাদীসগুলোর ঘটনা অষ্টম হিজরি সনের পর।
মেয়েদের চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা। (১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল। (২) কোন কিশোরী যখন ঋতুশ্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দু'হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট বিধেয় নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, 310 পৃষ্ঠা)। হাদীসটি দুর্বল। (৩) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)। হাদীসটি শক্তিশালী। আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না। ইমাম মালেক বলেন, দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কথা গ্রহণ বা বর্জন করা যায়, শুধু এই কবর বাসী ছাড়া(অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা ছাড়া)। মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা) তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ-- (১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ) (৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন) যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ) (সূরা নূর-৩১ এর তাফসির দেখুন)। কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না। এগুলো তাদের ইস্তেহাদ, যা তারা উত্তম বিবেচনা করেছেন। এই উত্তম বিবেচনা কোন কিছুকে ওয়াজিব বা হারাম করে দেয় না। ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)। বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন এবং নিকাব পড়া একজন মহিলা ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
@@nabilataha2913 মেয়ে না হলে কি কোরআন, হাদীস বয়ান করা যায় না? এখানে আমি পর্দার সাথে সংশ্লিষ্ট দুটি হাদিস সহ কতিপয় শরীয়তের ইমামের মতামত লিপিবদ্ধ করলাম। #(১) রসূল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো । কারণ সে তোমাদের দেখতে পাইতেছেনা। কিন্তু তোমরা তো তাকে দেখতে পাইতেছো। সুতরাং তার থেকে পর্দা করো"( সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নাম্বার-৪২১২) # (২) ফাতেমা বিনতে কায়েস বর্ণিত হাদীসঃ আমর ইবনে হাফসের পিতা তাকে তিন তালাক দেন( হযরত আলীর রাঃ সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেনে আবার পথে)। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে এসে তাঁকে এ কথা জানায়। রসূল( সঃ) তাকে উম্মে সুরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এ মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীদের সার্বক্ষণিক যাতায়াত আছে। বরং তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম গৃহে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে ( সহী মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)। # অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটি কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে( সহিঃ মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)। ঘটনাটি সংঘটিত হয় ১০ম হিঃ সনে। # এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, যেখানে রসূল( সঃ) তার স্ত্রীদেরকে অন্ধ সাহাবীর দিকে তাকাতে নিষেধ করছেন, সেখানে ফাতেমাকে বলছেন, তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুম এর গৃহে ঈদ পালন করো। ফাতেমা ও এই অন্ধ সাহাবীর মধ্যে মেলামেশা হবে দুই /এক ঘন্টার জন্য নয় বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি। # অন্যদিকে হাদিস থেকে বুঝা যায়, উম্মে শুরাইক এর গৃহ এবং মেহমান খানার মধ্যে কোন অন্তরাল ছিল না। সেখানে নারী ও পুরুষ মেলামেশা হত অহরহ। # আসরাম হাদিস দুটি আহমদ ইবনে হাম্বল এর নিকট উপস্থাপন করে বলেন, মনে হচ্ছে প্রথম হাদীসটি উম্মুল মুমিনীনদের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং দ্বিতীয় হাদীসটি সকল মুমিন নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট। জবাবে আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন "হা"।( আল মুগনী, ইবনে কুতামাহ, ৭ খন্ড) # ইমাম আবু দাউদ হাদীস দুটি বর্ণনা করার পর বলেন, "এটি ছিল নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট( সুনানে আবু দাউদ, পোষাক অধ্যায়, আল্লাহর বাণী) । # ইমাম তাবারী তার তফসির গ্রন্থে মন্তব্য করেন যে, মাহরামদের সামনে উম্মুল মুমিনিনগন হিজাব করবে না। (তাফসীরে তাবারী, 22 খন্ড) # ইবনে কুতাইবা বলেন, হিজাব একমাত্র নবী পত্নীদের জন্য নির্দিষ্ট( তালিবুল মুখতালিফুল হাদীস)। # ইমাম নববী বলেন, হিজাব ফরজ করা হয়েছে একমাত্র নবী স্ত্রীদের জন্য( শারণ্দু সহিঃ মুসলিম লিন নববী, 14 খন্ড)। # মাহলাব বলেনঃ হিজাব একমাত্র নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল( ফাতহুল বারী, 11 খন্ড)। # ইবনে বাত্তাল (সহি বুখারীর একজন ব্যাখ্যাকার) বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, অন্য মুসলিম মেয়েদের জন্য তা ফরজ নয় (ফাতহুল বারি, 13 খন্ড)। # কাজী আইয়াজ বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখার নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং পর্দা অবস্থায় তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা জায়েয নয় (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। # তিনি পুনরায় বলেনঃ রসুলের( সঃ) স্ত্রীগণের চেহারা ও হাতের কব্জি মতভেদ ছাড়াই তাদের জন্য হিজাব ফরজ । যে কারণে সাক্ষী দেওয়া ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তাদের জন্য মুখ খোলা রাখা বৈধ নয় (ফাতহুলল বারি, 10 খন্ড)। # মূল কথা এই যে, উম্মুল মুমিনীনদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, তা সাধারণ মোমেন নারীদের জন্য ফরজ করা হয়নি। সাধারণ মোমেন নারীর সতর ঢাকা ফরজ। সতরের সীমা নিয়ে আলেমদের মধ্যে এখতেলাফ আছে।
(৮) হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট( কারন)ঃ- 🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀 একজন নেতার বাড়িতে জনসমাগম খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। নবী হিসেবে রসুলের( সঃ) গৃহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।। রসুলের( সঃ) হারেমে যেসব লোক যাতায়াত করত তার মধ্যে ভালো মন্দ সব রকমের লোকই ছিল। ইসলাম প্রসারের সাথে সাথে রসুলের( সঃ) গৃহে লোকের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। হযরত ওমর( রাঃ) বিষয়টি জানতে পেরে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের হিজাবের অন্তরালে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু রসূল( সঃ) আল্লাহর তরফ হতে ইংগিত না পাওয়ায় বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেননি। # হাদীসঃ- হযরত ওমর( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ----------আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল(সঃ) আপনার কাছে ভালো-মন্দ সব ধরনের লোকই আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মুমিনীনদের হিজাবের অন্তরালে রাখার নির্দেশ দিতেন (তাহলে কতই না ভালো হতো) । ফলে আল্লাহ হিজাবের আয়াত নাযিল করেন (সহি বুখারী, তাফসীর অধ্যায়, ৯ খন্ড)। তাছাড়া রাসুলের( সঃ) মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে। তাদের জন্য হিজাব ফরজ করা হয়েছে। কারণ পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে। এই আগ্রহ হতে পারে পুরুষের তরফ থেকে অথবা নারীর পক্ষ থেকে। যেহেতু নবী স্ত্রীদের পুনঃবিবাহ হারাম করা হয়েছে, তাদের জন্য হিজাব ফরজতো করা হবেই। এটাই স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত। মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ তোমরা সাধারণ ( অন্যান্ন) স্ত্রীলোকদের মত নও।