কুমারী গােপবালিকাদের বস্ত্রহরণ বৈদিক সংস্কৃতিতে দশ থেকে চোদ্দ বছর বয়স্কা অবিবাহিতা বালিকারা সুযােগ্য পতি লাভের জন্য শিব এবং দুর্গার পূজা করে থাকেন। কিন্তু বৃন্দাবনের অবিবাহিতা বালিকারা ইতিমধ্যেই শ্রীকৃষ্ণের রূপে মােহিত হয়ে তার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। হেমন্তকালের আগমনে তারা দুর্গা বা কাত্যায়নীর পূজা করেছিলেন। হেমন্তকালের প্রথম মাস অগ্রহায়ণ মাসে বৃন্দাবনের সমস্ত অবিবাহিতা গােপীরা ব্রতসহকারে কাত্যায়নী দেবীর পূজা করতে শুরু করলেন। তারা প্রথম কোন মশলা ছাড়া ডাল এবং চাল সিদ্ধ করে হবিষ্যান্ন খেলেন। বৈদিক প্রথা অনুসারে ধর্ম-অনুষ্ঠান করার আগে এই হবিষ্যান্ন খেয়ে দেহ ও মনকে পবিত্র করতে হয়। বৃন্দাবনের সমস্ত অবিবাহিতা গােপিকারা সকালবেলায় যমুনায় স্নান করে প্রতিদিন কাত্যায়নী দেবীর পূজা করতেন। কাত্যায়নী হচ্ছে দুর্গা দেবীর আরেক নাম। যমুনার মাটির সঙ্গে বালি মিশিয়ে প্রতিমা তৈরি করে তারা দেবীর পূজা করতেন। বৈদিক শাস্ত্রে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, বিভিন্ন রকমের জড় পদার্থ দিয়ে দেব দেবীর প্রতিমা বা ভগবানের শ্রীবিগ্রহ তৈরি করা যেতে পারে; আলেখ্য অঙ্কন করে, ধাতু দিয়ে, মণিমাণিক্য দিয়ে, কাঠ দিয়ে, মাটি দিয়ে অথবা পাথর দিয়ে, অথবা হৃদয়ে ধ্যান করে বিভিন্ন দেব-দেবীর বা ভগবানের পূজা করা যায়। মায়াবাদী দার্শনিকেরা ভগবানের সচ্চিদানন্দ বিগ্রহকে কল্পনাপ্রসূত আকৃতি বলে মনে করে, চন্দন লেপন করে, মাল্য অর্পণ করে, ধূপ-দীপ জ্বালিয়ে, এবং সব রকমের উপচার সহকারে-ফল, ফুল, পল্লব আদি দিয়ে দেবী কাত্যায়নীর পূজা করতেন, পূজা শেষ করার পর কোন বর প্রার্থনা করাটাই হচ্ছে রীতি। অবিবাহিতা বালিকারা গভীর আবেগের সঙ্গে কাত্যায়নী দেবীর কাছে প্রার্থনা করতেন, পরমেশ্বর ভগবানের পরাশক্তি, হে যােগমায়া, হে জড় জগতের অধিষ্ঠাত্রী দেবী, অনুগ্রহ পূর্বক আপনি আমাকে আশীর্বাদ করুন যেন নন্দ মহারাজের পুত্র শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে আমার বিবাহ হয় এইভাবে প্রতিটি অবিবাহিতা গােপবালিকাই মনে মনে কাত্যায়নী দেবীর কাছে প্রার্থনা করতেন।
বৈষ্ণবেরা সাধারণত কোন দেব-দেবীর পূজা করেন না। সমস্ত শুদ্ধ ভক্তিমার্গে অগ্রসর হতে চান, তাদের জন্য শ্রীল নরােত্তম দাস ঠাকুর কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন কোন দেব-দেবীর পূজা না করতে। তবুও ব্রজগােপিকারা, যাদের কৃষ্ণপ্রেমের তুলনা হয় না, তাদের এখানে দুর্গাদেবীর পূজা করতে দেখা যাচ্ছে। দেব-দেবীদের উপাসকেরা মাঝে মাঝে বলে যে, ব্রজগোপীকারা দুর্গাদেবীর পূজা করেছিলেন, কিন্তু এখানে আমাদের বুঝতে হবে কি উদ্দেশ্য নিয়ে তারা সেই পূজা করেছিলেন। সাধারণত মানুষ দুর্গা পূজা করে কোন জড়জাগতিক লাভের আশায়, কিন্তু এখানে দেবীর কাছে প্রার্থনা করছেন-তারা যেন শ্রীকৃষ্ণকে পতিরূপে লাভ করতে পারেন। এর তাৎপর্য হচ্ছে, শ্রীকৃষ্ণকে পাওয়াই যদি চরম উদ্দেশ্য হয়, তা হলে ভক্ত সেই উদ্দেশ্য সাধন করার জন্য যে কোনও পন্থা অবলম্বন করতে পারেন। শ্রীকৃষ্ণের সেবা করার জন্য বা তার সন্তুষ্টি বিধানের জন্য গােপিকারা যে কোনও উপায় অবলম্বন করতে পারেন। এটাই হচ্ছে ব্রজগােপিকাদের