প্রবল জ্ঞানী হইবে যাহারা আপন মনে বুঝিবে তাহারা - আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী✍️

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 7 лют 2025
  • "মহাবিশ্বের মহা বিস্ময় আল কুরআন"
    আসমান-যমীনের মহান স্রষ্টা আল্লাহ রাববুল আলামীন মানবজাতির জন্য যে দ্বীনকে মনোনীত করেছেন-তাই হল ইসলাম। পবিত্র কুরআন হল এই দ্বীনের শাশ্বত সংবিধান। মানবজাতির চিরন্তন গাইডলাইন। এই গাইডলাইন সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান অর্জন করা এবং মানুষের মাঝে তা ছড়িয়ে দেয়ার জন্যই আল্লাহ মুসলিম জাতির উত্থান ঘটিয়েছেন। এই চিরন্তন গাইডলাইনই মানবজাতির দুনিয়াবী ও পারলৌকিক জীবনে সফলতা-ব্যর্থতার একমাত্র মাপকাঠি।
    কুরআনের পরিচয় :
    কুরআন শব্দটির ক্রিয়ামূল হল- قرأ। যার আভিধানিক অর্থ-পাঠ করা বা একত্রিত করা। সেই হিসাবে কুরআন শব্দের অর্থ হয়-যা পাঠকৃত বা একত্রিত। আর পরিভাষায়-আল্লাহ তা‘আলা জিবরাঈল (আঃ)-এর মাধ্যমে সুদীর্ঘ ২৩ বছরে মানবজাতির পথপ্রদর্শনের জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর উপর যে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন তার নামই আল-কুরআন।
    কুরআনের বর্ণনায় কুরআনের পরিচয় :
    পবিত্র কুরআন স্বয়ং নিজের পরিচয় ব্যক্ত করেছে এভাবে-
    ‘এটি (আল্লাহর) কিতাব, এতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য হিদায়াত’ (বাক্বারা ২)।
    ‘আর আমি কুরআন নাযিল করি যা মুমিনদের জন্য আরোগ্যকারী ও রহমতস্বরূপ’ (বনী ইসরাঈল ৮২)।
    ‘ইহা মানুষের জন্য পয়গাম। আর যা দ্বারা তাদেরকে সতর্ক করা হয় এবং তারা জানতে পারে যে, তিনি কেবল একক ইলাহ। আর যাতে বুদ্ধিমানরা উপদেশ গ্রহণ করে’ (ইবরাহীম ৫২)।
    ‘বল, ‘যদি মানুষ ও জিন এ কুরআনের অনুরূপ হাজির করার জন্য একত্রিত হয়, তবুও তারা এর অনুরূপ হাজির করতে পারবে না যদিও তারা একে অপরের সাহায্যকারী হয়’ (নিসা ৮৮)।
    ‘এ কুরআনকে যদি আমি পাহাড়ের ওপর নাযিল করতাম তবে তুমি অবশ্যই তাকে দেখতে, আল্লাহর ভয়ে বিনীত ও বিদীর্ণ। মানুষের জন্য আমি এ উদাহরণগুলি পেশ করি; হয়ত তারা চিন্তাভাবনা করবে’ (হাশর ৮১)।
    কুরআনের বিভিন্ন নাম :
    কুরআনের বেশ কিহর নাম রয়েছে। যেমন- হুদা (পথনির্দেশক), যিকর (উপদেশ বাণী), ফুরকান (সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী), নূর (আলো), বুরহান (প্রমাণ), হাকীম (মহা জ্ঞানপূর্ণ), ইত্যাদি। যেমন কুরআনে এসেছে, تَبَارَكَ الَّذِي نَزَّلَ الْفُرْقَانَ عَلَى عَبْدِهِ لِيَكُونَ لِلْعَالَمِينَ نَذِيرًا ‘তিনি বরকতময় যিনি তাঁর বান্দার উপর ফুরকান (সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী) নাযিল করেছেন যেন তা জগতবাসীর জন্য সতর্ককারী হতে পারে’ (ফুরকান ১)।
    পবিত্র কুরআনের বিশেষত্বসমূহ :
    কুরআন আল্লাহ প্রেরিত কিতাব : আল্লাহ তা‘আলা যুগে যুগে মানবতার হেদায়াতের জন্য যেসব কিতাব অবতীর্ণ করেছেন সেগুলোকে আসমানী কিতাব বলা হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-َوَإِنَّهُ لَتَنْزِيلُ رَبِّ الْعَالَمِينَ ‘নিশ্চয় এ কুরআন বিশ্ব জাহানের রবের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ করা হয়েছে (শু‘আরা ১৯২)।
    কুরআন হল নূর বা আলো : অজ্ঞতার নিকষ কৃষ্ণাধারে দিকভ্রান্ত মানবজাতিকে পথের সন্ধান দেয়ার জন্য চিরন্তন দেদীপ্যমান আলোকবার্তা বা নূর হল আল-কুরআন। আললাহ তা‘আলা বলেন- قَدْ جَاءَكُمْ مِنَ اللَّهِ نُورٌ وَكِتَابٌ مُبِينٌ ، يَهْدِي بِهِ اللَّهُ مَنِ اتَّبَعَ رِضْوَانَهُ سُبُلَ السَّلَامِ وَيُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ بِإِذْنِهِ وَيَهْدِيهِمْ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيم ‘অবশ্যই তোমাদের নিকট আল্লাহ্র পক্ষ থেকে আলো ও সুস্পষ্ট গ্রন্থ এসেছে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাদেরকে শান্তির পথ দেখান, যারা তাঁর সন্তুষ্টির পথ অনুসরণ করে এবং নিজ অনুমতিতে তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করেন। আর তাদেরকে সরল পথের দিকে হেদায়াত দেন’ (মায়িদাহ ১৫-১৬)।
    কুরআন মানবজাতির জন্য পথপ্রদর্শক : মানবজাতির ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবন কীভাবে পরিচালিত হবে, তার খুঁটিনাটি প্রতিটি বিষয় কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। এ বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন -وَنَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ تِبْيَانًا لِكُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً وَبُشْرَى لِلْمُسْلِمِينَ ‘আমি তোমার নিকট এই কিতাব নাযিল করেছি সবকিহরর সুস্পষ্ট বর্ণনা সহকারে। আর এটা আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পণকারীদের জন্য হেদায়াত, রহমত ও সুসংবাদস্বরূপ’ (নাহল ৮৯)।
    পবিত্র কুরআন যাবতীয় ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে মুক্ত এবং অপরিবর্তনীয়। আল্লাহ তা‘আলা স্বয়ং এর হেফাযতের দায়িত্ব নিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ ‘নিশ্চয় আমি উপদেশবাণী তথা কুরআন নাযিল করেছি এবং নিঃসন্দেহে এর হেফাযতকারী আমি নিজেই’ (হিজর ৯)। আল্লাহ আরো বলেন, أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِنْدِ غَيْرِ اللَّهِ لَوَجَدُوا فِيهِ اخْتِلَافًا كَثِيرًا ‘তারা কি কুরআন নিয়ে গবেষণা করে না? আর যদি তা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষ থেকে হত, তবে অবশ্যই তারা এতে অনেক বৈপরীত্য দেখতে পেত’ (নিসা ৮২)।
    পবিত্র কুরআন রামাযান মাসের লাইলাতুল ক্বদরে অবতীর্ণ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন-شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ ‘রামাযান এমন মাস যাতে নাযিল হয়েছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। যা বিশ্বমানবতার জন্য হেদায়েত ও সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা এবং হক ও বাতিলের মধ্যকার পার্থক্যবিধানকারী’ (বাক্বারাহ ১৮৫)।
    কুরআন বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসাবে নাযিল করা হয়েছে। যারা এ কুরআন পড়বে এবং সে অনুযায়ী আমল করবে তারা আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ وَلَا يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إِلَّا خَسَارًا ‘আর আমি কুরআন নাযিল করেছি যা মুমিনদের জন্য শেফা ও রহমত, কিন্তু তা যালিমদের ক্ষতিই বাড়িয়ে দেয়’ (বনী ইসরাঈল ৮২)।

