রবীন্দ্রসঙ্গীতের জগতে একদম আলাদা করে চেনা যায় সুবিনয় স্যারকে,রবীন্দ্রসঙ্গীতের আমির খাঁ বললেও অত্যুক্তি হবে না।ভীষণ ভাবে আকর্ষিত হই ওনার গানে।আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই স্যারকে।
Ami subinay Roy er ekanishta vhakta . Amar age 83 . Samasta rabindra sangeet silpir opore ami onake sthan dei. Apni onar sambandhe ja ja bolechhen akdom sathik. Apnake ashesh dhanyavaad.
The flow of excellence as depicted has considerably dried in recent times, We wii be really lucky if the word excellence in music wiil revive, It will be a wonder if we ever have a mature rabindrasangeet singer as Subinoy Roy.
অনেকদিন এরকম একটি উপস্থাপনার অপেক্ষায় ছিলাম। সুন্দর ও অপূর্ব বাংলা ভাষার ব্যবহার করেছেন উনার জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে । অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। এই যুগে সুবিনয় রায়ের রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়কী সম্বন্ধে অনেকেই জানেন না। রবীন্দ্রসঙ্গীত সংকলন অপূর্ব হয়েছে।🙏🙏
Excellent. It also gives me also a chance to pay my respect to this legend, on his 100th Birth year. This is a brilliant episode and the crown jewel is the narration of Sourav Gangly, He has presented a history of the legend, Subinoy Roy and his excellence as a singer, and as a brilliant teacher in rabindrasangeet; Sourav has shown astonishing restrain whenever any topic of comparison of singers came in the course of his discussion. Thank you very much for this presentation, a wonderful gift for music lover, particularly Rabindrasangeet, and an wonderful tribute.
কথিত আছে পদাবলী কর্তা,চণ্ডীদাস এ যে "প্রসাদ গুন" আছে; অন্য কোথাও তা দুর্লভ।রবীন্দ্র সংগীতের" প্রসাদগুন" যথার্থই পাই সুবিনয়ের সু - বিনীত কণ্ঠে।প্রণাম 🙏
রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তীতে অংশ গ্রহণ করতে সস্ত্রীক শিলাইদহে এসেছিলেন। ধুতি পরিহিত শীর্ণ ও ছোটখাটো শিল্পী মাঠে একাকী ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। আমার সঙ্গী একটা গানের ক্যাসেটে শিল্পীর ছবি দেখেছিলেন মাত্র। আমরা সুবিনয় রায়ের গানের পাড় ভক্ত। চিনতে পেরেই কাছে গিয়ে প্রণাম করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া। আশ্চর্যের বিষয় শিলাইদহের মাঠে দর্শক শ্রোতা কম নয়। অথচ কেউ তাঁর কাছে যায়নি। প্রথম অনুষ্ঠানের পর কয়েকটি গান করার পরেই তিনি বাংলাদেশের দর্শকের পরিচিত হয়ে যান। চারদিন তাঁর সাথে লেপ্টে ছিলাম। প্রণাম শিল্পীকে।