চরিত্রের অপূর্ব মাহাত্ম্য। তারা পুরাে একমাস ধরে দুর্গাদেবীর পূজা করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণকে পতিরূপে লাভ করার জন্য। প্রতিদিন তারা প্রার্থনা করেছিলেন, নন্দ মহারাজের পুত্র শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে যেন তাদের বিবাহ হয়। খুব ভােরবেলা ব্রজগােপিকারা স্নান করতে যমুনায় যেতেন। তারা একত্রিত হয়ে পরস্পরের হাত ধরে উচ্চস্বরে শ্রীকৃষ্ণের অপূর্ব লীলাসমূহ কীর্তন করতেন।
ভারতবর্ষে প্রাচীন প্রথা অনুসারে স্ত্রীলােকেরা এবং বালিকারা নদীর তীরে কাপড় খুলে রেখে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে নদীতে ডুব দিয়ে স্নান করেন। নদীর যেখানে স্ত্রীলােকেরা স্নান করেন, সেখানে কোন পুরুষের যাওয়া নিষেধ এবং এই প্রথা আজও প্রচলিত আছে। পরমেশ্বর ভগবান অবিবাহিতা ব্রজবালিকাদের মনের কথা জানতে পেরে তাঁদের বাসনা পূর্ণ করার জন্য তাদের প্রতি কৃপা করলেন। তাঁরা শ্রীকৃষ্ণকে পতিরূপে পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। আর শ্রীকৃষ্ণ তাদের সেই মনােবাঞ্ছা পূর্ণ করতে ইচ্ছা করলেন। ব্রত মাসের শেষে, একদিন শ্রীকৃষ্ণ তার সখাদের সঙ্গে সেখানে এসে উপস্থিত হলেন। শ্রীকৃষ্ণের আর এক নাম যােগেশ্বর। যােগ অনুশীলন করার মাধ্যমে যােগীরা অন্য মানুষের মনােভাব বুঝতে পারে এবং সমস্ত যােগীদের ঈশ্বর হওয়ার ফলে শ্রীকৃষ্ণ অবশ্যই ব্রজগােপিকাদের মনের ভাব বুঝতে পেরেছিলেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে শ্রীকৃষ্ণ সেই কুমারী ব্রজবালিকাদের বস্ত্রগুলি নিয়ে যমুনার তীরবর্তী কদম্ব বৃক্ষে আরােহণ করে হাসতে হাসতে বলতে লাগলেন, "প্রিয় বালিকারা, তােমরা একে একে এখানে এসে তােমাদের বস্ত্র প্রার্থনা করে তা নিয়ে যাও। আমি তােমাদের সঙ্গে পরিহাস করছি না, আমি সত্য কথাই বলছি। তােমরা একমাস ধরে কাত্যায়নী দেবীর পূজা করে ব্রত পালন করেছ, তাই তােমাদের সঙ্গে পরিহাস করার কোন বাসনা আমার নেই। তােমরা দয়া করে সকলে একসঙ্গে এখানে এসাে না। একে একে এসাে, কেননা আমি তােমাদের পূর্ণ সৌন্দর্য দর্শন করতে চাই। তােমরা সকলেই হচ্ছ ক্ষীণকটিসম্পন্না, সুমধ্যমা। আমি তােমাদের একে একে এখানে আসতে অনুরােধ করছি। দয়া করে আমার কথা তােমরা শােন।” জলের মধ্যে থেকে বালিকারা যখন শ্রীকৃষ্ণের এই পরিহাস বাক্য শুনলেন, তখন তাঁরা স্মিত হাসি হেসে একে অপরের দিকে তাকালেন। শ্রীকৃষ্ণের এই অনুরােধে তাঁরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিলেন, কেননা তারা ইতিমধ্যেই তার প্রেমে মগ্ন ছিলেন। কিন্তু স্ত্রীসুলভ লজ্জাবশত তারা পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগলেন। নগ্ন থাকার ফলে তারা জল থেকে উঠে আসতে পারলেন না। অনেকক্ষণ জলে থাকার ফলে তারা ঠাণ্ডায় কাঁপতে লাগলেন, কিন্তু তবুও গােবিন্দের মধুর পরিহাসবাক্য শুনে তাদের মন মহা আনন্দে উদ্বেল হয়ে উঠেছিল।
