হাদীস: আব্দুল খালেক ইবনে সালমা বলেন, আমি সাঈদ ইবনে মুসায়িব থেকে সদকাতুল ফিতর সম্পর্কে জিঙ্গেসা করলাম ৷ তিনি বল্লেন রাসুল সাঃ এর যুগে সদকায়ে ফিতর ছিল প্রত্যেক জন হতে এক সা‘ খেজুর অথবা অর্ধ সা‘ গম ৷ কিন্তু যখন হযরত উমরের আমল আসলো তখন একদল মুহাজিরীন সাহাবী হযরত উমর রযি. কে বল্লেন ৷ আমরা চাই আমরা আমাদের গোলামের পক্ষ থেকে প্রতি বছর দশ দিরহাম করে সদকায়ে ফিতর আদায় করি ৷ যদি আপনি দরখাস্ত মনজুর করেন ৷ তখন হযরত উমর রযি. বল্লেন হা, তোমরা যা চাও এবং আমার ইচ্ছা আমি প্রতি মাসে তাদেরকে দুই জরিব শস্য প্রদান করবো ৷ রাবী বলেছেন হযরত উমর তাহাদেরকে যা দিতেন তা উত্তম ছিল তাদের থেকে যা নিতো তা হতে ৷ ইমাম আবু উবাইদ রহ. বলেন, মুহাজীর সাহাবাগণ হযরত উমরের আমলে টাকা দিয়ে যা দিতেন তা ছিল গোলামের পক্ষ থেকে সদকায়ে ফিতর ৷ ( সুত্রঃ- কিতাবুল আমওয়াল 2/127নং পৃষ্টা হাদিস নং 1266 )। হাদিসের মানঃ- সহিহ। আপত্তিঃ- সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব এর হযরত উমরের সাথে মুলাকাত সাব্যস্ত না ৷ উত্তরঃ- আহলে হাদিসদের বরেণ্য লেখক জুবাইর আলী যাঈ তিনি লিখেছেন- সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব হযরত উমররে সাথে দেখা হওয়াটা প্রমানিত ৷ অতএব এই সনদ মুত্তাসিল ৷ - ( সুত্রঃ- মকালাতে জুবাইর আলী যাঈ 2/206 নং পৃষ্টা )। তাহলে উল্লেখিত সহিহ হাদিস দ্বারা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, সাহাবাগণ টাকা দ্বারা সদকায়ে ফিতর দিতেন ৷ অতএব আমরাও দিতে পারবো এতে কোন সমস্যা হবে না ৷ যুহাইর থেকে তাবেঈ আবু ইসহাকের বর্ননা, হাদীস: যুহাইর রহ. বলেন, আমি আবু ইসহাক থেকে শুনেছি, তিনি বলেছেন আমি সাহাবাগণকে এই অবস্থায় পেয়েছি যে, তারা রমজানে সদকায়ে ফিতর খাবারের বিনিময়ে টাকা দিয়ে আদায় করতেন ৷ (সুত্রঃ- মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা 4/282 হাদিস নং 10465) হাদিসের মানঃ- সহিহ। যুহাইর থেকে তাবেঈ আবু ইসহাকের বর্ননা সহীহ ৷ (দেখুন ইবনুল কাইয়ূমের রহ: তাহযিবুস সুনান ১/২৭৯পৃষ্ঠা এবং সিলসিলাতুস সহীহা ২০৫৫ নং হাদীসের আলোচনা)। বুখারী শরীফে-৪০,,১৫৬,,২৫২,,২৫৪,,১০২২,,১৬৭৫,,২৯৩০,,৩০৩৯,,৩৫৫২,,৩৯৫৭,,৩৯৬০,,৩৯৮৬,,৪০৬৭,,৪১৫১,,৪৪০৪,,৪৪৮৬,,৪৫৬১,,৪৮৭১,,৫০১১ ইত্যাদি হাদীসে যুহাইর রহ: তাবেঈ আবু ইসহাক রহঃ থেকে হাদীস বর্ননা করেছেন ৷৷ প্রিয় দ্বীনি ভাইয়েরাঃ- উল্লেখিত দু‘টি হাদিস থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, সাহাবাগণ টাকা দ্বারা ফিতরা আদায় করতেন ৷ অতএব আমরাও আদায় করতে পারবো কোন সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ ৷