КОМЕНТАРІ • 25

  • @Mdminhazmir-gl3ee
    @Mdminhazmir-gl3ee 18 днів тому +2

    আলহামদুলিল্লাহ মাশাল্লাহ

  • @mohammedabdurrouf7611
    @mohammedabdurrouf7611 Місяць тому +9

    Allah give him jannatol ferdaus Ameen ❤❤❤

  • @mdyousuf-9471
    @mdyousuf-9471 Місяць тому +5

    সহমত,,,,,, আমার কলিজার পাখি,,,,, আল্লামা সাঈদী

  • @MdNuraalam-ns2gh
    @MdNuraalam-ns2gh 8 днів тому +1

    আল্লাহ উনাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন

  • @MehediHasan-jf2rg
    @MehediHasan-jf2rg 21 день тому +3

    আল্লাহতালা ওনাকে জানাতের উচ্চ মাকাম দান করুন আমিন

  • @ShihnurAkther
    @ShihnurAkther 29 днів тому +3

    উনার মতো কোরআনের তাফসিরকারী, আর মনে হয় আসবে নাহ্ বাংলার জমীনে।😢

  • @MdNaim-m6c
    @MdNaim-m6c 11 днів тому +1

    Koto.sundar.boyan.allah.huakbar.

  • @MdyahiyaKhan-w1m
    @MdyahiyaKhan-w1m 29 днів тому +1

    ❤❤❤

  • @Yousufali-bh9le
    @Yousufali-bh9le Місяць тому +3

    ❤❤❤❤❤

  • @dilbarskmmm4196
    @dilbarskmmm4196 Місяць тому +5

    ❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤

  • @MdNazrul-c4t
    @MdNazrul-c4t Місяць тому +26

    উনি আজ বেঁচে থাকলে ১০০% প্রধানমন্ত্রী হয়ে জেতেন বিনা প্রতিদন্দিতায় ইনশাআল্লাহ

  • @MehediHasan-jf2rg
    @MehediHasan-jf2rg 21 день тому +1

  • @manirulali8568
    @manirulali8568 27 днів тому +1

    ইয়া আল্লাহ কোরআনের পাখি কে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন আমীন নতুন বাংলাদেশ 92 পার্সেন্ট মুসলমান না মিথ্যা কথা মুখে দাবি করলে মুসলমান হওয়া যায় না কাজে কর্মে দেখিয়ে দিতে হবে আফসোস 92% মুসলমান মুখে দাবি করে সেই দেশে আল কোরআনের আইন দিয়ে দেশটা পরিচালনা হয় না যে ব্যক্তি কোরআন হাদিস দিয়ে দেশটা পরিচালনা করে না সেই দেশ কি করে 92% মুসলমানের দেশ হতে পারে