অসাধারণ, মনে হচ্ছে নজরুল ইসলাম তার স্বকণ্ঠে আবৃতি করছে,,মনটা ভরে গেলো,,আমি মগ্ধ।যেমন কবির লেখা, তেমনি আবৃতি।মনে হচ্ছে শেষ না করে আরো বেশি বেশি লিখলো না কেন।।শেষ হয়ে হইলো না শেষ।দোয়া রইলো।
মহা বিশ্বের মহান কবি 'কাজী নজরুল ইসলাম'! আমার আত্মার পরম আত্মীয় প্রিয়তম কবি বন্ধু তুমি! তোমার লেখা একদিকে আমার শরীরের শীতল রক্তকে করে উষ্ণ-আর্দ্র-গরম; অন্যদিকে হৃদয়কে বিবশ করে দু'চোখে ঝ'রায় বেদনার অশ্রুধারা! আমার চোখের জলে এবং রক্তে রক্তে অনুভব করি তোমাকে! তোমার বাণী ও সুর আমাদের পরম পাওয়া! কারও সাথেই তোমার তুলনা চলে না! তুমি আমাদের চিরকালের অহংকার! তুমি চির স্মরণীয় হয়ে আছো এবং থাকবে অনন্তকাল! ভক্ত অনুরক্ত কবির বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা নাও! 🌺🌺💚💚❤️❤️
।। আবহ ,,,, বাঁশির সুর,,,, এবং পাঠকের কন্ঠস্বর,, এবং অপূর্ব উচচারণ ,, এক অভিজাত সংস্কৃতির ঘরানার প্রকাশ ,, আমি উত্সাহিত ,, আমি অনুপ্রাণিত ,, ।। ড শর্মিষ্ঠা নিয়োগী ।। ,, সাহিত্য ও সংস্কৃতি,, অমূল্য ।। শুধু মাত্র এইক্ষণে ,, এই কথা বলতে চাইছি ,, বোধ ই করতে পারে বোধের মূল্যায়ন ।। সেখানে ভাষা কম পড়ে ।। ভাষাতে অনুভূতি র অনুভবের স্পন্দন প্রকাশ করতে পারঙ্গমতার সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করার চেষ্টায় আমিও এক দিশাহীন পথিক মাএ ,, ।। ড শর্মিষ্ঠা নিয়োগী ।।
এত মুগ্ধতা, এত মাধুর্য শব্দের সমাহার কি আকুতি আর আত্মপ্রকাশ ভঙ্গি😮😮😮😮 এই চিঠিতে যেন মহাকালের প্রেম দেবতার অবতার🥰🥰🥰🥰🥰🥰 -------নুরখান। আর হ্যাঁ আবৃতি উচ্চ প্রশংসনীয় 😍😍😍
স্নেহের নাহার, কাল রাত্তিরে ফিরেছি কলকাতা হতে। চট্টগ্রাম হতে এসেই কলকাতা গেছলাম। এসেই পড়লাম তোমার দ্বিতীয় চিঠি, অবশ্য তোমার ভাবীকে লেখা। আমি যেদিন তোমার প্রথম চিঠি পাই, সেদিনই তখনই কলকাতা যেতে হয় মনে করেছিলাম কলকাতা গিয়ে উত্তর দেবো। কিন্তু কলকাতার কোলাহলের মধ্যে এমনই বিস্মৃত হয়েছিলাম নিজেকে যে কিছুতেই উত্তর দেবার অবসর করে নিতে পারিনি। তাছাড়া ভাই, তুমি অত কথা জানতে চেয়েছ, শুনতে চেয়েছ, যে কলকাতার হট্টগোলের মধ্যে সে বলা যেন কিছুতেই আসত না। আমার বাণী হট্টগোলকে এখন রীতিমত ভয় করে, মূক হয়ে যায় ভীরু বাণী আমার, ওই কোলাহলের অনবকাশের মাঝে। চিঠি দিতে দেরি হল বলে তুমি রাগ করো না ভাই লক্ষ্মীটি। এবার হতে ঠিক সময়ে দেবো, দেখে নিও। কেমন? বাহারটাও না জানি কত রাগ করেছে, কী ভাবছে। আর তোমার তো কথাই নেই, ছেলেমানুষ তুমি, পড়তে না পেয়ে তুমি এখনো কাঁদ! বাহার যেন একটু চাপা, আর তুমি খুব অভিমানী না? কী যে করেছ তোমরা দুটি ভাই-বোনে যে এসে অবধি মনে হচ্ছে যেন কোথায় কোন নিকটতম আত্দীয়কে আমি ছেড়ে এসেছি। মনে সদাসর্বদা একটা বেদনার উদ্বেগ লেগেই রয়েছে। অদ্ভুত রহস্যভরা এই মানুষের মন! রক্তের সম্বন্ধকে অস্বীকার করতে দ্বিধা নেই যার, সে-ই কখন পথের সম্বন্ধকে সকল হৃদয় দিয়ে অসঙ্কোচে স্বীকার করে নেয়। ঘরের সম্বন্ধটা রক্তমাংসের, দেহের, কিন্তু পথের সম্বন্ধটা হৃদয়ের অন্তরতম-জনার। তাই ঘরের যারা, তাদের আমরা শ্রদ্ধা করি, মেনে চলি, কিন্তু বাইরের আমার-জনকে ভালবাসি, তাকে না-মানার দুঃখ দিই। ঘরের টান কর্তব্যের, বাইরের টান প্রীতির মাধুর্যের। সকল মানুষের মনে সকল কালের এই বাঁধন-হারা মানুষটি ঘরের আঙিনা পেরিয়ে পালাতে চেষ্টা করেছে। যে নীড়ে জন্মেছে এই পলাতক, সেই নীড়কেই সে অস্বীকার করেছে সর্বপ্রথম উড়তে শিখেই! আকাশ আলো কানন ফুল, এমনি সব না-চেনা জনেরা হয়ে ওঠে তার অন্তরতম। বিশেষ করে গানের পাখি যারা, তারা চিরকেলে নিরুদ্দেশ দেশের পথিক। কোকিল বাসা বাঁধে না, বৌ কথা কও;-এর বাসার উদ্দেশ্য আজও মিলল না, উহু উহু চোখ গেল; পাখির নীড়ের সন্ধান কেউ পেল না! ওদের আসা যাওয়া একটা রহস্যের মত। ওরা যেন স্বর্গের পাখি, ওদের যেন পা নেই, ধূলার পৃথিবীতে যেন ওরা বসবে না, ওরা যেন ভেসে আসা গান। তাই ওরা অজানা ব্যথার আনন্দে পাগল হয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে দেশে বিদেশে, বসন্ত-আসা বনে, ফুল-ফোটা কাননে, গন্ধ-উদাস চমনে। ওরা যেন স্বর্গের প্রতিধ্বনি টুকরা-আনন্দের উল্কাপিন্ড! সমাজ এদের নিন্দা করেছে, নীতিবাগীশ বায়স তার কুৎসিত দেহ ততোধিক কুৎসিত কণ্ঠনিয়ে এর ঘোর প্রতিবাদ করেছে, এদের শিশুদের ঠুকরে; নিকালো হিঁয়াসে; বলে তাড়িয়েছে, তবু আনন্দ দিয়েছে এই ঘর-না-মানা পতিতের দলই। নীড়-বাঁধা সামাজিক পাখিগুলি দিতে পারল না আনন্দ, আনতে পারল না স্বর্গের আভাস, সুরলোকের গান।
