জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন কি?
Вставка
- Опубліковано 26 гру 2024
- পিতৃসূত্রে জ্যাকলিন শ্রীলংকার নাগরিক হলেও তিনি জন্মগ্রহণ করেন বাহরাইনের মানামা নগরীতে। তাঁর মা মালেশিয়ান এবং তাঁর নানী ক্যানাডিয়ান। জ্যাক-এর পিতা একজন গীতিকার ছিলেন, তিনি ১৯৮০ সালে শ্রীলংকা ছেড়ে বাহরাইনে চলে যান। এর পেছনে উদ্দেশ্য ছিলঃ তৎকালীন সময়ে চলা সিংহলিজ ও তামিল টাইগারদের মধ্যকার গৃহযুদ্ধ এড়িয়ে যাওয়া।
জ্যাকলিনের মাতা ছিলেন এয়ার হোস্টেস। তিনি তাঁর পিতামাতার চার সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। তাঁর এক বোন এবং দুই ভাই রয়েছে। জ্যাক ১৪ বছর বয়সেই বাহরাইনে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতেন। বাহরাইনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষা অর্জন শেষে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে যান গণযোগাযোগ বিষয়ে ডিগ্রী অর্জনের উদ্দেশ্যে। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর তিনি শ্রীলংকায় গিয়ে টেলিভিশন সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। জ্যাক বার্লিজ্ট-এর ভাষাশিক্ষার স্কুলেও পাঠ নেন, সেখানে তিনি স্প্যানিশ ভাষা শিখেন এবং ফ্রেঞ্চ ও আরবি ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি করেন।
তাঁর ভাষ্যমতে, ছোটকাল থেকেই তাঁর অভিনেত্রী হওয়ার প্রবল ইচ্ছে ছিল, বিশেষ করে তিনি হলিউডের চলচ্চিত্র তারকা হওয়ার আকাঙ্খা পোষণ করতেন। তিনি 'জন স্কুল অফ অ্যাক্টিং'-এ অভিনয়ের উপর কিছু ট্রেনিং অর্জন করেন। টিভি রিপোর্টার হিসেবে কাজ করার সময় তিনি মডেলিং-এর অফার পান, এই সুযোগ এসেছিল সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পর ভালো ফলাফল আসায়। জ্যাকলিন ২০০৬ সালের মিস ইউনিভার্স শ্রীলংকা প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থান লাভ করেন এবং একই সালে লস এঞ্জেলসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় শ্রীলংকাকে প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০১৫ সালে একটি সাক্ষাৎকারে জ্যাক মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিকে ট্রেনিং-এর একটি ভালো ক্ষেত্র বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, 'এটি এমন একটি ইন্ডাস্ট্রি যেখানে আপনি আপনার সংকোচ ঝেড়ে ফেলতে পারবেন, নিজের দেহ সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন'।
২০০৯ সালে জ্যাকলিন একটি মডেলিং অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে ইন্ডিয়াতে যান। সেখানে তিনি নাট্য পরিচালক ব্যারি জন-এর দেখভালে (সুপারভিশনে) অভিনয় সম্পর্কে অধ্যয়ন করেন। এতে তিনি ২০০৯ সালের বলিউড চলচ্চিত্র আলাদিন-এর জন্য যে অডিশন দেন তা সফলকাম হয়।
নিজ পরিবারের সদস্যদের সাথে ফার্নান্দেজ-এর সাথে বন্ধন অটুট এবং তিনি স্বীকার করেছেন যে, বলিউডে কাজ করার দরুণ তিনি তাঁদেরকে খুব মিস করেন। তাঁর ভাষায়, 'আমি তাঁদেরকে প্রায় প্রতিদিনই মিস করি। বাড়ি থেকে দূরে থাকলে কতটা যে খারাপ লাগে সেটা তো বোঝেনই। তবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের থেকে দূরে থাকায় আমার দায়িত্বশীলতাও বেড়েছে। এটা আমাকে নিজের সম্পর্কে অনেক কিছু শিখিয়েছেঃ কোন জিনিসগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং কীভাবে সময় ম্যানেজ করতে হবে।'
বাহরাইনি রাজপুত্র হাসান বিন রশিদ বিন আল খলিফা'র সাথে ২০০৮ সালে জ্যাকলিন প্রেম শুরু করেন। তাঁর সাথে জ্যাকের দেখা হয়েছিল তাঁর আরেক বন্ধুর পার্টিতে। ২০১১ সালে এই প্রেমিক জুটি পরস্পর হতে আলাদা হয়ে যান। একই বছর 'হাউজফুল ২' ছবির শুটিং-এর সময় পরিচালক সাজিদ খান-এর সাথে একটি রোমান্টিক সম্পর্কে জড়িয়ে যান জ্যাকলিন। তাঁদের এই সম্পর্ক মিডিয়ায় প্রচুর আলোচনা সৃষ্টি করে, এক পর্যায়ে মনে করা হয়েছিল, তাঁরা বিয়ে করতে যাচ্ছেন। কিন্তু সম্পর্কটি ২০১৩ সালে ভেঙ্গে যায়।