কিউ।শান্তি দেবী।Kiu।Shanti Devi।Bengali audio story।বাংলা শ্রুতি গল্প@banglasheragolpo
Вставка
- Опубліковано 12 вер 2024
- কিউ।শান্তি দেবী।Kiu।Shanti Devi।Bengali audio story।বাংলা শ্রুতি গল্প@banglasheragolpo
Story- Kiu
Author- Shanti Devi
Narrated by- Tandra Sarkar
Presented by- Bangla Shera Golpo
Bengali Audio Story। বাংলা শ্রুতি গল্প
Bengali Classic Story Kiu written by Shanti Devi @banglasheragolpo
#audiostory #bengaliaudiolibrary #banglagolpo #bengalistorytelling #banglasheragolpo #bengaliaudiostory #golposangi #bengaliclassicstory sundayfunday #bengalichotogolpo #ছোটগল্প #বাংলাসেরাগল্প
Khub bhalo laglo ❤🎉
Thank you ❤❤
কিউ- গল্পটা খুব ভালো লাগলো। গল্পপাঠিকা- তন্দ্রা সরকার সত্যিই সাবলীল কন্ঠস্বরে, গল্প পাঠ করলেন। ধন্যবাদ "" বাংলা সেরা গল্প """ । গল্প এর পোস্টার টা সুন্দর।
আমার আন্তরিক ধন্যবাদ রইল 🙏🏻❤
ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ। ❤
তোমাকেও অনেক ভালোবাসা জানাই 🙏🏻💖
...……perfect story choice ...✅
......….. extreme reality😢
......... Nice presentation.🎉
God bless you.... Good night ❤️🙏
Thank you 🙏🏻❤
A heart-rending story.😢😢 Reading or listening to this kind of story undoubtedly makes it very challenging to restrain one's tears.
Countless thanks for choosing to read, record and upload it.💖💖
❤❤
খুব ভালো গল্প যেহেতু এই গল্পটার মধ্যে একটা মর্মান্তিক দারিদ্র্যের দৃশ্য আছে আর সঙ্গে ওই সিভিক পুলিশদের চরিত্রদের তুলে ধরা হয়েছে এটা আমার খুব ভালো লেগেছে❤❤
আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ❤❤
Excerpts From this particular story:
[Set-2]
5. কামিনীর চোখ কিন্তু সেই নড়ন্ত জীবটীর দিকেই নিবদ্ধ ছিল, গাঁট খোলবার সঙ্গে সঙ্গেই সে এগিয়ে গেল, "দেখ এসে কাদের ছেলে যেন।" এগিয়ে গিয়েছিল হরিহরও, মাছ নয়, কুকুর নয়, বেড়াল নয় কামিনীর দুই বাহুর ওপর সেদিন খাবি খাচ্ছিল একটা অসহায় মানব শিশু। হরিহরের কিন্তু ইচ্ছে ছিল না যে কামিনী ছেলেটাকে রাখে-একটু চুপ করে থেকে বলেছিল, "রেখে দে কামিনী, যাদের ছেলে তারাই নিয়ে যাবে, আমরাই এখন কোথায় যাব তার ঠিক নেই।” সেদিন কামিনী হরিহরের কথা শোনেনি। অসহায় শিশুটাকে নিজের উষ্ণ নিটোল বুকে চেপে ধরে সন্তানহীনা কামিনী সদ্য সন্তান লাভের একটা মধুর অনুভূতি অনুভব করেছিল।
6. আহা অতটুকু নিঃসহায় শিশু, হয়ত ওর হতভাগা মা বাপ কোথায় কোন অতলে তলিয়ে গেছে, তাকে কামিনী ফেলে দেবে কোথায়? যদি তার নিজেরই হত! পারতো কি হরিহর এমন করে বলতে? তবুও এতদিন যা জুটেছে আগে হরিহরকে দিয়ে পরে যা হয় দিয়ে ছেলেটাকে বাঁচিয়ে রেখেছে কামিনী...