এত কথা বললাম কেন, জান? তোমাদের যে পেয়েছি এই আনন্দটাই আমায় এই কথা কওয়াচ্ছে, গান গাওয়াচ্ছে। বাইরের পাওয়া নয়, অন্তরের পাওয়া। গানের পাখি গান গায় খাবার পেয়ে নয়; ফুল পেয়ে আলো পেয়ে সে গান গেয়ে ওঠে। মুকুল-আসা কুসুম-ফোটা বসন্তই পাখিকে গান-গাওয়ায়, ফল-পাকা জ্যৈষ্ঠ আষাঢ় নয়। তখনো পাখি হয়ত গায়, কিন্তু ফুল যে সে ফুটতে দেখেছিল, গন্ধ সে তার পেয়েছিল গায় সে সেই আনন্দে, ফল পাকার লোলুপতায় নয়। ফুল ফুটলে পায় গান, কিন্তু ফল পাকলে পায় ক্ষিদে; আমি পরিচয় করার অনন্ত ঔৎসুক্য নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি মানুষের মাঝে, কিন্তু ফুল-ফোটা মন মেলে না ভাই, মেলে শুধু ফল-পাকার ক্ষুধাতুর মন। তোমাদের মধ্যে সেই ফুল-ফোটানো বসন্ত, গান-জাগানো আলো দেখেছি বলেই আমার এত আনন্দ, এত প্রকাশের ব্যাকুলতা। তোমাদের সাথে পরিচয় আমার কোন প্রকার স্বার্থের নয়, কোন দাবির নয়। ঢিল মেরে ফল পাড়ার অভ্যেস আমার ছেলেবেলায় ছিল, যখন ছিলাম ডাকাত, এখন আর নেই। ফুল যদি কোথাও ফোটে, আলো যদি কোথাও হাসে সেখানে আমায় গান গাওয়ায় পায়, গান গাই। সেই আলো, সেই ফুল পেয়েছিলাম এবার চট্টলায়, তাই গেয়েছি গান। ওর মাঝে শিশিরের করুণা যেটুকু, সেটুকু আমার আর কারুর নয়। যাক, কাজের কথাগুলো বলে নিই আগে। আমায় এখনও ধরেনি, তার প্রমাণ এই চিঠি। তবে আমি ধরা দেওয়ার দিকে হয়তো এগোচ্ছি। ধরা পড়া আর ধরা দেওয়া এক নয়, তা হয়তো বোঝ। ধরা দিতে চাচ্ছি, নিজেই এগিয়ে চলেছি শত্রু-শিবিরের দিকে, এর রহস্য হয়তো বলতে পারি। এখন বলব না। অত বিপুল যে সমুদ্র, তারও জোয়ারভাটা আসে অহোরাত্রি। এই জোয়ার-ভাটা সমুদ্রেই খেলে, আর তার কাছাকাছি নদীতে; বাঁধ-বাঁধা ডোবায়, পুকুরে জোয়ার-ভাটা খেলে না। মানুষের মন সমুদ্রের চেয়েও বিপুলতর। খেলবে না তাতে জোয়ার-ভাটা! যদি না খেলে, তবে তা মানুষের মন নয়। ঐ শান-বাঁধানো ঘাট-ভরা পুকুরগুলোতে কাপড় কাঁচা চলে, ইচ্ছে হলে গলায় কলসি বেঁধে ডুবে মরাও চলে, চলে না ওতে জাহাজ, দোলে না ওতে তরঙ্গ দোলা, খেলে না ওতে জোয়ার-ভাটা;আমি একবার অন্তরের পানে ফিরে চলতে চাই, যেখানে আমার গোপন সৃষ্টি-কুঞ্জ, যেখানে আমার অনন্ত দিনের বধূ আমার জন্য বসে মালা গাঁথছে। যেমন করে সিন্ধু চলে ভাটিয়ালি টানে, তেমনি করে ফিরে যেতে চাই গান-শ্রান্ত ওড়া-ক্লান্ত আমি। আবার অকাজের কথা এসে পড়ল। পুষ্প-পাগল বনে কাজের কথা আসে না, গানের ব্যথাই আসে, আমায় দোষ দিও না। অগ্নিবীনা বেঁধে দিতে দেরি করছে দফতরি, বাঁধা হলেই অন্যান্য বই ও অগ্নিবীনা পাঠিয়ে দেবো একসাথে। ডি. এম. লাইব্রেরিকে বলে রেখেছি। আর দিন দশকের মধ্যেই হয়তো বই পাবে। আমার পাহাড়ে ও ঝর্ণাতলে তোলা ফটো একখানা করে পাঠিয়ে দিও। গ্রুপের ফটো একখানা (যাতে হেমন্তবাবু ও ছেলেরা আছে), আমি, বাহার ও অন্য কে একটি ছেলেকে নিয়ে তোলা যে ফটোর তার একখানা এবং আমি ও বাহার দাঁড়িয়ে তোলা ফটোর একখানা পাঠিয়ে দিও আমায়। ফটোর সব দাম আমার বই বিক্রির টাকা হতে কেটে নিও।
৩ এখন আবার কোনদিকে উড়ব, ঠিক নেই কিছু। যদি না ধরে কোথাও হয়তো যাব, গেলে জানাব। এখন তোমার চিঠিটার উত্তর দিই। তোমার চিঠির উত্তর তোমার ভাবীই দিয়েছে শুনলাম। আরও শুনলাম, সে নাকি আমার নামে কতগুলো কী সব লিখেছে তোমার কাছে। তোমার ভাবীর কথা বিশ্বাস করো না। মেয়েরা চিরকাল তাদের স্বামীদের নির্বোধ মনে করে এসেছে। তাদের ভুল, তাদের দুর্বলতা ধরতে পারা এবং সকলকে জানানোই যেন মেয়েদের সাধনা। তুমি কিন্তু নাহার, রেগো না যেন। তুমি এখনও ওদের দলে ভিড়নি। মেয়েরা বড্ড অল্পবয়সে বেশি প্রভুত্ব করতে ভালবাসে। তাই দেখি, বিয়ে হবার এক বছর পর ষোল-সতের বছর বয়সেই মেয়েরা হয়ে ওঠে গিনি্ন। তাঁরা যেন কাজে-অকাজে, কারণে-অকারণে-স্বামী বেচারিকে বকতে পারলে বেঁচে যায়। তাই সদাসর্বদা বেচারা পুরুষের পেছনে তারা লেগে থাকে গোয়েন্দা পুলিশের মত। এই দেখ না ভাই, ছটাকখানেক কালি ঢেলে ফেলেছি চিঠি লিখতে লিখতে একটা বই-এর ওপর, এর জন্য তোমার ভাবীর কী তম্বিহ কী বকুনি। তোমার ভাবী বলে নয়, সব মেয়েই অমনি। স্ত্রীদের কাছে স্বামীরা হয়ে থাকে একেবারে বেচারাম লাহিড়ী। একটা কথা আগেই বলে রাখি, তোমার কাছে চিঠি লিখতে কোন সঙ্কোচের আড়াল রাখিনি। তুমি বালিকা এবং বোন বলে তার দরকার মনে করিনি। যদি দরকার মনে কর, আমায় মনে করিয়ে দিও। আমি এমন মনে করে চিঠি লিখিনি, যে কোন পুরুষ কোন মেয়েকে চিঠি লিখছে। কবি লিখছে চিঠি তার প্রতি শ্রদ্ধান্বিতা কাউকে, এই মনে করেই চিঠিটা নিও। চিঠি লেখার কোথাও কোন ত্রুটি দেখলে দেখিয়ে দিও। আমার উচিত আদর করতে পারনি লিখেছ, আর তার কারণ দিয়েছ, পুরুষ নেই কেউ বাড়িতে এবং অসচ্ছলতা। কথাগুলোয় সৌজন্য প্রকাশ করে খুব বেশি, কিন্তু ওগুলো তোমাদের অন্তরের কথা নয়। কারণ, তোমরাই সবচেয়ে বেশি করে জান যে তোমরা যা আদর-যত্ন করেছ আমার, তার বেশি করতে কেউ পারে না। তোমরা তো আমার কোথাও ফাঁক রাখনি আমার শূন্যতা নিয়ে অনুযোগ করবার। তোমরা আমার মাঝে অভাবের অবকাশ তো দাওনি তোমাদের অভাবের কথা ভাববার; এ আমি একটুও বাড়িয়ে বলছি না। আমি সহজেই সহজ হতে পারি সকলের কাছে, ওটা আমার স্বাভাবিক প্রবৃত্তি, কিন্তু তোমাদের কাছে যতটা সহজ হয়েছি অতটা সহজ বুঝি আর কোথাও হইনি। সত্যি নাহার আমায় তোমরা আদর-যত্ন করতে পারনি বলে যদি সত্যিই কোন সঙ্কোচের কাঁটা থাকে তোমাদের মনে, তবে তা অসঙ্কোচে তুলে ফেলবে মন থেকে। অতটা হিসেব-নিকেশ করবার অবকাশ আমার মনে নেই, আমি থাকি আপনার মন নিয়ে আপনি বিভোর। মানুষের সঙ্গে প্রাণ খুলে কথা বলতে বলতেও অন্যমনস্ক হয়ে পড়ি, খেই হারিয়ে ফেলি কথার। আমার গোপনতম কে যেন একেবারে নিশ্চুপ হয়ে থাকতে আদেশ করে। আর আর্থিক অসচ্ছলতার কথা লিখেছ। অর্থ দিয়ে মাড়োয়ারীকে, জমিদার মহাজনকে বা ভিখিরিকে হয়তো খুশি করা যায়, কবিকে খুশি করা যায় না। রবীন্দ্রনাথের পুরস্কার কবিতাটি পড়েছ? ওতে এই কথাই আছে। কবি রাজ-দরবারে গিয়ে রাজাকে মুগ্ধ করে রাজপ্রদত্ত মণি-মাণিক্যের বদলে চাইলে রাজার গলার মালাখানি। কবি লক্ষ্মীর প্যাঁচার আরাধনা কোন কালে করেনি, সরস্বতীর শতদলেরই আরাধনা করেছ তাঁর পদ্মগন্ধে বিভোর হয়ে শুধু গুন্ গুন্ করে গান করেছে আর করেছে। লক্ষ্মীর ঝাঁপির কড়ি দিয়ে কবিকে অভিবন্দনা করলে কবি তাতে অখুশি হয়ে ওঠে। কবিকে খুশি করতে হলে দিতে হয় অমূল্য ফুলের সওগাত। সে সওগাত তোমরা দিয়েছ আমায় অঞ্জলি পুরে। কবি চায় না দান, কবি চায় অঞ্জলি, কবি চায় প্রীতি, কবি চায় পূজা। কবিত্ব আর দেবত্ব এইখানে এক। কবিতা আর দেবতা সুন্দরের প্রকাশ। সুন্দরকে স্বীকার করতে হয় সুন্দর যা তাই দিয়ে। রূপার দাম আছে বলেই রূপা অত হীন; হাটে-বাজারে মুদির কাছে, বেনের কাছে ওজন হতে হতে ওর প্রাণান্ত ঘটল; রূপের দাম নেই বলেই রূপ এত দুর্মূল্য, রূপ এত সুন্দর, এত পূজার! রূপা কিনতে হয় রূপেয়া দিয়ে, রূপ কিনতে হয় হৃদয় দিয়ে। রূপের হাটের বেচা-কেনা অদ্ভুত। যে যত অমনি যে যত বিনা দামে কিনে নিতে পারে, সে তত বড় রূপ-রসিক সেখানে। কবিকে সম্মান দিতে পারনি বলে মনে যদি করেই থাক, তবে তা মুছে ফেল। কোকিল পাপিয়াকে বাড়িতে ডেকে ঘটা করে খাওয়াতে পারনি বলে তারা তো অনুযোগ করেনি কোনদিন। সে কথা ভাবেও নি কোনদিন তারা। তারা তাই বলে তোমার বাতায়নের পাশে গান গাওয়া বন্ধ করেনি। তাছাড়া কবিকে হয়তো সম্মান করা যায় না কাব্যকে সম্মান করা যায়। তুমি হয়তো বলবে, গাছের যত্ন না নিলে ফুল দেয় না। কিন্তু সে যত্নেরও তো ত্রুটি হচ্ছে না। অনাত্মীয়কে লোকে সম্বর্ধনা করে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে; বন্ধুকে গ্রহণ করে হাসি দিয়ে, হৃদয় দিয়ে।
আমি একজন সনাতন ধর্ম অবলম্বী হিন্দু পরিবারের ছেলে ।হিন্দু শাস্ত্রের উপাসক, আমরা পুনর্জনম বিশ্বাস করি ,তাই আমার আফসোস হয় আহা কেমন মহাকবির কেন পূর্নজনম হয় না, কেন সে ফিরে আসে না আবার। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তুমি ওকে আর একবার পাঠাও এই ধরণী তলে
পথের সম্বন্ধ টা হৃদয়ের। পরিবারের বাইরে হয়তো তোমাকেই সবচেয়ে বেশি আপন ভেবছি। কারণে অকারণে করেছি অভিমান। বাইরে পাওয়া তোমাকে পাইনি কিন্তু হৃদয়ের পাওয়া পেয়েছি। জানি না তোমাকে কোনোদিন ও ভুলতে পারবো কিনা। কবির মতো আমিও তোমাকে পেয়েছি চট্টলায়।
🇧🇩🌍সবাই তৃষ্ণা মিটায় নদীর জ্বলে- কি তৃষ্ণা জাগে সেই নদীর হীয়া তলে- বেদনার মহাসাগরের কাছে করো-করো সন্ধান! 🇧🇩🌍বিশ্বাস কথাটা মানুষের জীবনের চেয়েও অনেক বেশি দামী- কারণ বিশ্বাস না থাকলে মানুষের জীবন হয় জীবন্ত নিষ্প্রাণ- তৃপ্ত রয় অতৃপ্ত যে বিশুদ্ধ রোদে উষ্ণ হয় পৃথিবী। 🇧🇩🌍ভালোবাসার মানুষ গুলো ভালোবাসায় বেঁচে থাকুক যুগ যুগ ধরে।
What an Amazing voice bhaiya, loved it . Expecting more Nazrul’s creation and literature from you. Nazrul er kichu golpo - uponnas pore sunan na Amader please.