----- (আহজাব-৩২)। নিজ গৃহে অবস্থান করো।------- (আহযাব-৩৩)। নবীর স্ত্রীদের নিকট কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল থেকে চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে (আহযাব- 53)। এখানে প্রশ্ন হলোঃ সাধারণ স্ত্রীলোক (অন্যান্য) বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? অবশ্যই সাধারণ মুমিন নারীকে বুঝানো হয়েছে। হযরত ওমর( রাঃ) তার শাসনামলে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেননি। কারণ মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ, তোমরা সাধারন স্ত্রীলোকদের মত নও। নিজ গৃহে অবস্থান করো( আজাব 32, 33)। মহান আল্লাহর এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওমর( রা) উম্মুল মুমিনীনদের উপর এই বিধি নিষেধ জারি করেন। কিন্তু সাধারণ মুমিন নারীর উপর হজ্বের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। পরবর্তীতে অকাট্য ও বলিষ্ঠ দলিলের ভিত্তিতে তার খেলাফতের শেষের দিকে ওমর( রাঃ) তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে তার শেষ হজ্বে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেন। হাদিসঃ- ইব্রাহিম ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত। ওমর( রাঃ) তার শেষ হজ্জ্বে নবী পত্নীদের হজ করার অনুমতি দেন। এজন্য তাদের সাথে পাঠান উসমান ইবনে আফফান ও আব্দুর রহমানকে (সহি বুখারী, হজ্জ্ব অধ্যায়)। বাইহাকীর বর্ণনায় আরও বিস্তারিত আছে। সহি বুখারী আরেক বর্ণনায় আছে হজ্বের সময় উম্মুল মু'মিনীনগন পুরুষদের সাথে মিশতেন না।( সহি বুখারী, হজ্ব অধ্যায়ের ইবনে জুরাইজ বর্ণিত হাদিসটি দেখুন)। উম্মুল মোমেনিন হওয়ার জন্য হিজাব শর্ত। নোমান ইবনে আবিল জওন আল ফিন্দির প্রস্তাব অনুযায়ী রসূল( সঃ) এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাকে বলা হলঃ আপনার ও আপনার সাথে পুরুষের মধ্য থেকে যে কথা বলবে তার মাঝখানে হিজাব থাকতে হবে। কাজেই তিনি ঠিক তেমনটি করলেন (সহি মুসলিম, ৮ খন্ড)। হিজাব ফরজ হওয়ার জন্য উম্মুল মমিনীন হওয়ার শর্ত। ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলের( সঃ) পরে মুজাহিদ ইবনে আবু উমায়ের ইবনুল মুগীরা আসমা বিনতে নোমানকে বিবাহ করেন। ওমর( রাঃ) তাদের দুজনকে শাস্তি দিতে চান। এই কথা জানতে পেরে আসমা বলেন, আল্লাহর কসম, আমার জন্য হিজাব ফরজ করা হয়নি এবং আমাকে উম্মুল মুমিনীন বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। ওমর( রাঃ) তাদের শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকেন (সহীহ মুসলিম, ৮ খন্ড)। অনুরূপভাবে হযরত আবু বকর( রাঃ) ফিন্দি গোত্রের কোতিলা নামের এক মহিলাকে শাস্তি দিতে চান। হযরত ওমর( রাঃ) বলেন আল্লাহর কসম, সেতো মূলত রসুলের( সঃ) স্ত্রী ছিল না। তিনি তাকে এখতিয়ার ও দেননি এবং হিজাবের মধ্যেও রাখেননি (সহিঃ মুসলিম, ৮ খন্ড)। আমি নিচে দুই সেট দলিল(৪ টি হাদীস) সহ শরীয়তের ইমামদের মন্তব্য ২ ধাপে লিপিবদ্ধ করলাম।
এখানে আমি পর্দার সাথে সংশ্লিষ্ট দুটি হাদিস সহ কতিপয় শরীয়তের ইমামের মতামত লিপিবদ্ধ করলাম। #(১) রসূল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো । কারণ সে তোমাদের দেখতে পাইতেছেনা। কিন্তু তোমরা তো তাকে দেখতে পাইতেছো। সুতরাং তার থেকে পর্দা করো"( সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নাম্বার-৪২১২) # (২) ফাতেমা বিনতে কায়েস বর্ণিত হাদীসঃ আমর ইবনে হাফসের পিতা তাকে তিন তালাক দেন( হযরত আলীর রাঃ সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেনে আবার পথে)। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে এসে তাঁকে এ কথা জানায়। রসূল( সঃ) তাকে উম্মে সুরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এ মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীদের সার্বক্ষণিক যাতায়াত আছে। বরং তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম গৃহে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে ( সহী মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)। # অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটি কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে( সহিঃ মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)। ঘটনাটি সংঘটিত হয় ১০ম হিঃ সনে। # এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, যেখানে রসূল( সঃ) তার স্ত্রীদেরকে অন্ধ সাহাবীর দিকে তাকাতে নিষেধ করছেন, সেখানে ফাতেমাকে বলছেন, তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুম এর গৃহে ঈদ পালন করো। ফাতেমা ও এই অন্ধ সাহাবীর মধ্যে মেলামেশা হবে দুই /এক ঘন্টার জন্য নয় বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি। # অন্যদিকে হাদিস থেকে বুঝা যায়, উম্মে শুরাইক এর গৃহ এবং মেহমান খানার মধ্যে কোন অন্তরাল ছিল না। সেখানে নারী ও পুরুষ মেলামেশা হত অহরহ। # আসরাম হাদিস দুটি আহমদ ইবনে হাম্বল এর নিকট উপস্থাপন করে বলেন, মনে হচ্ছে প্রথম হাদীসটি উম্মুল মুমিনীনদের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং দ্বিতীয় হাদীসটি সকল মুমিন নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট। জবাবে আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন "হা"।( আল মুগনী, ইবনে কুতামাহ, ৭ খন্ড) # ইমাম আবু দাউদ হাদীস দুটি বর্ণনা করার পর বলেন, "এটি ছিল নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট( সুনানে আবু দাউদ, পোষাক অধ্যায়, আল্লাহর বাণী) । # ইমাম তাবারী তার তফসির গ্রন্থে একই মন্তব্য করেন (তাফসীরে তাবারী, 22 খন্ড) # ইবনে কুতাইবা বলেন, হিজাব একমাত্র নবী পত্নীদের জন্য নির্দিষ্ট( তালিবুল মুখতালিফুল হাদীস)। # ইমাম নববী বলেন, হিজাব ফরজ করা হয়েছে একমাত্র নবী স্ত্রীদের জন্য( শারণ্দু সহিঃ মুসলিম লিন নববী, 14 খন্ড)। # মাহলাব বলেনঃ হিজাব একমাত্র নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল( ফাতহুল বারী, 11 খন্ড)। # ইবনে বাত্তাল (সহি বুখারীর একজন ব্যাখ্যাকার) বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, অন্য মুসলিম মেয়েদের জন্য তা ফরজ নয় (ফাতহুল বারি, 13 খন্ড)। # কাজী আইয়াজ বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখার নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং পর্দা অবস্থায় তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা জায়েয নয় (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। # তিনি পুনরায় বলেনঃ রসুলের( সঃ) স্ত্রীগণের চেহারা ও হাতের কব্জি মতভেদ ছাড়াই তাদের জন্য হিজাব ফরজ । যে কারণে সাক্ষী দেওয়া ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তাদের জন্য মুখ খোলা রাখা বৈধ নয় (ফাতহুলল বারি, 10 খন্ড)। # মূল কথা এই যে, উম্মুল মুমিনীনদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, তা সাধারণ মোমেন নারীদের জন্য ফরজ করা হয়নি। সাধারণ মোমেন নারীর সতর ঢাকা ফরজ। সতরের সীমা নিয়ে আলেমদের মধ্যে এখতেলাফ আছে।
Assalamualaikum wa Rahmatullahi wa Barkatullah Alhamdulillah Marsallha jajakallah Sukreua nice lecture Breather you are great speakir Alhamdulillah Marsallha jajakallah Sukreua Allah qubil korun amin summa amin I am from Kolkata India