7. ...তবু চাল! তবু তার সৌরভ কামিনীর নাক পর্যন্ত উঠে আসছে। মনে হয় যেন কতদিন কামিনী চাল দেখেনি-একদিন ছিল যেদিন তাদের গোবর মাটী দিয়ে নিকোনো ধব ধবে উঠোনে ধান শুকাতো। সিদ্ধ ধানের হাঁড়ি কামিনী নাবাতে পারতো না, হরিহরকে ডাকত, "ওগো, একটু ধরবে এসো না, হাঁড়িটা যে বড্ড ভারি-"....চাল! চাল সেকি কম নাড়াচাড়া করেছে? কোথায় গেল সে সব ভোজবাজীর মত মিলিয়ে, এক ফোঁটা খাবার জল শুদ্ধ গ্রামে তাদের ছিল না।
8. ...."একি!” ছেলেটার গা এমন ঠাণ্ডা কেন গো? ডুকরে উঠল কামিনী শক্ত আর ঠাণ্ডা ছেলেটাকে বুকে জড়িয়ে ধ'রে।
তার দিকে একবার চেয়ে পরম তৃপ্তির আভায় হরিহরের মুখখানা ঝলসে উঠলো। তারপর গ্রাসের পর গ্রাস ভাত সে মুখে তুলে দিতে লাগলো যেন এবার আর কোন বাধা নেই সামনে, সে একাই এই ভাতগুলোর অধিকারী।
কি অবস্থা হয়েছিল সেইসময়!😥
Excerpts From this particular story:
[Set-1]
1. ভাগ্যি কলের জলের দাম লাগে না! নইলে-ভাবতেও কামিনীর গলাটা শুকিয়ে ওঠে।
2..."পেটে জ্বালা ধরলে লজ্জা থাকে না বাবু, পুরুষ হয়ে মেয়েদের গায়ে হাত দিতে তোমাদের লজ্জা করে না তো কই?"
3...ছেলেটা শুকিয়ে আমসি হয়েছে হরিহর জ্বরে ধুকছে। তাদের দেশটাই না হয় সমুদ্রের কোপে পড়েছিল, সব দেশেই কি আগুন লেগেছে? চাল নেই, ডাল নেই, কেরাসিন নেই, কাপড় নেই, নেই বলতে পোড়াদেশে কি কিছুই নেই? সহরে এসেছিল তারা লোকের কথায়, এখানে নাকি এলেই চাকুরী! আর খুঁটে নিতে পারলেই খাবার অভাব হয় না। এতো আর সমুদ্রের লোনা জলে ধোয়া পরিষ্কার গ্রাম নয়-কিন্তু কই? কোথায় খাবার? ময়লা ফেলবার টিনের বেড়াগুলির মধ্যে যে এঁটো পাতাগুলো পড়ে তার মধ্যে পর্য্যন্ত এক কণা ভাত লেগে থাকে না। কামিনী শুনেছে যে পশু ছাড়া মানুষও ওর থেকে খাবারের কণা সংগ্রহ ক'রে পেট ভরাত। কি যে কাল যুদ্ধ- সেদিন আর নেই!
4...কথায় বলে প্রকৃতির মার! তাই সমুদ্রের জল যখন প্রচণ্ড বাতাসের বেগে ফুলে, ফেঁপে, পাগলা হাতীর পালের মত গর্জন করতে করতে মানুষের সাত পুরুষের ভিটেমাটী, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তৈরী করা ফসলের ক্ষেত, ঘরের পোষা জীবজন্তু, গাছপালা, পশুপাখী সব নিশ্চিহ্ন করে নিয়ে গেল, তখন কাপড়ে বাঁধা পরস্পরের দেহ ছুঁয়ে কামিনী আর হরিহর বুঝলো তারা বেঁচে আছে, মাটীতে আছে, ভেসে যায়নি। এমন যে বাঁচা! তার পরেও তাদের না হোল শোক না হোল আনন্দ, কেবল দু'জনের মুখের ওপর দু'জনের দৃষ্টি ফ্যাল ফ্যাল করে ইতস্ততঃ ঘুরতে লাগলো। ব্যাপারটা যেন ভেল্কি!
😥
আপনার পাঠ বেশ সাবলীল এবং প্রানবন্ত ৷ কিন্তু এ কাদের চিত্র আঁকলেন J হরিহর কি মানুষ ? অভাব এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় কি মনুষ্যত্বও কেড়ে নেয়? কিন্তু একই পরিন্থিতির শিকার কামিনী এমন বিপরীত হলো কি করে?
মানুষের মন বড়ই বিচিত্র,আন্তরিক ধন্যবাদ ও ভালবাসা রইল ❤❤