কবি নজরুলের চিঠি পড়ে্ আকাশ, দিপিকাকে লেখে চিঠি কেমন আছ? আজ সত্যিকার কথা বলি তোমাকে আমি পড়তে পাড়ি,তোমার গোপন নি:শব্দ চাওয়া আমি পুরুন করতে পাড়িনি, তাই তুমি অভিমানী,কিন্তু সে চাওয়ায় যে আমি ভালোবাসা পাইনি শুধু ইচ্ছা দেখেছি সে ইচ্ছে পুরন করতে গেলে যে আমার ইহকাল পরকাল দুইকালই নরকে পরিনত হবে।তবে যদি সত্যিকার ভালোবাসতে পরকালে শুধু আমাকেই পেতে।আর আমার মত আমিয় প্রেম কোথাও পাবেনা। যখন হতে তুমি আসিয়াছ আমি অন্তর কান্নায় জর্জরিত।আমি জানি তুমি অনেক বিদ্যায় দিক্ষিত, বার বার তোমায় বলতে চেয়ছিআমার জীবন শন্কিত তাইতো সেই অদৃশ্য পরাশক্তি থেকে নিজেকে বাচাতে এ দিক ওদিক ছুটি জানি আমার শুত্রুগুলোকে ধংশ করার ক্ষমতা তোমার আছে কিন্তু তোমায় বলতে পারছিনা। তেমার প্রতি আমার কোন ক্ষোভ নেই রয়েছে শুভ কামনা আমি তোমার পথের কাটা নই, আমার অন্তর রক্ত ক্ষরন করেছো তাতেই আমি সর্বকালের ব্যথিত, দয়া করে ক্ষেভের বশে আমায় মেরোনা,!যদিও আমি অশুস্থ, আামায় বাঁচতে হবে কিছুদিন আমার অনেক কাজ বাকি আছে।আমায় ভুল বুঝনা,শুত্রুপক্ষ প্রতিহত করতে তোমায় যদি কখন আঘাত লাগে ভুল বুঝে থেকনা তুমি তোমার মত থাক,আমার কথা ভেবনা। আর অনেক লেখার ছিল লেখা হলনা শুধু মনে রেখ আমার ভালোবায় একবিন্দু ক্ষাদ ছিলনা। তোমাকে ঠকাতে চায়নি তাইতো দুরে দুরে থাকি, নজরুলে মত শুন্দর করে লিখতে পারলামনা আমায় ভুল বুঝনা অদৃশ্যের সাথে যূদ্ধ করে চলেছি একলা আমি সেই বিদ্রহী যে অন্যায়ের সাথ আপস করেনা। আকাশ।
অসাধারণ, মনে হচ্ছে নজরুল ইসলাম তার স্বকণ্ঠে আবৃতি করছে,,মনটা ভরে গেলো,,আমি মগ্ধ।যেমন কবির লেখা, তেমনি আবৃতি।মনে হচ্ছে শেষ না করে আরো বেশি বেশি লিখলো না কেন।।শেষ হয়ে হইলো না শেষ।দোয়া রইলো।
অসাধারণ আবৃত্তি কণ্ঠ যতই শুনি আরো শোনার আগ্রহ জাগে। দুর্লভ চিঠির জন্য ধন্যবাদ। মনে হচ্ছে বারবার শুনি। তৃপ্ত হয়েও অতৃপ্তি নিয়ে ফিরলাম। আবার আসবে শোনার লোভে।
জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম আর দ্বিতীয় কেউ লিখতে পারবে না অসাধারণ একটা চিঠি এটা বার বার শুনতে ইচ্ছে করে আর যে আবৃত্তি করেছে তার উপস্থাপনা টাও অসাধারণ।
মহা বিশ্বের মহান কবি 'কাজী নজরুল ইসলাম'! আমার আত্মার পরম আত্মীয় প্রিয়তম কবি বন্ধু তুমি! তোমার লেখা একদিকে আমার শরীরের শীতল রক্তকে করে উষ্ণ-আর্দ্র-গরম; অন্যদিকে হৃদয়কে বিবশ করে দু'চোখে ঝ'রায় বেদনার অশ্রুধারা! আমার চোখের জলে এবং রক্তে রক্তে অনুভব করি তোমাকে! তোমার বাণী ও সুর আমাদের পরম পাওয়া! কারও সাথেই তোমার তুলনা চলে না! তুমি আমাদের চিরকালের অহংকার! তুমি চির স্মরণীয় হয়ে আছো এবং থাকবে অনন্তকাল! ভক্ত অনুরক্ত কবির বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা নাও! 🌺🌺💚💚❤️❤️
❤️
❤️
কবি আপনি আমাকে কাঁদিয়ে দিয়েছে।নিজের অজান্তেই চোখ দিয়া পানি চলে এসেছে। ❤️
কবি আপনি কোথায়।😥😥
সবকিছু ই সুন্দর হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন অসাধারণ আবৃত্তি উপহার দেওয়ার জন্য।
অশেষ অশেষ ধন্যবাদ। মনে হচ্ছে কবির কন্ঠে শুনছি।
জীবনে এই চিঠি কতোবার যে শুনেছি হিসেব নেই,যতবারই শুনি মনে হয় তার চিঠির মধ্যে আমিও বেঁচে আছি কিঙবা বেঁচে থাকবো।
বিনম্র শ্রদ্ধায় মাথা নত থাক জাতীয় কবির জন্য ও তার অসম্ভব সুন্দর সৃষ্টির জন্য নিরন্তর শুভকামনা
এত সুন্দর আবৃত্তি ❤️❤️❤️ হৃদয়ের উপলব্ধি জানানোর ভাষা পেলাম না।🙏
বিদ্রোহীকবির রাজবন্দীর জবানবন্দী বহুবার পড়েছি কেবল শুধু পড়তেই মন চায়, যেন তৃষ্ণা মেটে না।।
।। কী অসাধারণ একটি অনুভূতি র অনুভবের স্পন্দন অনুভূত হচ্ছে ।। এই ভাব প্রকাশ করতে
আমি পারঙ্গম নোই ।। অপূর্ব সুন্দর ।। শর্মিষ্ঠা ।। ড শর্মিষ্ঠা নিয়োগী ।।
।। আবহ ,,,, বাঁশির সুর,,,, এবং পাঠকের কন্ঠস্বর,, এবং অপূর্ব উচচারণ ,, এক অভিজাত
সংস্কৃতির ঘরানার প্রকাশ ,, আমি উত্সাহিত ,,
আমি অনুপ্রাণিত ,, ।। ড শর্মিষ্ঠা নিয়োগী ।।
,, সাহিত্য ও সংস্কৃতি,, অমূল্য ।। শুধু মাত্র এইক্ষণে ,, এই কথা বলতে চাইছি ,, বোধ ই
করতে পারে বোধের মূল্যায়ন ।। সেখানে ভাষা কম পড়ে ।। ভাষাতে অনুভূতি র অনুভবের স্পন্দন প্রকাশ করতে পারঙ্গমতার সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করার চেষ্টায় আমিও
এক দিশাহীন পথিক মাএ ,, ।। ড শর্মিষ্ঠা নিয়োগী ।।
নজরুলের কবিতা, চিঠি ও লেখা অন্তরের উপলব্ধি দিয়ে প্রকাশই যেন মনে হয় কবির কন্ঠেই শুনছি। শুভ কামনা নিরন্তর।
ua-cam.com/video/iy33DM8GyX0/v-deo.html
মনে হয় কবির নিজ কন্ঠে শুনছি।দারুন হয়েছে।এখনো সরাসরি শুনছি।যতবার শুনি ততই ভাল লাগে।তাই এখন ইউটিউবেই ডাউনলোড করে নিলাম।
কতবার যে শুনেছি তার ইয়ত্তা নেই।
কবির অতুল্য লেখনী আর আপনার স্বর্গীয় কন্ঠ 💔
আপনি, আপনারা আমার প্রেরণা। নজরুলের আরও লেখা পড়বো। আসছে শীঘ্রই। সঙ্গে থাকবেন আশা করি। অঢেল শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।
শুনে শুধু মুগ্ধ হলাম, কিছু লেখার ভাষা নেই আমার।
মহান আল্লাহ পাক আপনাকে নেক হায়াত দান করুক,
আমিন
এত মুগ্ধতা, এত মাধুর্য শব্দের সমাহার কি আকুতি আর আত্মপ্রকাশ ভঙ্গি😮😮😮😮 এই চিঠিতে যেন মহাকালের প্রেম দেবতার অবতার🥰🥰🥰🥰🥰🥰 -------নুরখান। আর হ্যাঁ আবৃতি উচ্চ প্রশংসনীয় 😍😍😍
মানূষের মন সমুদ্রর মত, খুব দারুন একটা লাইন, আমি প্রতিদিন এটা শুনি, মনে হয় কবি, আমাকে নিয়ে অনেক আগে লিখে গেছে
অসাধারণ গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা, মুগ্ধতা একরাশ
মহান আল্লাহর এক অপরূপ সৃষ্টি কবি কাজী নজরুল ইসলাম
আপনার চিঠি পড়া শুনে মনে ।নজরুলের কণ্ঠে শুর ভেষে আসে ।তাই আরো চিঠি ও কবিতা পড়ে শুনাবেন।
খুবই ভালো লাগলো।
।। নমস্কার ,, প্রণাম ,, ।। আমি মুগ্ধ ।। আমি অভিভূত ।। আপ্লুত আমি ।। প্রণতা শর্মিষ্ঠা ।। ড শর্মিষ্ঠা নিয়োগী ।।
অসাধারণ লেখা, অসাধারণ আবৃত্তি। অমর হয়ে থাকবেন কবি।যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবেন।
অসাধারণ উপস্থাপনা!.কবির লেখা চিঠি আরও চাই..