সঙ্গীতাচার্য সুবিনয় রায়কে নিয়ে অনুষ্ঠানটি খুব ভালো হয়েছে। সে জন্য ধন্যবাদ জানাই। তবে সুবিনয় রায়ের কন্ঠের জাদু যে সমস্ত গানে খুব ভালোভাবে প্রকাশ পেয়েছে সেগুলো বাজানো হয়নি বলে আসল সুবিনয়কে পাওয়া গেল না। যেমন "কখন বসন্ত গেল", "একি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণেশ হে", "জগতে আনন্দযজ্ঞে", "বিশ্ব যখন নিদ্রা মগন", "জাগো জাগো রে জাগো সংগীত", "রাখো রাখো রে জীবনে", "না চাহিলে যারে পাওয়া যায়", "আমার প্রাণের পরে চলে গেল" এ সমস্ত গান তাঁর আগে-পরের কোন শিল্পী ধারে কাছেও আসতে পারেননি। এছাড়া "জানি জানি তুমি এসেছ", "অন্ধকারের উৎস হতে", "কে গো অন্তরতর সে", "শেষ বেলাকার শেষের গানে" এবং এ ধরনের আরো অনেক গান রেকর্ড থেকে না শুনলে শিল্পী সুবিনয় রায়কে পুরোপুরি চেনা যাবে না। চার ঘণ্টার একটি অনুষ্ঠানে উপরে বর্ণিত গানগুলো থেকে কয়েকটি বাজালে প্রণম্য এই শিল্পীর প্রতি সুবিচার হত। অবশ্য "গোপন কথাটি রবে না গোপনে" এবং "হৃদয় আমার নাচে রে" গান দুটি অসাধারণ উপহার। এছাড়া অন্যান্য গান সিডিতে এবং ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে।
you may be right, but then one has to spend many more hours and the choice will never be easy. Enjoy, what you have. Whether you give few flowers or a large bouquet, it will remain purely a tribute
ধন্যবাদ না জানিয়ে পারছিনা। অত্যন্ত সুভাষিত একটি আলোচনা। কয়েকটি কথা/প্রশ্ন: ১.রবীন্দ্রনাথের ধ্রুপদাঙ্গিক ও খেয়ালাঙ্গিক গান সুবিনয়বাবু '৭০ দশক থেকে রেকর্ডে পরিবেশন করতে থাকেন অবিশ্রান্ত ভাবে, তার আগে কখনো করেননি। কেন, সেটা আলোচিত হলে আরো ভালো হতো। ১৯৭১-৭২এ প্রকাশিত হয় ওঁর 'ডাকে বারবার ডাকে' ও 'তিমির বিভাবরী কাটে কেমনে' , এবং অত:পর 'আজি মম জীবনে নামিছে ধীরে' ও 'হে নিখিলভার ধারণ ' । অনবদ্য গাওয়াগুলি। এর আগে মঞ্চে ওঁকে অতি ঢিমেতালে 'এরা পরকে আপন করে' গাইতে শুনেছি (এবং সচক্ষে দেখেছি এক প্রকার দর্শককে অধৈর্য হয়ে ওঁকে মঞ্চ থেকে হাততালি দিয়ে উঠিয়ে দিতে) । আজ মনে হয় রবীন্দ্রনাথের 'হিন্দি- ভাঙা গান' সাধারণের মধ্যে প্রচলনের ক্ষেত্রে সুবিনয়বাবুই অগ্রণী। তবে তার পর থেকে উনি যেন এই প্রকার রবীন্দ্রগানে চিহ্নিত করে ফেলেছিলেন নিজেকে। বর্তমান এই আলোচনাটিতেও এরই প্রতিফলন পাই। ২.সুবিনয়বাবু শান্তিনিকেতনে শৈলজারঞ্জন মজুমদার মশাইয়ের দ্বারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়েও এতটা হারমোনিয়ামের ওপর নির্ভরশীল হলেন কীভাবে, সে বিষয়ে একটু আলোকপাত হলে ভালো হতো। হারমোনিয়াম যন্ত্রটি রবীন্দ্রনাথের কাছে ত্যাজ্য ছিল এবং শৈলজারঞ্জনও ওটিকে পরিত্যাগ করেছিলেন 'জীর্ন বস্ত্রের মতো'। কনিকা দেবী, নিলীমা দেবী, রাজেশ্বরী দেবী, শান্তিদেব বাবু কেউ স্বহস্তে এই যন্ত্রটি বাজাতেন না।(অশোকতরু বন্দোপাধ্যায় আরেক ব্যতিক্রম।) কিন্তু সুবিনয়বাবু বাজাতেন এবং অত্যন্ত সুদক্ষভাবে বাজাতেন। প্রশ্ন: আকাশবাণীতে যখন হারমোনিয়াম নিষিদ্ধ ছিল তখন সুবিনয়বাবু কীভাবে গাইতেন? আমার ব্যক্তিগত স্মরণে সেরকম কোনো গাওয়া আছে বলে মনে হয় না। ৩.