দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ইতিহাস ।। History of dakshineswar temple

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 1 жов 2024
  • #dakshineswar #dakshineswartemple #dakshineswarkalitemplekolkata #kali #kalipuja
    দক্ষিণেশ্বর মন্দির বিরাজ করছে সেখানে তৈরি হওয়ার কথাই ছিল না। । কারণ রানী রাসমণি গঙ্গার ওপারে বালি ও উত্তরপাড়ার দিকে জমি জমি খুঁজছিলেন। সেই সময় ওই অঞ্চলের জমিদারদের সহযোগিতা পাননি রানী রাসমণি। তখন এই জমি ছিল আশপাশ থেকে উঁচু টিভির মতন। তখন এই জমির পূর্ব দিকে ছিল কাশীনাথ চৌধুরীর জমি। দক্ষিণ দিকে ছিল জেমস হেস্টিংসএর একটি কারখানা। উত্তর দিকে ছিল সরকারি বারুদখানা। জমি কেনার কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয়ে যায় মন্দির নির্মাণের কাজ। প্রথমদিকে মন্দির নির্মাণে সাহায্য করেছিলেন বড় জামাই রামচন্দ্র দাস। পরে রানীর তৃতীয় জামাই মথুরমোহন বিশ্বাস এই মন্দির নির্মাণের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ম্যাকিন্টোস এন্ড বার্ণ কোম্পানিকে এই মন্দির, পার্শ্ববর্তী উদ্যান ও ঘাট নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নানা বাধা-বিপত্তির মাঝে ১৮৪৭ থেকে ১৮৫৫ এর মধ্যে দীর্ঘ আট বছরের প্রচেষ্টায় এই মন্দির তৈরি হয়েছিল। নবরত্নশৈলির এই মন্দির নির্মাণে খরচ হয়েছিল 9 লক্ষ 25 হাজার টাকা। মন্দির তৈরীর সময় রানী মা কে বহু বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। একদিকে চলছে দক্ষিণেশ্বরের মন্দির নির্মাণের কাজ। আর একদিকে একই সাথে রানীর বাড়িতে তৈরি হচ্ছে দেবীর প্রতিমা গড়ার কাজ। এক অপরূপ সুন্দর দেবীর প্রতিমা তৈরি হচ্ছিল। দেবী প্রতিমা যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য রাখা হয়েছিল কাঠের বাক্সে। হঠাৎই এক রাতে রানীমার স্বপ্নে আসেন ভবতারিণী। তিনি বলে ওঠেন আমাকে আর কতদিন বাক্সবন্দি করে রাখবি। ওই বাক্সে আমার কষ্ট হচ্ছে। মা কালীর এই রূপ দেখে ভয়ে ঘুম ভেঙে গেল রানী রাসমণির। দৌড়ে গিয়ে বাক্স খুলে রানী অবাক হয়ে দেখলেন গরমে যেভাবে মানুষ ঘেমে ওঠে প্রতিমার মুখ থেকেও একই ভাবে ঘাম ঝরে পড়ছিল সেই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছিল রাজবাড়ির সকলে। রানী মা তড়িঘড়ি পূর্ণিমার দিন মন্দিরে দেবীকে প্রতিষ্ঠা করলেন।
    তবে সুবিশাল মন্দির আর জাগ্রত কালী প্রতিমা ও টলাতে পারিনি তৎকালীন গোঁড়া ব্রাহ্মণ সমাজকে। রাসমণিকে রীতিমতো হেঁটা করেছিল। জমিদার হলে কী হবে। জাতে শুদ্র তার ওপর বিধবা। ওই ওই মন্দিরে পুজো করতে যেন জাত যাচ্ছিল তাদের। আজ যে মন্দিরে জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে লক্ষ লক্ষ মানুষ এসে মায়ের কাছে মাথা ঠেকায় সেই মন্দির তৎকালীন ব্রাহ্মণ সমাজের কাছে ছিল অচ্ছুত। এমন কি রানিমার গুরু এবং রাজ পুরোহিত পূজা অর্চনা করতে রাজি হননি। ফলে রামকুমার চট্টোপাধ্যায় বিধান দিলেন যদি কোন ব্রাহ্মণকে এই মন্দির দান করে দেওয়া হয় তাহলে ব্রাহ্মণের মন্দিরে পূজা-অর্চনা করতে কারো সমস্যা হবে না। রামকুমার বাবুর বিধানের তৎকালীন ব্রাহ্মণ সমাজ বিরোধিতা করেছিল। তারা কিছুতেই শুদ্রানির মন্দির প্রতিষ্ঠা পাক তাতে রাজি ছিল না। তথাপি রানিমা লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। অবশেষে রামকুমার চট্টোপাধ্যায় তার ছোট ভাই গদাধরকে সঙ্গে নিয়ে চলে এলেন দক্ষিণেশ্বরে। এই গদাধর পরবর্তীকালে রামকৃষ্ণ হয়ে জগত জোড়া খ্যাতি পেয়েছিলেন।
    রানীমার ইচ্ছে অনুযায়ী ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৩১ শে মে বৃহস্পতিবার স্নান যাত্রা দিন মন্দির প্রতিষ্ঠার শুভ কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। মন্দির প্রতিষ্ঠা করার দিন রাণীমার ব্রাহ্মণ ভোজন, মন্দিরে সংকীর্তন সহ নানান কর্মকাণ্ডের জন্য খরচ হয়েছিল দুই লক্ষ টাকা। আর সবচেয়ে আশ্চর্য কি জানেন যারা দুদিন আগে পর্যন্ত এই মন্দিরে পৌরহিত করতে রাজি হয়নি। সেই ব্রাহ্মণরা পেট পুরে খেয়ে হাত ভরে রানীমার দেওয়া দান সামগ্রী দুহাত ভরে গ্রহণ করেছিল। রানীমার অদম্য জেদের কাছে সেদিন হার মেনে ছিল গোড়া ব্রাহ্মণ সমাজ। মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন এই দক্ষিণেশ্বর গ্রামে আগমন হয়েছিল কয়েক লক্ষ মানুষের। নবরত্নশৈলের এই মন্দির দেখে তারা সেদিন আশ্চর্য বনে গেছিল। কারণ কলকাতায় সেই সময় একটিও এত বড় মন্দির ছিল না। এই মন্দির সেই সময় কোন ঐতিহাসিক মন্দির ছিল না। এই মন্দির কোন শক্তিপীঠ ছিল না। রানী রাসমণি এবং শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্যই এই মন্দির খ্যাতি লাভ করেছে বললে একটুও বাড়তি কথা বলা হবে না।
    Dakshineswar Kali Temple is a renowned Hindu temple located in Dakshineswar near Kolkata, West Bengal, India. The temple is dedicated to Goddess Kali, who is considered a manifestation of the Divine Mother in Hinduism. Here is a brief history of Dakshineswar Kali Temple:
    Founding of the Temple:
    Dakshineswar Kali Temple was built in the mid-19th century by Rani Rashmoni, a philanthropist and a devotee of Kali.
    Rani Rashmoni decided to construct the temple after a divine revelation during a pilgrimage to Varanasi, where she had a vision of the goddess instructing her to build a temple on the banks of the Ganges River.
    Architectural Significance:
    The temple is known for its traditional Bengali-style Nava-ratna (nine-spired) architecture.
    It has a large courtyard and a series of twelve shrines dedicated to various forms of the goddess.
    Main Deity - Goddess Kali:
    Ramakrishna Paramahamsa's Connection:
    Ramakrishna Paramahamsa, a prominent mystic and devotee, served as the chief priest of the temple. His teachings and spiritual practices attracted numerous followers and played a significant role in the temple's popularity.
    .
    Notable Events:
    The temple gained prominence due to the spiritual experiences of Ramakrishna Paramahamsa and his disciples, including Swami Vivekananda.
    Swami Vivekananda attained spiritual enlightenment at Dakshineswar,।
    Dakshineswar Kali Temple stands as a symbol of devotion and spirituality, attracting both pilgrims and tourists. Its historical and cultural significance, coupled with its association with prominent spiritual figures, contributes to its enduring popularity.

КОМЕНТАРІ • 5

  • @babykritikaslife7736
    @babykritikaslife7736 8 місяців тому

    ❤❤

  • @pankajbiswas001
    @pankajbiswas001 8 місяців тому

    very good

  • @subratakumarmajee8175
    @subratakumarmajee8175 8 місяців тому

    বাংলাদেশ থেকে পুরোহিত কেন আনা হয়েছিল

    • @ghumontu
      @ghumontu 8 місяців тому +1

      তখন বাংলাদেশের জন্ম হয়নি। অবিভক্ত বাংলা শুধু নয় সারা ভারত থেকে পুরোহিত এসেছিল

    • @subratakumarmajee8175
      @subratakumarmajee8175 8 місяців тому

      @@ghumontuআমি বলছি অত দূর থেকে লকালে কেউ পুজা করতে এলেন না