করণ অনুযায়ী মানুষের ভাগ্য কেমন হয় ?

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 17 вер 2024
  • প্রত্যেক #তিথি র পূর্বার্ধে ও শেষার্ধে একটি করে মোট দুইটি করণ থাকে। সাতটি চর-করণ (গতিশীল বা অস্থির করণ) ও চারটি ধ্রুব-করণ (স্থির করণ) সহ মোট এগারটি করণ রয়েছে, যথা- (ক) চর-করণ- ১) বব করণ, ২) বালব করণ, ৩) কৌলব করণ, ৪) তৈতিল করণ, ৫) গরিজ করণ, ৬) বণিজ করণ, ৭) বিষ্টি করণ। (খ) ধ্রব-করণ- ৮) শকুনি করণ, ৯) চতুষ্পাদ করণ, ১০) নাগ করণ, ১১) কিংশুঘ্ন করণ। শুক্লপক্ষে প্রতিপদের শেষার্ধ হতে পর পর তিথির পূর্বার্ধ ও শেষার্ধ অনুসারে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী পর্যন্ত ২৯টি তিথির মোট ৫৬টি অর্ধাংশে ৭টি চর-করণ নির্দিষ্ট ক্রমে ৪ বার আবর্তিত হয়। অর্থাৎ শুক্লপক্ষের প্রতিপদের শেষার্ধে বব, দ্বিতীয়ার পূর্বার্ধে বালব ও শেষার্ধে কৌলব, তৃতীয়ার পূর্বার্ধে তৈতিল ও শেষার্ধে গর, চতুর্থীর পূর্বার্ধে বণিজ ও শেষার্ধে বিষ্টি করণ হয় আবার পঞ্চমীর পূর্বার্ধ থেকে বব করণ শুরু হয় এবং এই ক্রমে আবর্তিত হতে হতে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে বিষ্ট করণ হয়। একই নিয়মে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীর শেষার্ধ হতে তিথির পূর্বার্ধ ও শেষার্ধ অনুসারে শুক্লপক্ষের প্রতিপদের পূর্বার্ধ পর্যন্ত ধ্রুব-করণ গণনা করা হয়।
    জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বিষ্টিভদ্রা করণ পরিচয়
    শুক্লপক্ষের একাদশী ও চতুর্থীর শেষার্ধ, অষ্টমী ও পূর্ণিমার পূর্বার্ধ এবং কৃষ্ণপক্ষের তৃতীয় ও দশমীর শেষার্ধ, সপ্তমী ও চতুর্দশীর পূর্বার্ধকে বিষ্টিভদ্রা বলে। কর্কট, সিংহ, কুম্ভ ও মীন রাশিতে বিষ্টিভদ্রা হলে বিষ্টি পৃথিবীতে বাস করে। মেষ, বৃষ, মিথুন ও বৃশ্চিক রাশিতে বিষ্টিভদ্রা হলে বিষ্টি স্বর্গে বাস করে। কন্যা, তুলা, ধনু ও মকর রাশিতে বিষ্টিভদ্রা হলে বিষ্টি পাতালে বাস করে। বিষ্টিভদ্রায় বিষ্টি পৃথিবীতে বাস করলে সকল কার্য নাশ, বিষ্টি স্বর্গে বাস করলে সকল কার্য সিদ্ধি এবং বিষ্টি পাতালে বাস করলে ধনবৃদ্ধি ঘটে। বিষ্টিভদ্রা মোট ১২ ঘণ্টা বা ৩০ দণ্ড অবস্থান করে। বিষ্টিভদ্রার ৩০ দণ্ডের প্রথম ৫ দণ্ডকে মুখ, পরের ১ দণ্ডকে কণ্ঠ, পরের ১১ দণ্ডকে বক্ষ, পরের ৪ দণ্ডকে নাভি, পরের ৬ দণ্ডকে কটি এবং শেষ ৩ দণ্ডকে পুচ্ছ বলে। বিষ্টিভদ্রার মুখে কর্ম করলে কার্যহানি, কণ্ঠে মৃত্যু, বক্ষ ধনহানি, নাভিতে কলহ, কটিতে বুদ্ধিনাশ এবং পুচ্ছে কর্ম করলে বিজয় বা সিদ্ধিলাভ হয়।
    অর্থাৎ শুক্লপক্ষের প্রতিপদের শেষার্ধে বব, দ্বিতীয়ার পূর্বার্ধে বালব ও শেষার্ধে কৌলব, তৃতীয়ার পূর্বার্ধে তৈতিল ও শেষার্ধে গর, চতুর্থীর পূর্বার্ধে বণিজ ও শেষার্ধে বিষ্টি করণ হয় আবার পঞ্চমীর পূর্বার্ধ থেকে বব করণ শুরু হয় এবং এই ক্রমে আবর্তিত হতে হতে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে বিষ্ট করণ হয়। একই নিয়মে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীর শেষার্ধ হতে তিথির পূর্বার্ধ ও শেষার্ধ অনুসারে শুক্লপক্ষের প্রতিপদের পূর্বার্ধ পর্যন্ত ধ্রুব-করণ গণনা করা হয়।

КОМЕНТАРІ • 51