#Bangladesh #chinmoykrisnaprabhu #Suvenduadhikari #savehindu #newsupdate
ChinmoyKrishnaDas #Suvendu #bgp
*চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর গ্রেফতার: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সুরক্ষা নাকি নিপীড়নের নতুন অধ্যায়?*
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান নেতা ও হিন্দু অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে আজ ডক্টর ইউনুস সরকারের প্রশাসন গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য ও দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, তাঁর কর্মকাণ্ডে সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এই ঘটনার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই গ্রেফতারকে "বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিপীড়নের আরেকটি উদাহরণ" হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভু একজন সংগ্রামী নেতা, যিনি হিন্দুদের অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করে আসছেন। তাঁর গ্রেফতার ধর্মীয় বৈষম্যেরই বহিঃপ্রকাশ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন যে ভারত সরকারকেও এ বিষয়ে কড়া অবস্থান নিতে হবে।
ডক্টর ইউনুস সরকার বলেন,
"বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এখানে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আইন তাঁর নিজস্ব গতিতে চলবে। সংখ্যালঘু সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি আমরা বরাবরই পালন করেছি এবং করবো।
চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভু দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে আসছেন। তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত আন্দোলন দেশের অনেক সংখ্যালঘুর আশার আলো হয়ে উঠেছিল।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই গ্রেফতার বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে নতুনভাবে প্রভাবিত করতে পারে। আন্তর্জাতিক মহল থেকে এরই মধ্যে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলিও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।
গ্রেফতারের এই ঘটনা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সুরক্ষা ও মানবাধিকারের বিষয়টি নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছে। তবে এটি দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষার প্রচেষ্টা, নাকি সংখ্যালঘুদের কণ্ঠ রোধের চেষ্টা, তা সময়ই বলবে।