আসিফ নজরুল ১৯৯২ সালে যুদ্ধাপরাধী বিচার নিয়ে কাজ করেছে বাট তিনি ২০১৩/১৪ সালে সরাসরি শাহবাগের সমালোচনা করেছে সব টিভি টকশো তে, এখন ৫ আগস্টের পর তাকে নিয়ে সমালোচনা করা যায় বাট ২০১৩/১৪ সালে তিনি মোটামুটি শাহবাগী ছিলো না।। এই সত্য কথা না বললে আল্লাহ কাছে আমাদের জবাব দিতে হবে
ধন্যবাদ ভাই, একজন অন্তত প্রকৃত সত্যি কথাটা বললো। কতিপয় ইউটিউবার সাংবাদিক মনগড়া অনুসন্ধান করে বিভাজন তৈরি করছে। আমিতো বলি জালিমশাহীর আমলে দেশে বসে যে কয়জন ব্যক্তিত্ব ভারতীয় আধিপত্যবাদের সরাসরি বিরোধিতা করেছে তার মধ্যে আসিফ নজরুল অন্যতম। অথচ, তাকে এখন ‘র’ এর এজেন্ট অভিহিত করে চূড়ান্ত পর্যায়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে…
বাংলাদেশের মানুষের ঐক্যের প্রচেষ্টা: তুলনা ছাড়া এবং বিভাজন ছাড়া কি আমরা মানুষ চিন্তা করতে পারি? চিন্তা থেকেই তো কথা এবং কাজের উৎপত্তি। আমি মূলত আমার চিন্তার ফসল। তুলনা বা বিভাজনই হলো চিন্তার মূল বৈশিষ্ট্য, আর চিন্তা থেকেই জন্ম নেয় নানা মত এবং ভিন্ন ভিন্ন পথ। এভাবেই আমাদের মধ্যে বিভাজন, ভিন্নতা বা বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয়। তবুও আমরা ঐক্য চাই। কিন্তু সেই ঐক্য কিসের ভিত্তিতে হবে, এবং কিভাবে তা সম্ভব? চিন্তা আসলে কী? চিন্তা কীভাবে কাজ করে? চিন্তা কিসের উপর ভিত্তি করে গঠিত হয়, এর বৈশিষ্ট্য ও কার্যপ্রণালী কী? এই বিষয়গুলো নিজের ভেতর গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ না করলে কি নিজের প্রকৃত রূপ উপলব্ধি করা সম্ভব? নিজেকে সত্যিকারের চেনা সম্ভব? যে নিজের প্রকৃত রূপ উপলব্ধি করেনি, সে কি অন্যকে আসলেই সঠিকভাবে বোঝাতে পারবে? চিন্তার কার্যপ্রণালী না বুঝে, নিজেকে না জেনে, অন্যদের বোঝার চেষ্টা আসলে অজানা কল্পনার পেছনে ছুটার মতো। এই কারণেই মানুষের পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ হয়, কিন্তু সেই শান্তি কখনো স্থায়ী হয় না। দ্বন্দ্ব, সংঘাত, এবং যুদ্ধ বারবার ফিরে আসে। নিজের প্রকৃত রূপ উপলব্ধি ছাড়া প্রকৃত মুক্তি সম্ভব নয়।
জনগণের করের টাকার ন্যায্য ও সর্বোত্তম ব্যবহার এবং অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে ন্যায্যতা, যোগ্যতা ও সামর্থ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। কিন্তু আমরা তা বুঝি না; বরং রাষ্ট্র বল প্রয়োগ না করলে, দূর্বল ভেবে জনগণের অর্থ থেকে অবিলম্বে একটু বেশি সুবিধা আদায় করে নিতে চাই। ২০২৪-এর অভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকার আগের মতো (১) শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে না এবং (২) আমাদের মত প্রকাশ বা সমাবেশে বাধা দিতে পারবে না। অথচ আমরা এমন পরিবেশে একসঙ্গে থাকার জন্য অভ্যস্ত নই। আমরা কেউ কেউ প্রত্যাশা করি, সরকার শক্তি প্রয়োগ করুক, বা ন্যায্যতা যাচাই না করে দাবি পূরণ করুক, কিংবা কখনো কখনো দুই পক্ষকে চাপ দিয়ে আমাদের সমস্যার সমাধান করে দিক। আমরা স্বভাবে শক্তের ভক্ত, নরমের যম, নগন্য ব্যতিক্রম ছাড়া। ফলস্বরূপ, ন্যায্য আচরণ, ন্যায্য দাবি বা একসঙ্গে থাকার জন্য গণতান্ত্রিক আচরণে আমাদের অভ্যস্ততা নেই। এমনকি তারা এসব আচরণ কীভাবে করতে হয়, তাও জানে না। উদাহরণ হিসেবে, পরীক্ষায় অংশ না নিয়েই উত্তীর্ণ হওয়া, পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়া, চাকরি স্থায়ীকরণ, বেতন-সুবিধা বাড়ানো, মাজার ভাঙা, অথবা শরিয়া আইনের দাবি তোলা-যা একটি জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, নিয়ম-কানুন, বিশ্বাস ও কর্মকাণ্ড অন্যদের বা সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়াস-এসব কর্মকাণ্ড মৌলিক দুর্বলতাকে স্পষ্ট করে। এর পাশাপাশি, আসামিদের আদালতে নেওয়ার পথে তাদের লাঞ্ছিত করা বা আইনজীবীদের হেনস্থার মতো কর্মকাণ্ডও এই দুর্বলতার অংশ। এসব কার্যকলাপ যে দুর্নীতি এবং স্বৈরাচারী আচরণ, তা বোঝার ক্ষমতাও নেই, লজ্জাবোধ তো দূরের কথা। বাস্তবতার মধ্য দিয়ে আমরা কারা এবং আমরা কি তা স্পষ্ট হয়। পক্ষগুলোর একে অপরের মধ্যে স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার দুটোরই সীমা ও পরিধি এবং গণতন্ত্র সম্পর্কে এই জনগোষ্ঠীর ধারণা অষ্পষ্ট, চর্চা নেই বললেই চলে। তারা বাস্তবতার জটিলতা বুঝতে অক্ষম। বাস্তবতা বোঝার প্রক্রিয়ায় যেখানে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি হয়, চিন্তার সেখানেই তারা থেমে যায়; এরপর আর কিছু বোঝার আগ্রহ থাকে না। বিপুল জনগোষ্ঠী নিজেদের দায়িত্ব এড়াতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। এগুলোর শিকড় অবহেলা ও অজ্ঞতা (Ignorance, جهل, अज्ञान, 无知)। আর অজ্ঞতায় ও অবহেলায় পড়ে দূর্নীতি ও ধোঁকার ফাঁদে। পরিণতি হলো দ্বন্দ্ব, সংঘাত আর দূঃখ। গনতন্ত্র সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বৈরশাসন নয়। ৯৯% জনগোষ্ঠি চাইলো বাকি ১% জনগোষ্ঠির জীবনে ও জবানে অর্থাৎ জীবনযাত্রা ও ভিন্নমত প্রকাশে বাঁধা দিবো, এটা যে গনতন্ত্র নয়, তা আমরা যত বুঝবো ততই ঐক্যের