আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছি: সালমান এফ রহমান | Salman F Rahman | Samakal News
Вставка
- Опубліковано 6 лип 2024
- Channel: Samakal News
The daily Samakal
SUBSCRIBE NOW! cutt.ly/rUQBi7w
For more updates TURN the Notification BELL 🔔 ON AND 👉 don’t forget to Subscribe, Follow, Share, Comment & Like to stay with us.
You can find us here below,
Official site: www.samakal.com/
UA-cam Channel: / dailysamakal
Facebook Page: / thedailysamakal
Twitter Official: / samakaltw
Instagram: / daily_samakal
#Samakal
A N T I P I R A C Y W A R N I N G
---------------------------------------
This content's Copyright is reserved for Samakal. Any unauthorized reproduction, redistribution, or re-upload is strictly prohibited of this material. Legal action will be taken against those who violate the copyright of the material.
---------------------------------------
অপেক্ষার প্রহর শেষে স্বপ্ন হলো সত্যি। প্রমত্তা পদ্মার দুই পাড় ছুঁয়ে বুক উঁচিয়ে দাঁড়ানো পদ্মা বহুমুখী সেতুর দ্বার খুলেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলার প্রায় ৬ কোটি মানুষের স্বপ্নদুয়ার এই সেতু পুরো দেশের এক গর্বের ইতিহাস। পুরো বিশ্বের বিস্ময়। খরস্রোতা পদ্মার স্রোতকে হার মানিয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকে শরীয়তপুরের বাংলাবাজারকে যুক্ত করা এই সেতু দেশের অর্থনীতি, বিনিয়োগ আর বাণিজ্যের নতুন দিনের এক বার্তাবহ।
‘বাংলাদেশ আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। এই পরামাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার আরেকটি পদক্ষেপ।’
প্রকৌশলগত সফলতার বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম নগরীর প্রাণশক্তি কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের প্রথম ও দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র টানেল। এর মধ্য দিয়ে অবকাঠামো নির্মাণের উৎকর্ষে নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ।
টানেলটি দেশের বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ০.১৬৬ শতাংশ বাড়াতে সাহায্য করবে। টানেলটি চট্টগ্রাম শহর, সমুদ্রবন্দর এবং বিমানবন্দরের দূরত্বও কমিয়ে দেবে। কারণ, এটি অর্থনীতিকে আরও প্রাণবন্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর ঢাকায় উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল সেবা শুরু হয়েছে ৪ নভেম্বর ২০২৩ থেকে। এতদিন উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু থাকলেও এখন মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। এর মাধ্যমে কার্যত মেট্রোরেলে সেবা পুরোদমে শুরু হয়ে গেল।
বিগত মাত্র ১৫ বছরে যুক্ত হয়েছে অর্ধডজনের বেশী পালক। এসকল প্রকল্প বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তিকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়।
পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপজেলার মধ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এটাকে পর্বতপ্রমাণ সফলতা হিসেবে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় যোগাযোগের নতুন যুগের সূচনা ঘটবে, যা আমাদের জাতীয় গর্বের অংশ হয়ে থাকবে।’
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে আসে যে গত ১০ মাসে মেট্রোরেলে যারা নিয়মিত যাতায়াত করেছেন তাদের প্রায় ৬০ ভাগই এতদিন বাসে যাতায়াত করতেন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ৩য় টার্মিনালের মুল নকশা করেন বিশ্বখ্যাত স্থপতি রোহানি বাহারিন। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্টের ৩য় টার্মিনাল সহ পৃথিবীর অনেকগুলো দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নকশা করেন আর্কিটেক্ট রোহানি। আমাদের ৩য় টার্মিনাল সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলে গড়া।
টানেলে গাড়ি চলাচল শুরু হল ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে যাতায়াত সুগম হবে। পাহাড়, নদী ও সমুদ্র মিলে গড়ে ওঠা চট্টগ্রামে পর্যটকদের আকর্ষণও বাড়বে।
‘ভৌগলিক অবস্থানের কারণে একসময় বাংলাদেশই হবে সারা বিশ্বের যোগাযোগের হাব। কক্সবাজার বা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, এটাই হবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহনের হাব। সেটাই আমরা বিশ্বাস করি। সেভাবেই আমরা তৈরি হয়েছে।
২০১৯ এর ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনালের কাজ উদ্বোধন করেন। ২১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই নতুন টার্মিনালে থাকছে লন্ডনের হিথ্রো বা সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের মতো সুযোগ সুবিধা আর অত্যাধুনিক বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা।
মাননীয় আপনার অনেক অর্থ, আর আমি না খাবার খেয়ে চলার পথে, খুব কষ্টে আছি মাননীয়, ছেলে মেয়ে পড়া লেখা করাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে, আমার সন্তান এরা খুবই মেধাবী, তাদের লেখা পড়ার খরচ অনেক, আমরা থাকি না খেয়ে,আর আপনার টাকা খাওয়ার মতো লোক নেই।কি দুনিয়া!