এখানে আমি দুটি হাদিস সহ কতিপয় শরীয়তের ইমামের মতামত লিপিবদ্ধ করলাম। #(১) রসূল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো । কারণ সে তোমাদের দেখতে পাইতেছেনা। কিন্তু তোমরা তো তাকে দেখতে পাইতেছো। সুতরাং তার থেকে পর্দা করো"। # (২) ফাতেমা বিনতে কায়েস বর্ণিত হাদীসঃ আমর ইবনে হাফসের পিতা তাকে তিন তালাক দেন( হযরত আলীর রাঃ সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেনে আবার পথে)। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে এসে তাঁকে এ কথা জানায়। রসূল( সঃ) তাকে উম্মে সুরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এ মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীদের সার্বক্ষণিক যাতায়াত আছে। বরং তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম গৃহে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে ( সহী মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)। # অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটি কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে( সহিঃ মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)। ঘটনাটি সংঘটিত হয় ১০ম হিঃ সনে। # এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, যেখানে রসূল( সঃ) তার স্ত্রীদেরকে অন্ধ সাহাবীর দিকে তাকাতে নিষেধ করছেন, সেখানে ফাতেমাকে বলছেন, তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুম এর গৃহে ঈদ পালন করো। ফাতেমা ও এই অন্ধ সাহাবীর মধ্যে মেলামেশা হবে দুই /এক ঘন্টার জন্য নয় বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি। # অন্যদিকে হাদিস থেকে বুঝা যায়, উম্মে শুরাইক এর গৃহ এবং মেহমান খানার মধ্যে কোন অন্তরাল ছিল না। সেখানে নারী ও পুরুষ মেলামেশা হত অহরহ। # আসরাম হাদিস দুটি আহমদ ইবনে হাম্বল এর নিকট উপস্থাপন করে বলেন, মনে হচ্ছে প্রথম হাদীসটি উম্মুল মুমিনীনদের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং দ্বিতীয় হাদীসটি সকল মুমিন নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট। জবাবে আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন "হা"।( আল মুগনী, ইবনে কুতামাহ, ৭ খন্ড) # ইমাম আবু দাউদ হাদীস দুটি বর্ণনা করার পর বলেন, "এটি ছিল নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট( সুনানে আবু দাউদ, পোষাক অধ্যায়, আল্লাহর বাণী) । # ইমাম তাবারী তার তফসির গ্রন্থে একই মন্তব্য করেন (তাফসীরে তাবারী, 22 খন্ড) # ইবনে কুতাইবা বলেন, হিজাব একমাত্র নবী পত্নীদের জন্য নির্দিষ্ট( তালিবুল মুখতালিফুল হাদীস)। # ইমাম নববী বলেন, হিজাব ফরজ করা হয়েছে একমাত্র নবী স্ত্রীদের জন্য( শারণ্দু সহিঃ মুসলিম লিন নববী, 14 খন্ড)। # মাহলাব বলেনঃ হিজাব একমাত্র নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল( ফাতহুল বারী, 11 খন্ড)। # ইবনে বাত্তাল (সহি বুখারীর একজন ব্যাখ্যাকার) বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, অন্য মুসলিম মেয়েদের জন্য তা ফরজ নয় (ফাতহুল বারি, 13 খন্ড)। # কাজী আইয়াজ বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখার নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং পর্দা অবস্থায় তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা জায়েয নয় (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। # তিনি পুনরায় বলেনঃ রসুলের( সঃ) স্ত্রীগণের চেহারা ও হাতের কব্জি মতভেদ ছাড়াই তাদের জন্য হিজাব ফরজ । যে কারণে সাক্ষী দেওয়া ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তাদের জন্য মুখ খোলা রাখা বৈধ নয় (ফাতহুলল বারি, 10 খন্ড)। # মূল কথা এই যে, উম্মুল মুমিনীনদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, তা সাধারণ মোমেন নারীদের জন্য ফরজ করা হয়নি। সাধারণ মোমেন নারীর সতর ঢাকা ফরজ। সতরের সীমা নিয়ে আলেমদের মধ্যে এখতেলাফ আছে।
(৪) সূরা আহযাবের ৫৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, হে নবী আপনি আপনার বিবিগনকে এবং আপনার কন্যাদেরকে এবং অন্যান্য মুমিন নারীগণকে বলে দিন যে, তারা যেন চাদরের কিয়দংশ তাদের নিজেদের উপর টেনে নেয় , যাতে তাদেরকে চিনতে পারা যায় এবং তাদের উত্যক্ত করা না হয়। এখানে প্রশ্ন হল, চাদর টেনে নয়ারর অর্থ যদি চেহারা ঢাকা বুঝায়, তবে তাদেরকে চেনা যাবে কিভাবে? ইমাম তাবারী( মৃত্যু- ৩১০) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, হে নবী তোমার স্ত্রীদের, কন্যাদের ও মুসলিম নারীদের বলো তারা যেন বাঁদীদের সদৃশ পোশাক না পরে। যাতে ফাসেকরা উত্যক্ত না করে এবং আজেবাজে মন্তব্য করে তাদের বিরক্ত না করে।( তাফসীরে তাবারী, সূরা আহযাব, 59 আয়াত) ইমাম শাওকানী এবং ইমাম ওয়াহেদী অনুরূপ মন্তব্য করে বলেন, এই আয়াতে বাদী ও স্বাধীন মহিলার সতরের পার্থক্য করা হয়েছে। হযরত ওমর( রাঃ) বাদীদের ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকা দেখলে তাদের বেত্রাঘাত করতেন এবং বলতেন তোমরা স্বাধীন মহিলার রূপ ধারণ করবে না। # হাদীসঃ উমর( রাঃ) জনৈক মহিলাকে ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় দেখলেন। এই অবস্থা দেখে তাকে প্রশ্ন করলেন। তখন ওমরকে( রাঃ) বলা হল সে ক্রীতদাসী। তিনি বললেন, ক্রীতদাসীর পোশাক যেন তার গৃহকর্ত্রীর অনুরূপ না হয় (বাগবীর শরহে সুন্নাহে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে, 2 খন্ড। বাইহাকী বলেন হাদীসটির আছার সমূহ বিশুদ্ধ) # হাদীসঃ ওমর( রাঃ) আনাসের পরিবারের জনৈক দাসীকে বোরকা দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় দেখে তাকে বেত্রাঘাত করলেন। এবং বললেন, তুমি মাথা খোলা রাখ, স্বাধীন নারীদের আকৃতি ধারণ করো না। (ইবনে কুদামা, আল মুগনী, 1 খন্ড) ওমরের( রাঃ) এই আচরণ ইমাম তাবারীর ব্যাখ্যাকে সমর্থন করে। হাদিস দুটো থেকে বুঝা যায়, দাসীরা মাথা খোলা রেখে রাস্তায় চলাফেরা করবে। আর স্বাধীন মহিলারা চেহারা খোলা রেখে রাস্তায় চলাফেরা করবে। কিছু সংখ্যক মহিলা এবং কিছু সংখ্যক পুরুষকে তাদের সতর ঢেকে আসতে বলা হলো। তারা নির্দেশ পালন করে আসলো এবং নারী-পুরুষের সতরের ভিন্নতা দেখা গেল। অনুরূপভাবে উম্মুল মুমিনীনদের জন্য হিজাব ফরয ছিল এবং সাধারণ মুমিন নারীর সতর ঢাকা ফরয ছিল। সুরা আহযাবের 59 নম্বর আয়াতে উম্মুল মুমিনীনদের চাদর টেনে নেয়া এবং মহিলা সাহাবীদের চাদর টেনে নেয়ার ভিন্নতা অবশ্যই থাকবে। ইমাম মালেক বলেন, দাসীদের মাথা খোলা রেখে নামাজ পড়া সুন্নত। # ইমাম মালেক (রঃ)এর মুয়াত্তা গ্রন্থে উল্লেখ আছে, ইমাম মালেককে প্রশ্ন করা হয়ঃ নারীরা কি মুহরীম ছাড়া অন্য লোকদের অথবা তাদের দাসদের সাথে একত্রে আহার করতে পারে? তিনি উত্তর দেন, যদি মহিলাদের সাথে পুরুষের খাওয়ার প্রচলন থাকে তাহলে কোন অসুবিধা নেই। অর্থাৎ যদি তাদের পরস্পরের মধ্যে পরিচিতি থাকে। ইমাম মালেক বলেনঃ নারী তার স্বামীর সাথে ওই সমস্ত লোক যাদের সাথে একত্রে খাওয়ার ব্যবস্থা স্বামী করে থাকে তাদের সাথে খেতে পারে (আল মুয়াত্তা, 2 খন্ড, 935 পৃষ্ঠা)। বলাবাহুল্য চেহারা ও হাতের কব্জি না খুলে কারো পক্ষে খাওয়া সম্ভব নয়। # হানাফী মাযহাবের ইমাম আল মারগিনানী আল হেদায়া গ্রন্থে রয়েছে, রসূল ( সঃ) এর কথা অনুযায়ী স্বাধীন মহিলার চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া বাকি সব টুকুই সতরের অংশ। নারীর সবকিছু সতর, তবে আপনা আপনি প্রকাশিত হওয়ার কারণে দুটি অঙ্গ বাদ রাখা হয়েছে( কামাল ইবনে হুমামের হেদায়ার শরহে ফাতহুল কাদির, 1 খন্ড 258 পৃষ্ঠা। 2 খন্ড, 242 পৃষ্ঠা) # ইবনে বাত্তাল বলেন, সকলের ঐকমত্যে নারীর চেহারা ঢেকে রাখা ফরজ নয়। নারী নামাজে চেহারা খোলা রাখতে পারে যদিও এই অবস্থায় কোন অপরিচিত জন বা কোন গায়রে মাহরাম তাকে দেখে( ফাতহুল বাড়ী, 13 খন্ড, 245 পৃষ্ঠা) # কাজী আয়ইজ রঃ বলেন, বিশেষভাবে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের চেহারা ঢেকে রাখা ফরজ হওয়ার ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই। অন্য নারীদের ব্যাপারে মুস্তাহাব হওয়ার মধ্যেও মতপার্থক্য রয়েছে( ফাতহুল বাড়ী, 13 খন্ড)।