১/ বিশিষ্ট তাবেঈ আমীরুল মু‘মিনীন উমর ইবনে আব্দুল আজীজ সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, ইবনে আউন রহ. বলেন আমি উমর ইবনে আব্দুল আজীজ রহ. এর ফরমান শুনেছি ৷ তিনি বসরার আদীকে বলতেন ৷ তিনি যেন আহলে দীওয়ানের প্রত্যেক মানুষ থেকে নিসফ দিরহাম সদকায়ে ফিতর নেয় ৷ (সুত্রঃ- মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৪/২৮২ নং পৃষ্টা হাদিস নং ১০৪৬২) হাদিসের মানঃ- আহলে হাদিসদের অন্যতম শায়খ জুবাইর আলী যাঈ উত্ত হাদিস সম্পর্কে লিখেছেন, ‘সনদ সহীহ’।- সুত্রঃ- মকালাতে জুবাইর আলী যাঈ ২/১৬৫ নং পৃষ্টা । ২/ উমর ইবনে আব্দুল আজীজ সম্পর্কে আরো উল্লেখ আছে যে, কুররা রহ. বলেন, আমাদের কাছে উমর ইবনে আব্দুল আজীজ রহ. এর ফরমান আসল যে, প্রত্যেক ব্যাক্তি হতে সদকাতুল ফিতর অর্ধ সা' কিংবা তার সমমূল্য নিসফ দিরহাম নাও ৷ - সুত্রঃ- মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৪/২৮২ নং পৃষ্টা হাদিস নং ১০৪৬৩) হাদিসের মানঃ- এই হাদিস সম্পর্কেও আহলে হাদিসদের শায়খ জুবাইর আলী যাঈ লিখেছেন, ‘সনদ সহীহ’। - ( সুত্রঃ- মকালাতে জুবাইর আলী যাঈ ২/১৬৫ নং পৃষ্টা )।
রহুল আমিন ভাই আমার এক বন্ধু কে আমি বলে ছি সলাত পায়ে পা লাগানো ওয়াজিব তো সে আমাকে বলে ছে পায়ে পা দিলে আমার পাশে যে থাকবে সে যদি আপনার থেকে বড় হয় তাহলে টা কে অসম্মান করা হবে না লাথি মারা হবে না তো আমি তাকে কি উত্তর দেব প্লিজ জানাবেন
জাজাকাল্লাহ খাইরান
First view,comment and like..
👍👍👍👍👍👍👍👍👍
2nd comment
আলহামদুলিল্লাহ
Dada chhal Dabo na Ata aktu bolben
হাদীস: আব্দুল খালেক ইবনে সালমা বলেন, আমি সাঈদ ইবনে মুসায়িব থেকে সদকাতুল ফিতর সম্পর্কে জিঙ্গেসা করলাম ৷ তিনি বল্লেন রাসুল সাঃ এর যুগে সদকায়ে ফিতর ছিল প্রত্যেক জন হতে এক সা‘ খেজুর অথবা অর্ধ সা‘ গম ৷ কিন্তু যখন হযরত উমরের আমল আসলো তখন একদল মুহাজিরীন সাহাবী হযরত উমর রযি. কে বল্লেন ৷ আমরা চাই আমরা আমাদের গোলামের পক্ষ থেকে প্রতি বছর দশ দিরহাম করে সদকায়ে ফিতর আদায় করি ৷ যদি আপনি দরখাস্ত মনজুর করেন ৷ তখন হযরত উমর রযি. বল্লেন হা, তোমরা যা চাও এবং আমার ইচ্ছা আমি প্রতি মাসে তাদেরকে দুই জরিব শস্য প্রদান করবো ৷ রাবী বলেছেন হযরত উমর তাহাদেরকে যা দিতেন তা উত্তম ছিল তাদের থেকে যা নিতো তা হতে ৷
ইমাম আবু উবাইদ রহ. বলেন, মুহাজীর সাহাবাগণ হযরত উমরের আমলে টাকা দিয়ে যা দিতেন তা ছিল গোলামের পক্ষ থেকে সদকায়ে ফিতর ৷
( সুত্রঃ- কিতাবুল আমওয়াল 2/127নং পৃষ্টা হাদিস নং 1266 )। হাদিসের মানঃ- সহিহ।
আপত্তিঃ- সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব এর হযরত উমরের সাথে মুলাকাত সাব্যস্ত না ৷
উত্তরঃ- আহলে হাদিসদের বরেণ্য লেখক জুবাইর আলী যাঈ তিনি লিখেছেন- সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব হযরত উমররে সাথে দেখা হওয়াটা প্রমানিত ৷ অতএব এই সনদ মুত্তাসিল ৷ - ( সুত্রঃ- মকালাতে জুবাইর আলী যাঈ 2/206 নং পৃষ্টা )।