আলোচনায় সুবিনয়বাবুর গায়নশৈলির (বা গায়কীর ?) বিবর্তন ও পরিবর্তন প্রসঙ্গটি আরো একটু বিষদভাবে উপস্হাপিত হলে বড় ভাল হতো। সুচিত্রা মিত্র, কনিকা বন্দোপাধ্যায়, রীতিমতো বদলে ফেলেছিলেন নিজেদের।রাজেশ্বরী দত্ত আমূলভাবে। দেবব্রত বিশ্বাসের কথা বলাই বাহুল্য। সুবিনয়বাবু কি নিজেকে বদলানোর প্রয়োজন বোধ করেননি? উনি কি তবে শাশ্বত কোনো রবীন্দ্র-গায়কীতে বিশ্বাসী ছিলেন? ৪.'প্রেমের মন্দিরে' ব্রহ্মসংগীতটি হুবহু 'ছিল যে পরানের অন্ধকারে' রবীন্দ্রসঙ্গীতটির সুরে বসানো। কোন গানটি আগে রচিত? ৫. 'রবীন্দ্রসংগীত সাধনা' গ্রন্থটি ছাড়া সুবিনয়বাবুর আর কোনো গ্রন্থ আছে কি? কোনো স্মৃতিকথা? আলোচনাটিতে তাঁর স্ব-উদ্ধৃতিগুলি কোথা থেকে নেওয়া? ৬. রবীন্দ্রনাথের গানের অন্তত কুড়িজন স্বরলিপিকার। রবীন্দ্রনাথ নিজে স্বরলিপি করতেন না। সুর দিয়ে সুর ভুলতেনও। স্বরলিপিকারদের মধ্যেও প্রায়শঃই একই গানের সুর নিয়ে মতানৈক্য থাকত। '৩০ দশকে প্রস্তত এবং প্রকাশিত স্বরলিপি, স্বরলিপিকারের মৃত্যুর কুড়ি বছর পর স্বরলিপিকারের নাম অপরিবর্তিত রেখে পালটে যাওয়ার ঘটনাও আছে। শান্তিনিকেতনে একই সময়ে প্রশিক্ষিত গায়ক গায়িকাদের ভিন্ন সুরে একই গান গাওয়ার ঘটনাও বিরল নয়। (আমি দ্বৈত সুর বা স্বরলিপি-সম্মত সুরান্তর আছে এমন গানের কথা বলছি না। ) তাহলে রবীন্দ্রসঙ্গীতে 'শুদ্ধতা'র প্রামাণ্য রূপটি কি? বিকৃতিই বা কাকে বলে আর "নিখুঁত স্বরলিপি"ই বা কাকে বলে? 'নম্রতা'ই যে রাবীন্দ্রিক 'শুদ্ধতা'র একমাত্র বৈশিষ্ট্য একথাটা মেনে নিতে যথেষ্ট অসুবিধা আছে আমার। 'আজি যত তারা তব আকাশে', 'গগনে গগনে ধায় হাঁকি', 'দারুন অগ্নিবানে রে, ' ঝরঝরো ঝরোঝরো ঝরে রঙের ঝরনা', 'পিনাকেতে লাগে টংকার ', 'যেতে যেতে একলা পথে' প্রভৃতি গানে 'নম্রতা'র স্হান কোথায়?রবীন্দ্রনাথের স্বদেশী গানেই বা নম্রতার অবকাশ কৈ? 'ঔদ্ধত্যপূর্ণ' বা 'উচ্ছ্বাসপূর্ণ' গানের সংখ্যাও রবীন্দ্রসংগীতে তো নিতান্ত কম নয়। আবার ধন্যবাদ।
সুবিনয় রায় যে মগ্নতা নিয়ে গান গাইতেন তার সঙ্গে হেমন্ত বা সুচিত্রা মিত্রের গান তুলনীয় নয়। এমনকি দেবব্রত বিশ্বাসের কণ্ঠের গভীরতা আর ওজস্বিতা (যাঁর ছিল বিরাট রকমের আত্মতুষ্টি যে কারণে তিনি প্রায়শই নিজস্ব ঝোঁক তৈরি করে নিজের প্রতিই অবিচার করেছেন) সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত সেই স্তরে পৌঁছোতে পারে নি যা সুবিনয় রায়পেরেছন। এই আমার বিনীত ধারণা। তবে এটা ঠিক যে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর গানের লাবণ্য বেড়েছে যদিও সাধারণত উল্টোটা হয়। আপনার আলোচনা অতি মূল্যবান যেহেতু আপনি ওঁর জীবনের ইতিহাস বিস্তারিতভাবে বলেছেন। প্রসঙ্গত জানাই,শঙ্খ ঘোষের বাবা মণীন্দ্রকুমার ঘোষ শেষ জীবনে আমৃত্যু শুধু সুবিনয় রায়ের গান শুনতেন। এরকম আরও আছে। যাই হোক আমার মতামত মার্জনা করবেন।
