ক্যামব্রিজের তুখোর মেধাবী ভারতীয় র‍্যাংলারের অন্ধ হয়ে যাওয়ার করুণ কাহিনী। True Story

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 5 вер 2024
  • ক্যামব্রিজের তুখোর মেধাবী ভারতীয় একজন র‍্যাংলারের অন্ধ হয়ে যাওয়ার করুণ কাহিনী। সত্যি ঘটনা
    পেশায় উকিল পার্বতী চরণ দে জন্মেছিলেন ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর গ্রামে। তাঁর তিন পুত্রের তিনজনকেই তিনি মানুষেরর মতো মানুষ করেছিলেন। রাজেন্দ্রলালবড় ছেলে রাজেন্দ্রলান দে হয়েছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের খ্যাতনামা অধ্যাপক, মেঝো ছেলে কিরণ চন্দ্র দে আমাদের আজকের আলোচনার মধ্যমনি। ছোট ছেলে নির্মল দে ছিলেন চিত্রগ্রহাগক ও সিনেমা পরিচালক।
    বিংশ শতাব্দির ভারতীয় উপমহাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কিরণ দে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন রসুলপুর গ্রামে। মেধাবী কিরণকে পিতা পার্বতী দে মাধ্যমিকে ভর্তি করে দেন ময়মনসিংহ শররের তখনকার খ্যাতনামা মৃত্যুঞ্জয় স্কুলে! সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা ছেলেটি এ স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে এট্রাশ পাশ করে চলে যান কোলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে। তনিি কৃতিত্বের সাথে আইএসসি পাশ করেন। পিতা পার্বতী দে এর স্বপ্ন ছিলো অনেক! তিনি ছেলেকে বিলেতে পাঠিয়ে দিলেন। পিতার পছন্দের বিশ^বিদ্যালয় ক্যামব্রিজে গ্রজেুয়েশনের জন্য গণিতে ভর্তি হলেন কিরণ! ক্যামব্রিজের ম্যাথমেটিক্স ডিপার্টমেন্ট তখন ভারতীয় মেধাবীদের জন্য আলোচতি! দুই দশকের মধ্যে দুই ভারতীয় বাঙালি আনন্দমোহন বসু গোবিন্দগুপ্ত ইতিহাস তৈরী করা রেজাল্ট করে সুনাম অকরেছিলেন। কিছুদিনের মধ্যেই মেধার ঝলক দেখিয়ে দৃষ্টি কেড়ে নিলেন কিরণ দে। ডিপার্টমেন্টে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে র‌্যাংলার উপাধিতেও ভ‚ষিত হোন এ ভারতীয় বাঙালি। ফলে ময়মনসিংহ জেলা দুইজন র‌্যাংলারের দেখা পেয়ে যায়।
    কিরণ স্বদেশে ফেরত আসেন। তার সহপাঠী ছিলো আসামের জমিদারপুত্র পরেশ বড়-য়া! বন্ধুকে সাথে নিয়ে জাহাজে চেপে বসলেন কিরণ। কোলকাতা বন্দরে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন আসামের রাজপরিবার। সেখানেই পরিচয় হয় পরেশের বোনের সাথে। দুই পরিবারে সম্মতিতে ধুমধাম করে বিয়ে হয় তাদের। কিরণ যোগদেন প্রেসিডেন্সি কলেজে, তারপর কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং অধ্যাপক হোন। কিন্তু কে জানতো কিরণের জন্য জীবন কী নিয়ে অপেক্ষা করছে। ছেলে সন্তানের পিতা হোন কিরণ। মাস তিনেকের মধ্যে সদ্য ভ‚মিষ্ট ছেলেটি মারা যায়। কিছুদিনের মধ্যেই গত হোন কিরণের স্ত্রী। এ শোক তনিি সইতে পারেন নি। অধ্যাপনার পাট চুকিয়ে চলে আসেন ময়মনসিংহ শহরে নিজ বাসায়। এরপর অনেকটা নিভূত জীবনে চলে যান। চোখের জলধারা তাকে স্থায়ী অন্ধত্বকে বরণ করে নিতে বাধ্য করে।
    ১৮৯২ সালে জন্ম নেয়া কিরণ ঠিক কতো বছর বয়সে অন্ধ হয়ে যান এই সর্ম্পকে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। তবে তিনি ১৯৬৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
