পটুয়াখালীর জমিদার রাজেশ্বর রায় চৌধুরীর কাছারি বাড়ি ও পাষানময়ী কালীবাড়ী মন্দির, পটুয়াখালী সদর।

Поділитися
Вставка
  • Опубліковано 16 жов 2024
  • জমিদার রাজেশ্বর রায় চৌধুরীর কাছারি বাড়ি।
    লোকেশনঃ নতুন বাজার, পটুয়াখালী সদর।
    জমিদার রাজেশ্বর রায়ের কাছারি বাড়ির ইতিহাস | পটুয়াখালীর ইতিহাস | পটুয়াখালীর শেষ জমিদার রাজেশ্বর রায় চৌধুরীর ইতিহাস | কলসকাঠীর জমিদার রাজেশ্বর রায় চৌধুরীর কাছারি বাড়ি | পাষানময়ী কালীবাড়ি মন্দির এর ইতিহাস | History of Patuakhali | জমিদার বিশ্বেশ্বর রায় চৌধুরীর কাছারি বাড়ি | পটুয়াখালী সদর জমিদার বাড়ি | পটুয়াখালীর জমিদারের বাড়ি
    জমিদার রাজেশ্বর রায় চৌধুরীর কাছারি বাড়ির ইতিহাসঃ
    ২৫০ বছরের অধিক পুরনো ইতিহাস ঐতিহ্য বিজড়িত একটি প্রাচীন স্থাপনা।
    পটুয়াখালীর শেষ জমিদার রাজেশ্বর রায় চৌধুরীর স্মৃতিচিহ্ন বিজড়িত জমিদারি আমলের এই ভবন, এই অঞ্চলের নানা ইতিহাসের সাক্ষী।
    জমিদার হৃদয় শংকরের পুত্র কালিকা প্রসাদ রায়ের নামানুসারে লাউকাঠীর দক্ষিণ পাড়ের গ্রামের নাম করণ করা হয় কালিকাপুর। এখানে গড়ে ওঠে পটুয়াখালী শহর। এ-সময়কালে কলসকাঠীর জমিদার বরদাকান্ত রায় চৌধুরীর পুত্র বিশ্বেশ্বর রায় চৌধুরী ১৮৮৯ সালে পটুয়াখালী মহকুমার অধীনে কালিকাপুর কিসমতের বন্ধ্যোপাধ্যায় মুদাফা তালুকটি খরিদ করেন।
    এই অঞ্চলের সর্বশেষ জমিদাররা ছিলেন বিশ্বেশ্বর রায় চৌধুরীর পাঁচ পুত্র, রাজেশ্বর, রত্নেশ্বর, সিদ্ধেশ্বর, অমরেশ্বর, হরেশ্বর রায় চৌধুরী ও ব্রজকান্ত রায় চৌধুরীর তিন পুত্র সুরেন্দ্র, নরেন্দ্র ও মনিন্দ্র। এদের মধ্যে রাজেশ্বর রায় চৌধুরী পটুয়াখালীর জমিদারি পরিচালনা করেন। প্রবল দাপটের সঙ্গে পটুয়াখালীর শেষ জমিদারি পরিচালনা করেন জমিদার রাজেশ্বর রায় চৌধুরী। এরা সকলে বসবাস করতেন কলসকাঠীর জমিদার বাড়িতে। পটুয়াখালীতে আসতেন খাজনা আদায়সহ বিভিন্ন উপলক্ষে।
    জমিদারীর কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজনে শহরের নতুন বাজার এলাকায় ২৫০ বছর পূর্বে এই কাছারি বাড়িটি নির্মাণ করা হয়।
    পাকিস্তান আমলে জমিদার রাজেশ্বর রায় চৌধুরীর পরিত্যক্ত এই কাছারি বাড়িতে স্থাপিত হয় সদর তহশিল অফিস। বাংলাদেশ স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে এটি ব্যবহৃত হয় সদর উপজেলা ভূমি অফিস হিসেবে।
    সংস্কারের অভাবে ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়লে তা ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়।
    বেশ কয়েক বছর আগে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক এই ভবনটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিলেও পরবর্তীতে তাদের আর কোনো কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়নি।
    পাষাণময়ী কালীবাড়ি মন্দির এর ইতিহাসঃ
    পটুয়াখালী শহরের নতুন বাজার একোয়ারস্টেট বর্তমানে সদর উপজেলা ভূমি ও রাজস্ব অফিস ভবনের কয়েক গজ সম্মুখে পাষাণময়ী কালীবাড়ি। দেয়াল ঘেরা এই এলাকাটি একসময় পরিচিত ছিল জমিদার রাজেশ্বর রায় চৌধুরীর কাছারি বাড়ি হিসেবে। তার পিতা বিশ্বেশ্বর রায় চৌধুরী বাংলা ১৩১১ সালের ৩০ চৈত্র চতুর্দশী অমাবশ্যা তিথিতে এই পাষাণময়ী কালীবাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন। মূল মন্দিরের সম্মুখের দেয়ালে শ্বেত পাথরে লিপিবদ্ধ আছে বিগ্রহ স্থাপন ও মন্দির প্রতিষ্ঠার ইতিহাস।
