পাকিস্তানি ছাত্রীর ১৭ বছরের লড়াইয়ের কাহিনি

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 7 кві 2017
  • ১৭ বছর আগের ঘটনা। ওয়াজিহা আরোজ। লাহোরে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। ক্লাস থাকত সন্ধ্যায়। নিয়মিত ক্লাসে যান, পরীক্ষা দেন। নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলো। দেখা গেল তিনি অনুত্তীর্ণ। কারণ, তিনি একটি পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এটি কীভাবে সম্ভব, নিজের কাছেই প্রশ্ন আরোজের। কারণ, তিনি সব পরীক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর কথা কে বিশ্বাস করে?
    বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা আরোজের বাবাকে ডেকে বলেন, তিনি সম্ভবত মেয়ের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজখবর রাখেন না। আর মেয়ে পরীক্ষায় সময় কোথায় ছিল তা খোঁজ নিতেও পরামর্শ দেন।
    পাকিস্তানের রক্ষণশীল সমাজে একটি মেয়ের নামে এই কালিমা যে কতটা দুঃসহ, তা শুধু ওই নারী বা তাঁর পরিবারই জানে। সেখানে মেয়েদের খুব কড়াকড়ির মধ্য দিয়ে বড় করা হয়। সেখানে প্রেম করা তো গুরুতর অপরাধ। আর আরোজ যদি কোথাও একা গিয়েও থাকে, তাহলে অনুমান করা হচ্ছিল, সেখানে নিশ্চয়ই কোনো পুরুষ ছিল।
    পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকার খবর মুহূর্তেই পৌঁছে যায় তাঁর পরিবার ও সহপাঠীদের কাছে। আরোজ সেই সময়ের কথা মনে করে বিবিসিকে বলেন, ‘এ খবর শোনার পর আমার দিকে মা-ও যেন কেমন অদ্ভুতভাবে তাকাতেন। তাঁর চোখে ছিল সন্দেহ। আমার ঘনিষ্ঠ স্বজনেরা বারবার আমার কাছে জানতে চায়, আমি কেন পরীক্ষা দিইনি।’
    তারপরও ক্লাস চালিয়ে যান আরোজ। কিন্তু এত দিনের সহপাঠীরাও যেন অচেনা হয়ে উঠল। সুযোগ পেলেই তারা টিটকারি করত। ক্লাসে তারা খুব বাজেভাবে বলত যে একজন তো পরীক্ষার অজুহাত দেখিয়ে কোথায় কোথায় ঘুরে বেড়ায়। আর কথাগুলো যেন আমার কান পর্যন্ত পৌঁছায়, তারা কথাগুলো সেভাবেই বলত।
    আত্মীয়স্বজন ও পারিবারিক বন্ধুরা সন্ধ্যায় ক্লাসে যাওয়া নিয়ে আপত্তি করতে থাকে। এই গুজব ছড়াতে ছাড়াতে এমন পর্যায়ে পৌঁছাল যে সে সারা বছরই ক্লাস ফাঁকি দিয়ে অন্য কোথাও ছিল। আরোজ বলেন, ‘একসময় আমি এতটাই হতাশ হয়ে পড়লাম যে আত্মহত্যা করব বলে ভাবছিলাম।’
    তারপরও দমে যাননি আরোজ। তিনি বিষয়টি নিয়ে লাহোর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁর পরিবার তাঁকে সমর্থন দিয়েছে। আর তাঁর বাবা, যিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক কিন্তু বর্তমানে আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন, তিনি মেয়ের হয়ে লড়ছেন।
    বিষয়টি আদালতে ওঠার চার মাস পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর পরীক্ষার খাতা আদালতে উপস্থাপন করেন। কর্তৃপক্ষ জানায়, এই ভুল আসলে একজন অফিস সহকারীর। তিনি পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি তালিকা ঠিকভাবে যাচাই করেননি। এই পর্যায়ে আদালত রায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবহেলাকে দায়ী করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভুল শুধরে নতুন করে ফল প্রকাশ করে।

КОМЕНТАРІ • 31

  • @md.zakariazakaria9597
    @md.zakariazakaria9597 2 роки тому +3

    আসলে ভালো মানুষ ও ভালো মুসলিম হ‌ওয়া খুবই কঠিন কাজ। কিন্তু নারীদের এই হয়রানি করা আরো খুবই খারাপ কাজ। তবে এই শিক্ষক বা কর্মচারী যাহারাই হ‌উক না কেন ,এদের শাস্তি দিতে কার্পণ্য করা ঠিক হবে কি? ধন্যবাদ।

  • @yousufyousuf1799
    @yousufyousuf1799 6 років тому +1

    Se is very nice

  • @khoconahmed8494
    @khoconahmed8494 7 років тому +1

    thanks you

  • @fariyaislam3369
    @fariyaislam3369 2 роки тому +1

    Hi

  • @husnak7524
    @husnak7524 7 років тому +1

    good luck to you.

  • @md.shahidulhoque6675
    @md.shahidulhoque6675 5 років тому +2

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ শিক্ষকদের কেন বরখাস্ত করা হয়নি ?

  • @jiarulhoke5365
    @jiarulhoke5365 7 років тому +3

    হেয়

  • @kakolidey9665
    @kakolidey9665 2 роки тому +1

    A jat darmo sabtay purususder janne

  • @mdeshak758
    @mdeshak758 6 років тому +2

    Eshak

  • @ninjanaz5328
    @ninjanaz5328 6 років тому

    jara baje comment kore tader ma, bon ke tader shamne baje comment korle kemon lagbe?shai shoitander jonno shomoi nishchoi ekdin ashbei.

  • @raf9539
    @raf9539 7 років тому +3

    hi

  • @nasiruddinali5236
    @nasiruddinali5236 5 років тому +1

    মিথ্যা কথা বলছেন শিক্ষক রা

  • @freefire-ey6os
    @freefire-ey6os 6 років тому +1

    Sali thu

  • @RafiqulIslam-ls3mf
    @RafiqulIslam-ls3mf 4 роки тому

    Aroz kiu thok Gaye, learn more 4 carrier ur life again,

  • @pagol122
    @pagol122 6 років тому +1

    Backward base education in panjab university.

  • @nasrinakter-xd3gh
    @nasrinakter-xd3gh 7 років тому +3

    0

  • @shahshibliya3755
    @shahshibliya3755 7 років тому +2

    হেয়

  • @afzolhussain1563
    @afzolhussain1563 7 років тому +4

    hi