Ami porasona kori eii jonno j ami Ki6u service korbo jodi ami amar porda thik rakhte pari tobe ki chakri kora jabe na? Please amar answer deben.amar kintu oii duniyar jonno voi hoi
অসাধারণ বক্তব্যে।আল্লাহ আপনাকে আপনার পরিবার কে হেফাজত করুক।
জাযাকাল্লাহু খাইরান প্রিয় ভাই।
কথা গুলো কতটুকু মূল্যবান ভাষায় বুঝাতে পারবো না। জাযাকাল্লাহু খাইরান 🖤
এত সুন্দর করে কোন বক্তা আগে বলেনি
যেমন বাপ তেমন ছেলে মাশাল্লাহ
আমার জীবনে আমি এত সুন্দর ও জ্ঞানী বক্তব্য শুনিনি। আল্লাহ সুবাহানাতালা আমার আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক ভাই কে যেন দীর্ঘজীবী করে ও নেক হায়াত দান করুক। আমিন।
আল্লাহ শায়েখকে দীর্ঘ হায়াত দান করুক, এক একটি কথা কোটি কোটি টাকার চেয়ে দামী।
মাশ আল্লা খুব সুন্দর আলোচনা আল্লা সবাইকে বোঝার তৌফিক দাও
Hi
হুজুর খুব সুন্দর আলোচনা করেন ৷
মাশাআল্লাহ জাযাকাল্লাহ খাইরান
Alhamdulillah.. Very very important speech
মাশা আল্লাহ খুব ভালো লেগেছে আল্লা আপনাকে হেফাজত করুন আমিন
*আল্লাহ আমাদের মা-বোনদেরকে আপনি ইসলামের সঠিক বিধান মেনে পর্দা করার তৌফিক দিন, এবং আমাদের সবাইকে ইসলামের সহিহ বুঝ দান করুন*
আমিন
আপনি আবদুল্লাহর কাছ থেকে বক্তব্য শুনুন বা ইলম অর্জন করুন।
আমিন
amin
Allah tumake hidayet dan koruk tumi fake ID use korcho
হে আল্লাহ! আমার গর্ভে এমন একটা আব্দুল্লাহ দান করিও
তার চেয়ে যেনো ভালো হয় সেই দোয়া করেন ❤️❤️❤️
আমিন
আমিন
আল্লাহুম্মা আমিন
amin
হে অাল্লাহ অামার সন্তান কে শায়েখ অাব্দুল্লাহর মত কবুল করে নিন।
সত্যি কথা
জাজা কাল্লাহু খায়ের
আব্দুল্লাহ ভাইয়ের বক্তব্য যতই শুনছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন...আমিন।
আমিন
জাযাকাল্লাহু খাইরান।
কি বলবো বোলার ভাষা নাই শুধু মনথেকে দোয়া করি আপনার এবং আপনাদের পৃরিবারের জন্য
শেষের কথাগুলো একেবারে অন্তরে লাগলো।দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প দেশের ইন্জিনিয়ারদের করার দক্ষতা নেই বাহির থেকে ইন্জিনিয়ারদের ভাড়া করে অানতে হয়। এটাই বাস্তব
বর্তমানে ৯৯% মানুষ" দাইয়ুস" আমার মোনে হয়।ধন্যবাদ আব্দুল্লা বিন আব্দুর রাজ্জাক ভাই এই শ্রেণির লোকদের নিয়ে আলোচনা করার জন্য।মহান আল্লাহ আমাদের হেদায়েত করুণ।আমিন
আসমা বিনতে উমাইস( রাঃ) এর স্বামী জাফর( রাঃ) অষ্টম হিজরী সনে মুতার যুদ্ধে শহীদ হন (মুসনাদ, 6 খন্ড, 270 পৃষ্ঠা)। আসমা বিলাপ করে ক্রন্দন করলে রসূল( সঃ) মুখে মাটি পুরে দেয়ার নির্দেশ দেন (বোখারী, 2 খন্ড)
এর প্রায় ছয় মাস পর অষ্টম হিজরীতে হুনাইনের যুদ্ধের সময়ে মহানবী( সঃ) হযরত আবু বকর( রাঃ) এর সঙ্গে আসমা বিনতে উমাইস এর বিয়ে পড়িয়ে দেন( ইসাবা, ৮ম খন্ড, ৯ পৃষ্ঠা)।
(১) হাদিসঃ আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস থেকে বর্ণিত। বনি হাশেমের একদল লোক আসমা বিনতে উমাইসের কাছে গেল। তারপর আবুবকর( রাঃ) সেখানে গেলেন । সে সময় আসমা ছিলেন আবুবকরের স্ত্রী। আবুবকর( রাঃ) তাদেরকে দেখলেন এবং তা অপছন্দ করলেন। তিনি রসূলের( সঃ) কাছে সে কথা উল্লেখ করে বললেন, অবশ্য আমি ভালো ছাড়া আর কিছু দেখিনি। একথায় রসূল( সঃ) বললেন, আল্লাহ তাকে মন্দ থেকে মুক্ত করেছেন। তারপর রসূল( সঃ) মেম্বারে উঠে বললেনঃ
"আজকের পর থেকে স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোন ব্যক্তির সঙ্গে অন্য এক ব্যক্তি বা দুজনকে না নিয়ে তার স্ত্রীর সাথে দেখা করতে পারবে না "(সহিঃ মুসলিম, সালাম অধ্যায়, গায়রে মাহরামের কাছে নিরিবিলিতে যাওয়া ও সাক্ষাৎ করা হারাম)।
(২) হাদিসঃ মুয়াবিয়া( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতার সাথে আবু বকরের( রাঃ) নিকট গেলাম । তখন আসমা বিনতে উমাইসকে দেখলাম তার মাথার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি ছিলেন উজ্জ্বল ফর্সা এবং আবু বকরকে( রাঃ) আরো বেশি উজ্জ্বল হালকা-পাতলা দেখলাম। অতঃপর আবুবকর( রাঃ) আমাকে ও আমার পিতাকে দুটি ঘোড়ায় চড়িয়ে দিলেন। ( মাজমুআ আয-যওয়ায়েদ, মানাবিক অধ্যায়ে, অনুচ্ছেদঃ আবু বকরের মর্যাদা সম্পর্কে, 9 খন্ড। হাফেজ হাইছামী বলেন, তাবারানি হাদিস বর্ণনা করেন এবং তার বর্ণনা সহি)।
(৩) হাদিসঃ তাবারানী কায়েস ইবনে আবু হাযেম থেকে একটি বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, আমরা আবু বকরের( রাঃ) কাছে গেলাম । তখন তিনি রোগ সয্যায় ছিলেন। আমি তার কাছে একজন ফর্সা মহিলাকে দেখলাম। তিনি মেহেদি দিয়ে দুহাত নকশা করেছিলেন এবং আবু বকরের শরীর থেকে মাছি তাড়াচ্ছিলেন। তিনি ছিলেন আসমা বিনতে উমাইস (ফাতহুল বারী, 12 খন্ড। মাজমাউয যাওয়ায়েদ, 5 খন্ড। তাবারি সহীহ সনদ সহকারে এটি উদ্ধৃত করেছেন)।
হযরত আবু বকরের( রাঃ) মৃত্যুর পর হযরত আলী( রাঃ) আসমা বিনতে উমাইসকে বিয়ে করেন।
(৩) হাদিসঃ আমর ইবনুল আস এর ক্রীতদাস থেকে বর্ণিত। আমর ইবনুল আস তাকে আলী( রাঃ) কাছে আসমা বিনতে উমাইস এর নিকট যাওয়ার জন্য অনুমতি চাইতে পাঠালেন । আলী( রাঃ) তাকে অনুমতি দিলেন। ক্রীতদাস কাজ সেরে এর রহস্য জানতে চাইলেন। আমর ইবনুল আস( রাঃ) বললেন, রসূল( সঃ) আমাদেরকে কোন মহিলার কাছে যেতে নিষেধ করেছেন তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া (তিরমিজী, দ্বিতীয় খন্ড)।
হিজাবের আয়াত নাযিল হয় পঞ্চম হিজরী সনে। উপরে বর্ণিত হাদীসগুলোর ঘটনা অষ্টম হিজরি সনের পর।
মেয়েদের চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা।
(১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল।
(২) কোন কিশোরী যখন ঋতুশ্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দু'হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট বিধেয় নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, 310 পৃষ্ঠা)। হাদীসটি দুর্বল।
(৩) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)।
হাদীসটি শক্তিশালী।
আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না।
ইমাম মালেক বলেন, দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কথা গ্রহণ বা বর্জন করা যায়, শুধু এই কবর বাসী ছাড়া(অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা ছাড়া)।
মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা)
তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ--
(১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ)
(৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন)
যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ) (সূরা নূর-৩১ এর তাফসির দেখুন)।
কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না।
এগুলো তাদের ইস্তেহাদ, যা তারা উত্তম বিবেচনা করেছেন। এই উত্তম বিবেচনা কোন কিছুকে ওয়াজিব বা হারাম করে দেয় না।
ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)।
বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন এবং নিকাব পড়া একজন মহিলা ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
@@abdulwahedkhan6293 apni ki meye?