টানেলের টোলপ্লাজা থেকে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে চট্টগ্রামের আনোয়ারার পারকি সৈকত। সেখানকার মাঝের চর থেকে বারো আউলিয়া পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার লম্বা সৈকত। এরপর শঙ্খ নদের মোহনা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় প্যারাবন। এই ১০ কিলোমিটার সৈকত দর্শনার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
নবনির্মিত সাবমেরিন ঘাঁটিতে একসঙ্গে মোট ছয়টি সাবমেরিন ও আটটি যুদ্ধজাহাজ থাকতে পারে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈঘ্যের পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এই অর্থ সংস্থান হয়েছে সরকারি কোষাগার থেকে। নিজস্ব অর্থায়নের এই সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশ নিজেদের সক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরেছে। নদীর স্রোত, গভীরতা ও নদীর তলদেশের গঠন অনুসারে পদ্মা সেতু বিশ্বের স্থাপত্য ইতিহাসের এক বিস্ময়। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সেতু বাস্তবায়ন খুব একটা সহজ কাজ ছিল না।
সরকার ২০১৭ সালের ১২ মার্চ নৌবহরে দুটি সাবমেরিন (বিএনএস নবযাত্রা ও বিএনএস জয়যাত্রা) যুক্ত করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
‘১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল; এ সময়টাই বিমানবন্দরের উন্নয়নের যাত্রা শুরু হয়। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, যদি পারেন, ১৯৯৬ সালের আগ পর্যন্ত কী উন্নয়ন ছিল, সেটা একটু দেখবেন। ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ তখন আমাদের বিমানবন্দরের কোনও বোর্ডিং ব্রীজ ছিল না, পার্কিং লট ছিল না; কিছুই ছিল না। আমরা সরকারে এসেই বিমানবন্দরের উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। চট্টগ্রাম এবং সিলেট এই দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও আমরা নির্মাণ করি। সঙ্গে শাহজালাল বিমানবন্দরের উন্নয়নের প্রকল্প গ্রহন করেন।
প্রস্তাবিত এশীয় মহাসড়ককে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত করবে এই টানেল। ফলে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সমুদ্রসৈকতের শহর কক্সবাজারের সঙ্গে চট্টগ্রামের দূরত্ব অন্তত ৪০ কিলোমিটার কমে যাবে।
২০১৩ সালে অতি জনবহুল ঢাকা মহানগরীর ক্রমবর্ধমান যানবাহন সমস্যা ও পথের দুঃসহ যানজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় যার অধীনে প্রথমবারের মত ঢাকায় মেট্রো রেল স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়।
টানেলের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইউ জিঙ্গতাও বলেন, নানান প্রতিকূলতা সত্ত্বেও উন্নত মান ও দক্ষতা বজায় রেখে এই প্রকল্প শেষ করা হয়েছে। টানেলটি নির্মাণের সময় একটি প্রযুক্তিগত নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছিল।
মেট্রোরেল পুরোদমে চালু হওয়াতে বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর ঢাকার মানুষ তীব্র যানজট থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিদিন ১৭ হাজার ২৬০টি যানবাহন টানেলটি ব্যবহার করতে পারবে, যা বছরে প্রায় ৭.৬ মিলিয়ন যানবাহনের সমান।
এই অসাধ্য কাজটি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে লক্ষ্য অনুযায়ী শেষ হয়েছে সেতুর নির্মাণকাজ। পদ্মা সেতু এখন পুরো জাতির গর্ব। সক্ষমতার এক বড় বিজ্ঞাপন। এই সেতু দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী সংযোজন।
২০২৪ সালে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৬ সালে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে। এই বিদ্যুৎ হবে অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব।
টানেল ব্যবহার করে কর্ণফুলী নদী পার হতে তিন থেকে সাড়ে তিন মিনিট সময় লাগবে। নির্বিঘ্নে নদীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে চলে যাওয়া যাবে। পর্যটক টানতে এরই মধ্যে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতেও পর্যটনের সেই সম্ভাবনা ছড়িয়ে পড়বে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। মাল্টিলেন টানেল রুটটি একদিকে নেভাল কলেজ এবং অন্যদিকে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড) এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানির (কাফকো) কাছাকাছি নদীর মধ্য দিয়ে গেছে। এতে কর্ণফুলী নদীর ওপর দুটি সেতুর যানজটও কমবে।
টানেলের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে চীনের সাংহাই শহরের মতো ‘দুটি শহরকে একটি শহরে’ পরিণত করবে। কারণ, এটি যোগাযোগ বিকাশে অপার দুয়ার খুলে দিয়ে শহরের পরিধিকে সমগ্র অঞ্চলে প্রসারিত করবে।