তারা শ্রীকৃষ্ণকে বলতে লাগলেন, “হে নন্দনন্দন, দয়া করে আমাদের সঙ্গে এইভাবে পরিহাস করাে না। এটা আমাদের প্রতি অন্যায়। তুমি অত্যন্ত সম্রান্ত ঘরের সন্তান, তুমি হচ্ছ নন্দ মহারাজের পুত্র, আর তুমি আমাদের অত্যন্ত প্রিয়। তাই আমাদের সঙ্গে এইভাবে পরিহাস করা তােমার উচিত নয়, কেননা আমরা সকলেই এখন এই জলে দাঁড়িয়ে ঠাণ্ডায় কাঁপছি। কৃপা করে তুমি আমাদের বস্ত্রগুলি ফিরিয়ে দাও, তা না হলে আমাদের খুব কষ্ট হবে।” এইভাবে তারা শ্রীকৃষ্ণের কাছে ব্যাকুলভাবে আবেদন করতে লাগলেন। তারা বললেন, “হে শ্যামসুন্দর, আমরা সকলেই তােমার নিত্য সেবক। তুমি আমাদের যা আদেশ করবে নিঃসঙ্কোচে তা পালন করতে আমরা বাধ্য, কেননা আমরা মনে করি যে, সেটাই হচ্ছে আমাদের ধর্ম। কিন্তু যে শর্তটি তুমি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছ, তা পালন করা অসম্ভব। তা হলে অবশ্যই আমাদের নন্দ মহারাজের কাছে গিয়ে তােমার বিরুদ্ধে নালিশ করতে হবে। নন্দ মহারাজ যদি তার কোন প্রতিবিধান না করেন, তা হলে আমরা তােমার এই দুর্ব্যবহারের জন্য মহারাজ কংসের কাছে নালিশ করব। গােপকুমারীদের এই আবেদন শুনে শ্রীকৃষ্ণ বললেন, "প্রিয় বালিকারা, তােমরা যদি সত্যিই মনে করাে যে, তােমরা হচ্ছ আমার নিত্য সেবক এবং সেই জন্য সর্বদাই যদি তােমরা আমার আদেশ পালন করতে প্রস্তুত থাক, তা হলে আমার আদেশ হচ্ছে যে, হাসিমুখে তােমরা একে একে এখানে এসে তােমাদের বস্ত্র নিয়ে যাও। তােমরা যদি এখানে না আস এবং তােমরা যদি আমার পিতার কাছে নালিশ করতে যাও, তার আমি কোন পরােয়া করি না, কেননা আমার পিতা হচ্ছেন বৃদ্ধ এবং তিনি আমাকে কিছুই করতে পারবেন না।” গােপিকারা যখন দেখলেন যে, শ্রীকৃষ্ণ সম্পূর্ণভাবে দৃঢ়সংকল্প, তখন আর গত্যন্তর না দেখে তারা তার শর্ত মেনে নিলেন। একে একে তারা জল থেকে উঠে এলেন, কিন্তু যেহেতু তারা সম্পূর্ণ নগ্ন ছিলেন, তাই তারা বাম হাত দিয়ে তাদের স্ত্রী-অঙ্গ আচ্ছাদন করে তাদের লজ্জা নিবারণ করার চেষ্টা করলেন। তাঁরা সকলেই তখন শীতে কাঁপছিলেন। এই সরল আত্মনিবেদন এত নির্মল ছিল যে, শ্রীকৃষ্ণ তৎক্ষণাৎ তাঁদের প্রতি প্রীত হলেন। সমস্ত গােপকুমারীরাই শ্রীকৃষ্ণকে তাদের পতিরূপে পাওয়ার জন্য কাত্যায়নী দেবীর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন এবং এইভাবে তাদের সেই মনােবাঞ্ছা পূর্ণ হল। কোন স্ত্রী তাঁর স্বামী ছাড়া আর কারাে সামনে নগ্ন অবস্থায় যেতে পারেন না। গােপকুমারীরা শ্রীকৃষ্ণকে তাঁদের পতিরূপে কামনা করেছিলেন এবং এইভাবে তিনি তাদের সেই মনােবাসনা পূর্ণ করেছিলেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার মাধ্যমে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবন দর্শন করে পরম শান্তি পেলাম। স্বর্গীয় সুখ অনুভব করলাম। মনে হচ্ছে বৃন্দাবনে সশরীরে উপস্থিত হয়ে আমি তীথভ্রমণ করছি। নিজের পরিবারের এবং বিশ্বের সকলের মঙ্গল কামনা করছি। ঢাকা বাংলাদেশ থেকে অনুপম চৌধুরী।
Amer ai vromon jatra khub valo lagcha apnader jonnoi vrinda bonka forson korar sujok palam ami nikala onak vaggo ban bola mona korchi tar jonno onek dhonno bat ato sunder lila khatro o dhormo khatro dakhanor jonno joy sree radha krishna🙏🌹🌹🌹🌹🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🙏
Darun laglo joy sre krisno
আপনার মাদ্যমে আমরা শ্রী ধাম বৃন্দাবন আমাদের দর্শন করানোর জন্য আপনাকে যানাই প্রনাম।বাংলাদেশ থেকে রাধে রাধে জয় শ্রী কৃষ্ণ 🙏🙏🙏🙏🙏
😊
হরে কৃষ্ণ 🙏🙏🙏 28 9 2024 তারিখে বৃন্দাবনের উদ্দেশ্যে রওনা হছি অনেক দিনের ইছে ছিল বৃন্দাবন জাবো মনে হয় সফল হতে চলেছে 🙏🙏🙏🙏🙏