    কিরণ চন্দ্র দে এর গ্রামের বাড়ি গিয়ে আমরা তাদের বসত বাটির সন্ধান করি। একালাবাসীর দেয়া তথ্যে সাথে মিল রেখে আমিও তাদের বাড়িটির কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাইনি। তাদের বসতভিটার জায়গায় একটি খেলার মাঠ আর আশেপাশে কিছু বাড়িঘর চোখে পড়লো। অবাক করার মতো বিষয় রসূলপুর এলাকার লোকজন র‌্যাংলার কিরণ দে সর্ম্পকে তেমন কোন তথ্য জানেন না। এমনকি তার প্রতিষ্ঠা করা স্কুলের প্রধান শিক্ষকও গুছিয়ে আমাকে তেমন কোন তথ্য দিতে পারেন নি (হেড মাস্টার)। ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে গিয়ে চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে আলোচনা করেও আমি কোন তথ্য পাইনি।
    ৪০ এর দশকে ভারতীয় উপমহাদেশ ভাগাভাগি নিয়ে উত্তাল হয়। সমসাময়িক সময়েই অগ্রজ রাজেন্দ্রলাল দে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপনা শেষ করে কোলকাতায় পাড়ি জমান। ছোটভাই নির্মল দেও এ পাড় ত্যাগ করেন। কিন্তু কিরণ দে নিজ মাতৃভ‚মিতে মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় পাক রাষ্ট্রযন্ত্র নিভ‚তচারী অন্ধ এ মানুষটির উপর বর্বরতা চালায়।
    নির্মল দে সর্ম্পকে সামান্য আলোচনা করার মাধ্যমে আজকের ভিডিওটি আমরা শেষ করছি! উদয়ের পথে (১৯৪৪) সিনেমাতে যৌথভাবে চিত্রনাট্য লিখেন নির্মল দে। এরপর পরিচালক হিসেবে তাঁর প্রথম ছবি বসু পরিবার (১৯৫২)। সমগ্র জীবনে তিনি ৬ টি সিনোমা পরিচালনা করেন। উত্তম-সুচিত্রা জুটির পর্দায় আগমন ঘটে তার নির্মিত সিনেমা সাড়ে চুয়াত্তর(১৯৫৩)। ১৯৫৪ সালে মুক্তি পায় চাপা ডাঙার বউ। এই গুণী মানুষটিকে নিয়েও অনলাইনে তেমন কোন আলোচনা হয়নি।
    তুখোর মেধাবী কিরণ দে-কে ইতিহাসের অংশে পাঠ না করাকে আমি অন্যায় হিসেবেই বিবেচনা করি। র‌্যাংলার কিরণ দে এর শিক্ষাসাধনা ও তাঁর জীবনদর্শনকে জানা আমাদের আগামি প্রজন্মের জন্য অবশ্যই উচিত।
    ময়মনসিংহের বিখ্যাত মানুষ
    ইতিহাসের পাতায় ময়মনসিংহ
    -------------------------------------------------------------
    business query : tuhin.otw@gmail.com
    --------------------------------------------------------------
    Find me on-
    Facebook -
    / tuhin.otw
    Instagram-
    / tuhin.otw
    Telegram
    t.me/TuhinOnTheWay
    Heartbreaking by Kevin MacLeod is licensed under a Creative Commons Attribution 4.0 license. creativecommon...
    Source: incompetech.com...
    Artist: incompetech.com/

КОМЕНТАРІ • 3

  • @afzalulhaque7322
    @afzalulhaque7322 3 місяці тому

    কখনো আপনার চ্যানেল সম্পর্কে জানতাম না, আমাদের প্রজন্ম ইতিহাস সর্ম্পকে ভাল ধারনা / শিক্ষার আছে,, ভাই কেমনে সম্ভব চাকরির প্রেসার সামলিয়েও..... 💗💗শুভ কামনা

  • @TanjilRahman-nu8xv
    @TanjilRahman-nu8xv 2 місяці тому

    জন্ম জয় জমিদার বাড়ি
    গফরগাও সালটি ইউনিয়ন 4 নং word জনমৌজা গ্রাম , জিরেনন্দ্র মোড়ের পাশে
    ময়মনসিংহ ।
    একে বারে খারাপ অবস্থা।
    Please আপনি একটা blog তৈরী করুন

    • @TuhinOnTheWay
      @TuhinOnTheWay  2 місяці тому

      এই জমিদার বাড়ি সম্পর্কে আমার কাছে কোন তথ্য নেই। চেষ্টা করবো সংগ্রহ করতে।