অন্তর শীতল করা কণ্ঠে সূরা আল ইন‌শিকাক | Al-Inshiqaq | Recited By Sekh Masud

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 11 січ 2025
  • সূরা আল ইন‌শিকাক - Surat Al Inshiqaq
    Recited By Sekh Masud
    Surat Al Inshiqaq With Bangla Translation & Beautiful Quran Visualization By ‪@PLANTERBOXARCHITECTS‬
    সূরা সূরা আল ইন‌শিকাক (আরবি: الإنشقاق) কুরআনের ৮৪ তম সূরা। এর নাম "আল ইন‌শিকাক" (الإنشقاق) এর অর্থ "ফাটা" বা "ভাঙা"। সূরার প্রথম আয়াতের মাধ্যমে এটি নামকরণ করা হয়েছে, যেখানে আকাশ ফাটার (ইনশিকাক) উল্লেখ করা হয়েছে, যা আখিরাতে মহান ঘটনার একটি নিদর্শন হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।
    এই সূরা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছিল এবং এতে ২৫ আয়াত রয়েছে। সূরা আল-ইনشقাক বিশেষভাবে আখিরাতের ঘটনাগুলোর প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করে, যেখানে আল্লাহ সকলকে পুনরুত্থান করবেন এবং তাদের কাজের জন্য পুরস্কৃত বা শাস্তি দেবেন।
    সূরা আল-ইন‌শিকাক মূল বিষয়
    সূরা আল ইন‌শিকাক আখিরাতের পরিণতি এবং কিয়ামতের সময় আকাশ ও পৃথিবীতে ঘটতে থাকা ঘটনার বর্ণনা দেয়। এটি বিশ্বজগতের ধ্বংস এবং পুনরুদ্ধারের বিষয়ে শক্তিশালী বার্তা প্রদান করে। এতে ব্যক্তি বিশেষের আখিরাতের হিসাব এবং তার উপর ভিত্তি করে তার শাস্তি বা পুরস্কারের বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
    ১. সূরার নাম এবং তার অর্থ
    • আল ইন‌শিকাক (الإنشقاق) এর বাংলা অর্থ "ফাটা" বা "ভাঙা"। এটি আকাশের ফাটার ঘটনা থেকে উদ্ভূত নাম, যা আখিরাতে কিয়ামতের দিন হবে, যখন আকাশ তার স্বাভাবিক রূপে ভেঙে পড়বে এবং পৃথিবীও তার আসল রূপে পরিবর্তিত হবে।
    ২. সূরার উদ্দেশ্য
    এই সূরাটি মূলত কিয়ামতের দিন ঘটে যাওয়া কয়েকটি মহা ঘটনা বর্ণনা করে, যেমন:
    • আকাশের ফাটা,
    • পৃথিবীর নিজের উপর তার গোপন তথ্য প্রকাশ করা,
    • মানুষদের তাদের কাজের জন্য পুরস্কৃত বা শাস্তি প্রদান করা। এছাড়া, এটি বিশ্বাসীদের জন্য আশার বার্তা এবং অবিশ্বাসীদের জন্য সতর্কতা হিসেবে কাজ করে।
    ৩. সূরার প্রধান বিষয়বস্তু
    আয়াত ১-৫: আকাশের ফাটা এবং পৃথিবীর পরিবর্তন
    • সূরার প্রথম কয়েকটি আয়াতে আল্লাহ আকাশের ফাটা ও পৃথিবীর গতি পরিবর্তন করার কথা বলেছেন। কিয়ামতের দিন আকাশ ভেঙে পড়বে এবং পৃথিবী তার গোপন তথ্য প্রকাশ করবে, অর্থাৎ পৃথিবী তার সকল কর্মের হিসাব দিবে।
    • এটি বিশ্বজগতের সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং পুনরুত্থানের সময়ের ঘটনা, যখন আল্লাহ সকল সৃষ্টিকে পুনরুত্থান করবেন।
    আয়াত ৬-৭: মানুষের বিচারের সময়
    • এই অংশে মানুষের সৃষ্টির উদ্দেশ্য এবং তাদের জন্য আখিরাতের বিচারের কথা বলা হয়েছে। যারা ভালো কাজ করবে, তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে এবং যারা মন্দ কাজ করবে, তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।
    • এই আয়াতগুলো মানুষের জীবনের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করে এবং সঠিক পথে চলার আহ্বান জানায়।
    আয়াত ৮-১৪: মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ
    • মানুষ তার কর্মের জন্য পুরস্কৃত বা শাস্তি পাবে। যারা ভালো কাজ করবে এবং আল্লাহর বিধান অনুসরণ করবে, তারা বেহেশতে স্থান পাবে, কিন্তু যারা কুফর বা অবিশ্বাস করবে এবং অন্যায় কাজ করবে, তারা জাহান্নামে যাবে।
    • এখানে আত্মবিশ্বাসের এবং সৎকর্মের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।
    আয়াত ১৫-২৫: আখিরাতের পরিণতি
    • এই আয়াতগুলোতে কিয়ামতের দিন আখিরাতের ফলাফল বর্ণনা করা হয়েছে। যারা আল্লাহর পথে চলবে এবং সৎকর্ম করবে, তারা সুসংবাদ পাবে এবং মহান পুরস্কার পাবেন। অন্যদিকে যারা অবিশ্বাসী হবে এবং খারাপ কাজ করবে, তাদের জন্য ভয়াবহ শাস্তি থাকবে।
    ৪. সূরার শিক্ষা
    • আখিরাতের দিন শাস্তি ও পুরস্কার: সূরাটি কিয়ামতের দিন মানুষের কর্মের ওপর নির্ভরশীল শাস্তি বা পুরস্কারের বর্ণনা দেয়, যা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য এক গভীর শিক্ষা।
    • আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও ভালো কর্ম: সৎকর্ম ও আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী হওয়া একমাত্র পথ যা মানুষকে চিরস্থায়ী শান্তি ও পুরস্কারে পৌঁছে দেয়। সূরা মানুষকে এর দিকে আহ্বান করেছে।
    • কিয়ামতের ঘটনা: সূরার মধ্যে আখিরাতের নানা ঘটনার বিষয়ে বিশদ বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, যেমন আকাশের ফাটা, পৃথিবীর পরিবর্তন এবং মানুষদের বিচারের কথা। এগুলো মানুষের অন্তরে ঈমানের শক্তি ও বিশ্বাস দৃঢ় করতে সাহায্য করবে।
    • আত্মপক্ষ সমর্থন এবং হিসাব: সূরায় আল্লাহ মানুষের সমস্ত কাজের হিসাব নেবেন, এবং এটা মানুষকে সতর্ক করবে যে তারা যেন সঠিকভাবে জীবন পরিচালনা করে।
    ৫. সারসংক্ষেপ
    সূরা আল ইন‌শিকাক মূলত কিয়ামতের দিন ঘটবে এমন ভয়াবহ এবং আশাব্যঞ্জক ঘটনাগুলোর বর্ণনা প্রদান করে। আকাশের ফাটা, পৃথিবীর তথ্য প্রকাশ, এবং মানুষের ভালো বা মন্দ কাজের জন্য পুরস্কৃত বা শাস্তি দেওয়া এই সূরার প্রধান বিষয়। এটি মানুষের প্রতি ঈমানের আহ্বান জানায় এবং তাদেরকে জীবনে সৎকর্ম করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। এটি মুসলমানদের জন্য একটি সতর্কবার্তা, যাতে তারা আখিরাতের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারে।

КОМЕНТАРІ •