গরম কেমন ছিলো? আমরা পয়লা নভেম্বর যাবো।

কুমারী গােপবালিকাদের বস্ত্রহরণ
বৈদিক সংস্কৃতিতে দশ থেকে চোদ্দ বছর বয়স্কা অবিবাহিতা বালিকারা সুযােগ্য পতি লাভের জন্য শিব এবং দুর্গার পূজা করে থাকেন। কিন্তু বৃন্দাবনের অবিবাহিতা বালিকারা ইতিমধ্যেই শ্রীকৃষ্ণের রূপে মােহিত হয়ে তার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। হেমন্তকালের আগমনে তারা দুর্গা বা কাত্যায়নীর পূজা করেছিলেন।
হেমন্তকালের প্রথম মাস অগ্রহায়ণ মাসে বৃন্দাবনের সমস্ত অবিবাহিতা গােপীরা ব্রতসহকারে কাত্যায়নী দেবীর পূজা করতে শুরু করলেন। তারা প্রথম কোন মশলা ছাড়া ডাল এবং চাল সিদ্ধ করে হবিষ্যান্ন খেলেন। বৈদিক প্রথা অনুসারে ধর্ম-অনুষ্ঠান করার আগে এই হবিষ্যান্ন খেয়ে দেহ ও মনকে পবিত্র করতে হয়।
বৃন্দাবনের সমস্ত অবিবাহিতা গােপিকারা সকালবেলায় যমুনায় স্নান করে প্রতিদিন কাত্যায়নী দেবীর পূজা করতেন। কাত্যায়নী হচ্ছে দুর্গা দেবীর আরেক নাম। যমুনার মাটির সঙ্গে বালি মিশিয়ে প্রতিমা তৈরি করে তারা দেবীর পূজা করতেন।
বৈদিক শাস্ত্রে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, বিভিন্ন রকমের জড় পদার্থ দিয়ে দেব দেবীর প্রতিমা বা ভগবানের শ্রীবিগ্রহ তৈরি করা যেতে পারে; আলেখ্য অঙ্কন করে, ধাতু দিয়ে, মণিমাণিক্য দিয়ে, কাঠ দিয়ে, মাটি দিয়ে অথবা পাথর দিয়ে, অথবা হৃদয়ে ধ্যান করে বিভিন্ন দেব-দেবীর বা ভগবানের পূজা করা যায়। মায়াবাদী দার্শনিকেরা ভগবানের সচ্চিদানন্দ বিগ্রহকে কল্পনাপ্রসূত আকৃতি বলে মনে করে, চন্দন লেপন করে, মাল্য অর্পণ করে, ধূপ-দীপ জ্বালিয়ে, এবং সব রকমের উপচার সহকারে-ফল, ফুল, পল্লব আদি দিয়ে দেবী কাত্যায়নীর পূজা করতেন, পূজা শেষ করার পর কোন বর প্রার্থনা করাটাই হচ্ছে রীতি।
অবিবাহিতা বালিকারা গভীর আবেগের সঙ্গে কাত্যায়নী দেবীর কাছে প্রার্থনা করতেন, পরমেশ্বর ভগবানের পরাশক্তি, হে যােগমায়া, হে জড় জগতের অধিষ্ঠাত্রী দেবী, অনুগ্রহ পূর্বক আপনি আমাকে আশীর্বাদ করুন যেন নন্দ মহারাজের পুত্র শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে আমার বিবাহ হয় এইভাবে প্রতিটি অবিবাহিতা গােপবালিকাই মনে মনে কাত্যায়নী দেবীর কাছে প্রার্থনা করতেন।
বৈষ্ণবেরা সাধারণত কোন দেব-দেবীর পূজা করেন না। সমস্ত শুদ্ধ ভক্তিমার্গে অগ্রসর হতে চান, তাদের জন্য শ্রীল নরােত্তম দাস ঠাকুর কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন কোন দেব-দেবীর পূজা না করতে। তবুও ব্রজগােপিকারা, যাদের কৃষ্ণপ্রেমের তুলনা হয় না, তাদের এখানে দুর্গাদেবীর পূজা করতে দেখা যাচ্ছে। দেব-দেবীদের উপাসকেরা মাঝে মাঝে বলে যে, ব্রজগোপীকারা দুর্গাদেবীর পূজা করেছিলেন, কিন্তু এখানে আমাদের বুঝতে হবে কি উদ্দেশ্য নিয়ে তারা সেই পূজা করেছিলেন।
সাধারণত মানুষ দুর্গা পূজা করে কোন জড়জাগতিক লাভের আশায়, কিন্তু এখানে দেবীর কাছে প্রার্থনা করছেন-তারা যেন শ্রীকৃষ্ণকে পতিরূপে লাভ করতে পারেন। এর তাৎপর্য হচ্ছে, শ্রীকৃষ্ণকে পাওয়াই যদি চরম উদ্দেশ্য হয়, তা হলে ভক্ত সেই উদ্দেশ্য সাধন করার জন্য যে কোনও পন্থা অবলম্বন করতে পারেন। শ্রীকৃষ্ণের সেবা করার জন্য বা তার সন্তুষ্টি বিধানের জন্য গােপিকারা যে কোনও উপায় অবলম্বন করতে পারেন।