আরও একটা কথা। জনপ্রিয়তা শিল্পবিচারের মাপকাঠি হতে পারে না।মহৎ শিল্প সবসময় জনপ্রিয় হয় না।মহৎ সৃষ্টির পিছনে যে দূরদৃষ্টি ও ধ্যান বা প্রজ্ঞা থাকে তাকে অনুধাবন করতে হলেও কিছু বোধের উচ্চতা থাকা দরকার।একসময় জনপ্রিয় গায়কদের সেন্টিমেন্টাল আকুলি বাকুলি করা গানের শ্রোতা সুবিনয় রায়কে নিতে পারেনি। তাঁকে গ্রহণ করার মনন তৈরি হতে বাঙালির সময় লেগেছে।যারা তাঁর গানের রসে মজেছেন তাঁরা আর প্রায় কারো গান নিতে পারে না। এখনো যে তিনি হেমন্ত-দেবব্রততুল্য জনপ্রিয় নন তা মানতেই হবে।
রবীন্দ্রসঙ্গীতের জগতে একদম আলাদা করে চেনা যায় সুবিনয় স্যারকে,রবীন্দ্রসঙ্গীতের আমির খাঁ বললেও অত্যুক্তি হবে না।ভীষণ ভাবে আকর্ষিত হই ওনার গানে।আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই স্যারকে।
আমি ভাগ্যবান যে এইরকম সঙ্গীতাচার্য এবং অসামান্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীর পদতলে বসে গান শেখার সুযোগ পেয়েছি। সুবিনয়দাকে আমার সশ্রদ্ধ প্রনাম জানাই 🙏🙏🙏
Ami subinay Roy er ekanishta vhakta . Amar age 83 . Samasta rabindra sangeet silpir opore ami onake sthan dei. Apni onar sambandhe ja ja bolechhen akdom sathik. Apnake ashesh dhanyavaad.
অনেকদিন ধরে গুরুবাবার গাওয়া "কেহ কারো মন বোঝে না"গানটি খুঁজছিলাম,আজ আপনার এই সাম্মানিক ভিডিয়োটিতে পেলাম,ভীষণ উপকৃত হয়েছি।ভীষণ কৃতজ্ঞ হলাম,আমার নমস্কার জানাই আপনাকে।
The flow of excellence as depicted has considerably dried in recent times, We wii be really lucky if the word excellence in music wiil revive, It will be a wonder if we ever have a mature rabindrasangeet singer as Subinoy Roy.
তার সুরেলা গলায় কেবল মুগ্ধতা ছড়ায়।
অসাধারণ একটি Documentation ll
সৌরভ গাঙ্গুলিকে অশেষ কৃতজ্ঞতা ও সাধুবাদ জানাই l
Unparallel, sublime, heavenly.
অনেকদিন এরকম একটি উপস্থাপনার অপেক্ষায় ছিলাম। সুন্দর ও অপূর্ব বাংলা ভাষার ব্যবহার করেছেন উনার জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে । অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। এই যুগে সুবিনয় রায়ের রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়কী সম্বন্ধে অনেকেই জানেন না।
রবীন্দ্রসঙ্গীত সংকলন অপূর্ব হয়েছে।🙏🙏
রবীন্দ্রসংগীত জগতের এক কিম্বদনতী সুবিনয় রায়কে শত কোটি প্রনাম জানাই।
সুবিনয় রায় ও রাজেশ্বরী দত্ত এই দুই অনন্য শিল্পীকে বারংবার প্রণাম জানাই।
গানের কথা তো বলার কিছু নেই, কিন্তু ওনার এই খোলা মনের পরিচয় অনেকের ই জানা নেই, ধন্যবাদ এই আলোচনা করায়।
1pp⁰b
হৃদয় আমার নাচেরে ...."বড় পাওনা হলো আজ 🙏🙏
Excellent presentation. Thanks for your sincere and serious effort.
কি অসাধারণ সংকলন।🙏🙏
Excellent. It also gives me also a chance to pay my respect to this legend, on his 100th Birth year.