@@nabilataha2913
মেয়ে না হলে কি কোরআন, হাদীস বয়ান করা যায় না?
এখানে আমি পর্দার সাথে সংশ্লিষ্ট দুটি হাদিস সহ কতিপয় শরীয়তের ইমামের মতামত লিপিবদ্ধ করলাম।
#(১) রসূল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো । কারণ সে তোমাদের দেখতে পাইতেছেনা। কিন্তু তোমরা তো তাকে দেখতে পাইতেছো। সুতরাং তার থেকে পর্দা করো"( সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নাম্বার-৪২১২)
# (২) ফাতেমা বিনতে কায়েস বর্ণিত হাদীসঃ আমর ইবনে হাফসের পিতা তাকে তিন তালাক দেন( হযরত আলীর রাঃ সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেনে আবার পথে)। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে এসে তাঁকে এ কথা জানায়। রসূল( সঃ) তাকে উম্মে সুরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এ মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীদের সার্বক্ষণিক যাতায়াত আছে। বরং তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম গৃহে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে ( সহী মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)।
# অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটি কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে( সহিঃ মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)।
ঘটনাটি সংঘটিত হয় ১০ম হিঃ সনে।
# এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, যেখানে রসূল( সঃ) তার স্ত্রীদেরকে অন্ধ সাহাবীর দিকে তাকাতে নিষেধ করছেন, সেখানে ফাতেমাকে বলছেন, তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুম এর গৃহে ঈদ পালন করো। ফাতেমা ও এই অন্ধ সাহাবীর মধ্যে মেলামেশা হবে দুই /এক ঘন্টার জন্য নয় বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি।
# অন্যদিকে হাদিস থেকে বুঝা যায়, উম্মে শুরাইক এর গৃহ এবং মেহমান খানার মধ্যে কোন অন্তরাল ছিল না। সেখানে নারী ও পুরুষ মেলামেশা হত অহরহ।
# আসরাম হাদিস দুটি আহমদ ইবনে হাম্বল এর নিকট উপস্থাপন করে বলেন, মনে হচ্ছে প্রথম হাদীসটি উম্মুল মুমিনীনদের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং দ্বিতীয় হাদীসটি সকল মুমিন নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট। জবাবে আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন "হা"।( আল মুগনী, ইবনে কুতামাহ, ৭ খন্ড)
# ইমাম আবু দাউদ হাদীস দুটি বর্ণনা করার পর বলেন, "এটি ছিল নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট( সুনানে আবু দাউদ, পোষাক অধ্যায়, আল্লাহর বাণী) ।
# ইমাম তাবারী তার তফসির গ্রন্থে মন্তব্য করেন যে, মাহরামদের সামনে উম্মুল মুমিনিনগন হিজাব করবে না। (তাফসীরে তাবারী, 22 খন্ড)
# ইবনে কুতাইবা বলেন, হিজাব একমাত্র নবী পত্নীদের জন্য নির্দিষ্ট( তালিবুল মুখতালিফুল হাদীস)।
# ইমাম নববী বলেন, হিজাব ফরজ করা হয়েছে একমাত্র নবী স্ত্রীদের জন্য( শারণ্দু সহিঃ মুসলিম লিন নববী, 14 খন্ড)।
# মাহলাব বলেনঃ হিজাব একমাত্র নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল( ফাতহুল বারী, 11 খন্ড)।
# ইবনে বাত্তাল (সহি বুখারীর একজন ব্যাখ্যাকার) বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, অন্য মুসলিম মেয়েদের জন্য তা ফরজ নয় (ফাতহুল বারি, 13 খন্ড)।
# কাজী আইয়াজ বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখার নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং পর্দা অবস্থায় তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা জায়েয নয় (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)।
# তিনি পুনরায় বলেনঃ রসুলের( সঃ) স্ত্রীগণের চেহারা ও হাতের কব্জি মতভেদ ছাড়াই তাদের জন্য হিজাব ফরজ । যে কারণে সাক্ষী দেওয়া ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তাদের জন্য মুখ খোলা রাখা বৈধ নয় (ফাতহুলল বারি, 10 খন্ড)।
# মূল কথা এই যে, উম্মুল মুমিনীনদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, তা সাধারণ মোমেন নারীদের জন্য ফরজ করা হয়নি। সাধারণ মোমেন নারীর সতর ঢাকা ফরজ। সতরের সীমা নিয়ে আলেমদের মধ্যে এখতেলাফ আছে।
@@abdulwahedkhan6293 na thikase apnar shathe shohomot khali jante chaisi meye naki apni
আল্লাহ তুমি আব্দুল্লাহ ভাই কে নেকহায়াত দান কর।আমিন।
amin
খুব সুনদুর
অনেক ধন্যবাদ
মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর আলোচনা আল্লাহ কবুল করুন আমীন 🥰🥰🥰🥰
মাশাআল্লাহ,জাজাকাল্ল হু খয়রান
আল্লাহ সকলকে সঠিক ইসলাম বুঝার তৌফিক দান করুন
জান্নাতুল মাওয়া ㅗ로ㅜ7ㅔ해
amin
শেষের কথাগুলো দেশের কোনো বুদ্ধিজীবিও আগে বলেনি
দোয়া রইল ভাই আপনি এগিয়ে যান
শেষের কথাগুলো বুঝার ক্ষমতা অনেকেরই নেই। আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুন.... আমিন।
Allahuakber, ❤️❤️❤️
সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার জাযাকাল্লাহ খায়ের আল্লাহ আপনার জ্ঞান অর্জন আরো বাড়িয়ে দাও আল্লাহুম্মা আমীন
Khub sundor baktobo Allah hefajot koruk bhaike ameen
খুব সুন্দর আলোচনা। আলহামদুলিল্লাহ
আল্লাহ, আব্দুল্লাহর দ্বারা সকল মানুষ কে দিনের দাওয়াত কবুল করে নিন,, আমিন....