তাহলে উল্লেখিত সহিহ হাদিস দ্বারা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, সাহাবাগণ টাকা দ্বারা সদকায়ে ফিতর দিতেন ৷ অতএব আমরাও দিতে পারবো এতে কোন সমস্যা হবে না ৷
যুহাইর থেকে তাবেঈ আবু ইসহাকের বর্ননা, হাদীস: যুহাইর রহ. বলেন, আমি আবু ইসহাক থেকে শুনেছি, তিনি বলেছেন আমি সাহাবাগণকে এই অবস্থায় পেয়েছি যে, তারা রমজানে সদকায়ে ফিতর খাবারের বিনিময়ে টাকা দিয়ে আদায় করতেন ৷
(সুত্রঃ- মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা 4/282 হাদিস নং 10465) হাদিসের মানঃ- সহিহ। যুহাইর থেকে তাবেঈ আবু ইসহাকের বর্ননা সহীহ ৷
(দেখুন ইবনুল কাইয়ূমের রহ: তাহযিবুস সুনান ১/২৭৯পৃষ্ঠা এবং সিলসিলাতুস সহীহা ২০৫৫ নং হাদীসের আলোচনা)।
বুখারী শরীফে-৪০,,১৫৬,,২৫২,,২৫৪,,১০২২,,১৬৭৫,,২৯৩০,,৩০৩৯,,৩৫৫২,,৩৯৫৭,,৩৯৬০,,৩৯৮৬,,৪০৬৭,,৪১৫১,,৪৪০৪,,৪৪৮৬,,৪৫৬১,,৪৮৭১,,৫০১১ ইত্যাদি হাদীসে যুহাইর রহ: তাবেঈ আবু ইসহাক রহঃ থেকে হাদীস বর্ননা করেছেন ৷৷
প্রিয় দ্বীনি ভাইয়েরাঃ- উল্লেখিত দু‘টি হাদিস থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, সাহাবাগণ টাকা দ্বারা ফিতরা আদায় করতেন ৷ অতএব আমরাও আদায় করতে পারবো কোন সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ ৷
১/ বিশিষ্ট তাবেঈ আমীরুল মু‘মিনীন উমর ইবনে আব্দুল আজীজ সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, ইবনে আউন রহ. বলেন আমি উমর ইবনে আব্দুল আজীজ রহ. এর ফরমান শুনেছি ৷ তিনি বসরার আদীকে বলতেন ৷ তিনি যেন আহলে দীওয়ানের প্রত্যেক মানুষ থেকে নিসফ দিরহাম সদকায়ে ফিতর নেয় ৷
(সুত্রঃ- মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৪/২৮২ নং পৃষ্টা হাদিস নং ১০৪৬২) হাদিসের মানঃ- আহলে হাদিসদের অন্যতম শায়খ জুবাইর আলী যাঈ উত্ত হাদিস সম্পর্কে লিখেছেন, ‘সনদ সহীহ’।- সুত্রঃ- মকালাতে জুবাইর আলী যাঈ ২/১৬৫ নং পৃষ্টা ।
২/ উমর ইবনে আব্দুল আজীজ সম্পর্কে আরো উল্লেখ আছে যে, কুররা রহ. বলেন, আমাদের কাছে উমর ইবনে আব্দুল আজীজ রহ. এর ফরমান আসল যে, প্রত্যেক ব্যাক্তি হতে সদকাতুল ফিতর অর্ধ সা' কিংবা তার সমমূল্য নিসফ দিরহাম নাও ৷ - সুত্রঃ- মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৪/২৮২ নং পৃষ্টা হাদিস নং ১০৪৬৩)
হাদিসের মানঃ- এই হাদিস সম্পর্কেও আহলে হাদিসদের শায়খ জুবাইর আলী যাঈ লিখেছেন, ‘সনদ সহীহ’। - ( সুত্রঃ- মকালাতে জুবাইর আলী যাঈ ২/১৬৫ নং পৃষ্টা )।
রহুল আমিন ভাই আমার এক বন্ধু কে আমি বলে ছি সলাত পায়ে পা লাগানো ওয়াজিব তো সে আমাকে বলে ছে পায়ে পা দিলে আমার পাশে যে থাকবে সে যদি আপনার থেকে বড় হয় তাহলে টা কে অসম্মান করা হবে না লাথি মারা হবে না তো আমি তাকে কি উত্তর দেব প্লিজ জানাবেন
এটি ব্রাদার রাহুল এর নিজস্ব UA-cam Channel না। আপনি ওনার নিজস্ব channel- 'Br Rahul Hossain Rahul Ameen' এ জিজ্ঞাসা করুন। উত্তর পেতে পারেন।