কাছাকাছি পৌঁছবো। এবং সেই ঐক্য ভিন্ন মত ও পথকে সহ্য করে। ন্যায়বিচার ছাড়া আর কোন্ কোন্ বিষয়ে সকলে একমত? সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বৈরশাসনে গণতন্ত্র বা ন্যায়বিচার তো দূরের কথা, ঐক্যই হবে না, যতটুকু আছে তাও থাকবে না। প্রানীর প্রতিশোধ স্পৃহা তার প্রাকৃতি বৈশিষ্ট্য, এই প্রতিশোধ স্পৃহা থেকেই ন্যায়বিচারের ধারনা এবং এই আকাংখার জন্ম। ক্ষমতা ও ন্যায়বিচার, একে অপরের শত্রু। কিন্তু ন্যায়বিচার পরনির্ভরশীল। ক্ষমতা(জনগোষ্ঠী) ছাড়া ন্যায়বিচারের প্রয়োগ কি সম্ভব? শিয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দিতেই হচ্ছে। কষ্ট ও প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাও কেড়ে নেয় ক্ষমতা। ক্ষমতা ছাড়া ন্যায়বিচারের চলেই না।
@@muhammadnurulamin5801 সম্ভবত এক রকম মনস্তাত্বিক প্রভাব থেকে এক পর্যায়ের চিন্তার কথা বলছেন। কিন্তু আমি সাধারণভাবে সকল চিন্তার মধ্যে থাকে এমন বৈশিষ্ট্যগুলোর কথা বলছি, চিন্তার ধর্মের কথা বলছি, যেখানে স্মৃতি জেগে ওঠে (সেটা হতে পারে ছবি, শব্দ, ইত্যাদি) এবং একটা স্মৃতির সাথে অন্যটির তুলনা করতে করতে চিন্তার বহর চলতে থাকে। এই তুলনার পর্যায়ে অনুভুতিও যুক্ত হয়।
উনি বলেছেন আওয়ামী ঘরানার মানুষ কি বলতো হেফাজত নিয়ে সেটা। উনি এটা বিশ্বাস করে না। আর উনি নিজেও ঐ ন্যারেটিভ বিশ্বাস করে না। আর এটা তো সত্য যে হেফাজতের নেতারা পরবর্তীতে হাসিনার সাথে মিলে গিয়েছিল। আমি নিজেও শাহবাগ-প্রথম আলো বিরোধী।
এই আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন-
দুই পর্বে রেজাউল করিম রনির বক্তব্য
১ম পর্ব: ua-cam.com/video/eRvewFOcg6c/v-deo.html
২য় পর্ব: ua-cam.com/video/JmPUjvIkUmc/v-deo.html
সারোয়ার তুষার: ua-cam.com/video/jdt-mxNEv9Y/v-deo.html
তুহিন খান: ua-cam.com/video/3S0KpqPvta8/v-deo.html
ইশরাকের বক্তৃতাটা আপ দিবেন?
@symphonicemotions9553 জ্বি পাবেন। সঙ্গে থাকুন 🙏
অনেকের বক্তব্যই গঠন মুলক। আরো কোন বক্তা থাকলে তাদের লিনক টা দিন
দারুন আলোচনা। তুহিন খান সবসময়ই ভালো বলেন
আসিফ নজরুল ১৯৯২ সালে যুদ্ধাপরাধী বিচার নিয়ে কাজ করেছে বাট তিনি ২০১৩/১৪ সালে সরাসরি শাহবাগের সমালোচনা করেছে সব টিভি টকশো তে, এখন ৫ আগস্টের পর তাকে নিয়ে সমালোচনা করা যায় বাট ২০১৩/১৪ সালে তিনি মোটামুটি শাহবাগী ছিলো না।। এই সত্য কথা না বললে আল্লাহ কাছে আমাদের জবাব দিতে হবে
সত্যি বলেছেন
