067)Surah Al_mulk সূরা আল মুলক তেলাওয়াত ও ফজিলত
Вставка
- Опубліковано 11 лют 2025
- 067)Surah Al_mulk
সূরা আল মুলক তেলাওয়াত ও ফজিলত
হজরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আলিফ লাম মীম তানযিল ও তাবারাকাল্লাজি না পড়ে কখনো ঘুমাতে যেতেন না।' সূরা মূলক ৪১ বার (একচল্লিশ) তেলাওয়াত করলে সব বিপদ-আপদ হতে রক্ষা পাওয়া যায় এবং ঋণ পরিশোধ হয়। এ সূরা পাঠে কবরের আজাব থেকেও বাঁচা যায়।
সূরা আল-মূলক কুরআনুল কারিমের ৬৭তম সূরা। এটি পবিত্র নগরী মক্কায় অবর্তীণ। এর আয়াত সংখ্যা ৩০। রুকু আছে ২টি। সূরা আল-মূলকের গুরুত্ব ও ফজিলত পরিসীম। এই সূরাটি যারা তেলাওয়াত করবে তাদের ক্ষমা না করা পর্যন্ত সুপারিশ করত থাকবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতদের মুক্তির পথ দেখাতে কুরআনুল কারিমের বিভিন্ন সূরা ও আয়াত সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা করেছেন। যাতে করে গোনাহ থেকে মুক্তি পায় মানুষ।
হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তুমি নিজে সূরা মূলক পড় এবং পরিবারের সবাইকে ও প্রতিবেশীকে উহা শিক্ষা দাও। কারণ উহা মুক্তিদানকারী ও ঝগড়াকারী। কেয়ামতের দিন আল্লাহর সঙ্গে ঝগড়া করে উহার পাঠকারীকে সে জাহান্নামের আজাব থেকে রক্ষা করবে এবং কবরের আজাব থেকে বাঁচিয়ে রাখবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে^ 'আমার একান্ত কামনা যে, এই সূরাটি আমার প্রত্যেক 'অন্তরে গেঁথে থাকুক।' (ইবনে কাসির)
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কুরআন মাজিদে ৩০ (ত্রিশ) আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা রয়েছে, যা তার তেলাওয়াতকারীকে ক্ষমা করে দেয়ার আগ পর্যন্ত তার জন্য সুপারিশ করতেই থাকবে। আর সূরাটি হলো تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ অর্থাৎ সূরা মূলক।' (মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)
আর একটি হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, 'আমার মন চায় প্রত্যেক মুমিনের হৃদয়ে যেন সূরা মূলক মুখস্ত থাকে।'
(বাইহাকি)
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, 'তোমরা সূরা মূলক শিখে নাও এবং নিজেদের স্ত্রী-সন্তানদের শেখাও। এটা কবরের আজাব হতে রক্ষা করবে এবং কেয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে এই সূরা পাঠকারীর পক্ষে কথা বলে তাকে মুক্ত করবে।'
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 'যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা মূলক তেলাওয়াতের আমল বে সে কবরের আজাব থেকে মুক্তি পাবে।' (তিরমিজি, মুসতাদরাকে হাকেম)
সূরা মূলক তেলাওয়াতের সময়
কোরআন তেলাওয়াতের কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। পাক-পবিত্র থাকা অবস্থায় যে কোন সময় কোরআন তেলাওয়াত করা যায়। তবে আল্লাহ তায়ালা বিশেষ কিছু মূহুর্তের কথা উল্লেখ করেছেন, যে সময়গুলোতে আমল করা বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।
তেমনি সূরা মূলক রাতের বেলা পড়া উত্তম, তবে অন্য যেকোনো সময়ও পড়া যাবে। সূরাটি অর্থ বুঝে নিয়মিত পড়ায় রয়েছে অনন্য তাৎপর্য। এই সুরা নামাজের সঙ্গে পড়াও উত্তম। মুখস্ত না থাকলে দেখে দেখে অর্থ বুঝে পড়লে বিশেষ সাওয়াব পাওয়া যায়। হাদিসে এসেছে-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূরা মূলক তেলাওয়াত না করে রাতে ঘুমাতে যেতেন না।' (তিরমিজি)
হজরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আলিফ লাম মীম তানযিল ও তাবারাকাল্লাজি না পড়ে কখনো ঘুমাতে যেতেন না।'
সূরা মূলক ৪১ বার (একচল্লিশ) তেলাওয়াত করলে সব বিপদ-আপদ হতে রক্ষা পাওয়া যায় এবং ঋণ পরিশোধ হয়। এ সূরা পাঠে কবরের আজাব থেকেও বাঁচা যায়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সূরা মুলকের আমল নিয়মিত করার তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
#সূরা #সূরা_মূলক #তেলাওয়াত #surah #surahalmulk
#nur_mohammad_mir
• All video
• আরবি কোরআন তেলাওয়াত l...