এত সুন্দর চিঠি। আর এত সুন্দর করে পাঠ করেছেন। কতবার যে শুনেছি। আহা।
আপনার সাবলীল পাঠে হৃদয় ছুঁয়ে গেলো। শুভকামনা থাকলো।
চমৎকার আবৃত্তি। আল্লাহপাক আপনাকে দীর্ঘাআউ দান করুন আমিন।
কি মমতাময়ী কথন ও কবির শৈল্পিক লেখনী! আহ কি শ্রুতিমধুর প্রতিশব্দ।
ধন্যবাদ। 💚
স্নেহের নাহার,
কাল রাত্তিরে ফিরেছি কলকাতা হতে। চট্টগ্রাম হতে এসেই কলকাতা গেছলাম। এসেই পড়লাম তোমার দ্বিতীয় চিঠি, অবশ্য তোমার ভাবীকে লেখা। আমি যেদিন তোমার প্রথম চিঠি পাই, সেদিনই তখনই কলকাতা যেতে হয় মনে করেছিলাম কলকাতা গিয়ে উত্তর দেবো। কিন্তু কলকাতার কোলাহলের মধ্যে এমনই বিস্মৃত হয়েছিলাম নিজেকে যে কিছুতেই উত্তর দেবার অবসর করে নিতে পারিনি। তাছাড়া ভাই, তুমি অত কথা জানতে চেয়েছ, শুনতে চেয়েছ, যে কলকাতার হট্টগোলের মধ্যে সে বলা যেন কিছুতেই আসত না। আমার বাণী হট্টগোলকে এখন রীতিমত ভয় করে, মূক হয়ে যায় ভীরু বাণী আমার, ওই কোলাহলের অনবকাশের মাঝে। চিঠি দিতে দেরি হল বলে তুমি রাগ করো না ভাই লক্ষ্মীটি। এবার হতে ঠিক সময়ে দেবো, দেখে নিও। কেমন? বাহারটাও না জানি কত রাগ করেছে, কী ভাবছে। আর তোমার তো কথাই নেই, ছেলেমানুষ তুমি, পড়তে না পেয়ে তুমি এখনো কাঁদ! বাহার যেন একটু চাপা, আর তুমি খুব অভিমানী না? কী যে করেছ তোমরা দুটি ভাই-বোনে যে এসে অবধি মনে হচ্ছে যেন কোথায় কোন নিকটতম আত্দীয়কে আমি ছেড়ে এসেছি। মনে সদাসর্বদা একটা বেদনার উদ্বেগ লেগেই রয়েছে। অদ্ভুত রহস্যভরা এই মানুষের মন! রক্তের সম্বন্ধকে অস্বীকার করতে দ্বিধা নেই যার, সে-ই কখন পথের সম্বন্ধকে সকল হৃদয় দিয়ে অসঙ্কোচে স্বীকার করে নেয়। ঘরের সম্বন্ধটা রক্তমাংসের, দেহের, কিন্তু পথের সম্বন্ধটা হৃদয়ের অন্তরতম-জনার। তাই ঘরের যারা, তাদের আমরা শ্রদ্ধা করি, মেনে চলি, কিন্তু বাইরের আমার-জনকে ভালবাসি, তাকে না-মানার দুঃখ দিই। ঘরের টান কর্তব্যের, বাইরের টান প্রীতির মাধুর্যের। সকল মানুষের মনে সকল কালের এই বাঁধন-হারা মানুষটি ঘরের আঙিনা পেরিয়ে পালাতে চেষ্টা করেছে। যে নীড়ে জন্মেছে এই পলাতক, সেই নীড়কেই সে অস্বীকার করেছে সর্বপ্রথম উড়তে শিখেই! আকাশ আলো কানন ফুল, এমনি সব না-চেনা জনেরা হয়ে ওঠে তার অন্তরতম। বিশেষ করে গানের পাখি যারা, তারা চিরকেলে নিরুদ্দেশ দেশের পথিক। কোকিল বাসা বাঁধে না, বৌ কথা কও;-এর বাসার উদ্দেশ্য আজও মিলল না, উহু উহু চোখ গেল; পাখির নীড়ের সন্ধান কেউ পেল না! ওদের আসা যাওয়া একটা রহস্যের মত। ওরা যেন স্বর্গের পাখি, ওদের যেন পা নেই, ধূলার পৃথিবীতে যেন ওরা বসবে না, ওরা যেন ভেসে আসা গান। তাই ওরা অজানা ব্যথার আনন্দে পাগল হয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে দেশে বিদেশে, বসন্ত-আসা বনে, ফুল-ফোটা কাননে, গন্ধ-উদাস চমনে। ওরা যেন স্বর্গের প্রতিধ্বনি টুকরা-আনন্দের উল্কাপিন্ড! সমাজ এদের নিন্দা করেছে, নীতিবাগীশ বায়স তার কুৎসিত দেহ ততোধিক কুৎসিত কণ্ঠনিয়ে এর ঘোর প্রতিবাদ করেছে, এদের শিশুদের ঠুকরে; নিকালো হিঁয়াসে; বলে তাড়িয়েছে, তবু আনন্দ দিয়েছে এই ঘর-না-মানা পতিতের দলই। নীড়-বাঁধা সামাজিক পাখিগুলি দিতে পারল না আনন্দ, আনতে পারল না স্বর্গের আভাস, সুরলোকের গান।
এত কথা বললাম কেন, জান? তোমাদের যে পেয়েছি এই আনন্দটাই আমায় এই কথা কওয়াচ্ছে, গান গাওয়াচ্ছে। বাইরের পাওয়া নয়, অন্তরের পাওয়া। গানের পাখি গান গায় খাবার পেয়ে নয়; ফুল পেয়ে আলো পেয়ে সে গান গেয়ে ওঠে। মুকুল-আসা কুসুম-ফোটা বসন্তই পাখিকে গান-গাওয়ায়, ফল-পাকা জ্যৈষ্ঠ আষাঢ় নয়। তখনো পাখি হয়ত গায়, কিন্তু ফুল যে সে ফুটতে দেখেছিল, গন্ধ সে তার পেয়েছিল গায় সে সেই আনন্দে, ফল পাকার লোলুপতায় নয়। ফুল ফুটলে পায় গান, কিন্তু ফল পাকলে পায় ক্ষিদে; আমি পরিচয় করার অনন্ত ঔৎসুক্য নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি মানুষের মাঝে, কিন্তু ফুল-ফোটা মন মেলে না ভাই, মেলে শুধু ফল-পাকার ক্ষুধাতুর মন। তোমাদের মধ্যে সেই ফুল-ফোটানো বসন্ত, গান-জাগানো আলো দেখেছি বলেই আমার এত আনন্দ, এত প্রকাশের ব্যাকুলতা। তোমাদের সাথে পরিচয় আমার কোন প্রকার স্বার্থের নয়, কোন দাবির নয়। ঢিল মেরে ফল পাড়ার অভ্যেস আমার ছেলেবেলায় ছিল, যখন ছিলাম ডাকাত, এখন আর নেই। ফুল যদি কোথাও ফোটে, আলো যদি কোথাও হাসে সেখানে আমায় গান গাওয়ায় পায়, গান গাই। সেই আলো, সেই ফুল পেয়েছিলাম এবার চট্টলায়, তাই গেয়েছি গান। ওর মাঝে শিশিরের করুণা যেটুকু, সেটুকু আমার আর কারুর নয়। যাক, কাজের