এটাই হচ্ছে ব্রজগােপিকাদের চরিত্রের অপূর্ব মাহাত্ম্য। তারা পুরাে একমাস ধরে দুর্গাদেবীর পূজা করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণকে পতিরূপে লাভ করার জন্য। প্রতিদিন তারা প্রার্থনা করেছিলেন, নন্দ মহারাজের পুত্র শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে যেন তাদের বিবাহ হয়। খুব ভােরবেলা ব্রজগােপিকারা স্নান করতে যমুনায় যেতেন। তারা একত্রিত হয়ে পরস্পরের হাত ধরে উচ্চস্বরে শ্রীকৃষ্ণের অপূর্ব লীলাসমূহ কীর্তন করতেন।
ভারতবর্ষে প্রাচীন প্রথা অনুসারে স্ত্রীলােকেরা এবং বালিকারা নদীর তীরে কাপড় খুলে রেখে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে নদীতে ডুব দিয়ে স্নান করেন। নদীর যেখানে স্ত্রীলােকেরা স্নান করেন, সেখানে কোন পুরুষের যাওয়া নিষেধ এবং এই প্রথা আজও প্রচলিত আছে। পরমেশ্বর ভগবান অবিবাহিতা ব্রজবালিকাদের মনের কথা জানতে পেরে তাঁদের বাসনা পূর্ণ করার জন্য তাদের প্রতি কৃপা করলেন। তাঁরা শ্রীকৃষ্ণকে পতিরূপে পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। আর শ্রীকৃষ্ণ তাদের সেই মনােবাঞ্ছা পূর্ণ করতে ইচ্ছা করলেন।
ব্রত মাসের শেষে, একদিন শ্রীকৃষ্ণ তার সখাদের সঙ্গে সেখানে এসে উপস্থিত হলেন। শ্রীকৃষ্ণের আর এক নাম যােগেশ্বর। যােগ অনুশীলন করার মাধ্যমে যােগীরা অন্য মানুষের মনােভাব বুঝতে পারে এবং সমস্ত যােগীদের ঈশ্বর হওয়ার ফলে শ্রীকৃষ্ণ অবশ্যই ব্রজগােপিকাদের মনের ভাব বুঝতে পেরেছিলেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে শ্রীকৃষ্ণ সেই কুমারী ব্রজবালিকাদের বস্ত্রগুলি নিয়ে যমুনার তীরবর্তী কদম্ব বৃক্ষে আরােহণ করে হাসতে হাসতে বলতে লাগলেন, "প্রিয় বালিকারা, তােমরা একে একে এখানে এসে তােমাদের বস্ত্র প্রার্থনা করে তা নিয়ে যাও।
আমি তােমাদের সঙ্গে পরিহাস করছি না, আমি সত্য কথাই বলছি। তােমরা একমাস ধরে কাত্যায়নী দেবীর পূজা করে ব্রত পালন করেছ, তাই তােমাদের সঙ্গে পরিহাস করার কোন বাসনা আমার নেই। তােমরা দয়া করে সকলে একসঙ্গে এখানে এসাে না। একে একে এসাে, কেননা আমি তােমাদের পূর্ণ সৌন্দর্য দর্শন করতে চাই। তােমরা সকলেই হচ্ছ ক্ষীণকটিসম্পন্না, সুমধ্যমা। আমি তােমাদের একে একে এখানে আসতে অনুরােধ করছি। দয়া করে আমার কথা তােমরা শােন।”
জলের মধ্যে থেকে বালিকারা যখন শ্রীকৃষ্ণের এই পরিহাস বাক্য শুনলেন, তখন তাঁরা স্মিত হাসি হেসে একে অপরের দিকে তাকালেন। শ্রীকৃষ্ণের এই অনুরােধে তাঁরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিলেন, কেননা তারা ইতিমধ্যেই তার প্রেমে মগ্ন ছিলেন। কিন্তু স্ত্রীসুলভ লজ্জাবশত তারা পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগলেন। নগ্ন থাকার ফলে তারা জল থেকে উঠে আসতে পারলেন না। অনেকক্ষণ জলে থাকার ফলে তারা ঠাণ্ডায় কাঁপতে লাগলেন, কিন্তু তবুও গােবিন্দের মধুর পরিহাসবাক্য শুনে তাদের মন মহা আনন্দে উদ্বেল হয়ে উঠেছিল।