This is a brilliant episode and the crown jewel is the narration of Sourav Gangly,
He has presented a history of the legend, Subinoy Roy and his excellence as a singer, and as a brilliant teacher in rabindrasangeet;
Sourav has shown astonishing restrain whenever any topic of comparison of singers came in the course of his discussion.
Thank you very much for this presentation, a wonderful gift for music lover, particularly
Rabindrasangeet, and an wonderful tribute.
অসাধারণ একটা শ্রদ্ধাঞ্জলি শুনলাম l
এতো ভালো শ্রদ্ধাঞ্জলি আগে কখনো শুনি নি l আমরা যারা সংগীতচার্যের মুগ্ধ শ্রোতা তাদের প্রত্যেকের শোনা উচিত l
⁰⁰
কথিত আছে পদাবলী কর্তা,চণ্ডীদাস এ যে "প্রসাদ গুন" আছে; অন্য কোথাও তা দুর্লভ।রবীন্দ্র সংগীতের" প্রসাদগুন" যথার্থই পাই সুবিনয়ের সু - বিনীত কণ্ঠে।প্রণাম 🙏
Onar joboner eto kotha jantam na. Onar jonno mon kharap hoye gelo. Koto ghat protighater moddho diye jibon keteche. Nijer sontan er mrityu - koto durbisoho - ------onar proti, onar gaoa gan er ami vison vokto, aamrityu sunte thakbo onar gaoa brahma sangeet - abaro pronam janai
খুবই চমৎকার একটি সংকলন। সুবিনয় রায়ের কোনো সাক্ষাৎকার থাকলে দয়া করে আপলোড করবেন। ধন্যবাদ।
আমার ধী শ্রদ্ধা ও প্রণাম আমার শিক্ষক পিতা কে।
অল্প লইয়া থাকি.. গানের দর্শন সুবিনয় যেমন অনুধাবন করেছেন তা আর বোধহয় কেউ নন। অন্ধজনে দেহ আলো.. সম্পর্কেও একই কথা প্রযোজ্য। নিবিড়ভাবে শুনলে বোঝা যায়।
The Master of masters !!!!
It’s a classic work and a great tribute to great singer.
সৌরভ গাঙ্গুলি k onek onek শুভেচ্ছা
রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তীতে অংশ গ্রহণ করতে সস্ত্রীক শিলাইদহে এসেছিলেন। ধুতি পরিহিত শীর্ণ ও ছোটখাটো শিল্পী মাঠে একাকী ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। আমার সঙ্গী একটা গানের ক্যাসেটে শিল্পীর ছবি দেখেছিলেন মাত্র। আমরা সুবিনয় রায়ের গানের পাড় ভক্ত। চিনতে পেরেই কাছে গিয়ে প্রণাম করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া। আশ্চর্যের বিষয় শিলাইদহের মাঠে দর্শক শ্রোতা কম নয়। অথচ কেউ তাঁর কাছে যায়নি।
প্রথম অনুষ্ঠানের পর কয়েকটি গান করার পরেই তিনি বাংলাদেশের দর্শকের পরিচিত হয়ে যান। চারদিন তাঁর সাথে লেপ্টে ছিলাম।
প্রণাম শিল্পীকে।
Asadharon ekti anushthan shunlam. Ashesh dhanyobad janai. Shudhu ektai proshno. Jini ei dirgho samay dhore bhashyopath korlen, tini ke ?
Asadharan. Subinoy roy er kante seshji one record kora bani tabo dhay thakle shonaben
Rabindra Sangeet er birat akashe uni ekjan ujjalatama jyotiska haye anantakal biraj korben
আপনার কাছে যদি আরও এই ধরনের ওনার রেকর্ড এর বাইরে কালেকশন থাকে প্লিজ শোনাবেন, অনুরোধ করছি।
I want to know about forgotton rabindrasangeet teacher late,Samaresh Chowdhury .His photo may please be uploaded.
