কমল মুন্সিরহাট পটিয়া কাঠাল বাগান।

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 28 чер 2024
  • দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী, সাতকানিয়া, বাঁশখালী ও লোহাগাড়া উপজেলায় অন্তত ১৫-২০ হাজার একর পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে কয়েক হাজার কাঠাল বাগান রয়েছে। তবে পটিয়া উপজেলার খরনা, কেলিশহর, হাইদগাঁও শ্রীমাই এলাকা, চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর, জঙ্গল হাশিমপুর, ছৈয়দাবাদ, লট এলাহাবাদ, কাঞ্চননগর, দোহাজারী, ধোপাছড়ি এলাকার উৎপাদিত কাঠাল সর্বোকৃষ্ট। কৃষি সমপ্রসারণ বিভাগ জানায়, মৌসুমে কাঠাল বাগানগুলোতে হেক্টরপ্রতি গড়ে ১৫-১৬ টন করে কাঠাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। মৌসুমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে গড়ে ওঠা দোহাজারী, বাগিচাহাট, খানহাট, কাঞ্চননগর, চক্রশালা, হামিশমুর, বাদামতল, রৌশনহাট ও পটিয়া কমলমুন্সীরহাট, দারোগা হাট, হাইদগাঁও সাতগাউছিয়া মাজার গেইট, পান বাজার, ভট্টাচার্য হাট, এলাকায় রীতিমতো বসে পাইকারি কাঠাল হাট। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পটিয়া উপজেলার খরনা, কেলিশহর, হাইদগাঁও পাহাড়ি এলাকায় পার্শ্ববর্তী উপজেলা চন্দনাইশে কাঞ্চননগর, লর্ট এলাহাবাদ, ধোপাছড়ি, হাশিমপুর কাঠাল বাগানের গাছে গাছে প্রচুর ফলন হয়েছে। প্রতিটি গাছে ঝুলে থাকা রঙিন কাঠাল পাহাড়টিকে ভিন্ন ভিন্ন রূপে সাজিয়েছে। সবুজপাতার ডালগুলো যেন রঙিন কাঠাল ভারে হেলে পড়েছে। এসব এলাকার অসংখ্য মানুষ কাঠাল
    চাষ করে লাভবান হচ্ছে। এসব কাঠালের সাথে এলাকার বেকার যুবসমাজ জড়িয়ে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলেছে। এভাবে চলবে তিন মাস। কাঠাল
    চাষ সৌভাগ্যের যাদু লাগিয়ে দিয়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকায়। কিছু বিপণন সমস্যা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সমস্যা রয়েছে। কোল্ড স্টোরেজ না থাকায় উৎপাদিত ফলমূলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকরা। পটিয়া উপজেলায় প্রায় দুই হাজার একর এলাকায় পাহাড়ি ও সমতল ভূমিতে কাঠাল
    চাষ হয়ে থাকে। বেসরকারিভাবে তা ৪ হাজার একরেরও বেশি।
    এসব এলাকায় ২৫ হাজারের অধিক বাগান রয়েছে বলে চাষিরা জানান। এসব উৎপাদিত কাঠাল
    বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে রওশনহাট, বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল গেইট, বাদামতল, বাগিচাহাট, খানহাট রেলস্টেশন, গাছবাড়িয়া কলেজ গেট, চা-বাগান রাস্তার মাথা, কমল মুন্সির হাট এসব এলাকার রাস্তার দুই পাশে চাষিরা কাঠাল
    এনে বিক্রি করতে দেখা যায়। প্রতি বছর আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত তিন মাস এ বাজার নিয়মিত বসে। এ সময় প্রতিটি হাট-বাজারে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা নিলাম ডাকা হয়। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রচুর পরিমাণে কাঠাল
    বিক্রি হয়ে থাকে। চাষিদের মতে, কুদৃষ্টি পড়লে ফলন ভালো হয় না এবং স্বাদ ও সুগন্ধ কমে যায়। তাই লালসালুতে করে কাঠাল
    বাজারে আনা হয়ে থাকে। কাঠাল বাগান মালিক ও পাইকারি বিক্রেতারা জানান, এখানকার সুস্বাদু কাঠাল এখন চট্টগ্রামের গন্ডি পেরিয়ে সৌদি আরব ও আরব আমিরাতসহ বেশ কয়েকটি দেশে রীতিমতো রপ্তানি হচ্ছে। এসব কাঠাল
    গেরস্তির বাড়িভিটা, শঙ্খ, পটিয়ার শ্রীমাই, খরনা খালের দুই তীরবর্তী পাহাড় ঘেঁষে ব্যাপক হারে জন্মে। এছাড়াও চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হাশিমপুর, ছৈয়দাবাদ, পূর্ব এলাহাবাদ, লট এলাহাবাদ, দোহাজারী রায়জোয়ারা, লালুটিয়ায় ৩০ কি.মি. এলাকায় ২০ হাজারের বেশি বাগানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ হয়। গুণগতমানে চন্দনাইশে ১৩ রকমের কাঠাল
    উৎপাদিত হয়। তম্মধ্যে দুই ধরনের কাঠাল
    খুবই পরিচিত এবং সুস্বাদু। কাঠালগুলোর মধ্যে রয়েছে কাঞ্চননগর ও মুকুন্দপুরী। বারি -২ ও ৩, বাউ -১, ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৮, ৯ ও ইপ্সা । কাজী পেয়ারা ও কাঞ্চন পেয়ারা খুবই সুস্বাদু এবং স্বনামধন্য। কাঞ্চন কাঠাল সাইজে বড় এবং সুস্বাদু। গুণগতমানের দিক দিয়ে এসব কাঠালের
    সুনাম রয়েছে দেশব্যাপী। চন্দনাইশের কাঠাল
    সর্বোচ্চ ১০০ কেজি ও সর্বনিম্ন ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।কৃষি অধিদপ্ততর চট্টগ্রামের উপপরিচালক আমিনুল হক জানান, জুলাই থেকে শুরু করে অক্টোবর মাস পর্যন্ত একটানা চার মাস সুস্বাদু এই কাঠাল
    পাওয়া যায়। এখানে প্রতি হেক্টরে ২০ টন কাঠাল
    উৎপাদিত হয়। এই অঞ্চলের চাষিরা কাঠাল
    গাছে রাসায়নিক সার প্রয়োগ ও কীটনাশক ছিটায় না। তাছাড়া কাঠাল
    সংরক্ষণেও কোনো ধরনের ফরমালিন বা কোনো মেডিসিন ব্যবহার করে না বলে তিনি এ অঞ্চলের উৎপাদিত কাঠালকে
    খুবই স্বাস্থ্যসম্মত বা অর্গানিক বলে জানিয়েছেন।

КОМЕНТАРІ •