এশিয়ার মধ্যে ২২তম দেশ হিসেবে মেট্রোরেল সিস্টেম চালু হয়েছে বাংলাদেশে।
তেজস্ক্রিয় জ্বালানি হস্তান্তর করার ফলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৩তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় পারমাণবিক জ্বালানী ব্যবহারকারী রাষ্ট্র।
অপেক্ষার প্রহর শেষে স্বপ্ন হলো সত্যি। প্রমত্তা পদ্মার দুই পাড় ছুঁয়ে বুক উঁচিয়ে দাঁড়ানো পদ্মা বহুমুখী সেতুর দ্বার খুলেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলার প্রায় ৬ কোটি মানুষের স্বপ্নদুয়ার এই সেতু পুরো দেশের এক গর্বের ইতিহাস। পুরো বিশ্বের বিস্ময়। খরস্রোতা পদ্মার স্রোতকে হার মানিয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকে শরীয়তপুরের বাংলাবাজারকে যুক্ত করা এই সেতু দেশের অর্থনীতি, বিনিয়োগ আর বাণিজ্যের নতুন দিনের এক বার্তাবহ।
‘বাংলাদেশ আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। এই পরামাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার আরেকটি পদক্ষেপ।’
প্রকৌশলগত সফলতার বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম নগরীর প্রাণশক্তি কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের প্রথম ও দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র টানেল। এর মধ্য দিয়ে অবকাঠামো নির্মাণের উৎকর্ষে নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ।
টানেলটি দেশের বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ০.১৬৬ শতাংশ বাড়াতে সাহায্য করবে। টানেলটি চট্টগ্রাম শহর, সমুদ্রবন্দর এবং বিমানবন্দরের দূরত্বও কমিয়ে দেবে। কারণ, এটি অর্থনীতিকে আরও প্রাণবন্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর ঢাকায় উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল সেবা শুরু হয়েছে ৪ নভেম্বর ২০২৩ থেকে। এতদিন উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু থাকলেও এখন মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। এর মাধ্যমে কার্যত মেট্রোরেলে সেবা পুরোদমে শুরু হয়ে গেল।
বিগত মাত্র ১৫ বছরে যুক্ত হয়েছে অর্ধডজনের বেশী পালক। এসকল প্রকল্প বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তিকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়।
পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপজেলার মধ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এটাকে পর্বতপ্রমাণ সফলতা হিসেবে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় যোগাযোগের নতুন যুগের সূচনা ঘটবে, যা আমাদের জাতীয় গর্বের অংশ হয়ে থাকবে।’
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে আসে যে গত ১০ মাসে মেট্রোরেলে যারা নিয়মিত যাতায়াত করেছেন তাদের প্রায় ৬০ ভাগই এতদিন বাসে যাতায়াত করতেন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ৩য় টার্মিনালের মুল নকশা করেন বিশ্বখ্যাত স্থপতি রোহানি বাহারিন। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্টের ৩য় টার্মিনাল সহ পৃথিবীর অনেকগুলো দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নকশা করেন আর্কিটেক্ট রোহানি। আমাদের ৩য় টার্মিনাল সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলে গড়া।
‘ভৌগলিক অবস্থানের কারণে একসময় বাংলাদেশই হবে সারা বিশ্বের যোগাযোগের হাব। কক্সবাজার বা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, এটাই হবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহনের হাব। সেটাই আমরা বিশ্বাস করি। সেভাবেই আমরা তৈরি হয়েছে।
২০১৯ এর ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনালের কাজ উদ্বোধন করেন। ২১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই নতুন টার্মিনালে থাকছে লন্ডনের হিথ্রো বা সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের মতো সুযোগ সুবিধা আর অত্যাধুনিক বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা।
টানেলের টোলপ্লাজা থেকে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে চট্টগ্রামের আনোয়ারার পারকি সৈকত। সেখানকার মাঝের চর থেকে বারো আউলিয়া পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার লম্বা সৈকত। এরপর শঙ্খ নদের মোহনা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় প্যারাবন। এই ১০ কিলোমিটার সৈকত দর্শনার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