প্রণাম আচার্য
My Salute
Wonderful
ওনার 'probhu toma lagi akhi jageh' গান টা অসাধারন
ব্রহ্ম সংগীত পরিবেশন এ আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকেই। সামনের দিকে বসে শুনেছিলাম তন্ময় হয়ে। সেই স্মৃতি 😢উনার প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে ছিল।
শ্রদ্ধেয় সুবিনয় রায়ের ব্রহ্ম সংগীত আমার জীবন কে সত্য পথের সন্ধান দিয়েছেন।
সাধু সাধু
দাদা, সুবিনয় বাবু, দীর্ঘদিন আকাশবাণী তে রবীন্দ্র সঙ্গীত শিক্ষার আসর পরিচালনা করেছেন, ঐ অনুষ্ঠানের কিছু অংশ শুনতে পাওয়া যেতে পারে কি.
Kothay paowa jete pare ei sangeet shikshar asorer ongsho guli
কেহ কারো মন বুঝে না - UTতে পেলাম
না যদি পোস্ট করেন ভাল লাগবে।
সুবিনয়বাবুর গান নিয়ে মন্তব্য করা
নিষ্প্রয়োজন।
সঙ্গীতাচার্য সুবিনয় রায়কে নিয়ে অনুষ্ঠানটি খুব ভালো হয়েছে। সে জন্য ধন্যবাদ জানাই। তবে সুবিনয় রায়ের কন্ঠের জাদু যে সমস্ত গানে খুব ভালোভাবে প্রকাশ পেয়েছে সেগুলো বাজানো হয়নি বলে আসল সুবিনয়কে পাওয়া গেল না। যেমন "কখন বসন্ত গেল", "একি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণেশ হে", "জগতে আনন্দযজ্ঞে", "বিশ্ব যখন নিদ্রা মগন", "জাগো জাগো রে জাগো সংগীত", "রাখো রাখো রে জীবনে", "না চাহিলে যারে পাওয়া যায়", "আমার প্রাণের পরে চলে গেল" এ সমস্ত গান তাঁর আগে-পরের কোন শিল্পী ধারে কাছেও আসতে পারেননি। এছাড়া "জানি জানি তুমি এসেছ", "অন্ধকারের উৎস হতে", "কে গো অন্তরতর সে", "শেষ বেলাকার শেষের গানে" এবং এ ধরনের আরো অনেক গান রেকর্ড থেকে না শুনলে শিল্পী সুবিনয় রায়কে পুরোপুরি চেনা যাবে না। চার ঘণ্টার একটি অনুষ্ঠানে উপরে বর্ণিত গানগুলো থেকে কয়েকটি বাজালে প্রণম্য এই শিল্পীর প্রতি সুবিচার হত। অবশ্য "গোপন কথাটি রবে না গোপনে" এবং "হৃদয় আমার নাচে রে" গান দুটি অসাধারণ উপহার। এছাড়া অন্যান্য গান সিডিতে এবং ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে।
you may be right, but then one has to spend many more hours and the choice will never be easy. Enjoy, what you have. Whether you give few flowers or a large bouquet, it will remain purely a tribute
অসাধারণ শ্রদ্ধাঞ্জলি l
' তোমার গোপন কথাটি সখী রেখো না মনে' --- এটা একেবারেই অন্য গান। 'গোপন কথাটি রবে না গোপনে' নয়।
ধন্যবাদ না জানিয়ে পারছিনা। অত্যন্ত সুভাষিত একটি আলোচনা।
কয়েকটি কথা/প্রশ্ন:
১.রবীন্দ্রনাথের ধ্রুপদাঙ্গিক ও খেয়ালাঙ্গিক গান সুবিনয়বাবু '৭০ দশক থেকে রেকর্ডে পরিবেশন করতে থাকেন অবিশ্রান্ত ভাবে, তার আগে কখনো করেননি। কেন, সেটা আলোচিত হলে আরো ভালো হতো। ১৯৭১-৭২এ প্রকাশিত হয় ওঁর 'ডাকে বারবার ডাকে' ও 'তিমির বিভাবরী কাটে কেমনে' , এবং অত:পর 'আজি মম জীবনে নামিছে ধীরে' ও 'হে নিখিলভার ধারণ ' ।
