ও চরমোনাই পীর সাহেব আপনার মুরিদ কি এখনো বাঁশে ওঠে? রফিকুল ইসলাম বিন সাঈদ।

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 5 вер 2024
  • বিভিন্ন পীরদের খানকায় যেসব ভ ভ ভ ভ ভ ভ ভ ভন্ডামি চলে যে সমস্ত আজেবাজে জিকির চলে জিকিরের মাঝখানে কি সমস্ত কান্ড শরীয়ত বিরোধী সকল কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠিন হুংকার দিলেন রফিকুল ইসলাম বিন সাঈদ।

КОМЕНТАРІ • 15

  • @MOKBULMOLLIK-nz9np
    @MOKBULMOLLIK-nz9np 2 місяці тому

    সেদিনের তাৎক্ষণিক বিশ্বাস কবুল করা হবে না এবং সেদিন তারা আল্লাহর পায়ে সেজদাও দিতে পারবে না
    মানুষকে যখন বলা হলো মানব আকৃতিতে আল্লাহর সাক্ষাতে বিশ্বাসী হও। তখন এক শ্রেণির মানুষেরা বলিল, আল্লাহ গায়েব নয়, এটা বিশ্বাস করলাম, আল্লাহ অদৃশ্য নয়, এটাও বিশ্বাস করলাম। আল্লাহর আকৃতি আছে এটাও বিশ্বাস করলাম, আল্লাহ আকৃতিগতভাবে প্রকাশ হবেন এটাও বিশ্বাস করলাম। মানুষের সাথে আল্লাহর সাক্ষাৎ ঘটবে এটাও বিশ্বাস করলাম। আল্লাহ নিজ প্রকৃতিতে মানুষ তৈরি করেছেন এটাও বিশ্বাস করলাম। আল্লাহর সেই সুন্দর আকৃতিতে মানব তৈরি এটাও বিশ্বাস করলাম। আল্লাহর রুহ মানব আকৃতিতে প্রকাশ হয়েছে এটাও বিশ্বাস করলাম। মুসার সাথে আল্লাহর সাক্ষাত হয়েছে এটাও বিশ্বাস করলাম। মোহাম্মদ (স.) আল্লাহর সাক্ষাত লাভ করেছে এটাও বিশ্বাস করলাম। মৃত্যুর পরে 'মানুষের' সাথে আল্লাহর সাক্ষাত হবে এটাও বিশ্বাস করলাম। কিন্তু সেদিন আল্লাহ মানব আকৃতি ধারণ করে সাক্ষাত দিবে এটা বিশ্বাস করতে পারছি না। কারণ মানব আকৃতিতে সেদিন আল্লাহ প্রকাশ হবে বিশ্বাস করলে, মানব আকৃতিতে আল্লাহ এটা বিশ্বাস করা লাগে আর এই বিশ্বাস করলেই আদম কাবায় সেজদা দেওয়া লাগে। কিন্তু আমরা আদম কাবায় সেজদা দেওয়া বৈধ মনে করি না। আর তাই আল্লাহকে প্রত্যক্ষ না করা পর্যন্ত, আল্লাহ যে মানব আকৃতিতে প্রকাশ হবে এটা বিশ্বাস করিব না। যে দিন আল্লাহ আসবেন সেই দিন আমরা আগে দেখে নিব যে আল্লাহর আকৃতি কেমন। যেমন আকৃতিতে সেদিন দেখিব তেমন আকৃতিই আল্লাহর তখন সেই আকৃতিতে আল্লাহকে বিশ্বাস করিব। তার আগে আমরা এখন তোমাদের কথায় মানব আকৃতিতে আল্লাহ এই কথা বিশ্বাস করতে পারছি না।
    তাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন তোমরা প্রতিক্ষায় আছ তোমাদের কাছে আল্লাহ আসবে, যেদিন সত্যই আল্লাহ আসবে সেদিন তোমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করবে। কিন্তু সেদিনের সেই তাৎক্ষণিক বিশ্বাস আনয়ন কবুল করা হবে না। কারণ তারা পূর্ব থেকে বিশ্বাস করে নি। আনআম ১৫৮ আয়াত। এই জন্য আল্লাহ সেই সকল মানুষকে সতর্ক করে বলেন সেই দিবস আসার পূর্বেই তোমরা আল্লাহর আহ্বানে সাড়া দাও। সূরা-শুরা, ৪৭ আয়াত। কারণ সেদিনের তাৎক্ষণিক বিশ্বাস কবুল করা হবে না। সেজদা ২৯ আয়াত। আর সেদিন তোমরা বিশ্বাস অনুসারে সেজদাও দিতে পারবে না। কালাম ৪২ আয়াত। যখন তারা নিরাপদ ছিল তখন তো তাদের বলা হয়েছিল সেজদা করিবার। (কালাম-৪৩)। ঠিক একই ভাবে ইবলিশকে আহবান করা হয়েছিল আদম কাবায় আল্লাহকে সেজদা করিতে (আরাফ-১১) (হিযর-২৯)। সেই সময় আদম কাবায় আল্লাজহকে সেজদা করে নাই (বাকারা-৩৪)। আর তাই আজ যারা দুনিয়াতে আদম কাবায় আল্লাহকে সেজদা না করে ইবলিশের অনুসারী ছিল তারা সেদিন আদম আকৃতি বিশিষ্ট (বি. দ্র. সেদিন আল্লাহ প্রকাশ হবে কোন ছুরতে অধ্যায়ে বিস্তারিত দেখুন) প্রকাশ্য আল্লাহর পায়ে সেজদা দিতে সক্ষম হবে না।