তারা শ্রীকৃষ্ণকে বলতে লাগলেন, “হে নন্দনন্দন, দয়া করে আমাদের সঙ্গে এইভাবে পরিহাস করাে না। এটা আমাদের প্রতি অন্যায়। তুমি অত্যন্ত সম্রান্ত ঘরের সন্তান, তুমি হচ্ছ নন্দ মহারাজের পুত্র, আর তুমি আমাদের অত্যন্ত প্রিয়। তাই আমাদের সঙ্গে এইভাবে পরিহাস করা তােমার উচিত নয়, কেননা আমরা সকলেই এখন এই জলে দাঁড়িয়ে ঠাণ্ডায় কাঁপছি। কৃপা করে তুমি আমাদের বস্ত্রগুলি ফিরিয়ে দাও, তা না হলে আমাদের খুব কষ্ট হবে।”
এইভাবে তারা শ্রীকৃষ্ণের কাছে ব্যাকুলভাবে আবেদন করতে লাগলেন। তারা বললেন, “হে শ্যামসুন্দর, আমরা সকলেই তােমার নিত্য সেবক। তুমি আমাদের যা আদেশ করবে নিঃসঙ্কোচে তা পালন করতে আমরা বাধ্য, কেননা আমরা মনে করি যে, সেটাই হচ্ছে আমাদের ধর্ম। কিন্তু যে শর্তটি তুমি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছ, তা পালন করা অসম্ভব। তা হলে অবশ্যই আমাদের নন্দ মহারাজের কাছে গিয়ে তােমার বিরুদ্ধে নালিশ করতে হবে। নন্দ মহারাজ যদি তার কোন প্রতিবিধান না করেন, তা হলে আমরা তােমার এই দুর্ব্যবহারের জন্য মহারাজ কংসের কাছে নালিশ করব।
গােপকুমারীদের এই আবেদন শুনে শ্রীকৃষ্ণ বললেন, "প্রিয় বালিকারা, তােমরা যদি সত্যিই মনে করাে যে, তােমরা হচ্ছ আমার নিত্য সেবক এবং সেই জন্য সর্বদাই যদি তােমরা আমার আদেশ পালন করতে প্রস্তুত থাক, তা হলে আমার আদেশ হচ্ছে যে, হাসিমুখে তােমরা একে একে এখানে এসে তােমাদের বস্ত্র নিয়ে যাও। তােমরা যদি এখানে না আস এবং তােমরা যদি আমার পিতার কাছে নালিশ করতে যাও, তার আমি কোন পরােয়া করি না, কেননা আমার পিতা হচ্ছেন বৃদ্ধ এবং তিনি আমাকে কিছুই করতে পারবেন না।”
গােপিকারা যখন দেখলেন যে, শ্রীকৃষ্ণ সম্পূর্ণভাবে দৃঢ়সংকল্প, তখন আর গত্যন্তর না দেখে তারা তার শর্ত মেনে নিলেন। একে একে তারা জল থেকে উঠে এলেন, কিন্তু যেহেতু তারা সম্পূর্ণ নগ্ন ছিলেন, তাই তারা বাম হাত দিয়ে তাদের স্ত্রী-অঙ্গ আচ্ছাদন করে তাদের লজ্জা নিবারণ করার চেষ্টা করলেন। তাঁরা সকলেই তখন শীতে কাঁপছিলেন।
এই সরল আত্মনিবেদন এত নির্মল ছিল যে, শ্রীকৃষ্ণ তৎক্ষণাৎ তাঁদের প্রতি প্রীত হলেন। সমস্ত গােপকুমারীরাই শ্রীকৃষ্ণকে তাদের পতিরূপে পাওয়ার জন্য কাত্যায়নী দেবীর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন এবং এইভাবে তাদের সেই মনােবাঞ্ছা পূর্ণ হল। কোন স্ত্রী তাঁর স্বামী ছাড়া আর কারাে সামনে নগ্ন অবস্থায় যেতে পারেন না। গােপকুমারীরা শ্রীকৃষ্ণকে তাঁদের পতিরূপে কামনা করেছিলেন এবং এইভাবে তিনি তাদের সেই মনােবাসনা পূর্ণ করেছিলেন।
ধন্যবাদ দাদা আপনার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে শ্রীকৃষ্ণের শৈশব জন্মভূমি দেখতে পাইলাম
রাধে রাধে। দাদা আপনার বাচনভঙ্গি খুবই মধুর। খুব ভালো থাকবেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার মাধ্যমে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবন দর্শন করে পরম শান্তি পেলাম। স্বর্গীয় সুখ অনুভব করলাম। মনে হচ্ছে বৃন্দাবনে সশরীরে উপস্থিত হয়ে আমি তীথভ্রমণ করছি। নিজের পরিবারের এবং বিশ্বের সকলের মঙ্গল কামনা করছি। ঢাকা বাংলাদেশ থেকে অনুপম চৌধুরী।
ধন্যবাদ। দেখতে থাকুন Tourist Destination
😅😅😅😅😅😅😅😅😅
Brindabon dham Dhaka khub khub valo laglo Joy shiree Krishna radhey
খুব ভাল লাগল ।মনে হল আপনাদের সাথে আমিও ঘুরছি।ধন্যবাদ
দেখতে থাকুন Tourist Destination
@@TouristDestinationofficial q
Hare krishna...