শেষের কথা গুলো
ছেলেদের জীবন পরিবর্তনের জন্য যথেষ্ট
এই ওয়াজটি বতমান সময়ে মানুষের জন্য খুবি কায্যকর
আলহামদুলিল্লাহ,,খুব ভালো লাগলো
শেষের কথা গুলা বাংলাদেশের কোনো বুদ্ধিজীবীও আগে বলেনি।
আল্লাহ আমাদের মা-বোনদেরকে আপনি ইসলামের সঠিক বিধান মেনে পর্দা করার তৌফিক দিন
(৮) হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট( কারন)ঃ-
🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀
একজন নেতার বাড়িতে জনসমাগম খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। নবী হিসেবে রসুলের( সঃ) গৃহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।। রসুলের( সঃ) হারেমে যেসব লোক যাতায়াত করত তার মধ্যে ভালো মন্দ সব রকমের লোকই ছিল। ইসলাম প্রসারের সাথে সাথে রসুলের( সঃ) গৃহে লোকের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। হযরত ওমর( রাঃ) বিষয়টি জানতে পেরে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের হিজাবের অন্তরালে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু রসূল( সঃ) আল্লাহর তরফ হতে ইংগিত না পাওয়ায় বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেননি।
# হাদীসঃ- হযরত ওমর( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ----------আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল(সঃ) আপনার কাছে ভালো-মন্দ সব ধরনের লোকই আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মুমিনীনদের হিজাবের অন্তরালে রাখার নির্দেশ দিতেন (তাহলে কতই না ভালো হতো) । ফলে আল্লাহ হিজাবের আয়াত নাযিল করেন (সহি বুখারী, তাফসীর অধ্যায়, ৯ খন্ড)।
তাছাড়া রাসুলের( সঃ) মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে। তাদের জন্য হিজাব ফরজ করা হয়েছে। কারণ পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে। এই আগ্রহ হতে পারে পুরুষের তরফ থেকে অথবা নারীর পক্ষ থেকে। যেহেতু নবী স্ত্রীদের পুনঃবিবাহ হারাম করা হয়েছে, তাদের জন্য হিজাব ফরজতো করা হবেই। এটাই স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত।
মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ তোমরা সাধারণ ( অন্যান্ন) স্ত্রীলোকদের মত নও।----- (আহজাব-৩২)।
নিজ গৃহে অবস্থান করো।------- (আহযাব-৩৩)।
নবীর স্ত্রীদের নিকট কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল থেকে চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে (আহযাব- 53)।
এখানে প্রশ্ন হলোঃ সাধারণ স্ত্রীলোক (অন্যান্য) বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? অবশ্যই সাধারণ মুমিন নারীকে বুঝানো হয়েছে।
হযরত ওমর( রাঃ) তার শাসনামলে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেননি। কারণ মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ, তোমরা সাধারন স্ত্রীলোকদের মত নও। নিজ গৃহে অবস্থান করো( আজাব 32, 33)। মহান আল্লাহর এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওমর( রা) উম্মুল মুমিনীনদের উপর এই বিধি নিষেধ জারি করেন। কিন্তু সাধারণ মুমিন নারীর উপর হজ্বের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। পরবর্তীতে অকাট্য ও বলিষ্ঠ দলিলের ভিত্তিতে তার খেলাফতের শেষের দিকে ওমর( রাঃ) তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে তার শেষ হজ্বে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেন।
হাদিসঃ- ইব্রাহিম ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত। ওমর( রাঃ) তার শেষ হজ্জ্বে নবী পত্নীদের হজ করার অনুমতি দেন। এজন্য তাদের সাথে পাঠান উসমান ইবনে আফফান ও আব্দুর রহমানকে (সহি বুখারী, হজ্জ্ব অধ্যায়)। বাইহাকীর বর্ণনায় আরও বিস্তারিত আছে।
সহি বুখারী আরেক বর্ণনায় আছে হজ্বের সময় উম্মুল মু'মিনীনগন পুরুষদের সাথে মিশতেন না।( সহি বুখারী, হজ্ব অধ্যায়ের ইবনে জুরাইজ বর্ণিত হাদিসটি দেখুন)।
উম্মুল মোমেনিন হওয়ার জন্য হিজাব শর্ত।
নোমান ইবনে আবিল জওন আল ফিন্দির প্রস্তাব অনুযায়ী রসূল( সঃ) এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাকে বলা হলঃ আপনার ও আপনার সাথে পুরুষের মধ্য থেকে যে কথা বলবে তার মাঝখানে হিজাব থাকতে হবে। কাজেই তিনি ঠিক তেমনটি করলেন (সহি মুসলিম, ৮ খন্ড)।
হিজাব ফরজ হওয়ার জন্য উম্মুল মমিনীন হওয়ার শর্ত।
ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলের( সঃ) পরে মুজাহিদ ইবনে আবু উমায়ের ইবনুল মুগীরা আসমা বিনতে নোমানকে বিবাহ করেন। ওমর( রাঃ) তাদের দুজনকে শাস্তি দিতে চান। এই কথা জানতে পেরে আসমা বলেন, আল্লাহর কসম, আমার জন্য হিজাব ফরজ করা হয়নি এবং আমাকে উম্মুল মুমিনীন বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। ওমর( রাঃ) তাদের শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকেন (সহীহ মুসলিম, ৮ খন্ড)।
অনুরূপভাবে হযরত আবু বকর( রাঃ) ফিন্দি গোত্রের কোতিলা নামের এক মহিলাকে শাস্তি দিতে চান। হযরত ওমর( রাঃ) বলেন আল্লাহর কসম, সেতো মূলত রসুলের( সঃ) স্ত্রী ছিল না। তিনি তাকে এখতিয়ার ও দেননি এবং হিজাবের মধ্যেও রাখেননি (সহিঃ মুসলিম, ৮ খন্ড)।
আমি নিচে দুই সেট দলিল(৪ টি হাদীস) সহ শরীয়তের ইমামদের মন্তব্য ২ ধাপে লিপিবদ্ধ করলাম।
এখানে আমি পর্দার সাথে সংশ্লিষ্ট দুটি হাদিস সহ কতিপয় শরীয়তের ইমামের মতামত লিপিবদ্ধ করলাম।
#(১) রসূল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো । কারণ সে তোমাদের দেখতে পাইতেছেনা। কিন্তু তোমরা তো তাকে দেখতে পাইতেছো। সুতরাং তার থেকে পর্দা করো"( সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নাম্বার-৪২১২)
# (২) ফাতেমা বিনতে কায়েস বর্ণিত হাদীসঃ আমর ইবনে হাফসের পিতা তাকে তিন তালাক দেন( হযরত আলীর রাঃ সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেনে আবার পথে)। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে এসে তাঁকে এ কথা জানায়। রসূল( সঃ) তাকে উম্মে সুরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এ মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীদের সার্বক্ষণিক যাতায়াত আছে। বরং তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম গৃহে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে ( সহী মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)।
# অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটি কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে( সহিঃ মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)।
ঘটনাটি সংঘটিত হয় ১০ম হিঃ সনে।
# এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, যেখানে রসূল( সঃ) তার স্ত্রীদেরকে অন্ধ সাহাবীর দিকে তাকাতে নিষেধ করছেন, সেখানে ফাতেমাকে বলছেন, তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুম এর গৃহে ঈদ পালন করো। ফাতেমা ও এই অন্ধ সাহাবীর মধ্যে মেলামেশা হবে দুই /এক ঘন্টার জন্য নয় বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি।
# অন্যদিকে হাদিস থেকে বুঝা যায়, উম্মে শুরাইক এর গৃহ এবং মেহমান খানার মধ্যে কোন অন্তরাল ছিল না। সেখানে নারী ও পুরুষ মেলামেশা হত অহরহ।
# আসরাম হাদিস দুটি আহমদ ইবনে হাম্বল এর নিকট উপস্থাপন করে বলেন, মনে হচ্ছে প্রথম হাদীসটি উম্মুল মুমিনীনদের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং দ্বিতীয় হাদীসটি সকল মুমিন নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট। জবাবে আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন "হা"।( আল মুগনী, ইবনে কুতামাহ, ৭ খন্ড)
# ইমাম আবু দাউদ হাদীস দুটি বর্ণনা করার পর বলেন, "এটি ছিল নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট( সুনানে আবু দাউদ, পোষাক অধ্যায়, আল্লাহর বাণী) ।
# ইমাম তাবারী তার তফসির গ্রন্থে একই মন্তব্য করেন (তাফসীরে তাবারী, 22 খন্ড)
# ইবনে কুতাইবা বলেন, হিজাব একমাত্র নবী পত্নীদের জন্য নির্দিষ্ট( তালিবুল মুখতালিফুল হাদীস)।
# ইমাম নববী বলেন, হিজাব ফরজ করা হয়েছে একমাত্র নবী স্ত্রীদের জন্য( শারণ্দু সহিঃ মুসলিম লিন নববী, 14 খন্ড)।
# মাহলাব বলেনঃ হিজাব একমাত্র নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল( ফাতহুল বারী, 11 খন্ড)।
# ইবনে বাত্তাল (সহি বুখারীর একজন ব্যাখ্যাকার) বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, অন্য মুসলিম মেয়েদের জন্য তা ফরজ নয় (ফাতহুল বারি, 13 খন্ড)।
# কাজী আইয়াজ বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখার নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং পর্দা অবস্থায় তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা জায়েয নয় (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)।
# তিনি পুনরায় বলেনঃ রসুলের( সঃ) স্ত্রীগণের চেহারা ও হাতের কব্জি মতভেদ ছাড়াই তাদের জন্য হিজাব ফরজ । যে কারণে সাক্ষী দেওয়া ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তাদের জন্য মুখ খোলা রাখা বৈধ নয় (ফাতহুলল বারি, 10 খন্ড)।
# মূল কথা এই যে, উম্মুল মুমিনীনদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, তা সাধারণ মোমেন নারীদের জন্য ফরজ করা হয়নি। সাধারণ মোমেন নারীর সতর ঢাকা ফরজ। সতরের সীমা নিয়ে আলেমদের মধ্যে এখতেলাফ আছে।
আল্লাহ ভাইকে নেক হায়াত দান করুন!!