ধন্যবাদ ভাই, একজন অন্তত প্রকৃত সত্যি কথাটা বললো। কতিপয় ইউটিউবার সাংবাদিক মনগড়া অনুসন্ধান করে বিভাজন তৈরি করছে। আমিতো বলি জালিমশাহীর আমলে দেশে বসে যে কয়জন ব্যক্তিত্ব ভারতীয় আধিপত্যবাদের সরাসরি বিরোধিতা করেছে তার মধ্যে আসিফ নজরুল অন্যতম। অথচ, তাকে এখন ‘র’ এর এজেন্ট অভিহিত করে চূড়ান্ত পর্যায়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে…
আসিফ নজরুল বহুবার রূপ বদলেছে। তাকে কি বলা যায় জানি না
@@SabinaFarhin-zr3je এই বয়সে আইসা আর রূপ বদলানোর সুযোগ নাই
ফিরনি, খিচুড়ি, স্যুপ এবং করল্লা ভাজি সব একসাথে একপাত্রে রাখলে যা হয়, আলোচনাটা সেরকম।
বাংলাদেশ একটি উৎকৃষ্ট রাজনৈতিক গবেষণাগার,যে যেভাবে পারে তার মনের মাধুরি মিশিয়ে আলোচনা করতে পারে। তবে এর মাধ্যমে কি অর্জিত হবে সেটাই ভাবনার বিষয়।
হযবরল আলোচনা
হযবরল আলোচনা
তুহিন ভাই চমৎকার আলোচনা করলেন
আসলেই। অনেক প্রানবন্ত
প্রথম আলো মার্কা থেকে শিখছে মনে হয়।। তাই এই হাল আজকের জামানায় ইন্টেলিজেন্ট সাজতে মানুষ আরও কি কি যেন করে আল্লাহ ভালো জানে
Mash Allah Bhalo alochona. Dhonnobad
সুন্দর আলোচনা
Well said
ইসলাম ছাড়া কোথাও শান্তি পাবেন না
Desh gotone ei dhoroner juktimulok boktobbo ba alochonar bikolpo nei .
Allah amader sobaike desher sarthe positive kaj korar taofik daan karun
ইন্ডিয়া ১০ লেয়ারে কাজ করে ইন্ডিয়ার ইসলাম পন্থি দল আছে বাংলাদেশে।
এইটা খুবই সত্য
চরমোনাই ইন্ডিয়ান ব্যাকড
আপনি কোন লেয়ারে আছেন?
চরমোনাই এর অংশ
ইলিয়াস ইউটিউবার জামাতের নায়েবে আমিরকে র এর এজেন্ট বলেছে।
বাংলাদেশের মানুষের ঐক্যের প্রচেষ্টা: তুলনা ছাড়া এবং বিভাজন ছাড়া কি আমরা মানুষ চিন্তা করতে পারি? চিন্তা থেকেই তো কথা এবং কাজের উৎপত্তি। আমি মূলত আমার চিন্তার ফসল। তুলনা বা বিভাজনই হলো চিন্তার মূল বৈশিষ্ট্য, আর চিন্তা থেকেই জন্ম নেয় নানা মত এবং ভিন্ন ভিন্ন পথ। এভাবেই আমাদের মধ্যে বিভাজন, ভিন্নতা বা বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয়। তবুও আমরা ঐক্য চাই। কিন্তু সেই ঐক্য কিসের ভিত্তিতে হবে, এবং কিভাবে তা সম্ভব?
চিন্তা আসলে কী? চিন্তা কীভাবে কাজ করে? চিন্তা কিসের উপর ভিত্তি করে গঠিত হয়, এর বৈশিষ্ট্য ও কার্যপ্রণালী কী? এই বিষয়গুলো নিজের ভেতর গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ না করলে কি নিজের প্রকৃত রূপ উপলব্ধি করা সম্ভব? নিজেকে সত্যিকারের চেনা সম্ভব? যে নিজের প্রকৃত রূপ উপলব্ধি করেনি, সে কি অন্যকে আসলেই সঠিকভাবে বোঝাতে পারবে?