Jai radha govinda..
Jai radha madhav..
অনেক দিনের সখ ছিলো বিন্দাবন দর্শন করবো। সেটা হয়ে ওঠেনি । কিন্তু আপনার মাধ্যমে তাও দর্শন করলাম। ধন্যবাদ দাদা ।
Thanks
😊p
@@TouristDestinationofficial❤❤9😊😊😊😊😊😊❤
হহহহ্যহহহহ্যহ্য
1:38 ❤
বৃন্দা বন ধাম দেখা র পর মন টি ভরে গেল ।এই জনমে যেতে পারবো না তাই ।দেখে মনটা শান্তি পেলো ।রাধে রাধে
Hare Krishna hare ram🙏🙏🙏
হরেকৃষ্ণ
বৃন্দাবন আমার প্রিয় জায়গা
আসার ইচ্ছে আছে
হরেকৃষ্ণ জয় রাঁধে রাঁধে
Khub sundor laglo .mon vore gelo .radhe radhe .
খুব খুশি লাগলো দেখে,,মন ছুঁয়ে গেলো ,,, হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ 🙏🙏
হরে কৃষ্ণ ❤️❤️ রাঁধে রাঁধে
আপনার ভিডিওটা খুব ভালো, আপনি বাগবাজার চৈতন্য মহাপ্রভুর মিউজিয়াম নিয়ে ভিডিও যদি করেন তাহলে আমরা কিছু তথ্য পেতে পারি।
Monta vora galo ai video ta dakha Radha Radha 🙏
খুব সুন্দর হয়েছে দাদা ভাই ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহিত করার জন্য। দেখে মনটা ভরে গেল 😘😘💗💗
আমিবাংলাদেশ❤
Apner bornona eto valo, amar ghore bosei ghora hoye gelo, dhonnobad 🙏
ভিডিওটি দেখে খুব ভালো লাগলো 🥰🥰🥰
হরে কৃষ্ণ🙏🙏মথুরা বৃন্দাবন দর্শন করে মনটা ভরে গেল।
Radhe radhe...harekrishno... Ami jno jete pari radhe...kripa koro maa 💓💓👏🏻👏🏻
❤ খুবই সুন্দর ভিডিওটা বানিয়েছেন দেখে মনটা ভরে গেল জয় রাধে জয় শ্রীকৃষ্ণ
Jay Shri Krishna♥️♥️♥️♥️🙏🙏🙏🙏 video ta👌👌👌
মন ভালো হবে। সুন্দর লাগবে।প্রেম মন্দির।
Bhalo laglo hare krishna
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আপনার মঙ্গল করুক ভালো থাকবেন
hare Krishna hare Krishna Krishna Krishna hare hare Rama Rama hare hare ❤❤❤❤
Aaponaak bohut dhanyabaad .Bhagawane aaponar mangal korok. Dibakar from Assam
হরে রাম হরে রাম ❤❤❤
BEST GIFT OF MY LIFE
Radhe radhe 🙏 very nice 👌🥰💐 thank you so much 💕♥️
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল মথুরা বৃন্দাবন যাওয়ার!
ভগবান আমার মাকে যেনো নিয়ে যেতে পারি🙏❤️
❤ 22:37 ❤😂❤🎉❤❤
Abp
ওখানে কি সব হিন্দিতে কথা বলে সবাই একটু জানাবেন
Apnakey dhanyabad apnader mato.mahan.manuser.janya.amora.baritey.basey sab tirthasthan.dekhtey parchhi
খুব ভালো লাগলো বৃন্দাবন ধাম হরে কৃষ্ণ ❤❤❤❤
Khub sundar uposthapana, dhanyabad.