কথাগুলো বলে নিই আগে। আমায় এখনও ধরেনি, তার প্রমাণ এই চিঠি। তবে আমি ধরা দেওয়ার দিকে হয়তো এগোচ্ছি। ধরা পড়া আর ধরা দেওয়া এক নয়, তা হয়তো বোঝ। ধরা দিতে চাচ্ছি, নিজেই এগিয়ে চলেছি শত্রু-শিবিরের দিকে, এর রহস্য হয়তো বলতে পারি। এখন বলব না। অত বিপুল যে সমুদ্র, তারও জোয়ারভাটা আসে অহোরাত্রি। এই জোয়ার-ভাটা সমুদ্রেই খেলে, আর তার কাছাকাছি নদীতে; বাঁধ-বাঁধা ডোবায়, পুকুরে জোয়ার-ভাটা খেলে না। মানুষের মন সমুদ্রের চেয়েও বিপুলতর। খেলবে না তাতে জোয়ার-ভাটা! যদি না খেলে, তবে তা মানুষের মন নয়। ঐ শান-বাঁধানো ঘাট-ভরা পুকুরগুলোতে কাপড় কাঁচা চলে, ইচ্ছে হলে গলায় কলসি বেঁধে ডুবে মরাও চলে, চলে না ওতে জাহাজ, দোলে না ওতে তরঙ্গ দোলা, খেলে না ওতে জোয়ার-ভাটা;আমি একবার অন্তরের পানে ফিরে চলতে চাই, যেখানে আমার গোপন সৃষ্টি-কুঞ্জ, যেখানে আমার অনন্ত দিনের বধূ আমার জন্য বসে মালা গাঁথছে। যেমন করে সিন্ধু চলে ভাটিয়ালি টানে, তেমনি করে ফিরে যেতে চাই গান-শ্রান্ত ওড়া-ক্লান্ত আমি। আবার অকাজের কথা এসে পড়ল। পুষ্প-পাগল বনে কাজের কথা আসে না, গানের ব্যথাই আসে, আমায় দোষ দিও না। অগ্নিবীনা বেঁধে দিতে দেরি করছে দফতরি, বাঁধা হলেই অন্যান্য বই ও অগ্নিবীনা পাঠিয়ে দেবো একসাথে। ডি. এম. লাইব্রেরিকে বলে রেখেছি। আর দিন দশকের মধ্যেই হয়তো বই পাবে। আমার পাহাড়ে ও ঝর্ণাতলে তোলা ফটো একখানা করে পাঠিয়ে দিও। গ্রুপের ফটো একখানা (যাতে হেমন্তবাবু ও ছেলেরা আছে), আমি, বাহার ও অন্য কে একটি ছেলেকে নিয়ে তোলা যে ফটোর তার একখানা এবং আমি ও বাহার দাঁড়িয়ে তোলা ফটোর একখানা পাঠিয়ে দিও আমায়। ফটোর সব দাম আমার বই বিক্রির টাকা হতে কেটে নিও।
৩
এখন আবার কোনদিকে উড়ব, ঠিক নেই কিছু। যদি না ধরে কোথাও হয়তো যাব, গেলে জানাব। এখন তোমার চিঠিটার উত্তর দিই। তোমার চিঠির উত্তর তোমার ভাবীই দিয়েছে শুনলাম। আরও শুনলাম, সে নাকি আমার নামে কতগুলো কী সব লিখেছে তোমার কাছে। তোমার ভাবীর কথা বিশ্বাস করো না। মেয়েরা চিরকাল তাদের স্বামীদের নির্বোধ মনে করে এসেছে। তাদের ভুল, তাদের দুর্বলতা ধরতে পারা এবং সকলকে জানানোই যেন মেয়েদের সাধনা। তুমি কিন্তু নাহার, রেগো না যেন। তুমি এখনও ওদের দলে ভিড়নি। মেয়েরা বড্ড অল্পবয়সে বেশি প্রভুত্ব করতে ভালবাসে। তাই দেখি, বিয়ে হবার এক বছর পর ষোল-সতের বছর বয়সেই মেয়েরা হয়ে ওঠে গিনি্ন। তাঁরা যেন কাজে-অকাজে, কারণে-অকারণে-স্বামী বেচারিকে বকতে পারলে বেঁচে যায়। তাই সদাসর্বদা বেচারা পুরুষের পেছনে তারা লেগে থাকে গোয়েন্দা পুলিশের মত। এই দেখ না ভাই, ছটাকখানেক কালি ঢেলে ফেলেছি চিঠি লিখতে লিখতে একটা বই-এর ওপর, এর জন্য তোমার ভাবীর কী তম্বিহ কী বকুনি। তোমার ভাবী বলে নয়, সব মেয়েই অমনি। স্ত্রীদের কাছে স্বামীরা হয়ে থাকে একেবারে বেচারাম লাহিড়ী। একটা কথা আগেই বলে রাখি, তোমার কাছে চিঠি লিখতে কোন সঙ্কোচের আড়াল রাখিনি। তুমি বালিকা এবং বোন বলে তার দরকার মনে করিনি। যদি দরকার মনে কর, আমায় মনে করিয়ে দিও। আমি এমন মনে করে চিঠি লিখিনি, যে কোন পুরুষ কোন মেয়েকে চিঠি লিখছে। কবি লিখছে চিঠি তার প্রতি শ্রদ্ধান্বিতা কাউকে, এই মনে করেই চিঠিটা নিও। চিঠি লেখার কোথাও কোন ত্রুটি দেখলে দেখিয়ে দিও।
আমার উচিত আদর করতে পারনি লিখেছ, আর তার কারণ দিয়েছ, পুরুষ নেই কেউ বাড়িতে এবং অসচ্ছলতা। কথাগুলোয় সৌজন্য প্রকাশ করে খুব বেশি, কিন্তু ওগুলো তোমাদের অন্তরের কথা নয়। কারণ, তোমরাই সবচেয়ে বেশি করে জান যে তোমরা যা আদর-যত্ন করেছ আমার, তার বেশি করতে কেউ পারে না। তোমরা তো আমার কোথাও ফাঁক রাখনি আমার শূন্যতা নিয়ে অনুযোগ করবার। তোমরা আমার মাঝে অভাবের অবকাশ তো দাওনি তোমাদের অভাবের কথা ভাববার; এ আমি একটুও বাড়িয়ে বলছি না। আমি সহজেই সহজ হতে পারি সকলের কাছে, ওটা আমার স্বাভাবিক প্রবৃত্তি, কিন্তু তোমাদের কাছে যতটা সহজ হয়েছি অতটা সহজ বুঝি আর কোথাও হইনি। সত্যি নাহার আমায় তোমরা আদর-যত্ন করতে পারনি বলে যদি সত্যিই কোন সঙ্কোচের কাঁটা থাকে তোমাদের মনে, তবে তা অসঙ্কোচে তুলে ফেলবে মন থেকে। অতটা হিসেব-নিকেশ করবার অবকাশ আমার মনে নেই, আমি থাকি আপনার মন নিয়ে আপনি বিভোর। মানুষের সঙ্গে প্রাণ খুলে কথা বলতে বলতেও অন্যমনস্ক হয়ে পড়ি, খেই হারিয়ে ফেলি কথার। আমার গোপনতম কে যেন একেবারে নিশ্চুপ হয়ে থাকতে আদেশ করে। আর আর্থিক অসচ্ছলতার কথা লিখেছ। অর্থ দিয়ে মাড়োয়ারীকে, জমিদার মহাজনকে বা ভিখিরিকে হয়তো খুশি করা যায়, কবিকে