১৩ জমিদারের বাড়ি, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা || ভাটি অঞ্চলের রাজধানী || Ajmiriganj Upazila - Habiganj.

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 16 жов 2024
  • ১৪ জমিদারের বাড়ি, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা || ভাটি অঞ্চলের রাজধানী || Ajmiriganj Upazila - Habiganj.
    হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জের ঐতিহ্য বাহী জলসুখা গ্রামের জমিদার বাড়ি । না দেখলে মিস করবেন ।
    হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জের ঐতিহ্য বাহী জলসুখা গ্রামের জমিদার বাড়ি গুলোকে পর্যটন কেন্দ্র করার দাবী।।
    -----------------------------
    হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় কুদালিয়া নদীর তীরে অবস্থিত জলুসখা গ্রাম। পূর্বে থেকেই এই গ্রাম টি অনেক ঐতিহ্য বাহী।
    জলসূখা গ্রামের এই জমিদার বাড়ির মধ্যে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ এবং সুনাম ধন্য লেখক হুমায়ুন আহমেদ এর গেটোপুত্র কমলা টেলিফিল্মের এর চিত্র ধারণ করা হয়েছিল।
    ছোট্ট এই গ্রামের ভিতরেই ছিল ১৪ জমিদারের বসবাস।
    এর মধ্যে ১৩ জন জমিদার ছিলেন সনাতন ( হিন্দু) ধর্মাবলম্বী এবং বাকী একজন ছিলেন মুসলিম। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ দ্বি-খণ্ডিত হওয়ার পর অধিকাংশ জমিদারই ভারতে চলে যান।
    তাদের উত্তরাধিকারীরা ভারতে এবং কেউ কেউ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন।
    সংরক্ষিত তালিকা অনুযায়ী জমিদার গন হলেন- চন্দ্র কুমার রায়, কৃষ্ণ কুমার রায়, সূর্যমনি রায়, বৈকুণ্ঠ নাথ রায়, শরৎ চন্দ্র রায়, ভারত চন্দ্র রায়, নন্দলাল রায়, গোবিন চন্দ্র রায়, সতীশ কুমার রায়, লক্ষ্মীকান্ত রায়, ক্ষেত্রনাথ রায়, মাধব চন্দ্র রায়, রমা বল্লব হালদার ও রমজান আলী চৌধুরী ওরফে বুছা মিয়া চৌধুরী।
    তারা একেকজন ছিলেন একেক তাল্লুক বা চৌহুদ্দার খাজনা আদায়ের দায়িত্বে।
    জমিদার সতীশ কুমার রায় ছিলেন অখণ্ড ভারতবর্ষের শিক্ষাবোর্ডের ডাইরেক্টর।
    তার ভাই মাধব চন্দ্র রায় ছিলেন আরসিসি’র জনক।
    এছাড়া জমিদার প্রতাপ সিংহ রায়ের ছেলে সতীশ চন্দ্র রায় ছিলেন অখণ্ড ভারতবর্ষের একজন খনিজ বিদ্যা বিশারদ তার জানা তথ্যমতে অধিকাংশ জমিদাররাই ছিলেন শিক্ষানুরাগী।
    এর মধ্যে জমিদার চন্দ্র কুমার রায় ১৮৭৬ সনে “কৃষ্ণ গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়” নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জমিদার চন্দ্র কুমার রায়ের প্রতিষ্ঠিত কৃষ্ণ গোবিন্দ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়।
    চন্দ্র কুমার জমিদার শিক্ষানুরাগী হলেও মনোভাব ছিল অত্যাচারী,
    মহলের সামনে দিয়ে কেউ জুতা পরে যেতে পারতেন না। জুতা পরে গেলেই তাকে ধরে এনে করা হতো নির্যাতন ।
    সরেজমিনে জলসুখা গ্রামে বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল ভবনের ধ্বংসাবশেষ এখন ও জমিদার বাড়ির স্মৃতি চিহ্ন সাক্ষী হয়ে আছে ।
    একটি ভবনের নাম ছিল আটচালা। স্থানীয়দের বিবরণ অনুযায়ী এ ভবনটির মালিক ছিলেন জমিদার গোবিন চন্দ্র রায়,
    ১৪ জমিদারের সব চেয়ে বেশি ক্ষমতাশালী ছিলেন তিনি। আটচালা ভবনটিতে বৈঠক করতেন ১৪ জমিদার।
    কিছু জিনিসপত্র অনেক কষ্টে আঁকড়ে ধরে রাখলেও সময়ের ব্যবধানে সেগ‍ুলোও চুরি হয়ে গেছে।
    জমিদারেরা ভারতে চলে যাওয়ার পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মদদে অনেক চালাক-চতুরেরা ভুয়া ওয়ারিশান সদনপত্র তৈরি করে জমিজমার কাগজ নিজের নামে করিয়ে নিয়েছেন। ওই জমিজমার দখলদার অনেকেই এখন কোটিপতি হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
    ১৮ শতকের কোনো এক সময় জমিদার বৈকুণ্ঠ রায়ের বাবা দুলগোবিন্দ রায়ের বাড়িতে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার মূল ভূমিকা পালনকারী লর্ড ক্লাইভ এসেছিলেন।
    এখানে এক রাত্রি যাপন করেছিলেন তিনি, জানা যায়, এই জমিদার বাড়িটিতে সেসময় ঘাটু নৃত্য পরিবেশিত হতো।
    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ও সাবেক উপ সচিব ড. শেখ ফজলে এলাহী জানান, জলসুখা এলাকায় ১৪ জন জমিদারের বাস ছিল এটা সঠিক।
    এর মধ্যে দুয়েকজন ছিলেন খুব প্রভাবশালী, জমিদার বৈকুণ্ঠ দাশের বাড়িতে শ্রীহট্ট সম্মিলনীর ৩য় অধিবেশন বসেছিল।
    এই সম্মিলনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঋষি অরবিন্দ। জমিদার ক্ষেত্রনাথ রায়ের বংশধর কমলেশ রায় , অনেকদিন আগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ জমিদার বাড়িগুলো দেখতে ভীড় করতেন পর্যটকরা।
    কিন্তু কয়েক বছর ধরে এগুলো একেবারেই অরক্ষিত হয়ে গেছে। তাই বাড়িগুলো দেখতে আর কেউ আসেন না।
    সরকারের পক্ষ থেকে এ জমিদার বাড়িগুলোকে সংরক্ষণ করা হলে আবার ও পুরোনো আকর্ষণ ফিরে পাবে বলে ধারণা করছেন এলাকার সচেতন মহল ।
    এই ভবন গুলো সংস্কার করা হলে পর্যটকদের কাছে হতে পারে আকর্ষনীয় স্হান। জমিদারদের ব্যবহৃত এ ভবনগুলোকে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

КОМЕНТАРІ • 5