অনবদ্য গাওয়াগুলি। এর আগে মঞ্চে ওঁকে অতি ঢিমেতালে 'এরা পরকে আপন করে' গাইতে শুনেছি (এবং সচক্ষে দেখেছি এক প্রকার দর্শককে অধৈর্য হয়ে ওঁকে মঞ্চ থেকে হাততালি দিয়ে উঠিয়ে দিতে) ।
আজ মনে হয় রবীন্দ্রনাথের 'হিন্দি- ভাঙা গান' সাধারণের মধ্যে প্রচলনের ক্ষেত্রে সুবিনয়বাবুই অগ্রণী। তবে তার পর থেকে উনি যেন এই প্রকার রবীন্দ্রগানে চিহ্নিত করে ফেলেছিলেন নিজেকে। বর্তমান এই আলোচনাটিতেও এরই প্রতিফলন পাই।
২.সুবিনয়বাবু শান্তিনিকেতনে শৈলজারঞ্জন মজুমদার মশাইয়ের দ্বারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়েও এতটা হারমোনিয়ামের ওপর নির্ভরশীল হলেন কীভাবে, সে বিষয়ে একটু আলোকপাত হলে ভালো হতো। হারমোনিয়াম যন্ত্রটি রবীন্দ্রনাথের কাছে ত্যাজ্য ছিল এবং শৈলজারঞ্জনও ওটিকে পরিত্যাগ করেছিলেন 'জীর্ন বস্ত্রের মতো'। কনিকা দেবী, নিলীমা দেবী, রাজেশ্বরী দেবী, শান্তিদেব বাবু কেউ স্বহস্তে এই যন্ত্রটি বাজাতেন না।(অশোকতরু বন্দোপাধ্যায় আরেক ব্যতিক্রম।) কিন্তু সুবিনয়বাবু বাজাতেন এবং অত্যন্ত সুদক্ষভাবে বাজাতেন।
প্রশ্ন: আকাশবাণীতে যখন হারমোনিয়াম নিষিদ্ধ ছিল তখন সুবিনয়বাবু কীভাবে গাইতেন? আমার ব্যক্তিগত স্মরণে সেরকম কোনো গাওয়া আছে বলে মনে হয় না।
৩.আলোচনায় সুবিনয়বাবুর গায়নশৈলির (বা গায়কীর ?) বিবর্তন ও পরিবর্তন প্রসঙ্গটি আরো একটু বিষদভাবে উপস্হাপিত হলে বড় ভাল হতো। সুচিত্রা মিত্র, কনিকা বন্দোপাধ্যায়, রীতিমতো বদলে ফেলেছিলেন নিজেদের।রাজেশ্বরী দত্ত আমূলভাবে। দেবব্রত বিশ্বাসের কথা বলাই বাহুল্য। সুবিনয়বাবু কি নিজেকে বদলানোর প্রয়োজন বোধ করেননি? উনি কি তবে শাশ্বত কোনো রবীন্দ্র-গায়কীতে বিশ্বাসী ছিলেন?
৪.'প্রেমের মন্দিরে' ব্রহ্মসংগীতটি হুবহু 'ছিল যে পরানের অন্ধকারে' রবীন্দ্রসঙ্গীতটির সুরে বসানো। কোন গানটি আগে রচিত?
৫. 'রবীন্দ্রসংগীত সাধনা' গ্রন্থটি ছাড়া সুবিনয়বাবুর আর কোনো গ্রন্থ আছে কি? কোনো স্মৃতিকথা? আলোচনাটিতে তাঁর স্ব-উদ্ধৃতিগুলি কোথা থেকে নেওয়া?
৬. রবীন্দ্রনাথের গানের অন্তত কুড়িজন স্বরলিপিকার। রবীন্দ্রনাথ নিজে স্বরলিপি করতেন না। সুর দিয়ে সুর ভুলতেনও। স্বরলিপিকারদের মধ্যেও প্রায়শঃই একই গানের সুর নিয়ে মতানৈক্য থাকত। '৩০ দশকে প্রস্তত এবং প্রকাশিত স্বরলিপি, স্বরলিপিকারের মৃত্যুর কুড়ি বছর পর স্বরলিপিকারের নাম অপরিবর্তিত রেখে পালটে যাওয়ার ঘটনাও আছে। শান্তিনিকেতনে একই সময়ে প্রশিক্ষিত গায়ক গায়িকাদের ভিন্ন সুরে একই গান গাওয়ার ঘটনাও বিরল নয়। (আমি দ্বৈত সুর বা স্বরলিপি-সম্মত সুরান্তর আছে এমন গানের কথা বলছি না। )
তাহলে রবীন্দ্রসঙ্গীতে 'শুদ্ধতা'র প্রামাণ্য রূপটি কি?