  • @NoorAlam-cu7wp
    @NoorAlam-cu7wp 2 місяці тому +1

    Sotto.to.sotto

  • @MOKBULMOLLIK-nz9np
    @MOKBULMOLLIK-nz9np 2 місяці тому +1

    এবং (আম্বিয়া, ৩৫ আয়াত) আর অপরটি হচ্ছে রুহ সত্তা। আর রুহু সত্তাই হচ্ছে প্রভু সত্তা (বনি ইসরাইল, ৮৫ আয়াত)। এই মর্মে আল্লাহ বলেন, আমি দুইটি দরিয়া পাশাপাশি প্রবাহিত করি, মাঝখানে একটি অবেধ্য অন্তরাল যা অনতিক্রম্য ব্যবধান (আররহমান, ১৯ আয়াত) এবং (ফুরকান, ৫৩ আয়াত)।
    এখানে উল্লেখ্য যে, উপরিউক্ত আয়াতে একই মানব দেহে দুটি প্রবাহ, একটি হচ্ছে নফ্স, আর অপরটি রুহুকে বুঝানো হয়েছে। নফস্ এবং রুহের মাঝখানে একটি অনতিক্রম ব্যবধান রয়েছে, যার ফলে নফস্ কখনো তা অতিক্রম করতে সক্ষম হবে না বিধায় নফস কখনো রুহ সত্তার দাবিদার নয়। এটাই হচ্ছে আল্লাহর কৌশল, যে কৌশলে তিনি তাঁর সৃষ্টির সাথে অবস্থান করেন। আল্লাহ বলেন, তোমরা আল্লাহর কৌশলকে ভয় কর, তা না হলে তোমরা হবে ক্ষতিগ্রস্থ। (আরাফ-৯৯) তাই মানব যখন ঘুমায় তখন একটি সত্তা দেহের বাইরে অবস্থান করেন (যুমার, ৪২ আয়াত)। তখন নফস সত্তা দেহের বাইরে অবস্থান করে (ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর আল-কুরনুল কারিম-এর টিকা নং ১৫০১) মানব রসূলের মধ্যে আল্লাহ পাকের যে অবস্থান ছিল, সেই আল্লাহকেই আল্লাহ বলতে বলা হয়েছে (আলফাতহের ১০ আয়াত) বিধায়, মানব রসূলকে আল্লাহ সাব্যস্ত করা হয় নি বরং রসূল এর দেহের মধ্যে আল্লাহর সত্তা রুহের উপস্থিতি আছে, সে সত্তাকেই আল্লাহ বলা হয়েছে বিধায় রসূলের হাত আল্লাহর হাত বলা, রসূলকে আল্লাহ সাব্যস্ত করার শামিল হয় নি বিধায় রসূলের হাত, আল্লাহর হাত বিশ্বাস করা কখনো বাকারার ২২ আয়াতের পরিúন্থী হবে না। তারপরও যদি কেউ এমনটি বলেন, মানব রসূলের মধ্যে দুইটি স্বত্বা, কিন্তু দেহতো দুটি নয়, দেহ তো একটি, যেটি মানব দেহ। মানব আকৃতিতে যদি কেউ আল্লাহ স্বীকার করে, তাহলেতো মানব আকৃতিটা আল্লাহর উপমা হয়ে যায়। যা নহলের ৭৪ আয়াতের পরিপন্থী হয়। বিধায় এখানে উল্লেখ্য যে, এই আকৃতিটা মানুষের নিজস্ব আকৃতি নয়। কারণ মানব আকৃতিটা আল্লাহর সুন্দর আকৃতি ও প্রকৃতির অনুকরণে তৈরি (ত্বীন, ৪ আয়াত) এবং (রুম, ৩০ আয়াত)। যেহেতু আল্লাহর নিজ আকৃতির অনুকরণেই মানব তৈরি, সেহেতু মানব আকৃতির প্রকৃত মালিক হচ্ছে আল্লাহ। মানব হচ্ছে এই দেহ নামের ঘরে সাময়িক মেহমান। কাজেই মানব আকৃতি হচ্ছে আল্লাহর শায়ের। শায়ের অর্থ চি‎হ্ন‎‎ (আরবি অভিধান পৃ. ১৫৩০) মানব আকৃতি যেহেতু আল্লাহর নিজস্ব আকৃতির অনুকরণে তৈরি, এখানে উল্লেখ্য যে প্রত্যেক মানুষের চেহারা আল্লাহর নিজ চেহারা। কারণ পৃথিবীতে এক মানুষের চেহারার সাথে অবিকল আর একটি মানুষ নেই, এই জন্য আল্লাহর চেহারা এক এবং অভিন্ন এবং আল্লাহ যে এক এটা তারই নিদর্শন। সেহেতু মানব আকৃতিতে আল্লাহ বিশ্বাস করা আল্লাহর উপমা দেওয়ার শামিল হবেনা। আল্লাহ বলেন, শায়ের আল্লাহতে দৃষ্টি দেওয়া তো আল্লাহরই তাকওয়ার সঞ্জাত। (হজ, ৩২ আয়াত)। রসূল সুরত যেহেতু আল্লাহর শায়ের, সেহেতু রসূল সুরতে আল্লাহ বিশ্বাস করা, আল্লাহর উপমা দেওয়ার শামিল নয় বিধায় রসূলের হাত আল্লাহর হাত বিশ্বাস করা কখনো নহলের ৭৪ আয়াতের পরিপন্থি হবে না। বরং রসূলের হাত, আল্লাহর হাত বিশ্বাস করাই প্রকৃত মমিনের পরিচয়।
    সম্যক গুরুগণই রসূল, সম্যক গুরুর সঙ্গ ধারণ করে আল্লাহ পাকের পরিচয় লাভ করাই মানব মুক্তির উপায়।