নবনির্মিত সাবমেরিন ঘাঁটিতে একসঙ্গে মোট ছয়টি সাবমেরিন ও আটটি যুদ্ধজাহাজ থাকতে পারে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈঘ্যের পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এই অর্থ সংস্থান হয়েছে সরকারি কোষাগার থেকে। নিজস্ব অর্থায়নের এই সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশ নিজেদের সক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরেছে। নদীর স্রোত, গভীরতা ও নদীর তলদেশের গঠন অনুসারে পদ্মা সেতু বিশ্বের স্থাপত্য ইতিহাসের এক বিস্ময়। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সেতু বাস্তবায়ন খুব একটা সহজ কাজ ছিল না।
সরকার ২০১৭ সালের ১২ মার্চ নৌবহরে দুটি সাবমেরিন (বিএনএস নবযাত্রা ও বিএনএস জয়যাত্রা) যুক্ত করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
‘১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল; এ সময়টাই বিমানবন্দরের উন্নয়নের যাত্রা শুরু হয়। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, যদি পারেন, ১৯৯৬ সালের আগ পর্যন্ত কী উন্নয়ন ছিল, সেটা একটু দেখবেন। ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ তখন আমাদের বিমানবন্দরের কোনও বোর্ডিং ব্রীজ ছিল না, পার্কিং লট ছিল না; কিছুই ছিল না। আমরা সরকারে এসেই বিমানবন্দরের উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। চট্টগ্রাম এবং সিলেট এই দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও আমরা নির্মাণ করি। সঙ্গে শাহজালাল বিমানবন্দরের উন্নয়নের প্রকল্প গ্রহন করেন।
২০১৩ সালে অতি জনবহুল ঢাকা মহানগরীর ক্রমবর্ধমান যানবাহন সমস্যা ও পথের দুঃসহ যানজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় যার অধীনে প্রথমবারের মত ঢাকায় মেট্রো রেল স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়।
টানেলের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইউ জিঙ্গতাও বলেন, নানান প্রতিকূলতা সত্ত্বেও উন্নত মান ও দক্ষতা বজায় রেখে এই প্রকল্প শেষ করা হয়েছে। টানেলটি নির্মাণের সময় একটি প্রযুক্তিগত নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছিল।
মেট্রোরেল পুরোদমে চালু হওয়াতে বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর ঢাকার মানুষ তীব্র যানজট থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিদিন ১৭ হাজার ২৬০টি যানবাহন টানেলটি ব্যবহার করতে পারবে, যা বছরে প্রায় ৭.৬ মিলিয়ন যানবাহনের সমান।
এই অসাধ্য কাজটি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে লক্ষ্য অনুযায়ী শেষ হয়েছে সেতুর নির্মাণকাজ। পদ্মা সেতু এখন পুরো জাতির গর্ব। সক্ষমতার এক বড় বিজ্ঞাপন। এই সেতু দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী সংযোজন।
২০২৪ সালে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৬ সালে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে। এই বিদ্যুৎ হবে অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব।
টানেল ব্যবহার করে কর্ণফুলী নদী পার হতে তিন থেকে সাড়ে তিন মিনিট সময় লাগবে। নির্বিঘ্নে নদীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে চলে যাওয়া যাবে। পর্যটক টানতে এরই মধ্যে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতেও পর্যটনের সেই সম্ভাবনা ছড়িয়ে পড়বে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। মাল্টিলেন টানেল রুটটি একদিকে নেভাল কলেজ এবং অন্যদিকে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড) এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানির (কাফকো) কাছাকাছি নদীর মধ্য দিয়ে গেছে। এতে কর্ণফুলী নদীর ওপর দুটি সেতুর যানজটও কমবে।
টানেলের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে চীনের সাংহাই শহরের মতো ‘দুটি শহরকে একটি শহরে’ পরিণত করবে। কারণ, এটি যোগাযোগ বিকাশে অপার দুয়ার খুলে দিয়ে শহরের পরিধিকে সমগ্র অঞ্চলে প্রসারিত করবে।
এশিয়ার মধ্যে ২২তম দেশ হিসেবে মেট্রোরেল সিস্টেম চালু হয়েছে বাংলাদেশে।
তেজস্ক্রিয় জ্বালানি হস্তান্তর করার ফলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৩তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় পারমাণবিক জ্বালানী ব্যবহারকারী রাষ্ট্র।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ৩য় টার্মিনালের মুল নকশা করেন বিশ্বখ্যাত স্থপতি রোহানি বাহারিন। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্টের ৩য় টার্মিনাল সহ পৃথিবীর অনেকগুলো দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নকশা করেন আর্কিটেক্ট রোহানি। আমাদের ৩য় টার্মিনাল সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলে গড়া।