বিকৃতিই বা কাকে বলে আর "নিখুঁত স্বরলিপি"ই বা কাকে বলে?
'নম্রতা'ই যে রাবীন্দ্রিক 'শুদ্ধতা'র একমাত্র বৈশিষ্ট্য একথাটা মেনে নিতে যথেষ্ট অসুবিধা আছে আমার। 'আজি যত তারা তব আকাশে', 'গগনে গগনে ধায় হাঁকি', 'দারুন অগ্নিবানে রে, ' ঝরঝরো ঝরোঝরো ঝরে রঙের ঝরনা', 'পিনাকেতে লাগে টংকার ', 'যেতে যেতে একলা পথে' প্রভৃতি গানে 'নম্রতা'র স্হান কোথায়?রবীন্দ্রনাথের স্বদেশী গানেই বা নম্রতার অবকাশ কৈ?
'ঔদ্ধত্যপূর্ণ' বা 'উচ্ছ্বাসপূর্ণ' গানের সংখ্যাও রবীন্দ্রসংগীতে তো নিতান্ত কম নয়।
আবার ধন্যবাদ।
একটি অনুল্লিখিত তথ্য :
সুবিনয়বাবু রায়ের আপন মাসি ছিলেন সুধাময়ী দেবী যিনি ছিলেন শ্রদ্ধেয় রবীন্দ্রজীবনীকার প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়ের সহধর্মিনী।
২য় বার আকাশবাণী অডিশন এ কি "শীতের হাওয়ায় লাগলো নাচন " গেয়েছিলেন নাকি "OI MALATILATA DOLE "গানটি করেছিলেন ?
বোঝা যায়,এই উপস্থাপক সুবিনয় রায়ের গানের স্তর বা উচ্চতা অনুধাবন করতে পারেননি।
কী থেকে এটা বোঝা গেল যদি অনুগ্রহ করে জানান।
সুবিনয় রায় যে মগ্নতা নিয়ে গান গাইতেন তার সঙ্গে হেমন্ত বা সুচিত্রা মিত্রের গান তুলনীয় নয়। এমনকি দেবব্রত বিশ্বাসের কণ্ঠের গভীরতা আর ওজস্বিতা (যাঁর ছিল বিরাট রকমের আত্মতুষ্টি যে কারণে তিনি প্রায়শই নিজস্ব ঝোঁক তৈরি করে নিজের প্রতিই অবিচার করেছেন) সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত সেই স্তরে পৌঁছোতে পারে নি যা সুবিনয় রায়পেরেছন। এই আমার বিনীত ধারণা। তবে এটা ঠিক যে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর গানের লাবণ্য বেড়েছে যদিও সাধারণত উল্টোটা হয়।
আপনার আলোচনা অতি মূল্যবান যেহেতু আপনি ওঁর জীবনের ইতিহাস বিস্তারিতভাবে বলেছেন।
প্রসঙ্গত জানাই,শঙ্খ ঘোষের বাবা মণীন্দ্রকুমার ঘোষ শেষ জীবনে আমৃত্যু শুধু সুবিনয় রায়ের গান শুনতেন। এরকম আরও আছে।
যাই হোক আমার মতামত মার্জনা করবেন।
আরও একটা কথা। জনপ্রিয়তা শিল্পবিচারের মাপকাঠি হতে পারে না।মহৎ শিল্প সবসময় জনপ্রিয় হয় না।মহৎ সৃষ্টির পিছনে যে দূরদৃষ্টি ও ধ্যান বা প্রজ্ঞা থাকে তাকে অনুধাবন করতে হলেও কিছু বোধের উচ্চতা থাকা দরকার।একসময় জনপ্রিয় গায়কদের সেন্টিমেন্টাল আকুলি বাকুলি করা গানের শ্রোতা সুবিনয় রায়কে নিতে পারেনি। তাঁকে গ্রহণ করার মনন তৈরি হতে বাঙালির সময় লেগেছে।যারা তাঁর গানের রসে মজেছেন তাঁরা আর প্রায় কারো গান নিতে পারে না। এখনো যে তিনি হেমন্ত-দেবব্রততুল্য জনপ্রিয় নন তা মানতেই হবে।