খুশি করা যায় না। রবীন্দ্রনাথের পুরস্কার কবিতাটি পড়েছ? ওতে এই কথাই আছে। কবি রাজ-দরবারে গিয়ে রাজাকে মুগ্ধ করে রাজপ্রদত্ত মণি-মাণিক্যের বদলে চাইলে রাজার গলার মালাখানি। কবি লক্ষ্মীর প্যাঁচার আরাধনা কোন কালে করেনি, সরস্বতীর শতদলেরই আরাধনা করেছ তাঁর পদ্মগন্ধে বিভোর হয়ে শুধু গুন্ গুন্ করে গান করেছে আর করেছে। লক্ষ্মীর ঝাঁপির কড়ি দিয়ে কবিকে অভিবন্দনা করলে কবি তাতে অখুশি হয়ে ওঠে। কবিকে খুশি করতে হলে দিতে হয় অমূল্য ফুলের সওগাত। সে সওগাত তোমরা দিয়েছ আমায় অঞ্জলি পুরে। কবি চায় না দান, কবি চায় অঞ্জলি, কবি চায় প্রীতি, কবি চায় পূজা। কবিত্ব আর দেবত্ব এইখানে এক। কবিতা আর দেবতা সুন্দরের প্রকাশ। সুন্দরকে স্বীকার করতে হয় সুন্দর যা তাই দিয়ে। রূপার দাম আছে বলেই রূপা অত হীন; হাটে-বাজারে মুদির কাছে, বেনের কাছে ওজন হতে হতে ওর প্রাণান্ত ঘটল; রূপের দাম নেই বলেই রূপ এত দুর্মূল্য, রূপ এত সুন্দর, এত পূজার! রূপা কিনতে হয় রূপেয়া দিয়ে, রূপ কিনতে হয় হৃদয় দিয়ে। রূপের হাটের বেচা-কেনা অদ্ভুত। যে যত অমনি যে যত বিনা দামে কিনে নিতে পারে, সে তত বড় রূপ-রসিক সেখানে। কবিকে সম্মান দিতে পারনি বলে মনে যদি করেই থাক, তবে তা মুছে ফেল। কোকিল পাপিয়াকে বাড়িতে ডেকে ঘটা করে খাওয়াতে পারনি বলে তারা তো অনুযোগ করেনি কোনদিন। সে কথা ভাবেও নি কোনদিন তারা। তারা তাই বলে তোমার বাতায়নের পাশে গান গাওয়া বন্ধ করেনি। তাছাড়া কবিকে হয়তো সম্মান করা যায় না কাব্যকে সম্মান করা যায়। তুমি হয়তো বলবে, গাছের যত্ন না নিলে ফুল দেয় না। কিন্তু সে যত্নেরও তো ত্রুটি হচ্ছে না। অনাত্মীয়কে লোকে সম্বর্ধনা করে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে; বন্ধুকে গ্রহণ করে হাসি দিয়ে, হৃদয় দিয়ে।
ধন্যবাদ ভাই,, অনেক কিছু শিখতে পারলাম,, খাতায় লিখে রেখেছি কিছু মুল্যবান কথা।
আরো লেখা চাই
কী অসম্ভব যাদু আপনার কণ্ঠে। আপনার মঙ্গল কামনা করি। এমন আবৃত্তি আরও শুনতে চাই।
আমি একজন সনাতন ধর্ম অবলম্বী হিন্দু পরিবারের ছেলে ।হিন্দু শাস্ত্রের উপাসক, আমরা পুনর্জনম বিশ্বাস করি ,তাই আমার আফসোস হয় আহা কেমন মহাকবির কেন পূর্নজনম হয় না, কেন সে ফিরে আসে না আবার।
ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তুমি ওকে আর একবার পাঠাও এই ধরণী তলে
@@vihanga6925 qQw
অসাধারণ আবৃত্তি
ভালবাসা ও শুভকামনা
আপনার কন্ঠ টা খুব সুন্দর এরকম আবৃত্তি আরও শুনতে চাই
অনবদ্য পাঠ। সুন্দর কন্ঠস্বর। খুব ভালো লাগলো।
চিঠির প্রতিটি বাক্য শিক্ষণীয় আর পাঠ আবেগময়
আপনারআবৃত্তি সুন্দর । এগিয়ে যান ।আর বেশী বেশী করে এইভাবে নজরুলের উপন্যাস ,গল্প ,প্রবন্ধ সব দিবেন আশা করি ।
মনে হচ্ছে কবির কন্ঠে শুনছি, আপনার কন্ঠে কবিতা আবৃত্তি শুনতে চাই ডিয়ার
খুব ভালো লাগলো,
নজরুলের আরো চিঠি আবৃত্তি শুনতে চাই❤️❤️
অসাধারণ কন্ঠস্বর! মনে হচ্ছে নজরুল ইসলাম আপনার সুমধুর কন্ঠে শোনাতে চেয়েছিলেন উনার বিরহ বিধুর বেদনার কাব্যগাঁথা। আরও শুনতে চাই আপনার কন্ঠে।
ধন্যবাদ জানবেন। ❤ চেষ্টা করছি।
খুব সুন্দর! ইউ টিউব এর সুবাদে আর আপনার আবৃতিতে আজ 'এমন সুন্দর' একটা অধ্যায় জানা হলো, ধন্যবাদ!❤
খুব ভালো লেগেছে। মনে হচ্ছিলো নজরুলের নিজের কন্ঠ
হৃদয় ছুয়ে যায় কবির লেখা।🥰
অামার প্রিয় একজন কবি ওনাকে অনেক ফলো করি
আহ কি কথা, শিরশির আনন্দ । চমৎকার উচ্চারণ
পথের সম্বন্ধ টা হৃদয়ের।
পরিবারের বাইরে হয়তো তোমাকেই
সবচেয়ে বেশি আপন ভেবছি। কারণে অকারণে করেছি অভিমান। বাইরে পাওয়া তোমাকে পাইনি
কিন্তু হৃদয়ের পাওয়া পেয়েছি।
জানি না তোমাকে কোনোদিন ও ভুলতে পারবো কিনা। কবির মতো আমিও তোমাকে পেয়েছি চট্টলায়।
বাংলা লিখার প্রতি ভালোবাসা দিন দিন বেড়েই চলছে। ভালবাসি বাংলা😍😍😍
ভালোবাসা জানবেন। ❤
দুর্লভ, এতো দিন পরে, কি যে ভালো লেগেছে, বলে, কয়ে বুঝাতে পারবো না, অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি সনাতন ধর্মাবলম্বী পুনর্জন্ম বিশ্বাস করি তাই ঈশ্বরের কাছে আমার ব্যাকুল প্রার্থনা এমন মহান কবি কে কি একবার দিতে পারো না পুনর্জনম
অসাধারন চিঠি
অসাধারন আবৃত্তি।
কবি নজরোল শুধু বাংলার কবি নয় পুরা পৃথিবীর সকল মানুষের কবি
অসাধারণ সৃষ্টি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল
কী যে ভাল লাগলো।
মাশাল্লাহ অসাধারণ আপনার পাঠ/ আবৃত্তি
বিদ্রোহী আর কাজী শহীদ মিলে অসাধারণ
শেষ হইয়াও হইল না শেষ ...💝💝💝
অসাধারণ চিঠি।
অপরূপ সুন্দর সৃষ্টি ...