  • @MOKBULMOLLIK-nz9np
    @MOKBULMOLLIK-nz9np 2 місяці тому

    আল্লাহর আকৃতি আছে ও তিনি প্রকাশ হতে সক্ষম
    অনেকেই আল্লাহ সম্পর্কে তর্ক করে বলেন, আল্লাহর কোনো আকৃতি নেই। কিংবা আল্লাহ আকৃতি ধারণ করেন না। আল্লাহর কোনো আকৃতি বা চেহারা নেই এমন কোনো আয়াত পবিত্র কোরআনে নেই। বরং আল্লাহর আকৃতি বা চেহারা সম্পর্কে আয়াত আছে। সাদ, ৭৫ আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহর হাত আছে। অনেকেই বলে আল্লাহর সেই হাত নাকি কুদরতি হাত, কিন্ত যে হাত আদমের দেহ তৈরীতে ব্যবহৃত যেহেতু আদমের দেহ মাটি দিয়ে তৈরী অর্থাৎ বাস্তব বস্তু দিয়ে তৈরী যে হাত দিয়ে আদমের দেহটা তৈরী সে হাতটা নিশ্চয়ই বাস্তব. আল্লাহ বলেন, আমি নিজ হাতে আদম তৈরি করেছি (সাদ-৭৫)। বিধায় আল্লাহর হাতটা বাস্তব। কালাম, ৪২ আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহর পা আছে। আল্লাহর যে পা প্রকাশ হবে সে পা নিশ্চয়ই বাস্তব। সে দিন আল্লাহর পা প্রকাশ করা হবে (সূরা কালাম-৪২) এবং বাকারা, ১১৫ আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহর চেহারা আছে। কাসাস, ৮৮ আয়াতে বলা হয়েছে, সকল কিছু ধ্বংস হবে আল্লাহ চেহারা ব্যতীত। অতএব যে চেহারা ধ্বংশ হবে না মর্মে উল্লেখ আসছে, তাতে প্রমাণ হয় আল্লাহর সেই চেহারাটা নিশ্চয়ই বাস্তব। ছয় দিনে পৃথিবী তৈয়ারি করে আল্লাহ আরশ আজীমে বসলেন। সেজদা, ৪ আয়াত। যেহেতু আল্লাহ আরশে বসলেন যেক্ষেত্রে দাঁড়ানো ও বসা উল্লেখ আসছে তাহলে অবশ্যই তাঁর ধড় বা দেহ আছে। এই সকল আয়াত বিশ্লেষণে জানা গেল, আল্লাহর আকৃতি আছে বা আল্লাহ আকৃতি ধারণ করে থাকেন। আর সেই দিন আল্লাহ আকৃতি ধারণ করেই প্রকাশ হবে। আর তাই সুরা
    হাদিদ, ৩ আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ প্রকাশ্য বিদ্যমান। তাহলে দেখা যাচ্ছে আল্লাহ আকৃতিগতভাবে প্রকাশ হবে এটা নিশ্চিত।