আলহামদুলিল্লাহ
অসাধারন !
Onek informative kotha
আল্লাহ্ সকলকে ইসলাম কে মেনে চলার তৌফিক দান করুন
মাশাআল্লাহ জাযাকাল্লাহ দারুন উলুম দেওবন্দের সন্তান।
জাজাকাল্লাহ খাইরান
আমিন
মাশাআল্লাহ
মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর হয়ে ছে
Alhamdulillah. I love him so much, his speech really awesome.
sundor waz
মাশাল্লাহ ❤
মা বোন দের বোঝার তৌফিক দান করুন আমিন
Assalamualaikum wa Rahmatullahi wa Barkatullah Alhamdulillah Marsallha jajakallah Sukreua nice lecture Breather you are great speakir Alhamdulillah Marsallha jajakallah Sukreua Allah qubil korun amin summa amin I am from Kolkata India
Right 100%
Khub sundor
এখানে আমি দুটি হাদিস সহ কতিপয় শরীয়তের ইমামের মতামত লিপিবদ্ধ করলাম।
#(১) রসূল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো । কারণ সে তোমাদের দেখতে পাইতেছেনা। কিন্তু তোমরা তো তাকে দেখতে পাইতেছো। সুতরাং তার থেকে পর্দা করো"।
# (২) ফাতেমা বিনতে কায়েস বর্ণিত হাদীসঃ আমর ইবনে হাফসের পিতা তাকে তিন তালাক দেন( হযরত আলীর রাঃ সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেনে আবার পথে)। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে এসে তাঁকে এ কথা জানায়। রসূল( সঃ) তাকে উম্মে সুরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এ মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীদের সার্বক্ষণিক যাতায়াত আছে। বরং তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম গৃহে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে ( সহী মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)।
# অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটি কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে( সহিঃ মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)।
ঘটনাটি সংঘটিত হয় ১০ম হিঃ সনে।
# এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, যেখানে রসূল( সঃ) তার স্ত্রীদেরকে অন্ধ সাহাবীর দিকে তাকাতে নিষেধ করছেন, সেখানে ফাতেমাকে বলছেন, তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুম এর গৃহে ঈদ পালন করো। ফাতেমা ও এই অন্ধ সাহাবীর মধ্যে মেলামেশা হবে দুই /এক ঘন্টার জন্য নয় বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি।
# অন্যদিকে হাদিস থেকে বুঝা যায়, উম্মে শুরাইক এর গৃহ এবং মেহমান খানার মধ্যে কোন অন্তরাল ছিল না। সেখানে নারী ও পুরুষ মেলামেশা হত অহরহ।
# আসরাম হাদিস দুটি আহমদ ইবনে হাম্বল এর নিকট উপস্থাপন করে বলেন, মনে হচ্ছে প্রথম হাদীসটি উম্মুল মুমিনীনদের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং দ্বিতীয় হাদীসটি সকল মুমিন নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট। জবাবে আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন "হা"।( আল মুগনী, ইবনে কুতামাহ, ৭ খন্ড)
# ইমাম আবু দাউদ হাদীস দুটি বর্ণনা করার পর বলেন, "এটি ছিল নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট( সুনানে আবু দাউদ, পোষাক অধ্যায়, আল্লাহর বাণী) ।
# ইমাম তাবারী তার তফসির গ্রন্থে একই মন্তব্য করেন (তাফসীরে তাবারী, 22 খন্ড)
# ইবনে কুতাইবা বলেন, হিজাব একমাত্র নবী পত্নীদের জন্য নির্দিষ্ট( তালিবুল মুখতালিফুল হাদীস)।
# ইমাম নববী বলেন, হিজাব ফরজ করা হয়েছে একমাত্র নবী স্ত্রীদের জন্য( শারণ্দু সহিঃ মুসলিম লিন নববী, 14 খন্ড)।
# মাহলাব বলেনঃ হিজাব একমাত্র নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল( ফাতহুল বারী, 11 খন্ড)।
# ইবনে বাত্তাল (সহি বুখারীর একজন ব্যাখ্যাকার) বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, অন্য মুসলিম মেয়েদের জন্য তা ফরজ নয় (ফাতহুল বারি, 13 খন্ড)।
# কাজী আইয়াজ বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখার নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং পর্দা অবস্থায় তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা জায়েয নয় (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)।
# তিনি পুনরায় বলেনঃ রসুলের( সঃ) স্ত্রীগণের চেহারা ও হাতের কব্জি মতভেদ ছাড়াই তাদের জন্য হিজাব ফরজ । যে কারণে সাক্ষী দেওয়া ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তাদের জন্য মুখ খোলা রাখা বৈধ নয় (ফাতহুলল বারি, 10 খন্ড)।
# মূল কথা এই যে, উম্মুল মুমিনীনদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, তা সাধারণ মোমেন নারীদের জন্য ফরজ করা হয়নি। সাধারণ মোমেন নারীর সতর ঢাকা ফরজ। সতরের সীমা নিয়ে আলেমদের মধ্যে এখতেলাফ আছে।
Jajakalla khair
হে আল্লাহ আপনি উনাকে ওলি বানিয়ে নিন
Amin
মাসআল্লাহ
Very very important speech masallah
"Mashaallah" khub sundor waz
জাজাকাল্লাহখায়ের
aameen.
সুবহানাল্লাহ
Yes
Ma sha Allah
অসাধারণ আলোচনা
Zajakallahu khairan
এখানে মুখ খোলার কি আছে? এখানে সুন্দর আলোচনা হয়েছে
Amin
allah apni ake kobul kirun...amar jiboner sob theke aghat khawa waz
khubsundar vay.