কি মায়া কি মমতামাখা কন্ঠ।
Avinaba sundar chithir sarbastu hridyoi juriea jai je tai to tomai selut kari sajatane tumi akaser nil dhruba tara!! Namasker!!
D.K.SIR-ASANSOL.
এত মাধুর্য মন্ডিত কবির এই চিঠি যেন এক বিশাল দড়িয়াসম কবিতা। এ বিশাল চিঠি পড়ার সময় করতে পারছিনে। তবে যে টুকু শ্রবন করেছি তাতে মোহিত না হয়ে পারিনি।
অসাধারণ...!
তোমার প্রতিভার সমুদ্র থেকে যদি এক ফোঁটা জল পেতাম আমি ধন্য হয়ে যেতাম।
চমৎকার শ্রদ্ধা
অসাধারণ আবৃতি
অসাধারণ,লাগলো।
চোখ ফেটে জল গড়িয়ে পড়ল, নরুদা🙏🙏
🇧🇩🌍সবাই তৃষ্ণা মিটায় নদীর জ্বলে- কি তৃষ্ণা জাগে সেই নদীর হীয়া তলে- বেদনার মহাসাগরের কাছে করো-করো সন্ধান!
🇧🇩🌍বিশ্বাস কথাটা মানুষের জীবনের চেয়েও অনেক বেশি দামী- কারণ বিশ্বাস না থাকলে মানুষের জীবন হয়
জীবন্ত নিষ্প্রাণ-
তৃপ্ত রয় অতৃপ্ত
যে বিশুদ্ধ রোদে উষ্ণ হয় পৃথিবী।
🇧🇩🌍ভালোবাসার মানুষ গুলো ভালোবাসায় বেঁচে থাকুক যুগ যুগ ধরে।
What an Amazing voice bhaiya, loved it . Expecting more Nazrul’s creation and literature from you. Nazrul er kichu golpo - uponnas pore sunan na Amader please.
ভাই আপনার অনেক সুন্দার❤️❤️
যদি আর বাঁশি না বাজে
শ্রদ্ধেয় কাজী নজরুল ইসলাম এর এই কবিতাটির আবৃত্তি শুনতে চাই।
আমার প্রিয়ো কবি প্রানের কবি
দ্বিতীয় নজরুল কেন হয়না।সব যুগেই যদি নজরুল থাকতো কতোইনা ভালো লাগতো।না থেকেও যেন নজরুল আছে, নজরুলের চেতনা আজও জাগিয়ে তোলে নির্বাচিতদের হৃদয়ে আশার আলো।
চমৎকার!!!!
অনেক সুন্দর আবৃতি।আমি আপনার আবৃতি করা কবিতা শুনি।সাউন্ড সিস্টেম টা আর একটু ভাল হলে আরও ভাল লাগত।
অসাধারন
অসাধারণ
মন ছুয়ে গেল
অসাধারণ 🥰
Khub sundar lag6a
খুব সুন্দর, ভীষন ভালো লেগেছে!
কি অসাধারন!!!
খুব আপসেট হয়ে গেলাম।
Khub valo lagche
আল্লাহ তুমি নজরুল কে আলা মাকাম দান কর
Excellent love from new York.
কবি নজরুলের সাথে শামসুন নাহারের পরিচয় কিভাবে? জানালে উপকৃত হব।
অসাধারণ!
না পাওয়ার বেদনা কখনো আপনার দেহ ও আত্মাকে স্বস্তি দিবে না। উভয় ভুবনে বিষাদময় হবে দেহ ও আত্মার।
অসাধারণ,
ভালো বাসা ছাড়া আর কিছুই নেই দেবার প্রয়ো কবি
হৃদয়ের গভীরে যেনো সপর্শ করে যায়....
sound sistem is very nice.i love it .
অামার জীবনের শ্রেষ্ঠ অাবৃতি।
খুব সুন্দর 💜
আপনার কন্ঠের মতো আমার কন্ঠ কেমনে করতে পারি, দয়া করে জানাবেন প্লিজ। ধন্যবাদ
ছিঠির ভিতরে অনেক কিছু ছিল।১৬/০৪/২১ ঢাকা।
কবি নজরুলের চিঠি পড়ে্ আকাশ, দিপিকাকে লেখে চিঠি
কেমন আছ? আজ সত্যিকার কথা বলি তোমাকে আমি পড়তে পাড়ি,তোমার গোপন নি:শব্দ চাওয়া আমি পুরুন করতে পাড়িনি, তাই তুমি অভিমানী,কিন্তু সে চাওয়ায় যে আমি ভালোবাসা পাইনি শুধু ইচ্ছা দেখেছি সে ইচ্ছে পুরন করতে গেলে যে আমার ইহকাল পরকাল দুইকালই নরকে পরিনত হবে।তবে যদি সত্যিকার ভালোবাসতে পরকালে শুধু আমাকেই পেতে।আর আমার মত আমিয় প্রেম কোথাও পাবেনা। যখন হতে তুমি আসিয়াছ আমি অন্তর কান্নায় জর্জরিত।আমি জানি তুমি অনেক বিদ্যায় দিক্ষিত, বার বার তোমায় বলতে চেয়ছিআমার জীবন শন্কিত তাইতো সেই অদৃশ্য পরাশক্তি থেকে নিজেকে বাচাতে এ দিক ওদিক ছুটি জানি আমার শুত্রুগুলোকে ধংশ করার ক্ষমতা তোমার আছে কিন্তু তোমায় বলতে পারছিনা। তেমার প্রতি আমার কোন ক্ষোভ নেই রয়েছে শুভ কামনা আমি তোমার পথের কাটা নই, আমার অন্তর রক্ত ক্ষরন করেছো তাতেই আমি সর্বকালের ব্যথিত, দয়া করে ক্ষেভের বশে আমায় মেরোনা,!যদিও আমি অশুস্থ, আামায় বাঁচতে হবে কিছুদিন আমার অনেক কাজ বাকি আছে।আমায় ভুল বুঝনা,শুত্রুপক্ষ প্রতিহত করতে তোমায় যদি কখন আঘাত লাগে ভুল বুঝে থেকনা তুমি তোমার মত থাক,আমার কথা ভেবনা।
আর অনেক লেখার ছিল লেখা হলনা শুধু মনে রেখ আমার ভালোবায় একবিন্দু ক্ষাদ ছিলনা। তোমাকে ঠকাতে চায়নি তাইতো দুরে দুরে থাকি, নজরুলে মত শুন্দর করে লিখতে পারলামনা আমায় ভুল বুঝনা অদৃশ্যের সাথে যূদ্ধ করে চলেছি একলা আমি সেই বিদ্রহী যে অন্যায়ের সাথ আপস করেনা।
আকাশ।
Outstanding
🇧🇩🌍Life teching video তোমারই আঁখির মতো আকাশের দুটি তাঁরা!
সারাক্ষণ মোড় প্রাণে চেয়ে থাকে নিশীথে তন্দ্রা হাড়া!
সাব টাইটেল থাকলে ভালো হতো। ধন্যবাদ।
সীমাহীন মুগ্ধতা!
কাজী নজরুলের অারো অাবৃতি শুনতে চাই......
Excilent