খুব খুব সুন্দর ভিডিও টি বানিয়েছেন দেখে মন ভরে গেলো ।জয় রাধে রাধে কৃষ্ণ হরে হরে 🙏🙏🙏💗
Radha govind .Jai shree krishana chorone Soto koti pronam. Kripa Koren jeno apnar chorone pauchote pari ..radhe radhe namaste 🙏 namaste namaste 🙏 🙏
হরে কৃষ্ণ রাধে রাধে | তীর্থস্থান গুলি তোমার মাধ্যমে দেখতে পেয়ে খুব খুশি হলাম
ধন্যবাদ
Radhe Radhe
राधे कृष्णा की जय🙏🙏
Hare krishna 🙏khub sundor laglo ,bagbazar gouriyo moth avong chaitnya musuem ar upore video banan vlo lagbe
Thanks for your comments. Can you share contact number of Gaudiya Mission for necessary permission
Joy Joy Radhe Krishna 😮😢❤❤❤🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
Joy sri krishna. Radhe radhe. Khub valo laglo radhe radhe 🙏🙏🙏🙏🙏🙏
Amer ai vromon jatra khub valo lagcha apnader jonnoi vrinda bonka forson korar sujok palam ami nikala onak vaggo ban bola mona korchi tar jonno onek dhonno bat ato sunder lila khatro o dhormo khatro dakhanor jonno joy sree radha krishna🙏🌹🌹🌹🌹🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🙏
Hare Krishna.Oh! Srimoti Radha Rani bless me to visit holy Vrindaban
👌👌👌👌👌👌❤️❤️❤️❤️
Excellent. Khub valo hoyeche.
Hare Krishna Hare Krishna Radhe Radhe Radhe Radhe 🙏🙏🙏🙏🙏🙏
রাধে রাধে রাধারানীর কৃপায় যেন সবাই যেতে পারি বৃন্দাবনে 🙏🙏🙏
Hare krishna hare krishna hare krishna hare krishna hare krishna 🙏🙏🙏🙏🙏🙏
JAI SRI KRISHNA🙏 RADHE RADHE🙏
Hare krishna Hare krishna krishna krishna Hare Hare 🙏❤🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
Hare Krishna Sri moti radha rani ki joy vriandabon dham ki joy 🙏🙏🙏🙏
Khub sundor dorson korlam dornobad dada radha radha hare krishna hare krishna🙏🙏🙏
হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে 🥰❤️🥰🥰
Joy Radhe Radhe Hare krishna 🙏❤🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
Hare Krishna Radhe Radhe 🙏🏼🙏🏼🙏🏼🌺🌺🌺
Radha Radha joy sri krishna ❤❤❤❤❤❤❤
JOY MOTHURADHEE POTI. JOY SHREE KRISHNA.
Radha Radha
❤❤❤জয় গোপাল ভাগ্য হলে দেখবো একদিন হবে কি না জানিনা ❤❤❤🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩
Joy sree Krishna 🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻
Jay shree radhe Krishna ❤️🙏❤️ ami bas teke dekchi video ta aj jachi Jay shree radhe Krishna
খুব সুন্দর জায়গা
অনেক সুন্দর,, হরে কৃষ্ণ 🙏❤️❤️
Hare Kirshna Radha Radha
Hare Krishna hare Krishna 🙏❤️❤😊😊
Jai Rade Krishnan darun laglo
Hare Krishna hare Krishna hare Krishna
Joy sree krisha joy radhe radhe
Joy sire krishna ,very very nice place,
joy.raday
Khub valo hoyeche video❤
খুব খুব খুব সুন্দর
Hare krishan radhe radhe❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤
Hare krishnz🙏🏽❤❤❤
Hare.krishna. radhe.radhe krishna radhe.radhe krishna radhe.radhe krishna radhe.radhe krishna radhe.radhe krishna radhe.radhe
Radhe Radhe.khub valo laglo
Joy shree krishna radhe radhe
🙏🙏🙏🙏🙏হরে কৃষ্ণ🙏🙏🙏🙏
Very informative video
Have a request to make videos on very precious Sri Chaitanya Mahapravu Museum at Baghbazar in Kolkata
Thank you, we'll try to make a video on that place also, if you have the number of the place please share with us, our contact number is 7605826936
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম হরে হরে পূর্বধলা নেত্রকোনা বাংলাদেশ
Osadharon video ❤❤❤❤
Joy MA Radhe. Joy Baba Srikrishna
খুব সুন্দর দেখিয়েছেন। 🙏
Kuv sundor hoiache dada video ta..
Apnara kon month a gachilen??
Joy shree Krishna ❤
Radhe radhe❤❤❤❤aschi vrindavan e khub taratari❤❤
জয় রাধা কৃষ্ণের 🙏🙏🙏🙏🙏
Radha Radha Radha Radha Radha Radha Radha
আমার অন্যতম পছন্দের জায়গা বৃন্দাবন ❤
Jai Radha Krishnan Joy Radhey Bindaban
Ram Ram hare Mandir khoob Sundar
Hare krishna provu
Jay shree ram Hare Krishna 🙏🙏🙏🙏🙏🚩🚩🚩🚩🚩🪔🙏🚩🪔🙏🚩
❤Radha Radha ❤🥰
Joyshreekrishna❤😊
Khub Valo lagche
খুব ভাল লাগল। আরও ভিডিও চাই।রাধে রাধে