Mash Allah
Very good waz
I LOVE YOUR Father alsow you
❤❤❤❤😢😢😢
inshaAllah kaje lagate hbe
মাশাল্লাহ।
Best was
Allah Tumi sobay ke porda howar toufik dan koro
Allah ama der sokol ke porda korer tou fick dan korun amin
(৪) সূরা আহযাবের ৫৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, হে নবী আপনি আপনার বিবিগনকে এবং আপনার কন্যাদেরকে এবং অন্যান্য মুমিন নারীগণকে বলে দিন যে, তারা যেন চাদরের কিয়দংশ তাদের নিজেদের উপর টেনে নেয় , যাতে তাদেরকে চিনতে পারা যায় এবং তাদের উত্যক্ত করা না হয়।
এখানে প্রশ্ন হল, চাদর টেনে নয়ারর অর্থ যদি চেহারা ঢাকা বুঝায়, তবে তাদেরকে চেনা যাবে কিভাবে?
ইমাম তাবারী( মৃত্যু- ৩১০) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, হে নবী তোমার স্ত্রীদের, কন্যাদের ও মুসলিম নারীদের বলো তারা যেন বাঁদীদের সদৃশ পোশাক না পরে। যাতে ফাসেকরা উত্যক্ত না করে এবং আজেবাজে মন্তব্য করে তাদের বিরক্ত না করে।( তাফসীরে তাবারী, সূরা আহযাব, 59 আয়াত)
ইমাম শাওকানী এবং ইমাম ওয়াহেদী অনুরূপ মন্তব্য করে বলেন, এই আয়াতে বাদী ও স্বাধীন মহিলার সতরের পার্থক্য করা হয়েছে।
হযরত ওমর( রাঃ) বাদীদের ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকা দেখলে তাদের বেত্রাঘাত করতেন এবং বলতেন তোমরা স্বাধীন মহিলার রূপ ধারণ করবে না।
# হাদীসঃ উমর( রাঃ) জনৈক মহিলাকে ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় দেখলেন। এই অবস্থা দেখে তাকে প্রশ্ন করলেন। তখন ওমরকে( রাঃ) বলা হল সে ক্রীতদাসী। তিনি বললেন, ক্রীতদাসীর পোশাক যেন তার গৃহকর্ত্রীর অনুরূপ না হয় (বাগবীর শরহে সুন্নাহে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে, 2 খন্ড। বাইহাকী বলেন হাদীসটির আছার সমূহ বিশুদ্ধ)
# হাদীসঃ ওমর( রাঃ) আনাসের পরিবারের জনৈক দাসীকে বোরকা দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় দেখে তাকে বেত্রাঘাত করলেন। এবং বললেন, তুমি মাথা খোলা রাখ, স্বাধীন নারীদের আকৃতি ধারণ করো না। (ইবনে কুদামা, আল মুগনী, 1 খন্ড)
ওমরের( রাঃ) এই আচরণ ইমাম তাবারীর ব্যাখ্যাকে সমর্থন করে।
হাদিস দুটো থেকে বুঝা যায়, দাসীরা মাথা খোলা রেখে রাস্তায় চলাফেরা করবে। আর স্বাধীন মহিলারা চেহারা খোলা রেখে রাস্তায় চলাফেরা করবে।
কিছু সংখ্যক মহিলা এবং কিছু সংখ্যক পুরুষকে তাদের সতর ঢেকে আসতে বলা হলো। তারা নির্দেশ পালন করে আসলো এবং নারী-পুরুষের সতরের ভিন্নতা দেখা গেল। অনুরূপভাবে উম্মুল মুমিনীনদের জন্য হিজাব ফরয ছিল এবং সাধারণ মুমিন নারীর সতর ঢাকা ফরয ছিল। সুরা আহযাবের 59 নম্বর আয়াতে উম্মুল মুমিনীনদের চাদর টেনে নেয়া এবং মহিলা সাহাবীদের চাদর টেনে নেয়ার ভিন্নতা অবশ্যই থাকবে।
ইমাম মালেক বলেন, দাসীদের মাথা খোলা রেখে নামাজ পড়া সুন্নত।
# ইমাম মালেক (রঃ)এর মুয়াত্তা গ্রন্থে উল্লেখ আছে, ইমাম মালেককে প্রশ্ন করা হয়ঃ নারীরা কি মুহরীম ছাড়া অন্য লোকদের অথবা তাদের দাসদের সাথে একত্রে আহার করতে পারে? তিনি উত্তর দেন, যদি মহিলাদের সাথে পুরুষের খাওয়ার প্রচলন থাকে তাহলে কোন অসুবিধা নেই। অর্থাৎ যদি তাদের পরস্পরের মধ্যে পরিচিতি থাকে। ইমাম মালেক বলেনঃ নারী তার স্বামীর সাথে ওই সমস্ত লোক যাদের সাথে একত্রে খাওয়ার ব্যবস্থা স্বামী করে থাকে তাদের সাথে খেতে পারে (আল মুয়াত্তা, 2 খন্ড, 935 পৃষ্ঠা)।
বলাবাহুল্য চেহারা ও হাতের কব্জি না খুলে কারো পক্ষে খাওয়া সম্ভব নয়।
# হানাফী মাযহাবের ইমাম আল মারগিনানী আল হেদায়া গ্রন্থে রয়েছে, রসূল ( সঃ) এর কথা অনুযায়ী স্বাধীন মহিলার চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া বাকি সব টুকুই সতরের অংশ। নারীর সবকিছু সতর, তবে আপনা আপনি প্রকাশিত হওয়ার কারণে দুটি অঙ্গ বাদ রাখা হয়েছে( কামাল ইবনে হুমামের হেদায়ার শরহে ফাতহুল কাদির, 1 খন্ড 258 পৃষ্ঠা। 2 খন্ড, 242 পৃষ্ঠা)
# ইবনে বাত্তাল বলেন, সকলের ঐকমত্যে নারীর চেহারা ঢেকে রাখা ফরজ নয়। নারী নামাজে চেহারা খোলা রাখতে পারে যদিও এই অবস্থায় কোন অপরিচিত জন বা কোন গায়রে মাহরাম তাকে দেখে( ফাতহুল বাড়ী, 13 খন্ড, 245 পৃষ্ঠা)
# কাজী আয়ইজ রঃ বলেন, বিশেষভাবে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের চেহারা ঢেকে রাখা ফরজ হওয়ার ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই। অন্য নারীদের ব্যাপারে মুস্তাহাব হওয়ার মধ্যেও মতপার্থক্য রয়েছে( ফাতহুল বাড়ী, 13 খন্ড)।
Nice
*একটা মাত্র আহলে হাদিস যারে একটু দেখতে পারি...😅*
😄😄😄😊
বাকি সবার অপরাধ কি?
@@eqlaseqlas5377 *কেউরে ই অপরাধী বলি না ভাই। ব্যক্তিগত ভাবে পছন্দ না আরকি... ওনার কথা একটু মার্জিত লাগে, এইজন্য... আল্লাহ সবাইকে কবুল করুন, আমিন।*
جزاك اللّٰه في الدنيا والاخرة
Amin 🤲🤲👌💚
Sobai sob somoy porun,astaghfirullah,astaghfirullah,astaghfirullah
❤❤❤
Masallah
Mashallah
In the family main responsibility is on the mother, I agree with him.
পুরা ভিডিওটার লিংক কেউ দিবেন
Puro video tar link ta paoa jabe???
Allah,, vai k nak hayet dan korun
Ami porasona kori eii jonno j ami Ki6u service korbo jodi ami amar porda thik rakhte pari tobe ki chakri kora jabe na? Please amar answer deben.amar kintu oii duniyar jonno voi hoi
❤❤❤🎉
ওয়াজের মাঝখানে গান বাজছে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। এডসেন্স বন্ধ করলে আর এগুলা আসবেনা।
I didn't see any talented person before like him. I can't trust the ability of his brain 😔😔😔 😔😔😔 😔.
may Allah guide you.
He is a truly talented person... May Allah bless him.
Fgfff
Yfgvvbfgggggggggggggg ghost fhfggggggffffffffffffvvvvvvvvvvffccccccccvvvvvvvvccvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvvv
*°%]%%|,28432974754738844584||
allha tumi sokol nari k podda korar taufik dan koro...amin
Bai, Allah name lekhar por ektu dekhe niyen.