চিন্তার কার্যপ্রণালী না বুঝে, নিজেকে না জেনে, অন্যদের বোঝার চেষ্টা আসলে অজানা কল্পনার পেছনে ছুটার মতো। এই কারণেই মানুষের পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ হয়, কিন্তু সেই শান্তি কখনো স্থায়ী হয় না। দ্বন্দ্ব, সংঘাত, এবং যুদ্ধ বারবার ফিরে আসে। নিজের প্রকৃত রূপ উপলব্ধি ছাড়া প্রকৃত মুক্তি সম্ভব নয়।
জনগণের করের টাকার ন্যায্য ও সর্বোত্তম ব্যবহার এবং অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে ন্যায্যতা, যোগ্যতা ও সামর্থ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। কিন্তু আমরা তা বুঝি না; বরং রাষ্ট্র বল প্রয়োগ না করলে, দূর্বল ভেবে জনগণের অর্থ থেকে অবিলম্বে একটু বেশি সুবিধা আদায় করে নিতে চাই। ২০২৪-এর অভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকার আগের মতো (১) শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে না এবং (২) আমাদের মত প্রকাশ বা সমাবেশে বাধা দিতে পারবে না। অথচ আমরা এমন পরিবেশে একসঙ্গে থাকার জন্য অভ্যস্ত নই। আমরা কেউ কেউ প্রত্যাশা করি, সরকার শক্তি প্রয়োগ করুক, বা ন্যায্যতা যাচাই না করে দাবি পূরণ করুক, কিংবা কখনো কখনো দুই পক্ষকে চাপ দিয়ে আমাদের সমস্যার সমাধান করে দিক।
আমরা স্বভাবে শক্তের ভক্ত, নরমের যম, নগন্য ব্যতিক্রম ছাড়া। ফলস্বরূপ, ন্যায্য আচরণ, ন্যায্য দাবি বা একসঙ্গে থাকার জন্য গণতান্ত্রিক আচরণে আমাদের অভ্যস্ততা নেই। এমনকি তারা এসব আচরণ কীভাবে করতে হয়, তাও জানে না। উদাহরণ হিসেবে, পরীক্ষায় অংশ না নিয়েই উত্তীর্ণ হওয়া, পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়া, চাকরি স্থায়ীকরণ, বেতন-সুবিধা বাড়ানো, মাজার ভাঙা, অথবা শরিয়া আইনের দাবি তোলা-যা একটি জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, নিয়ম-কানুন, বিশ্বাস ও কর্মকাণ্ড অন্যদের বা সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়াস-এসব কর্মকাণ্ড মৌলিক দুর্বলতাকে স্পষ্ট করে। এর পাশাপাশি, আসামিদের আদালতে নেওয়ার পথে তাদের লাঞ্ছিত করা বা আইনজীবীদের হেনস্থার মতো কর্মকাণ্ডও এই দুর্বলতার অংশ। এসব কার্যকলাপ যে দুর্নীতি এবং স্বৈরাচারী আচরণ, তা বোঝার ক্ষমতাও নেই, লজ্জাবোধ তো দূরের কথা।
বাস্তবতার মধ্য দিয়ে আমরা কারা এবং আমরা কি তা স্পষ্ট হয়। পক্ষগুলোর একে অপরের মধ্যে স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার দুটোরই সীমা ও পরিধি এবং গণতন্ত্র সম্পর্কে এই জনগোষ্ঠীর ধারণা অষ্পষ্ট, চর্চা নেই বললেই চলে। তারা বাস্তবতার জটিলতা বুঝতে অক্ষম। বাস্তবতা বোঝার প্রক্রিয়ায় যেখানে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি হয়, চিন্তার সেখানেই তারা থেমে যায়; এরপর আর কিছু বোঝার আগ্রহ থাকে না। বিপুল জনগোষ্ঠী নিজেদের দায়িত্ব এড়াতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। এগুলোর শিকড় অবহেলা ও অজ্ঞতা (Ignorance, جهل, अज्ञान, 无知)। আর অজ্ঞতায় ও অবহেলায় পড়ে দূর্নীতি ও ধোঁকার ফাঁদে। পরিণতি হলো দ্বন্দ্ব, সংঘাত আর দূঃখ। গনতন্ত্র সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বৈরশাসন নয়। ৯৯% জনগোষ্ঠি চাইলো বাকি ১% জনগোষ্ঠির জীবনে ও জবানে অর্থাৎ জীবনযাত্রা ও ভিন্নমত প্রকাশে বাঁধা দিবো, এটা যে গনতন্ত্র নয়, তা আমরা যত বুঝবো ততই ঐক্যের কাছাকাছি পৌঁছবো। এবং সেই ঐক্য ভিন্ন মত ও পথকে সহ্য করে। ন্যায়বিচার ছাড়া আর কোন্ কোন্ বিষয়ে সকলে একমত? সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বৈরশাসনে গণতন্ত্র বা ন্যায়বিচার তো দূরের কথা, ঐক্যই হবে না, যতটুকু আছে তাও থাকবে না।
প্রানীর প্রতিশোধ স্পৃহা তার প্রাকৃতি বৈশিষ্ট্য, এই প্রতিশোধ স্পৃহা থেকেই ন্যায়বিচারের ধারনা এবং এই আকাংখার জন্ম। ক্ষমতা ও ন্যায়বিচার, একে অপরের শত্রু। কিন্তু ন্যায়বিচার পরনির্ভরশীল। ক্ষমতা(জনগোষ্ঠী) ছাড়া ন্যায়বিচারের প্রয়োগ কি সম্ভব? শিয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দিতেই হচ্ছে। কষ্ট ও প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাও কেড়ে নেয় ক্ষমতা। ক্ষমতা ছাড়া ন্যায়বিচারের চলেই না।
না বলা ,অস্বীকার করার ইচ্ছা থেকে চিন্তার উৎপত্তি।
@@muhammadnurulamin5801 সম্ভবত এক রকম মনস্তাত্বিক প্রভাব থেকে এক পর্যায়ের চিন্তার কথা বলছেন। কিন্তু আমি সাধারণভাবে সকল চিন্তার মধ্যে থাকে এমন বৈশিষ্ট্যগুলোর কথা বলছি, চিন্তার ধর্মের কথা বলছি, যেখানে স্মৃতি জেগে ওঠে (সেটা হতে পারে ছবি, শব্দ, ইত্যাদি) এবং একটা স্মৃতির সাথে অন্যটির তুলনা করতে করতে চিন্তার বহর চলতে থাকে। এই তুলনার পর্যায়ে অনুভুতিও যুক্ত হয়।
এই লোকরেই কি মাওলানা তুহিন খান বইলা ট্রল করে ফেবুতে?
হুম...
ছোট ভাই তুহিন শাহবাগের ইসলামের বিদ্বেষ কে ক্লীনশিট দিতে চাচ্ছে 😂...
এই গুলা এই বাংলায় খাবে না
ভালো আলোচনা
আপনি প্রথম আলো পড়তে অভ্যস্ত মনে হচ্ছে। সেই চিন্তাধারায় প্রভাবিত
ধরে ফেলছেন
উনি বলেছেন আওয়ামী ঘরানার মানুষ কি বলতো হেফাজত নিয়ে সেটা। উনি এটা বিশ্বাস করে না। আর উনি নিজেও ঐ ন্যারেটিভ বিশ্বাস করে না। আর এটা তো সত্য যে হেফাজতের নেতারা পরবর্তীতে হাসিনার সাথে মিলে গিয়েছিল। আমি নিজেও শাহবাগ-প্রথম আলো বিরোধী।
এই বিষয় নিয়ে আমার শুনা চেষ্ট আলোচনা।
ভাই আগে মানহাজ ঠিক করেন তারপর বক্তৃতা দেন
ইশরাকের বক্তৃতা টা আপ দিবেন?
খুব অগোছালো
সাঈদী ❤❤❤
Shahbagider pokkhe kotha keno, fascism er cultural wing e kara dekhse?
Neutral alochona.
ajaira purai
তোমাদের জ্ঞান ত মনে হচ্ছে হযবরল! এমন জ্ঞান আসছো রাজনীতি করতে?
পাগল আর কি বলে?
জনাব আপনি কিছু বলুন
bro isn’t honest picking up examples & lacking an inch in search of truth.
ফরিদউদ্দীন মাসুদকে কোনভাবেই আল্লামা বলা ঠিক হয় নাই,,,,,
বকতে বকতে বকেই চলে যাচ্ছে। কিছুই মাথায় ঢুকে না
অর্ধেক বুঝছেন।