    শিলালিপিতে উত্কীর্ণ রয়েছে, বাংলা ১২৯৬ সনে কলসকাঠীর জমিদার বিশ্বেশ্বর রায় চৌধুরী তত্কালীন পটুয়াখালী মহকুমার কালিকাপুর তালুক খরিদ করেন। এদিকে, ব্রজকান্ত রায় চৌধুরী নামে অপর একজন জমিদার এই তালুক খরিদের এক ভাক্ত কবলা জাহির করেন। এনিয়ে প্রায় এক দশক ধরে চলে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলা। বিশ্বেশ্বর রায় চৌধুরী মানত করেন, ঐ সকল মোকর্দমায় জয়লাভ করলে তার পটুয়াখালীস্থ নিজ বাড়িতে স্থাপন করেন পাষাণময়ী কালী মাতার বিগ্রহ। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে, জয়ী হন বিশ্বেশ্বর রায় চৌধুরী।
    বাংলা ১৩০৬ সালে জমিদার বিশ্বেশ্বর রায় চৌধুরী তার লোকদের আদেশ দেন কালী মন্দির প্রতিষ্ঠার সকল আয়োজনের। ইসিবপুর নিবাসী স্বরূপ চন্দ্র দে রাজমিস্ত্রী দ্বারা মন্দির নির্মাণ করে তার মধ্যে শ্মশান প্রস্তুত করা হয়। ঐ শ্মশানে ১৩০৮ সালের ২৪ অগ্রহায়ণ মঙ্গলবার কলেরায় মৃত গুরুচরণ কর্মকার নামে এক ব্যক্তির শবদাহ করা হয়। এদিকে নায়েব চন্দ্র কুমার সরকার কলিকাতা থেকে তৈরি করে ১৩০৭ সালের ১৮ আশ্বিন কলসকাঠীতে আনেন কালী মাতার বিগ্রহ। ৫ বছর ৮ মাস ১১ দিন পর ১৩১৩ সালের ২৯ জ্যৈষ্ঠ কলসকাঠী থেকে পটুয়াখালীর এই মন্দিরে আনা হয় কালী মাতার বিগ্রহ এবং তা ৮ বছর ১০ মাস বিনা প্রতিষ্ঠায় থাকে। অভ্যন্তরে তৈরি করা হয় একটি বেদী। জমিদারের হাতের মাপের সোয়া হাত পরিমিত বেদীর চার কোণে ও মাঝখানে মোট ৫টি গর্ত করা হয়। তাতে স্থাপন করা হয় পুরুষ জাতীয় ৫টি জারজ চন্ডালের মুন্ড (খাপড়া শাস্ত্র মতে)। পঞ্চমন্ডী স্থাপন করে " ঁক্রী" মন্ত্রে কালী নামে প্রতিষ্ঠা করা হয় কালী মাতাকে। অবশেষে ১৩২১ সালের ৩০ চৈত্র অমাবশ্যা তিথিতে মহা বিষুব সংক্রান্তি দিবসে অভ্যুদায়িক পৌরানিক মতে ঐ মন্দিরে কালী মাতার বিগ্রহ স্থাপন করা হয় তন্ত্রমতে। মন্দির প্রতিষ্ঠাকালে জমিদার বিশ্বেশ্বর রায় চৌধুরী তার পাঁচ পুত্র রাজেশ্বর রায় চৌধুরী (পরবর্তী জমিদার), রত্নেশ্বর রায় চৌধুরী, সিদ্ধেশ্বর রায় চৌধুরী, অমরেশ্বর রায় চৌধুরী, হরেশ্বর রায় চৌধুরীসহ আত্মীয়-স্বজন বরিশাল থেকে লঞ্চ নিয়ে আসেন পটুয়াখালীতে। এ অনুষ্ঠানে জমিদারী স্টেটের সর্বপ্রধান কর্মচারী পেনশনপ্রাপ্ত ডেপুটি কালেক্টর রায় প্যারি মোহন বসু জজ কোর্টের উকিল উমেশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়সহ তৎকালীন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ঐ সময় তিনজন পুরোহিত রোহিনী কুমার চক্রবর্তী, মনোরঞ্জন চক্রবর্তী ও ভবরঞ্জন চক্রবর্তীকে নিযুক্ত করা হয় অমাবশ্যার পূজা ও দৈনিক পূজা করার জন্য। শতাব্দীকালের পুরানো এই মন্দিরটি আজো টিকে আছে ভক্তদের দক্ষিণা ও দান-অনুদানে।
    তথ্য সূত্রঃ
    ইন্টারনেট, মূল মন্দিরের সামনে শ্বেতপাথরের শিলালিপি, সিরাজ উদ্দীন আহমেদের লেখা ‘বরিশালের ইতিহাস’ ও ইয়াকুব আলী সিকদারের প্রবন্ধ ‘পটুয়াখালীর অতীত ও বর্তমান’।

КОМЕНТАРІ • 16

  • @mdshawon1033
    @mdshawon1033 2 місяці тому

    ❤❤

  • @MdNashir-dg1qb
    @MdNashir-dg1qb 3 місяці тому

    ভিডিওটা দেখে খুব ভালো লাগলো।

  • @haoabegum8585
    @haoabegum8585 3 місяці тому

    দারুণ ❤

  • @MdSabbir-ed5qt
    @MdSabbir-ed5qt 4 місяці тому

    সুন্দর হইছে ❤

  • @emonkhan6514
    @emonkhan6514 4 місяці тому

    সুন্দর ভাই সামনে আরো ভালো কিসুর অপেক্ষায় আছি 🖤🖤🖤

    • @MohammadAlImran
      @MohammadAlImran  4 місяці тому

      ধন্যবাদ ভাই, ইনশাআল্লাহ সামনে আরও ভালো কিছু আসবে।

  • @rafiexplorerbd
    @rafiexplorerbd 3 місяці тому

    valobasa niben vai

  • @seyamofficiall
    @seyamofficiall 4 місяці тому

    দেয়ালের প্লাস্টার উঠে গেছে হেইয়া দেখতে গেছো আয় ❤

    • @MohammadAlImran
      @MohammadAlImran  4 місяці тому +1

      হয়, কারণ এসব পুরনো স্থাপনার প্রতি আমার অন্যরকম একটা টান ভালোলাগা কাজ করে। 💙

  • @shawongaming1599
    @shawongaming1599 20 днів тому

    দারুণ ❤